Skip to main content

ছোট বেডরুম সাজিয়ে রাখতে কী কী ট্রিকস ফলো করা যেতে পারে?

আমরা অনেকেই প্রায় আক্ষেপ নিয়ে বলি ” ইস ঘরটা যদি আরেকটু বড় হতো? “। কিন্তু চাইলে ছোট রুম গুলোতেও কিছু কৌশল অনুসরণ করে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়। তাছাড়া এখন বেশিরভাগই একক পরিবার তাই সাধারণত ফ্ল্যাটগুলোর রুম বেশিরভাগ ছোট রাখা হয়৷ তাই ছোট বেডরুম সাজিয়ে রাখতে কী কী ট্রিকস ফলো করা যেতে পারে তা নিয়েই আমাদের ফিচার।

ছোট বেডরুম সাজিয়ে রাখতে যেসব ট্রিকস ফলো করতে পারেন

আসবাবপত্র বাছাই করা

রুম সাজানোর আগে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। ছোট রুমের আসবাবপত্র বাছাই করতে হবে বুঝেশুনে, যাতে ঘরে দমবন্ধ অনুভূতি না হয়। একটি আসবাবপত্র যাতে অনেক কিছুর কাজে লাগে এমন আসবাবপত্র বেছে নিন। যেমন, বেড কাম সোফা৷ বাজারে এমন কিছু সোফা পাওয়া যায় যা প্রয়োজনে ওপেন করে বেড বানিয়ে ফেলা যায়, এতে বাড়িতে হুটহাট অতিথি এলে বেশ কাজে দেয়৷ আবার বেডের নিচে ড্রয়ার আছে এমন বেড ব্যবহার করলে সেই ড্রয়ারে টুকিটাকি অনেক কিছু রেখে দেয়া যায়৷ বুক সেলফ দেয়ালে সেট করে নিতে পারেন, এতে জায়গার অপচয় কম হবে। একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে যতবেশি আসবাবপত্র থাকত তত রুচিশীল মনে করা হতো, এখন কিন্তু সেইদিন নেই। এখন যতটা সম্ভব আসবাবপত্র কম রাখার চেষ্টা করুন৷ সম্ভব হলে মাঝে মাঝে আসবাবপত্র জায়গা পরিবর্তন করে দেখতে পারেন, এতে রুমে কিছুটা ভিন্নতা আসে।

দেয়ালের রঙ নির্বাচন করা
দেয়ালের রঙ নির্বাচন করা

দেয়ালে হালকা রঙ কিন্তু ঘরকে বড় দেখাতে সাহায্য করে। তাই রুম ছোট হলে দেয়ালের জন্য উজ্জ্বল রং না বেছে হালকা রঙ নির্বাচন করুন। অনেক সময় ভাড়া বাসা হলে রঙ পরিবর্তনের তেমন সুযোগ থাকে না। সেক্ষেত্রে আগের রঙ এর উপর নতুন করে রঙ করিয়ে নিন অথবা বাজারে এখন অনেক ধরনের ওয়ালপেপার পাওয়া যায় তাও লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে এখনকার বেশিরভাগ ফ্ল্যাটে হালকা যেমন সাদা কিংবা অফ হোয়াইট রঙই বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷

দেয়ালে বৈচিত্র্যতা আনা

ছোট বেডরুম সাজাতে দেয়ালকে বেশি ব্যবহার করা উচিত কারণ এতে জায়গার প্রয়োজন পড়ে না। দেয়ালে প্রিয় ছবি বাঁধাই করে ফ্রেম বন্দি করে রাখতে পারেন। এছাড়া বড় থেকে ছোট আকারের নানা শিল্প দেয়ালে সেট করতে পারেন। এখন এমন ওয়াল পেইন্টিং পাওয়া যাচ্ছে যার জন্য আপনার দেয়াল ছিদ্র করতে হবে না, খুব সহজে সুপার গ্লু দিয়ে দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারবেন। কিংবা দেয়াল জুড়ে দিতে পারেন নানা ডিজাইনের আয়না, এতে যেমন ঘরের লুক বদলে যাবে তেমনি ড্রেসিংটেবিল রাখার ঝামেলাও কমে যাবে। দেয়ালে বুক সেলফ সেট করে পছন্দের বই দিয়েও কিন্ত ঘরের কর্নার সাজাতে পারেন। আবার বুক সেলফে যে শুধু বুক রাখতে হবে এমন না সেলফে ছোট ছোট গাছ কিংবা মাটির তৈরি শোপিস রাখতে পারেন।

