Skip to main content

Posts

প্রেজেন্টেশন ও পাবলিক স্পিকিং-এ কনফিডেন্ট থাকবেন কীভাবে?

কিছুদিন আগে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জয়েন করেছে লামিয়া। আগামীকাল তার প্রথম প্রেজেন্টেশন। এ নিয়ে লামিয়া বেশ টেনশনে আছে। কারণ সবার সামনে কথা বলতে গেলেই তার স্ট্রেসড লাগে, হাত-পা কেমন ঠান্ডা হয়ে যায়, আবার অনেক সময় সোয়েটিং শুরু হয়! শুধু লামিয়া-ই না, এমন প্রবলেম আরো অনেকেই ফেইস করেন৷ প্রেজেন্টেশন ও পাবলিক স্পিকিং-এ ভয় থাকলে এমনটা হয়! তখন দেখা যায়, যত ভালো আইডিয়া থাকুক না কেন, সেগুলো সবার সামনে প্রোপারলি প্রেজেন্ট করা যায় না এবং এতে নিজের ইমপ্রেশনও ডাউন হয়ে যায়। নার্ভাসনেস দূর করে কীভাবে কনফিডেন্টলি কথা বলা যায়, তা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ থাকছে আজকের ফিচারে। এনাফ রিসার্চ করুন আগেই স্টেজ ফেয়ার খুবই কমন। যেকোনো প্রেজেন্টেশনে বা স্পিচে ভালো পারফর্ম করতে চাইলে প্রিপারেশনে কোনো কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। শুরুতেই যে টপিকে কথা বলতে হবে সেটি নিয়ে এনাফ রিসার্চ করুন। তারপর মেইন পয়েন্টস নোট করে রাখুন এবং নিয়মিত রিভাইস করুন। এতে কথা বলার সময় টপিক রিলেটেড কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন মিস হবে না এবং সেলফ কনফিডেন্সও বাড়বে। এর পাশাপাশি সাজেস্ট করবো যে রুমে প্রেজেন্টেশন দিতে হবে, সেটা আগে থেক

শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখছেন তো?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, মানসিক স্বাস্থ্য সামগ্রিক সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে শুরু করে পেশাদার সাফল্য পর্যন্ত আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের যে গভীর প্রভাব রয়েছে তা মানুষ চিনতে শুরু করেছে। তাই শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখাটাও এখন খুব জরুরী। মানসিক স্বাস্থ্য কী? মেন্টাল হেলথ কী তা বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে স্বাস্থ্য কী। খুব সহজ করে বললে স্বাস্থ্য হলো ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক এই তিন অবস্থার একটি সুস্থ সমন্বয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি একজন মানুষের স্বাস্থ্য হলো রোগ বালাই মুক্ত শরীর এবং সেই সঙ্গে ভয়, হতাশা, বিষন্নতা, মানসিক চাপ ইত্যাদি থেকে মুক্ত মন এবং সমাজে বসবাস করতে গিয়ে কোন সামাজিক বাধার সম্মুখীন না হওয়া। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যত কুসংস্কার ও ভুল ধারণাঃ এই সমস্যা মোকাবেলায় প্রধান বাধাগুলির মধ্যে একটি হল এটিকে ঘিরে থাকা অসংখ্য ভুল ধারণা। অনেক ব্যক্তি এখনও বিশ্বাস করেন যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দুর্বলতা বা ব্যক্তিগত ব্যর্থতার লক্ষণ। যাইহোক, মানসিক স্বাস্থ্য চর

টেরিবল টু | বাচ্চার অতিরিক্ত জেদ কীভাবে সামলাবেন?

