Skip to main content

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম!

কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক।

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা   

বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এগুলো প্যাডেড হতে পারে কিংবা নন প্যাডেড। সাধারণত এগুলো খুবই আরামদায়ক হয়ে থাকে, তাই লং টাইম পরে থাকা যায়। টিনেজ থাকে শুরু করে সব বয়সী নারীরাই এগুলো ব্যবহার করে। এতে ক্লিভেজ বা ব্রেস্ট শেইপ এনহ্যান্স হয় না। রেগুলার কামিজ, টি শার্টের সাথে এবং ঘরে পরার জন্য বেসিক ব্রাগুলো বেস্ট অপশন।

আর পুশ-আপ ব্রা ব্রেস্টকে প্রোপারলি সাপোর্ট দিয়ে সাইজ এনহ্যান্স করে। শাড়ি, গাউন কিংবা ওয়েস্টার্ন আউটফিটের সাথে পুশ-আপ ব্রা পরলে বডি অ্যাপেয়ারেন্স পারফেক্ট থাকে। এগুলো প্যাডেড বা ডাবল প্যাডেড হতে পারে। পুশ-আপ ব্রা ব্রেস্ট টিস্যুকে প্রোপারলি লিফটিং করে, তাই ব্রেস্ট রাউন্ড ও ফার্মড দেখায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন রেগুলার ব্রা-এর সাথে সাথে স্পেশাল অকেশন বা স্পেসিফিক আউটফিটের জন্য পুশ-আপ ব্রা আপনার কালেকশনে রাখতেই হবে।

 

কেন পরবেন পুশ-আপ ব্রা?

  • প্যাডেড কাপ থাকায় ব্রেস্ট প্রোপারলি সাপোর্ট পায় এবং এতে ব্যাক পেইন রিডিউস হয়
  • স্যাগি ব্রেস্টকে পারফেক্ট শেইপ দেয়
  • ব্রেস্ট শেইপে ব্যালেন্স আনে
  • যেকোনো আউটফিটেই কনফিডেন্টলি নিজেকে প্রেজেন্ট করা যায়

সাইজ মেজারমেন্ট

১) ব্যান্ড সাইজ বা ঘের নির্ধারণ করতে একটি ফিতা নিয়ে ব্রেস্টের ঠিক নীচ বরাবর শরীরের চারপাশে ঘুরিয়ে ইঞ্চিতে মাপ নিন। ফিতা যেন সমান্তরাল থাকে অর্থাৎ নীচে যেন না ঝুলে যায় বা উপরে উঠে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। টাইট করে ধরা যাবে না।

২) আপনার আন্ডার বাস্ট সাইজ (under bust size) যদি জোড় সংখ্যা হয় তাহলে আপনি এর সাথে যোগ করবেন ৪, আপনার আন্ডার বাস্ট সাইজ যদি বিজোড় সংখ্যা হয় তাহলে আপনি এর সাথে যোগ করবেন ৫। ধরুন আপনার আন্ডার বাস্ট সাইজ ২৯, তাহলে এর সাথে আপনি যোগ করবেন ৫। তাহলে আপনার ব্যান্ড সাইজ (band size) হচ্ছে ২৯+৫=৩৪। আবার, যদি মাপ ৩০ হয় তাহলে এর সাথে আপনি যোগ করবেন ৪। তাহলে আপনার ব্যান্ড সাইজ হলো ৩০+৪=৩৪।

৩) কাপ সাইজ জানতে হলে ব্রেস্টের স্ফিত অংশের মাপ নিয়ে নিন। সেইমভাবে মেজারমেন্ট টেপ নিয়ে আপনার আপার বাস্ট (upper bust) মেপে বের করুন। এবার এই সাইজ থেকে ব্যান্ড সাইজ বাদ দিন। অর্থাৎ বাস্ট সাইজ ৩৫ ইঞ্চি আর ব্যান্ড সাইজ ৩২ ইঞ্চি। তারমানে ব্রা সাইজ হবে ৩২সি (৩৫-৩২)। ( বিয়োগফল ১ অর্থে এ, ২ অর্থে বি, ৩ অর্থে সি, ৪ অর্থে ডি, ৫ অর্থে ই ইত্যাদি)। অর্থাৎ ডিফারেন্স ১ হলে কাপ সাইজ A, ২ হলে B এভাবে কাউন্ট করতে হবে।

৪) ব্রা সাইজের ক্ষেত্রে ৩০AA, ৩২AA, ৩৪AA দেখা যায়, AA হচ্ছে সবচেয়ে ছোট কাপ সাইজ। যদি বাস্ট সাইজ ও ব্যান্ড সাইজের ডিফারেন্স ১ ইঞ্চির কম হয়, তাহলে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে AA কাপ সাইজ।

আশা করছি, ব্রা-এর সাইজ সিলেকশন নিয়ে আর কোনো কনফিউশন নেই। এবার চলুন দেখে নেই দু’টি পুশ-আপ ব্রা এর ফিচার, যাতে আপনারাও পারফেক্ট ইনার ওয়্যার সিলেক্ট করতে পারেন।

Armela Artisan Lace Push Up Bra

  • অ্যাডজাস্টেবল স্ট্র্যাপস এবং ব্যাক সাইডে হুক দেওয়া আছে
  • সুন্দর লেসওয়ার্ক আছে যেটা দেখতে খুবই এলিগ্যান্ট লাগে
  • প্যাডেড কাপ দেওয়া থাকে
  • ৩/৪ কভারেজ পাবেন

Armela Classic Uplift Push Up Bra

  • প্যাডেড কাপ দেওয়া থাকে যা ব্রেস্ট শেইপকে এনহ্যান্স করে
  • প্লেইন প্যাটার্নের আপলিফট ব্রা যা লং টাইম ইউজের জন্যও পারফেক্ট
  • ৩/৪ কভারেজ পাবেন
  • অ্যাডজাস্টেবল স্ট্র্যাপস আছে

পুশ-আপ ব্রা কি রেগুলার বেসিসে ইউজ করা যায়?

আপনি যদি ক্যারি করতে পারেন বা আপনার যদি পুশ-আপ ব্রা-তেই বেশি কনফিডেন্ট ফিল হয়, তাহলে বাইরে বের হলে রেগুলারই ইউজ করতে পারবেন! নরমালি গাউন ও শাড়ির সাথে আমরা পুশ-আপ ব্রা প্রিফার করি। অকেশনে পরার জন্য আমাদের যেমন স্পেশাল ও ফেন্সি আউটফিট থাকে, এটাও তেমনই। আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখি এগুলো শুধুমাত্র হ্যান্ড ওয়াশ করবেন, ব্লিচ ইউজ করা যাবে না বা আয়রন করাও যাবে না।

তাহলে বুঝতেই পারছেন বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কী! রেগুলার ব্রা এর সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রাও রাখুন। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে এবার অনলাইন থেকেই আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ভরসার জায়গা হতে পারে শপ.সাজগোজ.কম। একবার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে লঞ্জেরি ক্যাটাগরি ভিজিট করেই দেখুন, নিরাশ হবেন না আশা করি।

 

ছবি- সাজগোজ, সাটারস্টক

The post রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/DIdsUFg
Munia

Comments

Popular posts from this blog

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...