Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2025

পেটের মেদ কমাতে এখনই বাদ দিন এই ৬টি খাবার

আজকাল পেটের মেদ প্রায় সবার জন্য একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেটের মেদ কমাতে অনেকেই জিম করা, হাঁটা, সাঁতার কিংবা অনেক দামি কোনও ওষুধও ব্যবহার করছেন । কিন্তু দিন শেষে হয়তো হতাশ হওয়া ছাড়া তেমন কোনও ফলাফল পাচ্ছেন না। সকালে উঠে প্যান্ট টাইট লাগে, আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে মন খারাপ হয়—এই দৃশ্যটা অনেকেরই পরিচিত। পেটের মেদ কমাতে নানা পদের নিয়ম কানুন শুনে অনেকে হাঁপিয়ে ওঠেন। কিন্তু বাস্তব হলো, পেটের মেদ কমাতে সবচেয়ে বড় ধাপ শুরু হয় আমাদের প্লেট থেকেই। মানে, কী খাচ্ছি আর কী খাচ্ছি না, সেটাই আসল চাবিকাঠি। চলুন জেনে নিই এমন ৬টি খাবারের কথা, যেগুলো আজ থেকেই বাদ দিলে আপনি সহজেই পেটের মেদ কমাতে পারবেন। পেটের মেদ কমাতে যে খাবারগুলো বাদ দেবেন ১. কোমল পানীয় এইসব পানীয় দেখতে রঙিন, খেতে মজাদার, কিন্তু ভেতরে থাকে মারাত্মক পরিমাণে লুকানো চিনি। এক ক্যান কোমল পানীয় মানেই শরীরে ঢুকছে একগাদা ফাঁকা ক্যালোরি, যা সরাসরি গিয়ে পেটের মেদ হিসেবে জমে। নিয়মিত এগুলো খেলে আপনি যতই হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন, তেমন কোনও লাভ হবে না। ২. সাদা পাউরুটি ও ময়দা জাতীয় খাবার সাদা পাউরুটি বা ময়দা দিয়ে বানানো নানরুট...

শিশুর ইউরিন ইনফেকশন নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন করণীয় কী

ইউরিন ইনফেকশন যে শুধু বড়দের হয় ব্যাপারটা কিন্তু তা না। বড়দের মতোই বিভিন্ন কারণে শিশুর ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে মূত্রতন্ত্রের কোনো অংশে জীবাণুর সংক্ৰমণ হলে সেটিকে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবের সংক্ৰমণ বা UTI বলে। মেয়ে শিশুদের এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কিন্তু ছেলে শিশুদেরও এই সমস্যা হতে পারে। মেয়ে শিশুদের মধ্যে এই রোগের সংক্ৰমণ হওয়ার প্রবণতা বেশি কারণ মেয়েদের মূত্রনালী ছেলেদের মূত্রনালীর তুলনায় দৈর্ঘ্যে অনেক ছোট। এছাড়া মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছাকাছি অবস্থিত, ফলে ব্যাকটেরিয়া পায়ুপথ থেকে মূত্রনালীতে খুব সহজে প্রবেশ করে প্রস্রাবের সংক্ৰমণ ঘটায়। শিশুর ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ ১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন হলে সাধারণত শিশু অকারণে বিরক্তি প্রকাশ করে, খেতে চায় না। শিশুর জ্বর থাকতে পারে, কখনো কখনো ডায়রিয়া দেখা দেয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, গাঢ় প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া বা একেবারেই না হওয়া এ ধরনের লক্ষণও দেখা যায়। ১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তা হলঃ জ্বর ঘন ঘন প্রস্রাব প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বিছানায় প্রস্রাব করা তলপেটে ব্যথা ...

ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে দায়ী যে অভ্যাস

রিনা একজন চাকরিজীবী নারী। সম্প্রতি তার ঘাড় ও পিঠে ব্যথা দেখা দিয়েছে। সারাদিন অফিসের কম্পিউটারে বসে কাজ করার পর বাসায় ফিরে ঘরের কাজ সেরে বিনোদনের জন্য হাতের কাছের মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নেন। মোবাইলের স্ক্রিনের সামনে কীভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় টের পান না। প্রথমে সামান্য ঘাড় ব্যথা দিয়ে তাঁর অস্বস্তির শুরু। ধীরে ধীরে পিঠে ব্যথা ও টান অনুভব করেন। ক্রমশ মাথা ভার হয়ে আসে। কাজের চাপে এসব হচ্ছে ভেবে খুব একটা দুশ্চিন্তা তার ছিল না। কিন্তু একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন তিনি আর ঘাড় নাড়াতে পারছেন না। ঘাড় শক্ত হয়ে গেছে, বাঁকাতে গেলেই ব্যাথা পাচ্ছেন। চিন্তিত হয়ে রিনা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। ফিজিওথেরাপিস্ট তাকে দেখে জানান যে, তার সমস্যাটা খুব সাধারণ — কিন্তু অবহেলা করলে ভয়াবহ হতে পারে। কারণ, দীর্ঘ সময় মোবাইল বা ল্যাপটপে ঝুঁকে থাকার ফলে দেহভঙ্গি বা posture নষ্ট হয়ে গেছে। এমনটা হলে মানুষ কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়। যেমন- ১) টেক্সট নেক সিনড্রোম (Text Neck Syndrome) ২) সারভাইক্যাল পেইন (Cervical Pain) ৩) ফ্রোজেন শোল্ডার (Frozen Shoulder) ৪) মেরুদন্ডের ডিস্কে সমস্যা চিকিৎসক আরো জানান...

সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস | নেতিবাচক খবর যখন দুশ্চিন্তার কারণ

সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস সম্পর্কে শুনেছেন কখনো? আজকের পৃথিবীতে একবার খবরের কাগজের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে—গাজায় বোমা হামলা, ইউক্রেনে যুদ্ধ, আফ্রিকায় সহিংসতা, দেশে খুন, ধর্ষণ, দুর্যোগ, শিশু নির্যাতন- একটার পর একটা খারাপ খবর। এগুলো হয়তো আমাদের জীবনে সরাসরি ঘটছে না, কিন্তু মনের ওপর একটা চাপ, অস্বস্তি, এমনকি ভয় তৈরি করে। এই অবস্থা থেকে অনেকেই ভেতরে ভেতরে তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন—যাকে বলা হয় সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস। সাধারণত যেকোনও নেতিবাচক খবর- হোক সেটি পত্রিকা, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা, কিংবা পরিচিত অপরিচিত কারও দুঃখ দুর্দশার খবর জেনে সেটি নিজের জীবনের সাথে মেলাতে শুরু করেন তখনই এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। চলুন, সহজভাবে বুঝে নিই এই বিষয়টি, আর জেনে নিই কীভাবে নিজেকে ভালো রাখা যায়। সেকেন্ডারি ট্রমাটিক স্ট্রেস আসলে কী? যখন আপনি কারো কষ্টের কথা শুনে বা দেখে নিজে কষ্ট পান, আতঙ্কিত হন, তখন সেটি আপনার উপর মানসিক প্রভাব ফেলে। এ কারণে আপনার মধ্যেও ট্রমার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন প্রতিদিন যুদ্ধের ছবি দেখে মনে হতে পারে, “আমার দেশেও যদি এমন হয়?” অথবা শিশু নির্যাতনের খবর শুন...

গরমে মাথার ত্বকের সংক্রমণ এড়াতে কী করবেন?

বসন্ত শেষে প্রকৃতিতে এসেছে গ্রীষ্মকাল, সেই সাথে নিয়ে এসেছে প্রচন্ড গরম, তাপ, ঘাম ও অত্যধিক আর্দ্র আবহাওয়া। এই গরমে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বা স্ক্যাল্প ইনফেকশন একটি সাধারণ সমস্যা। প্রচন্ড গরমে মাথার ত্বক ঘেমে থাকে, যার ফলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস খুব সহজেই আক্রমণ করে বসে। স্ক্যাল্প ইনফেকশনের ফলে স্ক্যাল্প চুলকানো, লালচে ভাব, খসখসে ভাব দেখা দেয় এমনকি চুল পড়া বেড়ে যায়। এছাড়াও চুল রুক্ষ, শুষ্ক, ফ্রিজি হয়ে যাওয়ার সমস্যা তো আছেই। আজকের ফিচারে মাথার ত্বকের সংক্রমণ, এর কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে জানবো। গরমে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ ১. স্ক্যাল্প ঘেমে থাকা প্রচন্ড আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে আমাদের শরীর খুব সহজেই ঘেমে যায়। স্ক্যাল্পও দ্রুত ঘেমে যায় এবং চুলের কারণে এই ঘাম সহজে শুকানো অনেক সময় সম্ভব হয়না। এতে মাথার ত্বক চিটচিটে হয়ে পড়ে এবং সেখানে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোঅর্গানিজম আক্রমণ করে৷ এজন্য গরমে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বেড়ে যায়। ২.ব্যাকটেরিয়াল স্ক্যাল্প ইনফেকশন গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের জন্য বেশ উপযোগী। বিশেষত স্ট্যাফাইলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া খুব সহ...

গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে শিশুর যত্ন ও খাদ্যতালিকা কেমন হওয়া উচিত ?

বাইরের তাপমাত্রা ৩০+ ডিগ্রী। সামনে এই তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ৩৫-৩৭ এ। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট সবাই। বড়রা তো মেনে নিতে পারে, বাচ্চাদের জন্য মানিয়ে নেওয়া, বোঝা খুবই কষ্টের। এর মাঝে গরমের রোগ ব্যাধি তো আছেই। গরমের তীব্রতায় বাচ্চাদের খাবারের প্রতিও কোন আগ্রহ থাকে না। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে বাচ্চাদের খাবার রুটিনের গরমিল যেন নিত্য দিনের ব্যাপার। গরমে বাচ্চারা কী খাবে, খাবারের ধরন কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে তাদের ভালো রাখা যাবে এই নিয়ে বাবা মায়ের উৎকন্ঠার শেষ নেই। তাদের কিছুটা স্বস্তির জন্যই আমার আজকের লেখা। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে শিশুর খাবার যেমন হতে হবে ৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের শুধুমাত্র ব্রেস্ট মিল্ক দিবেন যতোটা সম্ভব। আর্টিফিশিয়াল বা কৌটার দুধ এড়িয়ে চলবেন একেবারে ইমার্জেন্সি না হলে। গরমে বাচ্চাদের ডায়রিয়া, বদহজম, বিভিন্ন চর্মরোগ, সর্দি কাশি, নিউমোনিয়া হতে বেশি দেখা যায়। কাজেই শিশুদের খাবার এমন হতে হবে যেন তা থেকে রোগ সংক্রমণ না হয়। এছাড়াও গরমে শিশুর খাবার তৈরির সময় আরও যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে সেগুলো হলঃ ১) বাচ্চাদের খাবার হতে হবে সহজপাচ্য। সে হিসেবে নরম করে রান্না ভাত বা জাউ ভাত ...