Skip to main content

Posts

মেকআপ আইটেম আসলে কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়?

আমাদের প্রায় প্রত্যেকের কাছেই কিছু না কিছু বেসিক মেকআপ আইটেম থাকে। তবে মেকআপ আইটেম কিনে প্রথমবার ব্যবহারের পর সেগুলোকে ঠিক আর কতদিন ব্যবহার করা যাবে তা অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না। অনেক সময় প্রথমবার প্যাকেজিং খুলে ফেলার পর দীর্ঘদিন ধরে সেই একই মেকআপ আইটেম ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই প্রথমবার ব্যবহারের পর প্রসাধন সামগ্রীর কতদিন মেয়াদ থাকে এটা জানা খুবই জরুরী। আবার অনেক সময় দেখা যায় কেনার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও হয়তো মেকআপ আইটেমটি ব্যবহার করাই হল না। সেক্ষেত্রে ঠিক কতদিন সেটি ব্যবহার উপযোগী থাকে সেটিও জানার বিষয়। আজকের ফিচারটি মূলত এ বিষয় নিয়েই। মেকআপ আইটেম কতদিন ব্যবহার উপযোগী থাকে বেইজ মেকআপ আইটেম লিকুইড ফাউন্ডেশন: লিকুইড ফাউন্ডেশন তরল জাতীয় পদার্থ তাই এর উপাদান তালিকায় অ্যাকুয়া বা পানি থাকে। তাই এতে খুব সহজেই মাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস অথবা ফাংগাস আক্রমণের শিকার হতে পারে। এর ফলে লিকুইড ফাউন্ডেশনের শেল্ফ লাইফকমে যায়। তাই লিকুইড ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে সাধারণত মাত্র এক বছর বা তার কিছু বেশি সময় ব্যবহার করা যায়। পাউডার...

স্কোলিওসিস | মেরুদণ্ডের এই সমস্যা নিয়ে জানা আছে কি?

কিশোরী রিমির একদিন হঠাৎ করেই পিঠে ব্যথা আরম্ভ হয় আর আয়নায় নিজেকে খেয়াল করে দেখে পিঠটা যেন একদিকে বাঁকা দেখাচ্ছে। ডাক্তার দেখানোর পর জানা গেল, তার স্কোলিওসিস হয়েছে। পিঠের হাড়, অর্থাৎ মেরুদণ্ড সোজা না থেকে ‘S’ বা ‘C’-আকৃতিতে বাঁকা হয়ে গেছে। রিমির গল্পটা কল্পনা হলেও, এরকম হাজারো শিশু-কিশোর বা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ আছেন যারা স্কোলিওসিসে ভুগছেন অথচ সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে সমস্যা আরও জটিল করে ফেলছেন। আজ আমরা জানবো— স্কোলিওসিস আসলে কী, এর কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা বিষয়ক সমস্ত তথ্য। স্কোলিওসিস কী? স্কোলিওসিস হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে মেরুদণ্ড একপাশে বাঁকা হয়ে যায়। সাধারণত মেরুদণ্ড সামনের দিকে বা পিছনের দিকে স্বাভাবিকভাবে একটু বেঁকে থাকে, কিন্তু যখন এই বক্রতা পাশের দিকে হয় এবং সেটি ১০ ডিগ্রি বা তার বেশি হয়, তখন সেটিকে স্কোলিওসিস বলা হয়। বাঁকটি দেখতে ‘S’ বা ‘C’ আকৃতির হতে পারে। এটি একাধিক হাড় (vertebrae) জুড়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। স্কোলিওসিসের ধরন ১. ইডিওপ্যাথিক স্কোলিওসিস (Idiopathic): সবচেয়ে সাধারণ। মূলত কিশোর কিশোরীদের মধ্যে দেখা যায়। কারণ জানা যায় নি। ২. কনজেনিটাল স্কোলিওসিস (Congenital...