লাইটিং সেট করা

যেকোনো লাইটিং আপনার ঘরের আউটলুক বদলে দিতে পারে৷ ঘরে ব্যবহার করতে পারেন পেনডেন্ট লাইট, এটি মেটালের রড দিয়ে সিলিং থেকে ঝোলানো হয়। এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন টাস্ক লাইট, এটি যেকোনো একটি স্থানকে হাইলাইট করে রাখে। তাই কোনো ছবির ফ্রেম কিংবা বুক সেলফকে হাইলাইট করার জন্য টাস্ক লাইট সেট করতে পারেন৷ জায়গা কম থাকলে দেয়ালে ঝোলানো যায় এমন লাইটিং বেছে নিন। বেডের পাশে ছোট টেবিল দিয়ে যেকোনো রঙের ল্যাম্প রাখতেন পারেন৷ আমাদের মুডের উপর লাইটিং এর প্রভাব রয়েছে, হলুদের মতো কিছু উজ্জ্বল রঙ আমাদের মুড নিমিষেই ভালো করে দিতে পারে। তবে বেডরুমে যেকোনো ধরনের লাইট সেট করার আগে খেয়াল রাখতে হবে এতে যাতে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত না হয়।

লাইটিং সেট করা

বেডশীট ও পর্দা বাছাই করা

ছোট রুমের জন্য হালকা রঙের বেডশীট বেছে নিতে পারেন, খেয়াল রাখতে হবে যাতে বেডশীটে নকশা কম থাকে। কারণ ছোট রুমে খুব বেশি প্রিন্টের বেডশীট দিলে রুম অনেক সময় অগোছালো মনে হয়। বিছানায় কয়েকটা রঙিন কুশন রাখতে পারেন। সম্ভব হলে বেডশীটের সাথে মিল রেখে পর্দা সেট করুন এতে ঘরের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যাবে। বেডরুমের পর্দা একটু যাতে ভারী হয় যেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, তাহলে খুব বেশি রোদ প্রবেশ করতে পারবে না।

ইনডোর প্লান্ট সেট করা

রুমের কর্নারে একটি গাছ আপনার রুমের শোভা আরো বাড়িয়ে দিবে৷ চাইলে টব ব্যবহার না করে বিভিন্ন নকশার জারে মানিপ্ল্যাট গাছ রেখে দিতে পারেন আপনার টেবিলের উপর। এছাড়া জানালার ধারে অনেক সময় খালি কিছু জায়গা থাকে সেখানে ছোট ক্যাকটাস গাছ রাখতে পারেন৷ গাছ রাখার টবেও নিয়ে আসুন ভিন্নতা, জুট কিংবা হেন্ডপেইন্ট যেকোনো টবে গাছটি সেট করে দিলে সেটিও আপনার ঘরের একটি শোপিস হয়ে যাবে। আবার ফুলদানিতে দোলনচাঁপা, রজনীগন্ধার মতো কিছু ফুল রাখতে পারেন এতে করে আপনার রুমে সুগন্ধ ছড়িয়ে থাকবে৷ তবে ফুল পচে গেলে সাথে সাথে সরিয়ে ফেলতে হবে৷

ছোট বেডরুম সাজিয়ে রাখতে ইনডোর প্লান্ট

এই রকম কিছু ব্যাপার খেয়াল রেখে আপনি আপনার ছোট রুমটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে পারেন৷ এছাড়া আপনার রুমের ছোট ছোট ডিটেইলসে নজর দিন যেমন ঘরে প্রাকৃতিক আলো বাতাস ঢুকছে কিনা, তার জন্য দিনের যেকোনো একটি সময় সব জানালা খুলে দিন যাতে রুমে রোদ প্রবেশ করে, তা না হলে ঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব চলে আসবে৷ ফার্নিচারে ধুলো জমে আছে কিনা খেয়াল রাখুন, থাকলে শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিন৷ অনেক সময় ফার্নিচারে রং উঠে আসে তখন ফার্নিচারের রং করার ব্যবস্থা করতে হবে৷ এছাড়া ঘরের টুকিটাকি জিনিস এদিকে সেদিকে ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট কোন ড্রয়ার কিংবা বক্সে গুছিয়ে রাখুন। নিয়মিত গুছিয়ে রাখলে যেকোনো ঘরই বেশ পরিপাটি লাগবে৷ তাই ছোট বেডরুম সাজিয়ে রাখতে এই ট্রিকস ফলো করতে পারেন।

ছবিঃ সাটারস্টক

The post ছোট বেডরুম সাজিয়ে রাখতে কী কী ট্রিকস ফলো করা যেতে পারে? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/TXEiLkO
Apsara Hossain

Comments

Popular posts from this blog

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina

হেভি ব্রেস্ট এর জন্য পিওর কটন ফেব্রিকের কমফোর্টেবল ব্রা খুঁজছেন?

বডি শেইপ ও বয়স অনুযায়ী ইনার ওয়্যারে যে ভ্যারিয়েশন আসে, সেটা আমরা অনেকেই জানি না! টিনেজে ডেভেলপিং ব্রেস্ট এর জন্য এক ধরনের ব্রা, বয়স্ক নারীদের জন্য এক ধরনের ব্রা, নতুন মায়েদের জন্য আরেক ধরনের ব্রা। শারীরিক গঠন বা ব্রেস্ট শেইপ অনুযায়ী ইনার ওয়্যার সিলেকশন খুবই জরুরি! মধ্যবয়সী বা বয়স্ক নারীদের জন্য স্যুইটেবল লঞ্জেরির রিভিউ জানাবো আজকের ফিচারে। হেভি ব্রেস্ট এর জন্য পিওর কটন ফেব্রিকের কমফোর্টেবল ব্রা যারা খুঁজছেন, তাদের জন্য রিভিউটি হেল্পফুল হবে আশা করি। হেভি ব্রেস্ট এর জন্য কেমন ব্রা বেছে নিতে হবে? ব্রেস্টকে প্রোপারলি সাপোর্ট দেয়, এনাফ কভারেজ পাওয়া যায় এবং প্রশস্ত ব্যান্ড থাকে, এমন ব্রা আপনাকে চুজ করতে হবে। বয়সের সাথে সাথে শারীরিক গঠনেও বেশ পরিবর্তন আসে। বাল্কি ফিগার বা কার্ভি বডির জন্য পারফেক্ট ব্রা সিলেক্ট করাটা একটু ডিফিকাল্ট মনে হয়। চিন্তা নেই, আজ এমনই একটি ব্রা সম্পর্কে জানাবো। মধ্যবয়সী ও বয়স্ক নারীদের জন্য স্যুইটেবল ব্রা আমাদের বাসায় মা, দাদি বা বয়স্ক নারী সদস্য যারা আছেন, তাদের কমফোর্টের বিষয় নিয়ে আমরা কখনো ভেবেছি কি? আরামের বিষয়টিকেই এই বয়সে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। এই বয়সে হে

রিবন্ডিং নাকি কেরাটিন ট্রিটমেন্ট, কোনটি আপনার জন্য পারফেক্ট?

কোনো অকেশন বা ইভেন্টে যাওয়ার জন্য নিজের পছন্দের আউটফিট পরে, সুন্দরভাবে সেজেগুজে যদি দেখতে পান, চুল একদম ফ্রিজি হয়ে আছে, চুলে কোনো শাইন নেই, সিল্কি ভাবও নেই তখন মনটাই খারাপ হয়ে যায়, তাইনা? সত্যি বলতে চুল রাফ ও আনম্যানেজেবল হয়ে থাকলে স্টাইলিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ স্ট্রাগল করতে হয়। দেখা যায়, চুল ছেড়েও রাখা যায় না, আবার শখ করে কোনো হেয়ারস্টাইল করলেও দেখতে ভালো লাগেনা। রিবন্ডিং ও কেরাটিন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই সিল্কি, স্ট্রেইট এবং হেলদি লুকিং চুল পাওয়া পসিবল। তবে অনেকেই এই দু’টো ট্রিটমেন্টের পার্থক্য বুঝতে পারেন না, যার ফলে ডিসিশন নিতে পারেন না যে কোনটি তাদের চুলের জন্য বেশি স্যুইটেবল হবে। আপনাদের সব কনফিউশন ক্লিয়ার করতে আজকের ফিচারে থাকছে রিবন্ডিং নাকি কেরাটিন কোন ট্রিটমেন্টটি আপনার জন্য ভালো হবে তা নিয়ে বিস্তারিত। রিবন্ডিং ও কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কি সেইম অনেকেই মনে করেন, রিবন্ডিং ও কেরাটিন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে যেহেতু স্ট্রেইট, স্মুথ ও ম্যানেজেবল হেয়ার পাওয়া যায়, তাই এগুলোর মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। এটি একটি বড় মিসকনসেপশন। এই দু’টো ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে একই রকম আউটপুট আসে ঠিকই, কিন্তু