Skip to main content

গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি

ডাইনিং টেবিলে এক প্লেট বিরিয়ানি মানে যেন এক টুকরো উৎসব। আর যদি সেই বিরিয়ানিতে থাকে গলদা চিংড়ির মনমাতানো স্বাদ, তবে তো কথাই নেই! গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি হলো এমন একটি পদ, যা প্রথম গ্রাসেই আপনার মন ভরিয়ে দেবে। ছুটির আগের রাতের ঘরোয়া উৎসব কিংবা বিশেষ কোনো উপলক্ষ—যে কোন সময়ই এই খাবারটি আনতে পারে স্বাদের ভিন্নতা। চলুন জেনে নিই, কীভাবে এই সুগন্ধি আর সুস্বাদু গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি রান্না করা যায়।

গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি রান্নায় যা যা প্রয়োজন

বিরিয়ানি রান্নার জন্য যা লাগবে

  • বাসমতী চাল ৪০০ গ্রাম
  • লবণ
  • গোটা গরম মশলা (ছোট এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ২-৩টি )
  • ঘি ৩ টেবিলচামচ
  • তেজপাতা ১০টা

গলদা চিংড়ির প্রস্ততিতে যা প্রয়োজন 

  • গলদা চিংড়ি ৪টি
  • সাদা তেল ৩ চা চামচ
  • পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ
  • আদা বাটা ১ টেবিলচামচ
  • রসুন বাটা ১ টেবিলচামচ
  • লাল মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ
  • হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ
  • গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা-চামচ
  • জিরে গুঁড়ো ১ চা-চামচ
  • ফেটানো টক দই ১/৪ কাপ
  • বিরিয়ানি মশলা ১ টেবিলচামচ
  • বেরেস্তা আধা কাপ
  • কাঁচা মরিচ ২টি
  • জাফরান আধা চা-চামচ (১/৪ কাপ দুধে গুলে নেওয়া)
 গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি রান্নার পদ্ধতিঃ

(১) একটি হাঁড়িতে পানি গরম করুন। তাতে দিন লবণ, ছোট এলাচ ও লবঙ্গ। ফুটে উঠলে ধুয়ে রাখা বাসমতী চাল দিয়ে দিন। মোটামুটি ৮০ শতাংশ হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ভাতের পানি ঝড়িয়ে রাখুন।

(২) এবার একটি কড়াইতে সাদা তেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। এই তেলেই একে একে চিংড়ি, আদা-রসুন বাটা, বিরিয়ানি মশলা, টক দই, লবণ পরিমাণ মতো, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো দিয়ে হালকা আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিন, যতক্ষণ না তেল ছেড়ে যাচ্ছে।

(৩) একটা ভারী তলা যুক্ত হাঁড়িতে ভাল করে ঘি মাখিয়ে নীচে তেজপাতাগুলো বিছিয়ে দিন। এর উপর দিন ঝরঝরে বাসমতী চালের ভাত। তার উপরে ছড়িয়ে দিন গলদা চিংড়ি ও মশলা। তার উপর আবার ভাত দিন।

(৪) উপর থেকে দুধে গোলানো জাফরান ও বেরেস্তা ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। আটা মেখে তা দিয়ে সিল করে দিন, যাতে ভেতরের বাতাস না বেরিয়ে যায়।

(৫) এবার হাঁড়িটা তাওয়ার উপর বসিয়ে মাঝারি আঁচে ৮ মিনিট মতো রান্না হতে দিন। গ্যাস বন্ধ করার পরেও অন্তত আধ ঘণ্টা চুলার ওপর রাখুন।

ব্যাস! তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।

ছবি- সাটারস্টক

The post গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/0KipCHn
Jannatul Kawser

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...