Skip to main content

Posts

মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে যে প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দেয়

মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় শারীরিক স্বাস্থ্যের মতো আমরা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খুব একটা সচেতন থাকি না। এ কারণে মানসিক সমস্যাগুলো গুরুতর হয়ে পড়ে। মানসিক সমস্যা গুলোর কিছু প্রাথমিক লক্ষণ থাকে। এই প্রাথমিক লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা গেলে চিকিৎসার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা যেতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে যে সাধারণ লক্ষণগুলো দেখা যায় তা নিয়েই আজ আমরা জানবো। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে কীভাবে বুঝবেন? ১. আবেগের অস্থিরতা কারও আবেগে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিলে, যেমন হঠাৎ করে খুব বেশি খুশি বা খুব দুঃখিত হওয়া, এটি মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির ইঙ্গিত হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি খুব দ্রুত মেজাজ পরিবর্তন করে, তাহলে এটি উদ্বেগজনক। এটি বাইপোলার ডিজঅর্ডারের লক্ষণ হতে পারে। ২. বিরামহীন দুঃখ বা হতাশা দীর্ঘ সময় ধরে বিষণ্ণতা বা দুঃখের অনুভূতি, যা স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে, এটি মানসিক অবনতির লক্ষণ হতে পারে। যদি ব্যক্তি নিজের মধ্যে আগের মতো আনন্দ বা উৎসাহ অনুভব না করেন, তবে এটি গুরুতর বিষয়। জীবন নিয়ে সবসময় নেতিবাচক ধারণা পোষণ করা, হ...

অবচেতন মন বা সাবকন্সিয়াস মাইন্ডকে নিজের বশে আনবেন কীভাবে?

মানব মস্তিষ্কের একটি বিস্ময়কর দিক হল অবচেতন মন, যাকে বলে ‘subconscious mind’। এটি এমনই শক্তিশালী, যা আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান, অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। অবচেতন মনের জ্ঞান ব্যবহার করা গেলে, তা আমাদের জীবনে দারুণ পরিবর্তন আনতে পারে। অবচেতন মনকে বশে আনা গেলে জীবন হবে সহজ! চলুন এই বিষয়টি নিয়ে একটু জেনে নেই… অবচেতন মন এর সাথে যোগাযোগ কীভাবে সম্ভব? স্বপ্ন: আমাদের অবচেতন মন প্রায়ই স্বপ্নের মাধ্যমে কথা বলে। এটি একধরনের ভাষা, যা ব্যাখ্যা করতে শিখলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাওয়া যায়। হিপনোসিস বা মন্ত্রমুগ্ধ অবস্থা: এই প্রক্রিয়ায় সচেতন মন কে শান্ত করে অবচেতন মনের সাথে সরাসরি প্রশ্নোত্তর এর মাধ্যমে কথা বলা যায়। অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতার প্রতি মনোযোগ: কিছু সময়ে অবচেতন মন আমাদের এমন কিছু অভিজ্ঞতা দেয়, যা সাধারণত অদ্ভুত বা ব্যতিক্রমী মনে হয়। এ ধরনের অভিজ্ঞতাগুলো মনোযোগ দিয়ে বিশ্লেষণ করলে লুকিয়ে থাকা বার্তা উপলব্ধি করা যায়। অবচেতন মনের সঙ্গে কাজ এবং একটি অভিজ্ঞতা ডা. আনবারের এক ১১ বছর বয়সী রোগীর উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, কীভাবে অবচেতন মন তার জীবনে প্রভাব ফেলেছিল। এই শিশুটি প্রায়ই অদ্ভুত দর্...

গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি

ডাইনিং টেবিলে এক প্লেট বিরিয়ানি মানে যেন এক টুকরো উৎসব। আর যদি সেই বিরিয়ানিতে থাকে গলদা চিংড়ির মনমাতানো স্বাদ, তবে তো কথাই নেই! গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি হলো এমন একটি পদ, যা প্রথম গ্রাসেই আপনার মন ভরিয়ে দেবে। ছুটির আগের রাতের ঘরোয়া উৎসব কিংবা বিশেষ কোনো উপলক্ষ—যে কোন সময়ই এই খাবারটি আনতে পারে স্বাদের ভিন্নতা। চলুন জেনে নিই, কীভাবে এই সুগন্ধি আর সুস্বাদু গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি রান্না করা যায়। গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি রান্নায় যা যা প্রয়োজন বিরিয়ানি রান্নার জন্য যা লাগবে বাসমতী চাল ৪০০ গ্রাম লবণ গোটা গরম মশলা (ছোট এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ২-৩টি ) ঘি ৩ টেবিলচামচ তেজপাতা ১০টা গলদা চিংড়ির প্রস্ততিতে যা প্রয়োজন  গলদা চিংড়ি ৪টি সাদা তেল ৩ চা চামচ পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ আদা বাটা ১ টেবিলচামচ রসুন বাটা ১ টেবিলচামচ লাল মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা-চামচ জিরে গুঁড়ো ১ চা-চামচ ফেটানো টক দই ১/৪ কাপ বিরিয়ানি মশলা ১ টেবিলচামচ বেরেস্তা আধা কাপ কাঁচা মরিচ ২টি জাফরান আধা চা-চামচ (১/৪ কাপ দুধে গুলে নেওয়া)  গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি রান্নার পদ্ধতিঃ (১...

কম্বিনেশন স্কিনের যত্নে কি হাইড্রেশন অপরিহার্য?

কম্বিনেশন স্কিন অর্থাৎ মিশ্র ত্বকের পরিচর্যার বিষয়টি অনেকের কাছে বেশ একটু জটিলই মনে হয়। কারন এ ধরনের ত্বকের কিছু অংশ থাকে তৈলাক্ত তো কিছু অংশ হয় শুষ্ক বা স্বাভাবিক। তাই এ ধরনের ত্বকের পরিচর্যা তুলনামূলক বেশ ঝামেলার। অনেকেই বুঝতে পারেন না কম্বিনেশন স্কিনের যত্নে হাইড্রেশন প্রয়োজন কি না। হাইড্রেশন হলো মূলত ত্বকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ধরে রাখা। আর তাই এ ধরনের ত্বকের জন্য স্কিন কেয়ার রুটিনে অয়েল কন্ট্রোল করবে এমন উপাদানযুক্ত প্রোডাক্ট যেমন প্রয়োজন তেমনি দরকার হাইড্রেটিং প্রোডাক্ট। কম্বিনেশন স্কিনের যত্নে হাইড্রেশনের প্রয়োজনীয়তা আছে কি নেই তা জেনে নেওয়ার আগে প্রয়োজন আপনি কীভাবে বুঝবেন আপনার স্কিন কম্বিনেশন কি না। যেভাবে বুঝবেন আপনার স্কিন কম্বিনেশনঃ আমাদের মুখমন্ডলকে মূলত তিনটি জোনে ভাগ করা হয়, তা হলো “T” জোন ( কপাল ও নাকের অংশ) , “C” জোন (গালের অংশ) এবং “U” জোন ( চিবুকের অংশ)। যদি ত্বকের “T” জোন ও U” জোন তৈলাক্ত থাকে কিন্তু “C” জোন শুষ্ক হয় তাহলে আপনার স্কিন কম্বিনেশন টাইপ। ঘুম থেকে উঠে আয়নায় দেখে বা টিস্যুর মাধ্যমে পরীক্ষা করে যদি কপাল, নাক ও চিবুক তেলতেলে মনে হয় এবং গাল শুষ্ক মনে হয় তবে ...

২০২৪ এর স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে কী কী হাইপড ছিলো?

স্কিন হেলদি ও গ্লোয়িং থাকলে আমাদের কনফিডেন্স বেড়ে যায় কয়েকগুণ৷ একারণেই স্কিন কেয়ার বা ত্বকের যত্ন বরাবরই সবার একটি আগ্রহের বিষয়। সবার স্কিন কেয়ার কিন্তু সবসময় একরকম থাকে না। কারণ সময় যত এগোয়, স্কিন কেয়ার নিয়ে তত ইন ডেপথ রিসার্চ হতে থাকে এবং সবাই জানতে পারে নতুন নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাইতো প্রতিবছরে স্কিন কেয়ার ট্রেন্ডেও আমরা দেখতে পাই অনেক পরিবর্তন। ২০২৪ এর স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে কী কী হাইপড ছিলো, চলুন সেটাই এবার জানা যাক! ২০২৪ এর স্কিনকেয়ার ট্রেন্ড মিনিমাল স্কিন কেয়ার রুটিন আগে বেশিরভাগ মানুষের মনেই ধারণা ছিল, ত্বকের যত্নে যত বেশি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হবে, ত্বক তত বেশি সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকবে। কিন্তু ২০২৪ এ এই ধারণা অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে এবং জনপ্রিয় হয়েছে মিনিমাল বা বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন, যে রুটিনে অনেকগুলো প্রোডাক্টের পরিবর্তে রাখা হয় শুধুমাত্র সেই প্রোডাক্টগুলো, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থাকে ক্লিন, ময়েশ্চারাইজড ও হেলদি লুকিং। মিনিমাল স্কিন কেয়ার রুটিনের একটি উদাহরণ হচ্ছে CMP রুটিন, এখানে C এর অর্থ ক্লেনজিং, M এর অর্থ ময়েশ্চারাইজিং এবং P এর অর্থ প্রোটেকশন।...

