Skip to main content

হেয়ার ওয়াশের নয়টি ভুল যা চুল করছে ড্যামেজড

একরাশ ঝলমলে চুল কে না চায়! চুল পরিচর্যার প্রথমেই আসে শ্যাম্পুর ব্যবহার। প্রতিদিনের ধুলো ময়লা, ঘাম, বিল্ড আপ, খুশকি ইত্যাদি থেকে মাথার স্ক্যাল্প ও চুলকে ভালো রাখতে, সেই সাথে চুল সিল্কি ও শাইনি রাখতে শ্যাম্পু কাজ করে থাকে। হেয়ার ওয়াশের সময় কিছু ভুলের কারণে শ্যাম্পু ব্যবহারের পর চুলের আরো ক্ষতি হয়। আজকের ফিচারে আসুন জেনে নেই হেয়ার ওয়াশের ৯টি কমন মিসটেক সম্পর্কে বিস্তারিত।

হেয়ার ওয়াশের ৯টি ভুল যা এড়িয়ে চলতে হবে

অনেকেই মনে করেন, শ্যাম্পু ব্যবহারের নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। ব্যাপারটি আসলে ঠিক সেরকম নয়। অনেকেই আছেন যারা শ্যাম্পু ব্যবহারের সঠিক নিয়ম মেনে চলেন না এবং কিছু ভুল করে ফেলেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক হেয়ার ওয়াশের এমন নয়টি ভুল সম্পর্কে-

১. শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে চুল ও মাথার ত্বক ভালোভাবে ভিজিয়ে না নেওয়া

শ্যাম্পু করার আগে চুল ও স্ক্যাল্প ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে না নিলে শ্যাম্পু অ্যাপ্লিকেশন বেশ কঠিন হয়ে যায়। সেই সাথে শ্যাম্পুতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান সরাসরি চুল ও মাথার ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

২. প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমাণে শ্যাম্পু ব্যবহার করা

শুধুমাত্র স্ক্যাল্প পরিষ্কার করতে যতটুকু শ্যাম্পু দরকার ততটুকুই ব্যবহার না করে তার চেয়ে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে চুল ও স্ক্যাল্পে তা বাজেভাবে প্রভাব ফেলে। এর ফলে খুব দ্রুত চুল ড্রাই ও ড্যামেজড হয়ে যায়। জেনে রাখা ভালো, অনেক শ্যাম্পুতে ফেনা কম হতে পারে পুরোপুরি স্ক্যাল্প পরিষ্কার করার পরেও। তবে এজন্য হেয়ার ওয়াশের সময় অধিক ফেনা তৈরির জন্য অধিক পরিমাণে শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবেনা।

স্ক্যাল্পে শ্যাম্পু ম্যাসাজ করতে ভুলবেন না

৩. স্ক্যাল্পে শ্যাম্পু ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া

অনেকেই শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে চুলের দিকেই বেশি ফোকাস করে থাকেন। শুধুমাত্র চুলেই ময়লা জমে এই ভুল ধারণা থেকে অনেকেই পুরো চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে, কিন্তু স্ক্যাল্প স্কিপ করে যায়৷ এতে স্ক্যাল্পে জমে থাকা ময়লা তো পরিষ্কার হয়ই না, সেই সাথে চুলে সরাসরি শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল অত্যন্ত রুক্ষ হয়ে পড়ে।

৪. চুলের জন্য মানানসই শ্যাম্পু ব্যবহার না করা

স্ক্যাল্প ও চুলের ধরন বুঝে মানানসই শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে চুল সহজেই ড্যামেজড হয়ে পড়ে। অনেকেই চুলের জন্য মানানসই শ্যাম্পু বাছাই করতে পারেন না অথবা বিষয়টিকে গুরুত্বই দেন না, যা থেকে শুরু হয় চুল ও স্ক্যাল্পের বিভিন্ন সমস্যা।

৫. পানি দিয়ে সঠিকভাবে শ্যাম্পুর ফেনা দূর না করা

শ্যাম্পুর পর সঠিকভাবে পানি দিয়ে শ্যাম্পুর ফেনা ক্লিন না করা একটি বড় ভুল। এর ফলে চুলে শ্যাম্পুর ফেনা থেকে যায় যা চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চুলকে খুব দ্রুত ড্রাই ও ড্যামেজড করে ফেলে থেকে যাওয়া শ্যাম্পুর অংশ।

৬. চুলের লেন্থে সরাসরি শ্যাম্পুর ব্যবহার

আমাদের চুলের লেন্থ সেভাবে ময়লা হয়না, যতটুকু হয় তা আলগা ময়লা। কিন্তু অনেকেই বিষয়টি না বুঝে চুলের লেন্থ ও আগায় সরাসরি শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকেন,এর ফলে ড্রাই হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আগা ফেটে যাওয়া, চুল ভেংগে পড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

