Skip to main content

স্কিন কেয়ার ডায়েট । যে খাবারে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও দাগহীন

আমরা প্রায়ই মনে করি সুন্দর ত্বকের রহস্য লুকিয়ে আছে খুব দামী সিরাম, ক্রিম বা লোশনের মধ্যে। কিন্তু সত্যি বলতে উজ্জ্বল, টানটান ও ব্রণমুক্ত ত্বকের আসল চাবিকাঠি হলো স্কিন কেয়ার ডায়েট।

তাই চলুন জেনে নিই, কোন ধরনের খাবার আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কেমন হতে পারে একটি আদর্শ স্কিন কেয়ার ডায়েট।

স্কিন কেয়ার ডায়েট যেভাবে ত্বক ভালো রাখে

দাগহীন ত্বকের জন্য কেমন স্কিন কেয়ার ডায়েট চাই?

ত্বকের দাগ দূর করতে শাকসবজি ও ফল বেশ উপকারী

ত্বকের দাগ দূর করতে খান শাকসবজি ও ফল

ত্বকে কোনও ধরনের দাগ বা অসমতা যেন না থাকে সেজন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার খুবই উপকারী। যেমনঃ

কুমড়ার বীজঃ জিঙ্ক-সমৃদ্ধ কুমড়ার বীজ ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।

দইঃ প্রোবায়োটিকযুক্ত খাবার দই আমাদের হজমে সহায়তা করে, যা অন্ত্র ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

সবুজ শাক-সবজিঃ সবুজ শাক-সবজিতে ভিটামিন এ, সি, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো পরিষ্কার ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কার্যকর যে খাবার

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য গাজর একটি কার্যকর খাবার

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য গাজর একটি কার্যকর খাবার

গাজর:

গাজরে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন থাকে।এটি শরীরে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়।
ভিটামিন এ ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে।এটি সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর দেখায়।

পেঁপে:

পেঁপেতে প্যাপাইন নামের একটি এনজাইম থাকে। পেঁপের ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের দীপ্তি বাড়ায়।

আম:

আম হলো ভিটামিন এ ও সি-এর চমৎকার উৎস।
এই ভিটামিনগুলো কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল থাকে।

এছাড়াও ত্বকের জন্য উপকারী হল অলিভ অয়েল ও বাদাম। অলিভ অয়েলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ভিটামিন ই থাকে। বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম থাকে যা ত্বকে একটি স্বাস্থ্যকর আভা নিয়ে আসে।

ত্বকের বয়স ধরে রাখতে যে খাবার খাবেন

ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সঠিক ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ

ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সঠিক ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ

তারুণ্যময় ত্বক মানে টানটান, মসৃণ ও বলিরেখামুক্ত ত্বক। কিছু খাবার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে:

বোন ব্রথ : কোলাজেন (Collagen) এবং জিলেটিনের (Gelatin) একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করতে পারে।

ডিমের সাদা অংশ: এতে থাকা প্রোলিন ও গ্লাইসিন কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে এবং ত্বক টানটান রাখে।

ফিশ অয়েল : ত্বকের প্রদাহ কমায়, ত্বকের কোলাজেনকে রক্ষা করে এবং ত্বককে আর্দ্র ও স্থিতিস্থাপক রাখতে সাহায্য করে।

যেসব খাবারকে ‘না’ বলতে হবে

ত্বক ভালো রাখতে তেলে ভাজা খাবার বাদ দিন

ত্বক ভালো রাখতে তেলে ভাজা খাবার বাদ দিন

১.চিনি

অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ শরীরে গ্লাইকেশন নামে একটি প্রক্রিয়া শুরু করে।
এটি কোলাজেন ও ইলাস্টিন ফাইবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং বলিরেখা দেখা দেয়।
চিনি ত্বকে প্রদাহও বাড়ায়, যা ব্রণসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করে।

২. সাদা রুটি:

সাদা রুটি ও অন্যান্য পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
এর ফলে শরীরে প্রদাহ বাড়ে এবং ত্বকের অবস্থা খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

৩. তৈলাক্ত ও ডিপ ফ্রাই খাবার:

অতিরিক্ত তেল বা ডিপ ফ্রাই করা খাবার ত্বকের প্রদাহ বাড়াতে পারে। ফলে ত্বক নিস্তেজ বা অস্বাভাবিক হতে পারে।

আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য শুধুমাত্র বাইরের যত্নই নয়, ভেতর থেকে পুষ্টিও অত্যন্ত জরুরি। একটি সুচিন্তিত এবং পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা আপনাকে কেবল উজ্জ্বল এবং সুন্দর ত্বকই দেবে না, বরং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেও উন্নত করবে। তাই আজ থেকেই আপনার প্লেটে যুক্ত করুন এই উপকারী খাবারগুলো এবং উপভোগ করুন একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত ত্বক।

ছবি- সাটারস্টক

The post স্কিন কেয়ার ডায়েট । যে খাবারে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও দাগহীন appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/G3nJtXu
Jannatul Kawser

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...