Skip to main content

Posts

ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে দায়ী যে অভ্যাস

রিনা একজন চাকরিজীবী নারী। সম্প্রতি তার ঘাড় ও পিঠে ব্যথা দেখা দিয়েছে। সারাদিন অফিসের কম্পিউটারে বসে কাজ করার পর বাসায় ফিরে ঘরের কাজ সেরে বিনোদনের জন্য হাতের কাছের মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নেন। মোবাইলের স্ক্রিনের সামনে কীভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় টের পান না। প্রথমে সামান্য ঘাড় ব্যথা দিয়ে তাঁর অস্বস্তির শুরু। ধীরে ধীরে পিঠে ব্যথা ও টান অনুভব করেন। ক্রমশ মাথা ভার হয়ে আসে। কাজের চাপে এসব হচ্ছে ভেবে খুব একটা দুশ্চিন্তা তার ছিল না। কিন্তু একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন তিনি আর ঘাড় নাড়াতে পারছেন না। ঘাড় শক্ত হয়ে গেছে, বাঁকাতে গেলেই ব্যাথা পাচ্ছেন। চিন্তিত হয়ে রিনা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। ফিজিওথেরাপিস্ট তাকে দেখে জানান যে, তার সমস্যাটা খুব সাধারণ — কিন্তু অবহেলা করলে ভয়াবহ হতে পারে। কারণ, দীর্ঘ সময় মোবাইল বা ল্যাপটপে ঝুঁকে থাকার ফলে দেহভঙ্গি বা posture নষ্ট হয়ে গেছে। এমনটা হলে মানুষ কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়। যেমন- ১) টেক্সট নেক সিনড্রোম (Text Neck Syndrome) ২) সারভাইক্যাল পেইন (Cervical Pain) ৩) ফ্রোজেন শোল্ডার (Frozen Shoulder) ৪) মেরুদন্ডের ডিস্কে সমস্যা চিকিৎসক আরো জানান...

সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস | নেতিবাচক খবর যখন দুশ্চিন্তার কারণ

সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস সম্পর্কে শুনেছেন কখনো? আজকের পৃথিবীতে একবার খবরের কাগজের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে—গাজায় বোমা হামলা, ইউক্রেনে যুদ্ধ, আফ্রিকায় সহিংসতা, দেশে খুন, ধর্ষণ, দুর্যোগ, শিশু নির্যাতন- একটার পর একটা খারাপ খবর। এগুলো হয়তো আমাদের জীবনে সরাসরি ঘটছে না, কিন্তু মনের ওপর একটা চাপ, অস্বস্তি, এমনকি ভয় তৈরি করে। এই অবস্থা থেকে অনেকেই ভেতরে ভেতরে তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন—যাকে বলা হয় সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস। সাধারণত যেকোনও নেতিবাচক খবর- হোক সেটি পত্রিকা, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা, কিংবা পরিচিত অপরিচিত কারও দুঃখ দুর্দশার খবর জেনে সেটি নিজের জীবনের সাথে মেলাতে শুরু করেন তখনই এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। চলুন, সহজভাবে বুঝে নিই এই বিষয়টি, আর জেনে নিই কীভাবে নিজেকে ভালো রাখা যায়। সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস আসলে কী? যখন আপনি কারো কষ্টের কথা শুনে বা দেখে নিজে কষ্ট পান, আতঙ্কিত হন, তখন সেটি আপনার উপর মানসিক প্রভাব ফেলে। এ কারণে আপনার মধ্যেও ট্রমার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন প্রতিদিন যুদ্ধের ছবি দেখে মনে হতে পারে, “আমার দেশেও যদি এমন হয়?” অথবা শিশু নির্যাতনের খবর শুন...

গরমে মাথার ত্বকের সংক্রমণ এড়াতে কী করবেন?

