Skip to main content

কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ | কীভাবে যাবেন, কোথায় ঘুরবেন?

যারা কম বাজেটে দেশের বাইরে ট্যুর দিতে চান, তাদের জন্য একটি পারফেক্ট অপশন হলো দার্জিলিং। ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হিসেবে দার্জিলিং এর যে আলাদা কদর আছে, সেটা আর নতুন করে না-ই বা বললাম। বাংলাদেশ থেকে কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ এর টুকটাক তথ্য আজ শেয়ার করবো। কোথায় কোথায় বেড়ানো যায়, মাস্ট ট্রাই ফুড আইটেম, কী শপিং করা যায়- এগুলো জেনে নিন তাহলে।

দার্জিলিংয়ে কেন যাবেন?

প্রথমেই দার্জিলিং সম্পর্কে কিছু ধারণা দেই। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এই শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। আর এই কারণে মোটামুটি সারা বছরই ঠান্ডা থাকে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শহর থেকে দেখা যায় বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার নৈসর্গিক সৌন্দর্য। এখানে আছে পাহাড়ি ঢালে সাজানো চা বাগান, বিখ্যাত টয় ট্রেন আর পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশন ‘ঘুম’। পাহাড়, মেঘ যাদের ভীষণভাবে টানে, তাদের জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন দার্জিলিং।

কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ

কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ

কীভাবে যাবেন?

দার্জিলিং যেতে হলে আগে ইন্ডিয়ান ভিসা নিতে হবে। যাদের ভিসা করা নেই, করতে চাচ্ছেন; তারা ফুলবাড়ি পোর্ট সিলেক্ট করতে পারেন। এতে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় এসে ইমিগ্রেশন করে ফুলবাড়ি দিয়ে খুব কম সময়ে শিলিগুড়ি জিপ স্ট্যান্ডে পোঁছাতে পারবেন। আরেকটি রুট হচ্ছে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে চেংড়াবান্ধা হয়ে। তবে এক্ষেত্রে শিলিগুড়ি যেতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগে। বাংলাবান্ধা থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব কম। এবার শিলিগুড়ি এসে আপনি দার্জিলিং যাওয়ার জন্য জীপ, বাস, ট্যাক্সি সবই পাবেন। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যেতে আপনার সময় লাগবে মাত্র আড়াই ঘন্টা।

এখন ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে যেতে পারবেন নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত। সেখান থেকে বাসে করে শিলিগুড়ি, এরপর দার্জিলিং। বাজেট ট্রিপের জন্য আমি রেল রুট সাজেস্ট করবো। বাই এয়ারে সরাসরি দার্জিলিং যাওয়া যায় না, ঢাকা- কলকাতা- বাগডোগরা, শিলিগুড়ি এই রুটে আসতে হবে। বাই রোডে বা ট্রেনে আসলে আপনার খরচ অনেক কম হবে।

কোথায় কোথায় ঘুরবেন?

চলুন জেনে নেই কী কী দর্শনীয় স্থান আছে এখানে-

১) টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা

টাইগার হিল

টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখার সুযোগ মিস করা যাবে না! সেই সৌন্দর্যের সাথে যেন কোনো কিছুরই তুলনা হয় না। ভোরের আলোয় আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হয় কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া। শ্বেতশুভ্র বরফের চাদরে মোড়া সেই চূড়া দেখতে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন এই টাইগার হিলে।

২) বাতাসিয়া লুপ

দার্জিলিং শহরের খুব কাছেই অবস্থিত বাতাসিয়া লুপ। এখানে পাহাড়ি টানেলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন জার্নি যেন এক অ্যাডভেঞ্চার। এখানে খুব সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়। মেঘের স্বর্গরাজ্যে যেন কিছুক্ষণের জন্য আপনি নিজেকেই হারিয়ে ফেলবেন!

৩) হিমালয়ান জ্যু

পদ্মজা নায়ডু চিড়িয়াখানাতে দেখতে পাবেন তিব্বতি নেকড়ে, স্নো লিওপার্ড, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার, রেড পান্ডা আরও কত প্রাণী। এছাড়া আরও একটি জ্যু আছে দার্জিলিং শহরেই, নাইটিঙ্গেল পার্ক। দার্জিলিংয়ের এই চিড়িয়াখানাগুলোতে এমন অনেক প্রাণী ও পাখি দেখবেন যেগুলো দেশের অন্য কোথাও নেই।

৪) হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট

হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট

ছবির মতো সুন্দর এই চা বাগান থেকে দার্জিলিংয়ের প্যানোরোমিক ভিউ পাবেন। সেই সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না! এটি দার্জিলিংয়ের দ্বিতীয় প্রাচীনতম টি স্টেট। দার্জিলিং শহর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে হিল কার্ট রোডের নিচে এই বাগানটি অবস্থিত।

৫) রক গার্ডেন

দার্জিলিং থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রক গার্ডেন। ছোট্ট হ্রদ, কংক্রিট দিয়ে নির্মিত ধাপে ধাপে সিঁড়ি, সাজানো বাগান, ঝর্ণা- সব মিলিয়ে জায়গাটি আপনার বেশ ভালো লাগবে। ছবি তোলার জন্য এই জায়গাটি কিন্তু দারুণ। গঙ্গা মায়া পার্ক এর খুব কাছেই, সেখান থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন।

৬) মনেস্ট্রি ও প্যাগোডা

কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ঘুম মনেস্ট্রি, এটি বেশ পপুলার ট্যুরিস্ট স্পট। মঠে মৈত্রেয় বুদ্ধের একটি ১৫ ফুট লম্বা মুর্তি আছে। Japanese Temple & Peace Pagoda বেশ ভালো লাগবে। স্থাপত্যশৈলীর ক্লাসিক জাপানি ধাঁচ আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

এছাড়াও আরও অনেক কিছুই দেখার আছে। হাতে সময় থাকলে ঘুম স্টেশন, মিউজিয়াম, আভা আর্ট গ্যালারি, সেন্ট জোসেফ স্কুল, হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ঘুরে দেখতে পারেন। টয় ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন। সব মিলিয়ে ৩/৪ দিন সময় নিয়ে গেলেই বেশ ভালোভাবে জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে পারবেন।

কী কী খাবেন?

দার্জিলিংয়ের ফুড মেন্যু

ট্যুরে যেয়ে সেখানকার ট্র্যাডিশনাল ফুড ট্রাই না করলে যেন ট্যুর কমপ্লিটই হয় না। দার্জিলিয়ে বাঙালি, নেপালি, ইন্ডিয়ান, চাইনিজ সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। স্ট্রিট ফুড দার্জিলিংয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। দামটাও একদম হাতের নাগালে। মল রোড বরাবর অনেক ফুড কার্ট পাবেন সন্ধ্যার দিকে। এছাড়া বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট আছে। এমনকি এখানে মুসলিম রেস্টুরেন্টে আপনি বিফ আইটেমও পাবেন।

চিকেন মোমো, ভেজিটেবল মোমো, পাকোড়া, চাওমিন, থুকপা (স্যুপি নুডলস), সেকুয়া (নেপালি কাবাব), ভেজ হাক্কা নুডলস, আলুর দম এগুলো মাস্ট ট্রাই আইটেম। স্থানীয় রেস্টুরেন্টে নেপালি থালি, ভেজ থালি, পাওভাজি, ছোলা ভাটুরা এগুলো পেয়ে যাবেন। ব্রেকফার্স্টে আলু পরোটা, লুচি-আলুর দম, ডাম্পলিং স্যুপ এগুলো খেতে পারেন। আর দার্জিলিং টি তো আছেই!

দার্জিলিং টি

দার্জিলিয়ে শপিং

শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মল রোড শপিংয়ের জন্য বেস্ট প্লেস। এখানে আপনি নেপালি শাল, পেইন্টিংস, হ্যান্ডমেড শোপিচ, পুঁথির নেকপিস, হ্যাট, জ্যাকেট এগুলো সবই পেয়ে যাবেন। কম বাজেট স্ট্রিট শপিং করতে পারবেন বাতাসিয়া লুপে। ফ্যান্সি জুয়েলারি, হোম ডেকর আইটেম, হাতে বানানো ব্যাগ এগুলো পাবেন এখানে। দার্জিলিং ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি প্যাকেট পাবেন মোটামুটি সব শপেই। এছাড়াও দার্জিলিয়ে বিগ বাজার (সুপার শপ) আছে, সেখান থেকেও শপিং করতে পারেন।

কোথায় থাকবেন?

ট্যুরিস্ট এরিয়া হওয়াতে এখানে বিভিন্ন রেঞ্জের হোমস্টে, আবাসিক হোটেল, রেস্ট হাউজ আছে। দার্জিলিংয়ে ক্লক টাওয়ার ও মল রোডের আশেপাশে অনেক হোটেল আছে, দরদাম করে উঠতে পারেন। পিক সিজনে মানে এপ্রিল-জুন ও অক্টোবর-ডিসেম্বরে রুম রেন্ট একটু বেশি নিতে পারে। তবে আগে থেকে বুকিং না করে গেলেও থাকার জায়গা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। যদি মাউন্টেইন ভিউ রুম নিতে চান, তাহলে আগেই হোটেল রিসেপশনে কথা বলে নিবেন।

দার্জিলিং হোটেল

কিছু পরামর্শ

  • পাহাড়ি রাস্তায় মোশন সিকনেস হতে পারে তাই বমির মেডিসিন সাথে রাখবেন
  • শীত পোশাক সাথে নিয়ে যাবেন কারণ সারাবছরই সেখানে ঠান্ডা থাকে
  • বেসিক সেলফ কেয়ার অ্যাসেনশিয়ালস ক্যারি করবেন
  • দার্জিলিং খুবই পরিচ্ছন্ন শহর, তাই যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকুন
  • বর্ষার সিজনে পাহাড়ি এলাকা ভ্রমণ না করাই ভালো

কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে আপনারা কিছুটা হলেও আইডিয়া পেয়েছেন আশা করি। তাহলে প্ল্যান করে ফেলুন তাড়াতাড়ি। গ্রুপ ট্যুর হোক বা কাপল ট্যুর, মুগ্ধতায় কেটে যাবে আপনার ছুটির দিনগুলো! আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন।

ছবি- thesimpletravel.com, সাটারস্টক

The post কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ | কীভাবে যাবেন, কোথায় ঘুরবেন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/s1hxlQR
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...