গ্ল্যামার কুইন রেখা কীভাবে চিরতরুণ সে রহস্য জানেন?

বলিউডের গ্ল্যামার দুনিয়ায় তাঁকে নিয়ে মুগ্ধতা কখনই কমেনি। সময়ের সাথে অনেক কিছু বদলে গেলেও যা বদলায়নি তা হলো কিংবদন্তী এই বলিউড তারকার অপরূপ সৌন্দর্য ও তারুণ্যের আভা। বলছিলাম চিরতরুণ বলিউড নায়িকা রেখার কথা। ৭০ বছর বয়সী এই বলিউড অভিনেত্রী তাঁর অতুলনীয় সৌন্দর্য ও তারুণ্য ধরে রেখেছেন বছরের পর বছর। প্রমাণ করে দিয়েছেন বয়স তাঁর কাছে কেবলই একটি সংখ্যা। কিন্তু সত্তর বছর বয়সে এসেও কীভাবে সম্ভব এতটা তরুণ থাকা? চলুন, আজ জেনে নেওয়া যাক গ্ল্যামার কুইন রেখা কীভাবে ধরে রেখেছেন তাঁর চির সবুজ সৌন্দর্য, সেই রহস্য। যে ৬ নিয়ম মেনে গ্ল্যামার কুইন রেখা এখনও তরুণ ১. প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রেখা সবসময়ই রূপ চর্চার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা করেন। ত্বকের পরিচর্যায় তিনি খুবই স্ট্রিক্টলি CTM (Cleansing, Toning, Moisturizing) রুটিন ফলো করেন। সবসময় তিনি মাইল্ড ধরনের ক্লেঞ্জার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করেন ও টোনার ব্যবহার করেন। টোনার আমাদের ত্বকের pH ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের ময়েচারাইজেশনের দিকে রেখা সবসময় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখেন। এতে তাঁর ত্বক থাকে কোমল ও সতেজ। ২. অ্যারোমাথেরাপি ও এসেনশিয়াল অয়েল ব্...

গলা ব্যথার উপশমে ৯টি সহজ ও কার্যকরী ঘরোয়া উপায়

শীতকাল আমাদের অনেকের জন্য আনন্দের হলেও এ সময় আমাদের অনেকেরই গলা ব্যথা, কাশি ও ঠাণ্ডার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতের সময় আবহাওয়ার পরিবর্তন আমাদের শরীরকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। আর তখনই দেখা দেয় গলা ব্যথার মত অস্বস্তিকর সমস্যা। তবে সাধারণত গলা ব্যথার উপশমে তেমন কোনও ওষুধের দরকার পড়ে না। ঘরোয়া চিকিৎসাতেই আরাম পাওয়া যায়। আজ আমরা জানবো গলা ব্যথার উপশমে কার্যকর এমন ৯টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। গলার ব্যথার লক্ষণ গলার ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে গলার ভেতরে জ্বালা করা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঢোক গিলতে এবং কথা বলতে কষ্ট হওয়া, গলার কাছে ফোলাভাব ইত্যাদি। অনেক সময় কাশি বা ঠাণ্ডার সঙ্গেও গলা ব্যথা থাকতে পারে। গলা ব্যথার উপশমে ঘরোয়া উপায়  ১. হলুদ দুধ হলুদ দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক গলা ব্যথার উপশমে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদে আছে কারকিউমিন যা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি ব্যথা কমাতে ও ঠাণ্ডা নিরাময়ে খুব কার্যকরী। এক গ্লাস দুধ ফুটিয়ে তাতে আধা চামচ হলুদ মিশিয়ে নিন। তারপর এটি গরম গরম খেতে পারেন। এটি গলার ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। ...