ফাইব্রোমাইলজিয়া | ব্যথার পেছনের অদৃশ্য যন্ত্রণা

ফাইব্রোমাইলজিয়া, নামের মতোই একটি জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা শুধু শারীরিক ব্যথাই নয়, ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা, মেজাজ পরিবর্তন এবং স্মৃতিশক্তিতে সমস্যা সহ অনেক উপসর্গ অনুভব করেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষ এই রোগে ভুগছেন, তবে এটি প্রায়শই ভুল নির্ণয় বা অবহেলিত হয়ে থাকে। ফাইব্রোমাইলজিয়া কী? ফাইব্রোমাইলজিয়া একটি স্নায়বিক অবস্থা যা ব্যথার সংকেত প্রক্রিয়াকরণে পরিবর্তন ঘটায়। কীরকম? সাধারণত, আমরা শরীরের কোথাও ব্যাথা পেলে স্নায়ুতন্ত্র ব্যথার সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়, কিন্তু ফাইব্রোমাইলজিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে, এই সংকেতগুলি বর্ধিত হয়ে যায় – ফলে সাধারণ স্পর্শও অত্যন্ত বেদনাদায়ক হতে পারে। তবে জটিলতা হলো এই রোগ কোনো ধরনের প্রদাহ বা টিস্যু ক্ষতি সৃষ্টি করে না, তাই এক্স-রে বা রক্ত পরীক্ষায় এটি ধরা পড়ে না। এই কারণে, অনেক সময় রোগীর অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না, যা রোগীদের মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। ফাইব্রোমাইলজিয়ার প্রধান উপসর্গসমূহ ফাইব্রোমাইলজিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলি হল: সারা শরীর...

পেটের মেদ কমাতে এখনই বাদ দিন এই ৬টি খাবার

আজকাল পেটের মেদ প্রায় সবার জন্য একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেটের মেদ কমাতে অনেকেই জিম করা, হাঁটা, সাঁতার কিংবা অনেক দামি কোনও ওষুধও ব্যবহার করছেন । কিন্তু দিন শেষে হয়তো হতাশ হওয়া ছাড়া তেমন কোনও ফলাফল পাচ্ছেন না। সকালে উঠে প্যান্ট টাইট লাগে, আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে মন খারাপ হয়—এই দৃশ্যটা অনেকেরই পরিচিত। পেটের মেদ কমাতে নানা পদের নিয়ম কানুন শুনে অনেকে হাঁপিয়ে ওঠেন। কিন্তু বাস্তব হলো, পেটের মেদ কমাতে সবচেয়ে বড় ধাপ শুরু হয় আমাদের প্লেট থেকেই। মানে, কী খাচ্ছি আর কী খাচ্ছি না, সেটাই আসল চাবিকাঠি। চলুন জেনে নিই এমন ৬টি খাবারের কথা, যেগুলো আজ থেকেই বাদ দিলে আপনি সহজেই পেটের মেদ কমাতে পারবেন। পেটের মেদ কমাতে যে খাবারগুলো বাদ দেবেন ১. কোমল পানীয় এইসব পানীয় দেখতে রঙিন, খেতে মজাদার, কিন্তু ভেতরে থাকে মারাত্মক পরিমাণে লুকানো চিনি। এক ক্যান কোমল পানীয় মানেই শরীরে ঢুকছে একগাদা ফাঁকা ক্যালোরি, যা সরাসরি গিয়ে পেটের মেদ হিসেবে জমে। নিয়মিত এগুলো খেলে আপনি যতই হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন, তেমন কোনও লাভ হবে না। ২. সাদা পাউরুটি ও ময়দা জাতীয় খাবার সাদা পাউরুটি বা ময়দা দিয়ে বানানো নানরুট...

শিশুর ইউরিন ইনফেকশন নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন করণীয় কী

ইউরিন ইনফেকশন যে শুধু বড়দের হয় ব্যাপারটা কিন্তু তা না। বড়দের মতোই বিভিন্ন কারণে শিশুর ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে মূত্রতন্ত্রের কোনো অংশে জীবাণুর সংক্ৰমণ হলে সেটিকে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবের সংক্ৰমণ বা UTI বলে। মেয়ে শিশুদের এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কিন্তু ছেলে শিশুদেরও এই সমস্যা হতে পারে। মেয়ে শিশুদের মধ্যে এই রোগের সংক্ৰমণ হওয়ার প্রবণতা বেশি কারণ মেয়েদের মূত্রনালী ছেলেদের মূত্রনালীর তুলনায় দৈর্ঘ্যে অনেক ছোট। এছাড়া মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছাকাছি অবস্থিত, ফলে ব্যাকটেরিয়া পায়ুপথ থেকে মূত্রনালীতে খুব সহজে প্রবেশ করে প্রস্রাবের সংক্ৰমণ ঘটায়। শিশুর ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ ১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন হলে সাধারণত শিশু অকারণে বিরক্তি প্রকাশ করে, খেতে চায় না। শিশুর জ্বর থাকতে পারে, কখনো কখনো ডায়রিয়া দেখা দেয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, গাঢ় প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া বা একেবারেই না হওয়া এ ধরনের লক্ষণও দেখা যায়। ১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তা হলঃ জ্বর ঘন ঘন প্রস্রাব প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বিছানায় প্রস্রাব করা তলপেটে ব্যথা ...

ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে দায়ী যে অভ্যাস

রিনা একজন চাকরিজীবী নারী। সম্প্রতি তার ঘাড় ও পিঠে ব্যথা দেখা দিয়েছে। সারাদিন অফিসের কম্পিউটারে বসে কাজ করার পর বাসায় ফিরে ঘরের কাজ সেরে বিনোদনের জন্য হাতের কাছের মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নেন। মোবাইলের স্ক্রিনের সামনে কীভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় টের পান না। প্রথমে সামান্য ঘাড় ব্যথা দিয়ে তাঁর অস্বস্তির শুরু। ধীরে ধীরে পিঠে ব্যথা ও টান অনুভব করেন। ক্রমশ মাথা ভার হয়ে আসে। কাজের চাপে এসব হচ্ছে ভেবে খুব একটা দুশ্চিন্তা তার ছিল না। কিন্তু একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন তিনি আর ঘাড় নাড়াতে পারছেন না। ঘাড় শক্ত হয়ে গেছে, বাঁকাতে গেলেই ব্যাথা পাচ্ছেন। চিন্তিত হয়ে রিনা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। ফিজিওথেরাপিস্ট তাকে দেখে জানান যে, তার সমস্যাটা খুব সাধারণ — কিন্তু অবহেলা করলে ভয়াবহ হতে পারে। কারণ, দীর্ঘ সময় মোবাইল বা ল্যাপটপে ঝুঁকে থাকার ফলে দেহভঙ্গি বা posture নষ্ট হয়ে গেছে। এমনটা হলে মানুষ কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়। যেমন- ১) টেক্সট নেক সিনড্রোম (Text Neck Syndrome) ২) সারভাইক্যাল পেইন (Cervical Pain) ৩) ফ্রোজেন শোল্ডার (Frozen Shoulder) ৪) মেরুদন্ডের ডিস্কে সমস্যা চিকিৎসক আরো জানান...

সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস | নেতিবাচক খবর যখন দুশ্চিন্তার কারণ

সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস সম্পর্কে শুনেছেন কখনো? আজকের পৃথিবীতে একবার খবরের কাগজের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে—গাজায় বোমা হামলা, ইউক্রেনে যুদ্ধ, আফ্রিকায় সহিংসতা, দেশে খুন, ধর্ষণ, দুর্যোগ, শিশু নির্যাতন- একটার পর একটা খারাপ খবর। এগুলো হয়তো আমাদের জীবনে সরাসরি ঘটছে না, কিন্তু মনের ওপর একটা চাপ, অস্বস্তি, এমনকি ভয় তৈরি করে। এই অবস্থা থেকে অনেকেই ভেতরে ভেতরে তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন—যাকে বলা হয় সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস। সাধারণত যেকোনও নেতিবাচক খবর- হোক সেটি পত্রিকা, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা, কিংবা পরিচিত অপরিচিত কারও দুঃখ দুর্দশার খবর জেনে সেটি নিজের জীবনের সাথে মেলাতে শুরু করেন তখনই এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। চলুন, সহজভাবে বুঝে নিই এই বিষয়টি, আর জেনে নিই কীভাবে নিজেকে ভালো রাখা যায়। সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস আসলে কী? যখন আপনি কারো কষ্টের কথা শুনে বা দেখে নিজে কষ্ট পান, আতঙ্কিত হন, তখন সেটি আপনার উপর মানসিক প্রভাব ফেলে। এ কারণে আপনার মধ্যেও ট্রমার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন প্রতিদিন যুদ্ধের ছবি দেখে মনে হতে পারে, “আমার দেশেও যদি এমন হয়?” অথবা শিশু নির্যাতনের খবর শুন...