Skip to main content

ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করুন নিজেই!

আমরা প্রত্যেকেই চাই যেন ছবি তোলার সময় আমাদেরকে দেখতে ফ্ললেস লাগে! প্রতিটি ফটোশুটের আগে আউটফিট, জুয়েলারি ও মেকআপ কেমন হবে তা নিয়ে আমাদের জল্পনা কল্পনার শেষ থাকে না। বিশেষ করে মেকআপ নিয়ে আমাদের থাকে কত কত কনফিউশন! কয়েকটি সিম্পল স্টেপস ফলো করলে ঘরে বসেই ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট লুক ক্রিয়েট করা পসিবল। আজকের ফিচারে আপনাদের জানাবো কীভাবে মেকআপ করলে ছবিতে ফেইসের বেস্ট ফিচারগুলো হাইলাইট করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্ল্যান করে নিন আগেই

যেকোনো ফটোশুটের আগেই প্ল্যান করে নিন মেকআপ লুক কেমন হবে, আউটফিট কী ধরনের হবে, হেয়ার স্টাইল কেমন হবে। শুট কি ডে টাইমে হবে নাকি কোনো স্টুডিও সেটআপে, সেটাও জানতে হবে। অনেকেই মনে করেন, ফটোশুটের জন্য যত হেভি মেকআপ করা হবে, ছবিতে দেখতে ততই ফ্ললেস লাগবে। সত্যি বলতে ব্রাইডাল ফটোশুটের ক্ষেত্রে হেভি মেকআপ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হলেও যদি অন্য কোনো কারণে ফটোশুট করতে হয়, সেক্ষেত্রে ন্যাচারাল মেকআপই বেশি মানানসই। কারণ ন্যাচারাল মেকআপ যেকোনো আউটফিট ও জুয়েলারির সাথেই মানিয়ে যায়। তাছাড়া অনেক সময় হেভি মেকআপ করা হলে তা কেকি হয়ে যায়, যা দেখতে খুবই আনন্যাচারাল লাগে। ছবিতেও বেশ ভালোভাবে তা বোঝা যায়।

দিনের বেলায় যদি কোনো ফটোশুট থাকে, সেক্ষেত্রে ট্রাই করবেন মেকআপ লুক যেন একদম ন্যাচারাল থাকে। এবার আপনাদের একটি ছোট্ট টিপস দেই। সেটা হলো, ন্যাচারাল লাইটে মেকআপ করার ট্রাই করুন৷ এতে মেকআপ প্রোডাক্টস অ্যাপ্লাইয়ের সময় হেভি হ্যান্ডেড হয়ে যাওয়ার চান্স থাকবে না। এর পাশাপাশি ফলো করতে পারেন নিচের এই মেকআপ টিপসগুলো।

ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক

ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক

১) পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমার ইউজ করুন

মেকআপ করার সময় প্রাইমার তো সবাই ইউজ করেন। মার্কেটে বিভিন্ন রকম প্রাইমার অ্যাভেইলেবল থাকলেও ছবিতে নিজের স্কিন টেক্সচার স্মুথ দেখাতে পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমারের বিকল্প নেই। তাই নিজের পছন্দের যেকোনো ব্র্যান্ডের পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমার বেছে নিন।

২) কালার কারেক্টিং কনসিলার ইউজ করুন

কালার কারেক্টিং কনসিলার আমাদের স্কিনের হাইপারপিগমেন্টেশন ও স্পট একদম ম্যাজিকের মতো হাইড করে দেয়, যা শুধুমাত্র ফাউন্ডেশন পুরোপুরি কভার করতে পারে না। অনেকেই রয়েছেন যারা ফটোশুটের জন্য মেকআপ করার সময় কালার কারেকশনের এই ইম্পরট্যান্ট স্টেপটি স্কিপ করেন। এতে দেখা যায়, ছবিতে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল অথবা ফেইসের একনে স্পট একদম ভিজিবল হয়ে ওঠে! একারণে অবশ্যই ফেইসের যেকোনো ডিসকালারেশন হাইড করতে অরেঞ্জ এবং একনে স্পট কভার করতে গ্রিন কালার কারেক্টিং কনসিলার ইউজ করুন।