হেয়ার ওয়াশের সময় কন্ডিশনার স্কিপ করা যাবে না

৭. কন্ডিশনার ব্যবহার না করা

চুলের বেস্ট ফ্রেন্ড বলা হয়ে থাকে কন্ডিশনারকে। কিন্তু অনেকের মধ্যেই কন্ডিশনার নিয়ে কিছু ভুল ধারণা থাকে, যার ফলে তারা কন্ডিশনার ব্যবহারে আগ্রহ হারায়। এছাড়াও সঠিক অ্যাপ্লিকেশনের অভাবে চুলের অবস্থার পরিবর্তন হয়না। তখন তারা হতাশ হয়ে যায় এবং ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়। কন্ডিশনার ব্যবহার না করার ফলে শ্যাম্পুর পরে যে ড্রাইনেস তৈরি হয় তা থেকে চুলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

৮. পুরো স্ক্যাল্পে সঠিক অনুপাতে শ্যাম্পু ব্যবহার না করা

হেয়ার ওয়াশের সময় শ্যাম্পু পুরো স্ক্যাল্পে সঠিক অনুপাত ও পরিমাণে ব্যবহার না করলে সঠিকভাবে স্ক্যাল্প পরিষ্কার হয়না। এর ফলে স্ক্যাল্পে বিল্ড আপ, খুশকি ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে চুলের স্বাস্থ্যও নস্ট হয়ে যায়।

৯. গ্রিজি স্ক্যাল্প ও চুলে দুইবার শ্যাম্পু ব্যবহার না করা

সচরাচর পরপর দুইবার শ্যাম্পু অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন হয়না, তবে চুলে অতিরিক্ত ময়লা, গ্রিজি বা তেল চিটচিটে ভাব থাকলে একবার শ্যাম্পু অ্যাপ্লিকেশনে এগুলো দূর হতে চায় না। কিন্তু এমন ক্ষেত্রেও অনেকেই দুইবার শ্যাম্পু করেন না, এর ফলে চুল জট পাকিয়ে থাকে।

হেয়ার ওয়াশের সময় সঠিকভাবে শ্যাম্পু কীভাবে করবেন?

সঠিকভাবে শ্যাম্পু অ্যাপ্লাই করবেন কীভাবে?

১. শ্যাম্পুর আগে চুল শুকনো থাকা অবস্থায় ভালোভাবে চুল আঁচড়িয়ে নিতে হবে। এতে শ্যাম্পু অ্যাপ্লাই করা সহজ হবে।

২. শ্যাম্পু করার পূর্বে অবশ্যই স্ক্যাল্পসহ সম্পূর্ণ চুল ভালোভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে।

৩. শ্যাম্পু সরাসরি ব্যবহার না করে একটি পাত্রে অল্প পরিমাণ পানিতে গুলিয়ে ডায়ালুট করে ফেনা তৈরি করে তারপর অ্যাপ্লাই করতে হবে।

৪. পরিমাণমতো শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবেনা।

৫. অবশ্যই শুধু মাত্র স্ক্যাল্পকে ফোকাস করে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। চুলের লেন্থ ও আগায় আলাদাভাবে কোনো শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না। স্ক্যাল্প ও মাথার উপরের অংশে ব্যবহৃত শ্যাম্পুর ফেনা পানি দিয়ে ধোয়ার সময় তা চুলের নিচে গড়িয়ে পড়ে চুলের লেন্থ পরিষ্কার করে ফেলবে।

৬. চুল থেকে ফেনা পরিমাণমতো পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে। অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে, নাহলে চুলে ওয়াটার ড্যামেজ হতে পারে।

৭. স্ক্যাল্প ও চুলের জন্য মানানসই শ্যাম্পু অবশ্যই বাছাই করতে হবে।

৮. শ্যাম্পুর পর কখনোই কন্ডিশনার স্কিপ করা যাবেনা।

৯. গ্রিজি ও তেল চিটচিটে স্ক্যাল্প ও চুলে প্রয়োজন অনুযায়ী দুইবার শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

১০. স্ক্যাল্পে সমান অনুপাতে সঠিক পরিমাণে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এতে স্ক্যাল্প খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হবে ও চুল থাকবে ঝলমলে।

এটুকুই ছিলো হেয়ার ওয়াশের ভুল নিয়ে আজকের আলোচনা। চুলের যত্নে ভালো মানের প্রোডাক্ট ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

ছবিঃ সাটারস্টক

The post হেয়ার ওয়াশের নয়টি ভুল যা চুল করছে ড্যামেজড appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/aXjbIfQ
Sumaiya Rahman

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...