Skip to main content

২০২৪ এর স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে কী কী হাইপড ছিলো?

স্কিন হেলদি ও গ্লোয়িং থাকলে আমাদের কনফিডেন্স বেড়ে যায় কয়েকগুণ৷ একারণেই স্কিন কেয়ার বা ত্বকের যত্ন বরাবরই সবার একটি আগ্রহের বিষয়। সবার স্কিন কেয়ার কিন্তু সবসময় একরকম থাকে না। কারণ সময় যত এগোয়, স্কিন কেয়ার নিয়ে তত ইন ডেপথ রিসার্চ হতে থাকে এবং সবাই জানতে পারে নতুন নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাইতো প্রতিবছরে স্কিন কেয়ার ট্রেন্ডেও আমরা দেখতে পাই অনেক পরিবর্তন। ২০২৪ এর স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে কী কী হাইপড ছিলো, চলুন সেটাই এবার জানা যাক!

২০২৪ এর স্কিনকেয়ার ট্রেন্ড

মিনিমাল স্কিন কেয়ার রুটিন

আগে বেশিরভাগ মানুষের মনেই ধারণা ছিল, ত্বকের যত্নে যত বেশি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হবে, ত্বক তত বেশি সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকবে। কিন্তু ২০২৪ এ এই ধারণা অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে এবং জনপ্রিয় হয়েছে মিনিমাল বা বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন, যে রুটিনে অনেকগুলো প্রোডাক্টের পরিবর্তে রাখা হয় শুধুমাত্র সেই প্রোডাক্টগুলো, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থাকে ক্লিন, ময়েশ্চারাইজড ও হেলদি লুকিং।

মিনিমাল স্কিন কেয়ার রুটিনের একটি উদাহরণ হচ্ছে CMP রুটিন, এখানে C এর অর্থ ক্লেনজিং, M এর অর্থ ময়েশ্চারাইজিং এবং P এর অর্থ প্রোটেকশন। এই রুটিন অনুযায়ী স্কিন কেয়ারে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লেনজার, ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন থাকাই এনাফ। মিনিমাল স্কিন কেয়ার রুটিন রুটিন ফলো করলে স্কিনে সহজে ইরিটেশন হয় না এবং স্কিন কনসার্ন অনুযায়ী কোনো অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট অ্যাড করতে চাইলে সহজেই তা স্কিনে স্যুট করে যায়। তাই অনেকেই নিজেদের স্কিন কেয়ার রুটিন আপডেট করে শিফট করেছেন মিনিমাল স্কিন কেয়ারে।

স্কিন ব্যারিয়ার হেলথে বিশেষ ফোকাস

গত বছরের স্কিন কেয়ার ট্রেন্ডের একটি বড় অংশ জুড়েই ছিলো স্কিন ব্যারিয়ার হেলথ। ড্যামেজড স্কিন ব্যারিয়ারের সিম্পটমস, বিভিন্ন ভুলের কারণে স্কিন ব্যারিয়ারের ক্ষতি হলে তা কীভাবে ঠিক করা যেতে পারে, হেলদি স্কিন ব্যারিয়ার মেনটেইন করতে ত্বকের যত্ন কেমন হওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয় পুরো ২০২৪ এই ছিলো আলোচনার মধ্যমনি হয়ে।

যেহেতু সবাই এখন জানেন স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজড হলে ভালো মানের প্রোডাক্ট অ্যাপ্লাই করলেও মনমতো রেজাল্ট পাওয়া যাবে না, তাই সবাই এখন ফোকাস করছেন হেলদি স্কিন ব্যারিয়ার মেনটেইন করার দিকে এবং নিজেদের স্কিন কেয়ার রুটিনে অ্যাড করছেন হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, সেরামাইড ইত্যাদি ইনগ্রেডিয়েন্ট, যা ড্যামেজড স্কিন ব্যারিয়ার রিপেয়ারে দারুণ কাজ করে।

ঠোঁটেরও প্রয়োজন সান প্রোটেকশন

সানস্ক্রিন শুধুমাত্র ফেইস বা বডির জন্যই নয়, বরং লিপসের জন্য সমানভাবে প্রয়োজন। এসপিএফ বেইজড লিপবামের কনসেপ্টটি বেশ ট্রেন্ডি ছিলো গত বছর। ঠোঁটের পিগমেন্টেশন এড়াতে বাইরে বের হওয়ার আগে এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, তা নতুন করে জানতে পেরেছেন অনেকেই। আপনারাও বাইরে বের হওয়ার আগে এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম অ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না কিন্তু!

স্ক্যাল্প এক্সফোলিয়েশন

স্ক্যাল্পও যে আমাদের স্কিনেরই একটি অংশ এ বিষয়টি কিন্তু অনেকেই এড়িয়ে যান। আমাদের চুল কতটুকু হেলদি থাকবে তা অনেকটুকুই ডিপেন্ড করে স্ক্যাল্প হেলথের উপর। স্ক্যাল্পের প্রোডাক্ট বিল্ডআপ দূর করতে, অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমাতে এবং ডেডসেল রিমুভ করে স্ক্যাল্প ভিতর থেকে ক্লিন করতে স্ক্যাল্প এক্সফোলিয়েশন ট্রেন্ড ২০২৪ সালে ছিলো জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। বিশেষ করে স্ক্যাল্পে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের ব্যবহার ছিলো চোখে পড়ার মতো। আপনারাও চাইলে সপ্তাহে একদিন স্ক্যাল্প এক্সফোলিয়েশন করে দেখতে পারেন, নিজের চুলের ডিফারেন্স নিজেই বুঝতে পারবেন।

কমপ্লিট বডি কেয়ার

ফেইসের পাশাপাশি বডিকেয়ারও সমান গুরুত্ব পেয়েছে ২০২৪ এ। বিশেষ করে বডিতে জমে থাকা ডেডসেল দূর করতে বডি এক্সফোলিয়েশন এবং সানট্যান এড়াতে বডিতেও সঠিক পরিমাণে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করা খুবই জনপ্রিয় হয়েছে সবার মধ্যে। তাই আশা করা যায়, এই বছর সবারই স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি বডি কেয়ারের জন্যেও বাজেটের একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে!

এগুলোই ছিল ২০২৪ এর স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডের কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ। লেখার শেষে সবাইকে একটি পরামর্শ দিতে চাই, জীবনে যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, ত্বকের যত্ন নিতে ভুলে যাওয়া যাবে না। তাই এখন থেকে প্রতিদিন স্কিন কেয়ারের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় হাতে রাখুন এবং এই সময়টুকুই করে তুলুন আপনার প্রতিদিনের “মি টাইম।”

লেখা- সুমাইয়া দোলা

ছবি- সাজগোজ, সাটারস্টক

The post ২০২৪ এর স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে কী কী হাইপড ছিলো? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/oh15n6B
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...