প্রতিটি শিশুই আলাদা। একেকজনের বেড়ে ওঠার পরিবেশ, আচরণ, মানসিক বিকাশ খুব স্বাভাবিকভাবেই ডিফারেন্ট হবে। শিশুর বয়স যখন দুই বছরের কাছাকাছি চলে আসে, তখন তার বদমেজাজী হয়ে উঠা বা অল্পতেই রেগে যাওয়া খুব কমন একটি ব্যাপার। আপনার যদি দুই বছর বা তার কাছাকাছি বয়সের কোনো বাচ্চা থেকে থাকে, তাহলে ‘টেরিবল টু’ টার্মটির সাথে আপনি হয়তোবা পরিচিত। হুট করেই কি আপনার বাচ্চা রেগে যাচ্ছে, অতিরিক্ত জেদ করছে? কীভাবে সামলাবেন এই পরিস্থিতি? চলুন জেনে নেই আজ। টেরিবল টু কি স্বাভাবিক বিষয়? দুই বছর বা তার কাছাকাছি বয়সের বাচ্চাদের কিছু আচরণগত পরিবর্তন দেখা যায়। এটি শিশুর বিকাশের একটি স্বাভাবিক পর্যায়। এই বয়সী কোনো বাচ্চার ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন, সব কিছুতেই ‘না’ বলা ও ছোটখাটো বিষয়ে চিৎকার করা – এই বিষয়টিকেই শিশু বিশেষজ্ঞরা ‘টেরিবল ২’ নামে আখ্যায়িত করেছেন। এই ধাপটি খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তাই যারা বাচ্চার এই ফেজ নিয়ে চিন্তিত, তারা কীভাবে এই পরিস্থিতি সহজে সামলে উঠবেন তা নিয়েই আজকের আর্টিকেলে কিছু টিপস শেয়ার করবো। এই ফেজ কখন শুরু হয়? সাধারণত ১৮ মাস শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের মধ্যে টেরিবল ২ এর কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্

অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস না বুঝে একের পর এক ফেইসে লেয়ার আপ করছেন?

অনেক সময় আমরা না বুঝে স্কিনকেয়ার ট্রেন্ড ফলো করে একগাদা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট একের পর এক ফেইসে লেয়ার আপ করি। কিন্তু মনমতো রেজাল্ট কি পাই? একগাদা প্রোডাক্ট বিশেষ করে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস না বুঝে একের পর এক ফেইসে লেয়ার আপ করলে আমাদের স্কিনের ভয়াবহ ক্ষতিও হতে পারে। তাই আজকের লেখায় থাকছে ফেইসে অনেকগুলো অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস একসাথে লেয়ার আপ করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে তা নিয়ে। অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস কম্বাইন্ড করছেন? স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট লেয়ার আপ করলে কিছু কিছু অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস কম্বাইন্ড হতে পারেনা যার কারনে স্কিনে অনেক সময় রিয়্যাকশন হতে পারে। স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট যেমন, ফেসওয়াশ/টোনার/সিরামে অনেক সময় বিভিন্ন ধরণের অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস থাকে। এর মধ্যে কিছু কমন ইনগ্রেডিয়েন্টস হলো নিয়াসিনামাইড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, রেটিনল, ভিটামিন সি। এই প্রত্যেকটি ইনগ্রেডিয়েন্টস আমাদের স্কিনে কিছু না কিছু বেনিফিটস দেয়। কিন্তু অনেক সময় এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস লেয়ার আপ করলে এরা একে অপরের সাথে কম্বাইন না করে স্কিনে ইচিনেস, রেডনেস, ড্রাইনেস এর মতো প্রব্লেম দেখা দিতে পারে।

PCOS এর কারণে স্কিন ও হেয়ারে কী ধরনের প্রবলেম দেখা দেয়?

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা PCOS সম্পর্কে এখন কম বেশি সবারই ধারণা আছে। টিনেজ থেকে শুরু করে ম্যাচিউরড, যেকোনো নারীরই PCOS হতে পারে। এর মেইন সিম্পটমস হলো ইরেগুলার বা মিসড পিরিয়ড, বারবার ট্রাই করার পরেও কনসিভ করতে না পারা, অল্প সময়ের ব্যবধানে ওজন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এগুলোর পাশাপাশি PCOS এর কারণে স্কিন ও হেয়ারেও অনেক সময় চেঞ্জ ভিজিবল হয়। আজ আপনাদের জানাবো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সিম্পটম হিসেবে আমাদের স্কিন ও হেয়ারে যে সাইনগুলো দেখা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি কি PCOS এ ভুগছেন? প্রথমে একটু জানিয়ে দেই PCOS কী। এটি হলো একটি হরমোনাল ডিজঅর্ডার, যেখানে একজন নারীর দেহে অ্যান্ড্রোজেন নামক পুরুষ হরমোনের উপস্থিতি বেড়ে যায় এবং রিপ্রোডাক্টিভ হরমোনগুলো ইমব্যালেন্স হয়ে যায়। এই হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণেই মূলত ইরেগুলার পিরিয়ড ও ইনফার্টিলিটি দেখা যায়। সেই সাথে পিসিওএস আমাদের মেটাবলিজম স্লো করে দেয়, যার ফলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায় এবং ওজন কমানোও কঠিন হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, পিসিওএসের কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস কিংবা হাই কোলেস্টেরলের সমস্যাও হতে পারে। অনেকেই PCOS এর কারণ জানতে চান। সত্যি বলতে এ

হাইপার হাইড্রোসিস বা অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা?

ঘাম একটি প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তিয় ফাংশন যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সর্বোত্তম স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিছু মানুষ অতিরিক্ত ঘামেন যা হাইপার হাইড্রোসিস নামেও পরিচিত, যা তাদের জীবনযাত্রার মানকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আজকের লেখায় আমরা হাইপার হাইড্রোসিস বা অতিরিক্ত ঘামের কারণ, ঝুঁকি, সুবিধা, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানবো। কখন বলবো হাইপার হাইড্রোসিস বা অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে? অতিরিক্ত ঘাম হয় তখন যখন আশেপাশের তাপমাত্রা, শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বা মানসিক চাপের উপর ভিত্তি করে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ঘাম হয়। অত্যধিক ঘাম দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত করতে পারে এবং সামাজিক চলাফেরায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। অত্যধিক ঘাম, বা হাইপার হাইড্রোসিস, পুরো শরীরে বা দেহের নির্দিষ্ট কিছু জায়গা যেমন হাতের তালু, পায়ের পাতা, আন্ডারআর্ম বা মুখে হতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণগুলো কী হতে পারে? হাইপার হাইড্রোসিস কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। প্রাইমারি হাইপার হাইড্রোসিস সাধারণত অতিরিক্ত তাপমাত্রা , কোন ক্লিনিক্যাল কন্ডিশন বা রোগ ছাড়াই

ঠোঁটের চারপাশে পিগমেন্টেশন বা ব্ল্যাক প্যাচেস নিয়ে চিন্তিত?

ঠোঁটের চারপাশে কালচে ছোপ? লিপস এরিয়ার পিগমেন্টেশন বেশ কমন প্রবলেম! অনেক সময় দেখা যায় যে স্কিনে তেমন কোনো কনসার্ন নেই, কিন্তু এই একটি প্রবলেম-ই যেন ভুক্তভোগীকে বিব্রত করছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু কেন হয় ঠোঁটের চারপাশে পিগমেন্টেশন ? আর এর প্রতিকারই বা কি? চলুন আজকের ফিচারে এই বিষয়গুলো নিয়ে জানবো। পিগমেন্টেশন কীভাবে ফর্ম হয়? আমাদের স্কিনের এপিডার্মিস লেয়ারে থাকে মেলানোসাইট সেল। এই সেল থেকেই মেলানিন প্রোডাকশন হয়। মেলানিন আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে। মেলানিনকে কন্ট্রোল করে টাইরোসিনেজ এনজাইম। এই টাইরোসিনেজ এনজাইম সূর্যের UV রশ্মির সংস্পর্শে আসলে মেলানিন প্রোডাকশন বাড়িয়ে দেয়; যা থেকে পরবর্তীতে মেছতা, হাইপারপিগমেন্টশন- এই সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে নজরে আসে। এছাড়া অন্য কারণেও টাইরোসিনেজ এনজাইম ট্রিগারড হতে পারে। ঠোঁটের চারপাশে পিগমেন্টেশন কেন হয়? ১. হরমোনাল চেঞ্জ মেলাজমা বেশ কমন একটি স্কিন কনসার্ন। মেলাজমাকে অনেক সময় বলা হয় ‘The mask of pregnancy’। প্রেগনেন্সিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই হরমোনাল চেঞ্জ দেখা দেয়। যার কারণে গলা, ঘাড়, ঠোঁটের চারপাশে অনেক সময় ব্রাউন বা ব্ল্যাক প্যাচেস দেখা যেয়। আফটার প্রেগনে