বসন্ত শেষে প্রকৃতিতে এসেছে গ্রীষ্মকাল, সেই সাথে নিয়ে এসেছে প্রচন্ড গরম, তাপ, ঘাম ও অত্যধিক আর্দ্র আবহাওয়া। এই গরমে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বা স্ক্যাল্প ইনফেকশন একটি সাধারণ সমস্যা। প্রচন্ড গরমে মাথার ত্বক ঘেমে থাকে, যার ফলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস খুব সহজেই আক্রমণ করে বসে। স্ক্যাল্প ইনফেকশনের ফলে স্ক্যাল্প চুলকানো, লালচে ভাব, খসখসে ভাব দেখা দেয় এমনকি চুল পড়া বেড়ে যায়। এছাড়াও চুল রুক্ষ, শুষ্ক, ফ্রিজি হয়ে যাওয়ার সমস্যা তো আছেই। আজকের ফিচারে মাথার ত্বকের সংক্রমণ, এর কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে জানবো। গরমে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ ১. স্ক্যাল্প ঘেমে থাকা প্রচন্ড আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে আমাদের শরীর খুব সহজেই ঘেমে যায়। স্ক্যাল্পও দ্রুত ঘেমে যায় এবং চুলের কারণে এই ঘাম সহজে শুকানো অনেক সময় সম্ভব হয়না। এতে মাথার ত্বক চিটচিটে হয়ে পড়ে এবং সেখানে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোঅর্গানিজম আক্রমণ করে৷ এজন্য গরমে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বেড়ে যায়। ২.ব্যাকটেরিয়াল স্ক্যাল্প ইনফেকশন গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের জন্য বেশ উপযোগী। বিশেষত স্ট্যাফাইলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া খুব সহ...

গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে শিশুর যত্ন ও খাদ্যতালিকা কেমন হওয়া উচিত ?

বাইরের তাপমাত্রা ৩০+ ডিগ্রী। সামনে এই তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ৩৫-৩৭ এ। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট সবাই। বড়রা তো মেনে নিতে পারে, বাচ্চাদের জন্য মানিয়ে নেওয়া, বোঝা খুবই কষ্টের। এর মাঝে গরমের রোগ ব্যাধি তো আছেই। গরমের তীব্রতায় বাচ্চাদের খাবারের প্রতিও কোন আগ্রহ থাকে না। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে বাচ্চাদের খাবার রুটিনের গরমিল যেন নিত্য দিনের ব্যাপার। গরমে বাচ্চারা কী খাবে, খাবারের ধরন কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে তাদের ভালো রাখা যাবে এই নিয়ে বাবা মায়ের উৎকন্ঠার শেষ নেই। তাদের কিছুটা স্বস্তির জন্যই আমার আজকের লেখা। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে শিশুর খাবার যেমন হতে হবে ৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের শুধুমাত্র ব্রেস্ট মিল্ক দিবেন যতোটা সম্ভব। আর্টিফিশিয়াল বা কৌটার দুধ এড়িয়ে চলবেন একেবারে ইমার্জেন্সি না হলে। গরমে বাচ্চাদের ডায়রিয়া, বদহজম, বিভিন্ন চর্মরোগ, সর্দি কাশি, নিউমোনিয়া হতে বেশি দেখা যায়। কাজেই শিশুদের খাবার এমন হতে হবে যেন তা থেকে রোগ সংক্রমণ না হয়। এছাড়াও গরমে শিশুর খাবার তৈরির সময় আরও যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে সেগুলো হলঃ ১) বাচ্চাদের খাবার হতে হবে সহজপাচ্য। সে হিসেবে নরম করে রান্না ভাত বা জাউ ভাত ...

মগজের কাটলেট

খাবারের তালিকায় মগজের পদ মানেই একটু ভিন্ন স্বাদ ও বিশেষ আয়োজন। মগজের ঝাল ফ্রাই বা ভুনা তো খাওয়াই হয়। তবে মগজের কাটলেট খেয়ে দেখেছেন কখনো? গরু বা খাসির মগজের নরম, মোলায়েম টেক্সচার আর মশলার মিশ্রণে তৈরি মগজের কাটলেট রিচ, ক্রিমি ও ভীষণ সুস্বাদু। এই কাটলেট মুখে দিলেই যেন গলে যায়, আর প্রতিটি কামড়ে পাওয়া যায় এক অনন্য স্বাদের অভিজ্ঞতা। সহজ কিছু উপকরণ আর সামান্য যত্নে তৈরি এই পদটি অতিথি আপ্যায়নে এনে দিতে পারে অনন্য স্বাদের অভিজ্ঞতা। চলুন, দেখে নিই মগজের কাটলেটের সহজ রেসিপি! মগজের কাটলেট তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন উপকরণ গরুর মগজ সেদ্ধ ১ কাপ আলু সেদ্ধ ২টি পাউরুটি স্লাইস ৪-৫টা দুধ আধা কাপ ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ পুদিনা পাতা ১ টেবিল চামচ গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ পেঁয়াজ কুচি ২-৩টা গরম মসলা গুঁড়া ১-২ চা চামচ জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ জায়ফল গুঁড়া ১/৪ চা চামচ টমেটো কেচাপ ২ টেবিল চামচ লবণ স্বাদমতো ভাজার জন্য যা লাগবে ফেটানো ডিম ২টি ময়দা আধা কাপ তিল ১ চা চামচ বিস্কুটের গুঁড়া আধা কাপ ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো মগজের কাটলেট প্রস্তুত প্রণালি ১) তেল, বিস্কুটের গুঁড়া, ম...

