Skip to main content

ইয়াংগার লুকিং স্কিনের জন্য কোলাজেন প্রোডাকশন কীভাবে বাড়ানো যায়?

‘কোলাজেন’ টার্মটি বেশ পরিচিত, তাই না? স্কিনকেয়ার নিয়ে যাদের ফ্যাসিনেশন আছে, তারা তো নিশ্চয়ই শুনেছেন! কিন্তু নাম জানলেও অনেকেই জানেন না এই কোলাজেন আসলে কী, কীভাবেই বা কাজ করে এবং এর ঘাটতিতে কী ধরনের সমস্যা হয়! কোলাজেন প্রোডাকশন কমে গেলেই কিন্তু প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস স্কিনে ভিজিবল হয়। ইয়াংগার লুকিং স্কিনের জন্য কোলাজেন প্রোডাকশন কীভাবে বাড়ানো যায়, আজ আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।

আগে জেনে নেই কোলাজেন কী

কোলাজেন হলো মানবশরীরে তৈরি ন্যাচারাল প্রোটিন। আমাদের শরীরের হাড়, পেশি, চুল, নখ ও ত্বকের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে এটি। রক্তনালি, চোখের মণি ও দাঁতেও কোলাজেন থাকে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেনের কোনো বিকল্প নেই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রাকৃতিকভাবেই এর পরিমাণ কমতে থাকে৷ খেয়াল করে দেখবেন টিনেজে স্কিন ন্যাচারালি প্লাম্পি ও হেলদি দেখায়, কারণ এই সময় কোলাজেন প্রোডাকশন স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে স্কিনের ইলাস্টিসিটি কমে যেতে থাকে।

কেন কোলাজেনের ঘাটতি হয়?

ইয়াংগার লুকিং স্কিনের সিক্রেট

১. রিসার্চে এসেছে, বিশের পর থেকে প্রতিবছর প্রায় ১% করে কোলাজেন আমাদের শরীর থেকে কমতে থাকে। মেনোপজের পর এই কোলাজেন রিডিউস হওয়ার রেট অনেক বেড়ে যায়।

২. সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের কোলাজেন প্রোটিন ভেঙে দেয়। তাই লং টাইম সান এক্সপোজার ও সঠিকভাবে সানস্ক্রিন না ব্যবহার করা কোলাজেন ঘাটতির অন্যতম একটি প্রধান কারণ।

৩. পল্যুশন, ফ্রি রেডিক্যালস এগুলোও আমাদের শরীরে কোলাজেন ঘাটতির জন্য দায়ী।

৪. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বা আনহেলদি লাইফস্টাইল, মেন্টাল স্ট্রেস, ঘুমের ঘাটতি এসব কারণেও কিন্তু কোলাজেন প্রোডাকশন কমে যায় এবং স্কিনে চলে আসে প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস।

৫. স্মোকিং, অ্যালকোহল, এনার্জি ড্রিংকস অতিরিক্ত পরিমাণে ইনটেক করা, সুগারি ফুড আইটেমস- এ সবই আমাদের শরীরে কোলাজেন এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

যে অভ্যাসগুলো বয়সের সাথে সাথে কোলাজেন ব্রেকডাউন প্রসেস স্লো করবে এবং কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, সেগুলো জেনে নেওয়া যাক তাহলে।

কোলাজেন প্রোডাকশন কীভাবে বাড়ানো যায়?

হেলদি স্কিন

১. ফ্রি রেডিক্যালস নিউট্রিলাইজ করা

স্কিনকেয়ারে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট অ্যাড করতে হবে। এনভায়রনমেন্টাল পল্যুশন, ইউভি রে – এই এক্সটার্নাল সোর্সগুলো থেকে যে ফ্রি রেডিক্যালস প্রোডিউস হয় তা থেকে আমাদের স্কিন সেলসে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ক্রিয়েট হয়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ হচ্ছে আনস্ট্যাবল ফ্রি রেডিক্যালস নিউট্রিলাইজ করে এই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে স্কিন সারফেসকে প্রোটেক্ট করা। ভিটামিন সি, নিয়াসিনামাইড, রেটিনল, ভিটামিন ই, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড এই উপাদানগুলো কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করতে হেল্পফুল।

২. সান প্রোটেকশন মাস্ট

সানস্ক্রিনের ব্যবহার পরোক্ষভাবে কোলাজেন ব্রেকডাউন প্রসেস স্লো করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। আগেই জানিয়েছি, ইউভি রে কোলাজেন ব্রেকডাউন করে দেয়, যার কারণে রিংকেলস, ফাইনলাইনস স্কিনে ভিজিবল হয়। প্রোপার প্রোটেকশনের জন্য টু ফিঙ্গার রুল অনুযায়ী সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করুন। সঠিক SPF চুজ করুন। দিনের বেলা ২/৩ ঘন্টা পর পর সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না। ট্যুরে গেলে লং সান এক্সপোজার থেকে বাঁচতে ছাতা, ক্যাপ, সানগ্লাস, স্কার্ফ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

৩. লাইফস্টাইলে ফোকাস করা

হেলদি লাইফস্টাইল কোলাজেন ব্রেকডাউন প্রসেস স্লো করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। শুধু স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে আপনি বেনিফিটেড হবেন না, যদি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও হেলদি লাইফস্টাইল প্রোপারলি মেনটেইন না করেন। কারণ লাইফস্টাইলের ইমপ্যাক্ট কিন্তু আমাদের ত্বকে বেশ ভালোই ভিজিবল হয়।

৪. খাদ্যাভ্যাসে চেঞ্জ আনা

রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত বা মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন। অতিরিক্ত সুগারি ফুড কোলাজেন ব্রেকডাউন ঘটাতে পারে, যাকে বলা হয় গ্লাইকেশন। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটিও পরিহার করুন। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড এগুলো শরীরে কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়াতে হেল্প করে।

যদি প্রেগনেন্সি বা মেনোপজের পরে কোলাজেনের ঘাটতি বেশি দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে ডার্মাটোলজিস্ট এর পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।

ইয়াংগার লুকিং স্কিনের জন্য কী কী খাবেন?

কোলাজেন যুক্ত ফুড

কোন ফুডগুলো কোলাজেন বুস্ট করে, চলুন দেখে নেই-

  • ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমন লেবু, কমলা, টমেটো, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি
  • মাছ ও সী ফুড যেমন স্যামন, টুনা
  • বেরি জাতীয় ফল যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি
  • চিকেন, মাশরুম, ডিম, সবুজ শাকসবজি, লেটুস ইত্যাদি

বিউটি ট্রেন্ডে ঘুরেফিরে কেন বার বার কোলাজেন এর কথা আসছে, নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। ইয়াংগার লুকিং স্কিনের জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়ানো যায়, সেটা জানা হয়ে গেলো। আশা করি, আজকের ফিচারটি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিলো। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুরের কিংশুক টাওয়ার, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, ইস্টার্ন মল্লিকা, বসুন্ধরা সিটি, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), সীমান্ত সম্ভার, চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

ছবি- সাজগোজ, সাটারস্টক

The post ইয়াংগার লুকিং স্কিনের জন্য কোলাজেন প্রোডাকশন কীভাবে বাড়ানো যায়? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/NUMvnyC
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...