Skip to main content

ফাউন্ডেশন প্যাচি হয়ে যাচ্ছে! ফিক্স করার কি কোনো উপায় আছে?

বেশ অনেকদিন আগে থেকে প্ল্যান করে রাখা একটি প্রোগ্রামে অ্যাটেন্ড করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আউটফিটও পরে ফেলেছেন। মেকআপ করতে যেয়ে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার পর দেখলেন দেখতে একদম প্যাচি লাগছে! মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কেন এমনটি হচ্ছে। এটা খুবই কমন একটি প্রবলেম। কেন ফাউন্ডেশন প্যাচি হয়ে যাচ্ছে এবং এটি ফিক্স করার উপায় কী সে সম্পর্কেই আজ জানাবো বিস্তারিত।

ফাউন্ডেশন প্যাচি হয়ে যাচ্ছে কেন?

১) সঠিকভাবে স্কিন প্রিপেয়ার না করা

মেকআপ যেন ফ্ললেস হয় সেজন্য ফাউন্ডেশন স্কিনে একটি স্মুথ বেইজ তৈরি করে। যদি এই বেইজটাই ভালোভাবে ক্রিয়েট না হয় তাহলে স্কিনে দেখা দিবে আনওয়ান্টেড টেক্সচার, ব্লেমিশ অথবা ক্রিজ। এজন্য সবার আগে সঠিকভাবে স্কিন প্রিপেয়ার করা জরুরি। স্কিন যদি ডিহাইড্রেটেড থাকে তাহলে অল্প সময়েই ফাউন্ডেশন প্যাচি হয়ে যাবে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। সেই সাথে স্কিনের ডেড সেলস রিমুভ করার জন্য সপ্তাহে ১/২ বার এক্সফোলিয়েট করতে হবে। মেকআপ শুরুর আগে স্কিন টাইপ অনুযায়ী ফেইস ওয়াশ দিয়ে ফেইস ক্লিন করে নিতে হবে। এরপর অ্যাপ্লাই করতে হবে ময়েশ্চারাইজার

ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই

অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে অয়েলি স্কিনে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন নেই। এই কথার কোনো ভিত্তি নেই। বরং এ ধরনের স্কিনে হাইড্রেশনের অভাবে স্কিনে দেখা দিতে পারে এজিং সাইনস। এমন স্কিনের জন্য অয়েল বেইজড এর বদলে ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে হবে।

২) প্রাইমার অ্যাপ্লাই না করা

ফাউন্ডেশন প্যাচি হয়ে যাচ্ছে? ভেবে দেখুন তো প্রাইমার অ্যাপ্লাই করেছিলেন কিনা? স্কিনকেয়ার কমপ্লিট করার পর পরের ধাপটাই হচ্ছে প্রাইমার অ্যাপ্লাই। একটি হাইড্রেটিং প্রাইমারের কাজ হচ্ছে ফাউন্ডেশনকে স্কিনে ইভেনলি ব্লেন্ড হতে হেল্প করা এবং মেকআপ লং লাস্টিং রাখা। ফেইসে ডিরেক্টলি ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করলে সেটি ফাইন লাইনস বা পোরসের মধ্যে স্টাক হয়ে যায়। যার কারণে বেইজ আনইভেন হয়।

প্রাইমার আমাদের স্কিনের উপর একটি থিন লেয়ার ক্রিয়েট করে। এতে সারফেইস ইভেন হয়, ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই ইজি হয়। এছাড়া স্কিন থেকে সিক্রেশন হওয়া সেবাম বা অয়েলকে মেকআপের উপর এফেক্ট করতে দেয় না। যার কারণে পাওয়া যায় অয়েল ফ্রি ও ম্যাট মেকআপ লুক। আর একটি কথা, প্রাইমার অ্যাপ্লাইয়ের পর শুকানোর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। নইলে আনইভেন ও প্যাচি ফিনিশ দিবে। অল টাইপ স্কিনে স্যুইটেবল একটি বেস্ট প্রাইমার হতে পারে Nirvana Color Face Perfect Pro Primer

ফাউন্ডেশন প্যাচি হয়ে যাচ্ছে! অ্যাপ্লাই করুন প্রাইমার

৩) অতিরিক্ত ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করা

অনেক মেকআপ টিউটোরিয়ালে দেখা যায় বেশি পরিমাণে ফাউন্ডেশন নিয়ে অনেকটা সময় ধরে ব্লেন্ড করতে। এতে কিন্তু খুব একটা লাভ হয় না। বরং সবশেষে মেকআপ দেখতে কেকি ও প্যাচিই লাগে। বেশি পরিমাণে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করলে ব্রাশ বা স্পঞ্জ যা দিয়েই ব্লেন্ড করা হোক না কেন অনেক সময় লাগে। এছাড়া নোজ ও মাউথ এরিয়াতে ফাউন্ডেশন বেশি দিলে দেখতে ওল্ডার দেখায়। তাই এই মিসটেকটি অ্যাভয়েড করাই বেটার।

৪) থিক ফর্মুলার ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করা

সঠিকভাবে থিক ফর্মুলার বা ফুল কভারেজের ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই না করার কারণে প্যাচিনেস বা ফ্লেকিনেস দেখা দিতে পারে। তাই মিডিয়াম কভারেজ দিবে এমন ফাউন্ডেশন চুজ করা বেটার। এতে স্কিনে লাইট ফিল হয়। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা জানিয়ে রাখি। আপনি যে একদমই ফুল কভারেজের ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করতে পারবেন না, এমন কিন্তু নয়। অনেকেই এ ধরনের ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার সময় অনেকখানি প্রোডাক্ট একসাথে স্কিনে অ্যাপ্লাই করে ফেলেন। যার কারণে এটি ফেইসে প্রোপারলি ব্লেন্ড হতে চায় না, বেইজ মেকআপে সাথে সাথেই প্যাচিনেস চলে আসে। তাই অল্প অল্প করে প্রোডাক্ট স্কিনে ব্লেন্ড করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে কভারেজ বিল্ড আপ করতে হবে। লাইট ওয়েট ফর্মুলার হলেও ফুল কভারেজ দিবে এমন একটি ফাউন্ডেশন হচ্ছে Nirvana Color Face Perfect Liquid Foundation। বাংলাদেশি স্কিন টোনের সাথে ম্যাচ করে তৈরি করা এই ফাউন্ডেশনের রয়েছে ৪টি শেইড। আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী সিলেক্ট করে নিন আপনারটি।

নিরভানা ফাউন্ডেশন

৫) স্কিন টাইপ অনুযায়ী ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই না করা

ফাউন্ডেশন যেন প্যাচি না হয়ে যায় সেজন্য স্কিন টাইপ অনুযায়ী ফাউন্ডেশন সিলেক্ট করা জরুরি। ড্রাই স্কিনের জন্য এমন ফাউন্ডেশন চুজ করতে হবে যেটাতে হাইড্রেটিং ফর্মুলা আছে। একনে প্রন স্কিনে কালার কারেক্টিং ফাউন্ডেশন ইউজ করলে ম্যাট লুক পাওয়া যাবে। এমন কিছু স্পেশাল ফাউন্ডেশন আছে যেগুলো অয়েলি স্কিনের এক্সেস অয়েল অ্যাবজর্ব করে এবং স্কিনের অ্যাপেয়ারেন্স ইমপ্রুভ করে। প্যাচি ফাউন্ডেশন অ্যাভয়েড করার জন্য এই স্টেপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৬) ফাউন্ডেশন সেট না করা

স্কিনে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার পর যদি সেটি সেট করা না হয় তাহলে ন্যাচারাল লুক তো পাওয়া যাবেই না, উল্টো প্যাচিনেস দেখা দিবে। তাই লুজ পাউডার দিয়ে ফাউন্ডেশন সেট করে নিতে হবে। এতে স্কিনের এক্সেস অয়েলিভাব কমে আসবে এবং স্কিন ইভেন দেখাবে।

 

এই তো জানিয়ে দিলাম ফাউন্ডেশন প্যাচি কেন হয়ে যাচ্ছে এবং কীভাবে ফিক্স করা যায় সেই সম্পর্কে। এবার সঠিক নিয়ম মেনে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করে মেকআপ লুক ফ্ললেস করে তুলতে পারেন আপনিও। অথেনটিক মেকআপ, স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন সাজগোজে। সাজগোজের কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ার এবং চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার এ অবস্থিত। এই শপগুলোতে ঘুরে নিজের পছন্দমতো অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন আপনার দরকারি প্রোডাক্টগুলো।

ছবিঃ সাজগোজ

The post ফাউন্ডেশন প্যাচি হয়ে যাচ্ছে! ফিক্স করার কি কোনো উপায় আছে? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/IpA0hg2
Arfatun Nabila

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...