মম ব্রেইন | নতুন মায়ের মনের জটিলতা

একজন নারী নতুন মা হয়ে ওঠার পর অনেকসময় ভুলে যাওয়া, বিভ্রান্তি বা মনোযোগের অভাবের মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। অনেক সময়ই এটিকে মজার ছলে “মম ব্রেইন” বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে এটি কোনো কল্পিত ব্যাপার নয়, বরং গর্ভাবস্থা এবং সন্তান জন্মের পর একজন নারীর মস্তিষ্কে ও মানসিকতায় যে বিশাল পরিবর্তন ঘটে, তারই প্রতিফলন। মম ব্রেইন আসলে কী? “মম ব্রেইন ” বলতে বোঝানো হয় সেই মানসিক পরিবর্তন, যা অনেক নারী গর্ভাবস্থার সময় এবং সন্তান জন্মের পর অনুভব করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এই সময় নারীদের মস্তিষ্কের কিছু অংশে পরিবর্তন ঘটে, বিশেষ করে সামাজিক উপলব্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত অংশে। এটি স্বাভাবিক হলেও, অনেক সময় নতুন মায়েদের জন্য এটি হতাশাজনক হয়ে উঠতে পারে। মায়ের দায়িত্ব শুরু হয় সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই, তবে সন্তানের জন্মের পর এটি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অনিদ্রা, মানসিক চাপ এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়ার কারণে অনেক মা ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হওয়া বা মনোযোগ হারানোর মতো সমস্যায় পড়েন। কেন নতুন মায়েরা এমন অনুভব করেন? নতুন মায়েরা প্রায়ই রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না, কারণ শিশুকে খাওয়ানো, শান্ত করা বা দেখভাল করতে হয়। পর্যাপ্ত ঘু...

রমজানে ব্যায়াম | কখন, কেন এবং কীভাবে?

রমজানে ব্যায়াম করা নিয়ে অনেকেরই দ্বিধা থাকে। সারাদিন রোজা রাখার পর দেহের ক্লান্তি, পানি ও খাবারের অভাবের কথা চিন্তা করে অনেকেই এই সময়ে ব্যায়াম করা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা এবং উপযুক্ত সময় বেছে নিলে রোজার মধ্যেও সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকা সম্ভব। আজ আমরা জানবো, কীভাবে রমজান মাসেও ব্যায়াম করা যায় এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ। সাবা একজন কর্মজীবী নারী। প্রতিদিন সকালে যোগব্যায়াম করা তার অভ্যাস। তবে রমজান শুরু হতেই সে সিদ্ধান্ত নেয় ব্যায়াম বন্ধ রাখবে। তার মনে হয়, সারাদিন রোজা রেখে শরীরচর্চা করলে ক্লান্তি বেড়ে যাবে, দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু প্রথম এক সপ্তাহের মধ্যেই সে বুঝতে পারে, শরীর দুর্বল লাগছে, মনও চঞ্চল হয়ে উঠেছে। সারাদিন অফিসের চেয়ারে বসে থাকার কারণে পেশিতে ব্যথা অনুভব করছে। এভাবে চলতে থাকলে রমজানের শেষে সে আরও অলস হয়ে পড়বে। তখনই সে ভাবতে শুরু করে, রমজান মাসে কোন সময়টি ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত? রমজানে ব্যায়াম করা দরকার কেন ? সাবা তার ফিটনেস মেন্টরের সঙ্গে পরামর্শ করলে তিনি জানান, রোজার সময় ব্যায়াম বন্ধ রাখা উচিত নয়, বরং শরীরের জন্য এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।চলুন জেনে নিই, রমজানে ব্যায়া...