৩) ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন বেছে নিন

ডিউয়ি ফর্মুলার ফাউন্ডেশন অনেকেরই পছন্দ৷ তবে ফটোশুটের ক্ষেত্রে ডিউয়ি বা গ্লোয়ি ফিনিশ দেয় এমন ফাউন্ডেশনগুলো অ্যাভোয়েড করাই বেটার। কারণ অনেক সময় এই ফাউন্ডেশন ইউজ করার কারণে ফেইসে এক্সট্রা শাইন বা গ্লো দেখা যায়, যা ছবিতে ভালো না-ও দেখাতে পারে। তাই ফটোশুট থাকলে ম্যাট কভারেজের ফাউন্ডেশন ইউজ করুন, বিশেষ করে ডে টাইমে। আর ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করার ক্ষেত্রে ড্যাম্প বিউটি স্পঞ্জ ইউজ করুন, এতে ইজিলি ফাউন্ডেশন স্কিনে ব্লেন্ড হয়ে যাবে।

ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন

৪) ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ইউজ করুন

অনেকেই ফাউন্ডেশন বা কনসিলার সেট করার জন্য নিজেদের স্কিন শেইডের কমপ্যাক্ট পাউডার ইউজ করেন। তবে যদি ফটোশুট থাকে, সেক্ষেত্রে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ইউজ করাই বেটার অপশন৷ কারণ এই পাউডারের টেক্সচার খুবই লাইট ওয়েট হওয়ায় আপনার ফেইস কেকি হবে না, আবার সেই সাথে স্কিনের অয়েল কন্ট্রোলও হবে।

৫) ডে টাইমে নিউট্রাল টোনের আইশ্যাডো অ্যাপ্লাই করুন

চোখ সাজাতে কম বেশি সবাই ভালোবাসেন। আইব্রো বেশি ডার্ক করলে ওভারঅল লুক আনন্যাচারাল দেখায়, তাই এদিকে লক্ষ্য রাখুন। আপনাদের সবার কালেকশনে নিশ্চয়ই নিউট্রাল কালারের আইশ্যাডো রয়েছে। যদি ডে টাইমে কোনো শুট হয়, তাহলে শিমার বা গ্লিটার শ্যাডো ইউজ না করে নিউট্রাল টোনের ম্যাট আইশ্যাডো অ্যাপ্লাই করুন। আউটফিটের উপর ডিপেন্ড করবে আপনার আইলুক কেমন হবে। যদি শাড়ি পরে ফটোশুট হয়, তাহলে কালারফুল আইলুক ক্রিয়েট করতে পারেন। চোখের লোয়ার ল্যাশ লাইনে ন্যুড কাজল ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনার আই শেইপ আরো বড় ও ডিফাইনড দেখাবে।

৬) আইলাইনার ও মাশকারা অ্যাপ্লিকেশনে কেয়ারফুল থাকুন

আইলাইনার ও মাশকারা ছাড়া আমাদের আই মেকআপ একদমই ইনকমপ্লিট থেকে যায়। যদি আপনার চোখ ছোট বা হুডেড হয়, তাহলে মোটা করে আইলাইনার অ্যাপ্লাই না করা বেটার। যদি ল্যাশলাইন ঘেঁষে একদম চিকন করে আইলাইনার অ্যাপ্লাই করেন বা উইংড লাইনার ড্র করেন, তাহলে ছবিতে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।

ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ

আর অবশ্যই ওয়াটারপ্রুফ মাশকারা বেছে নিন এবং ডাবল কোট অ্যাপ্লাই করুন। অনেকেই কমপ্লেইন করেন মাশকারা দেওয়ার সময় নাকি আইল্যাশ ক্লাম্পি হয়ে যায়, অর্থাৎ একটি আরেকটির সাথে লেগে যায়। এই সমস্যা এড়াতে প্রতি কোট মাশকারা অ্যাপ্লাইয়ের পর একটি পরিষ্কার স্পুলির সাহায্যে আইল্যাশগুলো ব্রাশ করে নিন৷ চাইলে আপনি ফেইক আইল্যাশ ইউজ করতে পারেন, তবে খুব বেশি ড্রামাটিক যেন না হয়।

৭) স্কিনটোনের সাথে মানানসই ব্লাশ অ্যাপ্লাই করুন

ব্লাশ এমন একটি প্রোডাক্ট যেটি অ্যাপ্লাই করলে আমাদের মেকআপ লুকে ইনস্ট্যান্ট ন্যাচারাল ফিনিশ আসে। সবসময় নিজের স্কিনটোনের সাথে মানানসই কালারের ব্লাশ সিলেক্ট করুন। যেমন ধরুন, ফেয়ার ও মিডিয়াম স্কিনটোনে পিচ কালারের ব্লাশ দারুণ মানায়, আবার ট্যানড ও ডাস্কি স্কিনটোনের জন্য ডার্ক ম্যভ কালারের ব্লাশ হলো পারফেক্ট ম্যাচ।

ফটোশুটের জন্য যখন ব্লাশ অ্যাপ্লাই করবেন, তখন দুই গালের অ্যাপল অংশ থেকে শুরু করে চিকবোনের উপরের অংশ পর্যন্ত অ্যাপ্লাই করুন এবং ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। এক্ষেত্রে পরিমাণে একটু বেশি অ্যাপ্লাই করতে হবে, তা না হলে আপনি যে ব্লাশ অ্যাপ্লাই করেছেন তা ছবিতে বোঝা যাবে না! কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যামেরায় ব্লাশের কালার ফেইড হয়ে যেতে দেখা যায়। তবে আবার খুব বেশি হেভি হ্যান্ডেড হয়ে যাবেন না কিন্তু! দিনের বেলা হাইলাইটার একদম হালকা রাখতে পারেন।

 

ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক কীভাবে ক্রিয়েট করা যায়, জেনে নিলাম তাহলে। এই ইজি ও সিম্পল মেকআপ টিপসগুলো ফলো করলে ফটোশুটের আগে মেকআপ করার জন্য পার্লারে যেতে হবে না, বরং নিজেরাই চট করে মেকআপ করে নিতে পারবেন। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার কিংবা হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট পারচেজ করার জন্য সাজগোজ হতে পারে ভরসার জায়গা। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

ছবি- সাজগোজ

The post ফটোশুটের জন্য পারফেক্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করুন নিজেই! appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/HorGxpn
Munia

Comments

Popular posts from this blog

স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে না তো?

আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন তখন আমি বুঝতেই পারছি আপনার হাতে টেকনোলজির সুবিধা রয়েছে। যার কারণে আপনি এখন চাইলেই যে কোনো ভিডিও দেখতে পারেন, যে কোনো তথ্য সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন। জীবন আগের চেয়ে এখন অনেক সহজ। তারপরও কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যাই। আর এই স্ট্রেস মানসিকভাবে আমাদের যতটা অসুস্থ করে দিচ্ছে, ঠিক ততটাই এফেক্ট ফেলছে আমাদের স্কিনের উপর। যেমন- স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে, সেই সাথে হচ্ছে ত্বকের নানা সমস্যা। স্ট্রেস কতভাবে স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে স্ট্রেস কমিয়ে আনা যায় তা নিয়েই আলোচনা করবো আজ। স্ট্রেস কেন হয়? বিভিন্নভাবে স্ট্রেস হতে পারে। যেমন- এনভায়রনমেন্টাল বা টেম্পারেচার চেঞ্জ (এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর)। ধরুন আপনি অনেকটা সময় ঠান্ডা রুমে ছিলেন। হুট করে যখন গরম পরিবেশে চলে আসলেন তখন শরীরে একটা স্ট্রেস হয়। আবার আর্থিক অবস্থা, লেখাপড়া, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদির কারণে সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেস দেখা দেয়। স্ট্রেস এমন একটি বিষয় যেটার সাথেও আমরা থাকতে পারি না, যেটা ছাড়াও আমাদের থাকা সম্ভব নয়। সময়ের সাথে সাথে আমরা বেশ আধু

কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো?

একটা সময় ছিল, যখন ছবি তোলা বা কারো কাছে ক্যামেরা থাকা যেন বড়সড় ব্যাপার। স্টুডিওতে যেয়ে ছবি তুলতে হতো বা কোনো কিছুর ছবি, ভিডিও এত সহজ ছিল না। অনেকদিন অপেক্ষা করে হাতে ছবি পাওয়া যেতো এবং সেটা অ্যালবামে যত্নের সাথে সংরক্ষণ করা হতো। আর এখন ছবি তোলা অনেক সহজ। বাজারের বিভিন্ন মডেলের ক্যামেরা বা হাই মেগাপিক্সেল সম্পন্ন ফোন সবার হাতে হাতে। আমরা এখন চাইলেই আমাদের সুন্দর সময়গুলোর বা শখের কাজ কিংবা ঘুরতে যেয়ে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির ছবি, ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করতে পারি। এখন কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো তা নিয়েই টুকিটাকি টিপস শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। ক্যামেরা নিয়ে কিছু বেসিক ধারণা যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার করার পূর্বে তার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় একটা ডিভাইস সম্পর্কে ঠিকভাবে না জানার কারণে ছবি তুলতে গিয়ে আমরা অনেক অপশন মিস করে ফেলি। ফলস্বরূপ ছবি সুন্দর হয় না। এই জন্য ম্যানুয়ালটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। তবে ম্যানুয়াল পড়াটা অনেকের কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাই বিভিন্ন ফিচার নিয়ে যদি বারবার প্র্যাকটিস করা যায় তাহলে ফটোগ্রাফি বিষয়টা সহজে আয়ত্তে আসে। এখন

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina