Skip to main content

অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস না বুঝে একের পর এক ফেইসে লেয়ার আপ করছেন?

অনেক সময় আমরা না বুঝে স্কিনকেয়ার ট্রেন্ড ফলো করে একগাদা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট একের পর এক ফেইসে লেয়ার আপ করি। কিন্তু মনমতো রেজাল্ট কি পাই? একগাদা প্রোডাক্ট বিশেষ করে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস না বুঝে একের পর এক ফেইসে লেয়ার আপ করলে আমাদের স্কিনের ভয়াবহ ক্ষতিও হতে পারে। তাই আজকের লেখায় থাকছে ফেইসে অনেকগুলো অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস একসাথে লেয়ার আপ করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে তা নিয়ে।

অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস কম্বাইন্ড করছেন?

স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট লেয়ার আপ করলে কিছু কিছু অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস কম্বাইন্ড হতে পারেনা যার কারনে স্কিনে অনেক সময় রিয়্যাকশন হতে পারে। স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট যেমন, ফেসওয়াশ/টোনার/সিরামে অনেক সময় বিভিন্ন ধরণের অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস থাকে। এর মধ্যে কিছু কমন ইনগ্রেডিয়েন্টস হলো নিয়াসিনামাইড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, রেটিনল, ভিটামিন সি। এই প্রত্যেকটি ইনগ্রেডিয়েন্টস আমাদের স্কিনে কিছু না কিছু বেনিফিটস দেয়। কিন্তু অনেক সময় এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস লেয়ার আপ করলে এরা একে অপরের সাথে কম্বাইন না করে স্কিনে ইচিনেস, রেডনেস, ড্রাইনেস এর মতো প্রব্লেম দেখা দিতে পারে।

স্কিন রিয়্যাকশন হতে পারে

যেমন, রেটিনল ও AHA( গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড) এগুলো স্কিনকেয়ারের এক্সফোলিয়েটিং উপাদান। এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলো যদি একসাথে লেয়ার আপ করে ব্যবহার করা হয় তাহলে স্কিন ওভার এক্সফোলিয়েট হয়ে যায় যার ফলে স্কিনের আপার লেয়ার ড্যামেজ হয়ে যায় এবং তখনই স্কিনে ইরিটেশন হয়ে থাকে। তাই এই দুটিকে একসাথে লেয়ার আপ না করে হয় রেটিনল বা অন্য যেকোনো এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটাও খেয়াল রাখবেন যেকোনো এক্সফোলিয়েটর সপ্তাহে ২দিন ব্যবহার করা ভালো খুব বেশি প্রয়োজন হলে ৩দিন ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এর বেশি একদমই না।

স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজড হতে পারে

স্কিন ব্যারিয়ার হচ্ছে আমাদের স্কিনের আউটারমোস্ট পার্ট যা কিনা প্রোটেক্টিভ ব্যারিয়ার এর মতো কাজ করে আমাদের বডি এবং বাহ্যিক পরিবেশের মধ্যে। স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ হওয়ার বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে স্কিনের pH level ঠিক না থাকা। একেক ধরনের স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের ph level একেক রকম থাকে। কিন্তু অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস বেইজড একাধিক প্রোডাক্ট যখন একসাথে লেয়ার আপ করা হয় তখন এই ph level স্কিনে ইমব্যালেন্সড হয়ে ধীরে ধীরে স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ করে ফেলে। আমাদের স্কিনের আইডিয়াল ph level হচ্ছে 4.5 – 5.5।

স্কিনের pH level ব্যালেন্স করার উপায়

স্কিনের pH level ঠিক রাখার জন্য আমরা কয়েকটি জিনিস মেনটেইন করতে পারি। যেমন, যেকোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার আগে এর pH level সম্পর্কে জেনে নেয়া। আবার ফেইসে প্রোডাক্ট এপ্লাই এর ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিটা প্রোডাক্ট এপ্লাই এর পর এটলিস্ট ২/৩ মিনিট ওয়েট করা প্রয়োজন। এতে করে প্রোডাক্ট এর pH একে অপরের সাথে মিক্স হয়ে খুব কম বা খুব বেশি হওয়ার চান্স থাকেনা। কেননা কিছু কিছু অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলোতে pH level এর পরিমাণ অন্যান্য ইনগ্রেডিয়েন্টস এর থেকে বেশি থাকে। যেমন, রেটিনল, এটি এমন একটি ইনগ্রেডিয়েন্টস যার pH level 5.5 – 6 হয়ে থাকে। অন্যদিকে নিয়াসিনামাইড এর pH level  6.00-7.00 পর্যন্ত হয়। এখন এই দুটি ইনগ্রেডিয়েন্টস যদি একসাথে লেয়ার আপ করা হয় তাহলে এদের pH level আমাদের স্কিনের আইডিয়াল pH level থেকে বেড়ে গিয়ে স্কিন ব্যারিয়ারের ড্যামেজ ঘটাতে পারে। তাই এই দুটি প্রোডাক্ট একই সাথে ইউজ না করে বিকল্প দিনে এ ব্যবহার করা ভালো হবে।

অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস লেয়ার আপের কারণে স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ হতে পারে

নতুন একনে বেড়ে যেতে পারে

ফেইসে লেয়ার আপ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময়ে একসাথে অনেকগুলো নতুন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ফেলি। যেকোনো স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ফেসে স্যুট করতে সময় লাগে আবার অনেক সময় স্যুট নাও করতে পারে। যার ফলে স্কিনে ব্রেকআউট হতে পারে। রেগুলার ব্রেকআউট হচ্ছে যখন কোন নতুন প্রোডাক্ট ইউজ করার পর ফেইসের এমন এরিয়াতে একনে দেখা দেয়া যেখানে আগে কখনো একনে হয়নি। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে এই একনে না কমলে সেটা ব্রেকআউট। অন্যদিকে যখন কোন নতুন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ইউজ করার পর স্কিনে একনে হয় ঠিকই কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা কমে স্কিন বেটার কন্ডিশনে ব্যাক করে, সেটাকে বলে পার্জিং। পার্জিং হলে নরমালি ৪ সপ্তাহের মধ্যে স্কিন ক্লিয়ার হয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রোডাক্ট ইউজ করা যেতে পারে।

ব্রেকআউট প্রিভেন্ট করার উপায়

ব্রেকআউট হওয়ার পর যদি সেইম স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করা হয় তাহলে স্কিন আরো ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করুন অনেকগুলো নতুন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট যেগুলোতে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস আছে সেগুলো একসাথে স্কিনে ইন্ট্রোডিউস না করার। এক্ষেত্রে যেকোনো একটি নতুন প্রোডাক্ট ইন্ট্রোডিউজ করুন এবং স্কিনে প্রোডাক্টটিকে স্যুট হওয়ার জন্য সময় দিন। এরপরে অন্য আরেকটি নতুন প্রোডাক্ট ইন্ট্রোডিউস করুন। যেকোনো নতুন প্রোডাক্ট স্কিনে ইন্ট্রোডিউস করার আগে স্কিনকে এটলিস্ট ২ সপ্তাহ সময় দেয়া প্রয়োজন। কেননা আমাদের স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টে থাকা অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস এর অবশিষ্ট ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ফেইসে থাকতে পারে।

একনে বেড়ে যেতে পারে

 

তাছাড়া আমরা রেগুলার স্কিনকেয়ারে যে প্রোডাক্টগুলো ইউস করি তারমধ্যে কিছু কিছু প্রোডাক্টে এক্সফোলিয়েটিং অ্যাসিড, অ্যালকোহল ও কম বেশি সুগন্ধ থাকে। লেয়ার আপ করে অনেকগুলো প্রোডাক্ট একসাথে ইউস করা হলে এগুলোর পরিমান বেড়ে যায় স্কিনে। এর ফলেও কিন্তু আমাদের স্কিনে প্রবলেম দেখা দিতে পারে।স্কিনের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রোডাক্ট আমাদের ফেইসে লেয়ার আপ করার প্রয়োজন পড়তেই পারে। কেননা বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করতে গেলেও আমাদের কয়েকটা প্রোডাক্ট লেয়ার আপ করতে হয়। কিন্তু স্কিনে প্রবলেম তখনই দেখা হয় যখন আমরা সঠিক কনসেনট্রেশনের অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস না বুঝে বিভিন্ন প্রোডাক্ট লেয়ার আপ করে ফেলি। যেমন, ভিটামিন সি এর ম্যাক্সিমাম কনসেনট্রেশন আমাদের স্কিনের জন্য ২০%। এখন আপনি যদি ভিটামিন সি আছে এমন দুটি স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন তাহলে খেয়াল রাখতে হবে এই ম্যাক্সিমাম কনসেনট্রেশন যেন অতিক্রম না করে।

আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস না বুঝে একের পর এক ফেইসে লেয়ার আপ করলে যে ক্ষতিগুলো হতে পারে তা নিয়ে আপনাদের ক্লিয়ার ধারণা হয়ে যাবে। তাই যেকোনো স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট লেয়ার আপ করে ইউজ করার আগে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।  অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুরের কিংশুক টাওয়ার, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, ইস্টার্ন মল্লিকা, বসুন্ধরা সিটি, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), সীমান্ত সম্ভার, চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

ছবিঃ সাজগোজ

The post অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস না বুঝে একের পর এক ফেইসে লেয়ার আপ করছেন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/X4t1ijQ
Apsara Hossain

Comments

Popular posts from this blog

স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে না তো?

আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন তখন আমি বুঝতেই পারছি আপনার হাতে টেকনোলজির সুবিধা রয়েছে। যার কারণে আপনি এখন চাইলেই যে কোনো ভিডিও দেখতে পারেন, যে কোনো তথ্য সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন। জীবন আগের চেয়ে এখন অনেক সহজ। তারপরও কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যাই। আর এই স্ট্রেস মানসিকভাবে আমাদের যতটা অসুস্থ করে দিচ্ছে, ঠিক ততটাই এফেক্ট ফেলছে আমাদের স্কিনের উপর। যেমন- স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে, সেই সাথে হচ্ছে ত্বকের নানা সমস্যা। স্ট্রেস কতভাবে স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে স্ট্রেস কমিয়ে আনা যায় তা নিয়েই আলোচনা করবো আজ। স্ট্রেস কেন হয়? বিভিন্নভাবে স্ট্রেস হতে পারে। যেমন- এনভায়রনমেন্টাল বা টেম্পারেচার চেঞ্জ (এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর)। ধরুন আপনি অনেকটা সময় ঠান্ডা রুমে ছিলেন। হুট করে যখন গরম পরিবেশে চলে আসলেন তখন শরীরে একটা স্ট্রেস হয়। আবার আর্থিক অবস্থা, লেখাপড়া, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদির কারণে সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেস দেখা দেয়। স্ট্রেস এমন একটি বিষয় যেটার সাথেও আমরা থাকতে পারি না, যেটা ছাড়াও আমাদের থাকা সম্ভব নয়। সময়ের সাথে সাথে আমরা বেশ আধু

কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো?

একটা সময় ছিল, যখন ছবি তোলা বা কারো কাছে ক্যামেরা থাকা যেন বড়সড় ব্যাপার। স্টুডিওতে যেয়ে ছবি তুলতে হতো বা কোনো কিছুর ছবি, ভিডিও এত সহজ ছিল না। অনেকদিন অপেক্ষা করে হাতে ছবি পাওয়া যেতো এবং সেটা অ্যালবামে যত্নের সাথে সংরক্ষণ করা হতো। আর এখন ছবি তোলা অনেক সহজ। বাজারের বিভিন্ন মডেলের ক্যামেরা বা হাই মেগাপিক্সেল সম্পন্ন ফোন সবার হাতে হাতে। আমরা এখন চাইলেই আমাদের সুন্দর সময়গুলোর বা শখের কাজ কিংবা ঘুরতে যেয়ে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির ছবি, ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করতে পারি। এখন কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো তা নিয়েই টুকিটাকি টিপস শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। ক্যামেরা নিয়ে কিছু বেসিক ধারণা যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার করার পূর্বে তার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় একটা ডিভাইস সম্পর্কে ঠিকভাবে না জানার কারণে ছবি তুলতে গিয়ে আমরা অনেক অপশন মিস করে ফেলি। ফলস্বরূপ ছবি সুন্দর হয় না। এই জন্য ম্যানুয়ালটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। তবে ম্যানুয়াল পড়াটা অনেকের কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাই বিভিন্ন ফিচার নিয়ে যদি বারবার প্র্যাকটিস করা যায় তাহলে ফটোগ্রাফি বিষয়টা সহজে আয়ত্তে আসে। এখন

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina