Skip to main content

হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল | ৪টি উপায়ে নিজেই করে নিন পছন্দের হেয়ারস্টাইল

হিট ও ড্যামেজ ছাড়াই হেয়ারস্টাইল? জি, ঠিকই শুনেছেন! যাদের চুল ন্যাচারালি স্ট্রেইট, তারা নিজের লুকে ইনস্ট্যান্ট চেঞ্জ আনতে হেয়ার কার্ল করে নিতে পারেন। তবে আমাদের সবার কাছে তো হেয়ার কার্লার বা হিট স্টাইলিং টুলস থাকে না। আবার হেয়ার ড্যামেজের ভয়ে সরাসরি হিট দিতেও চায় না অনেকে! হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল করা সম্ভব! চলুন আজ দেখে নেই কীভাবে ঘরে বসে হেয়ার কার্লার ছাড়াই হেয়ারস্টাইল করা যায়।

স্টাইলিংয়ের আগে হেয়ার প্রিপেয়ার করা

শ্যাম্পু, কন্ডিশনিং, হেয়ার সিরাম- এই তিনটি স্টেপে চুল প্রিপেয়ার করে নিন। যেমন আমরা মেকআপের আগে স্কিনকে প্রিপেয়ার করি, ঠিক তেমনই হেয়ারস্টাইল করার আগে বেসিক হেয়ার কেয়ার করে নিতে হবে। এতে ফ্রিজিনেস কন্ট্রোল করা যায় এবং চুল ম্যানেজেবল থাকে। আর এতে যেকোনো হেয়ারস্টাইল খুব সুন্দরভাবে করা যায়। হিট ছাড়া হেয়ার কার্ল কীভাবে করা যায়, সেটা জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই। চলুন দেখে নেই সেই মেথডগুলো।

হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল

১) ওভারনাইট ব্রেইড মেথড

হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল

খুবই সিম্পল টেকনিক, কিন্তু দারুণ কার্যকরী। বেণি তো আমরা সবাই কম বেশি করে থাকি, তাই না? ওভারনাইট ব্রেইড মেথড ফলো করে হিটলেস সফট কার্লস পেয়ে যাবেন রাতারাতি!

  • হেয়ার সিরাম অ্যাপ্লাই করে নিন প্রথমেই
  • চুল ভালোভাবে আঁচড়িয়ে মাঝ বরাবর সিঁথি করে নিন
  • দু’ সেকশনে ভাগ করে একটু টাইট করে বেণি করে নিন একদম চুলের আগা পর্যন্ত
  • বেণি টাইট করে করা হলেও স্ক্যাল্পের কাছে লুজ রাখবেন, মানে হেয়ার রুটে যেন টান না লাগে
  • এবার ইলাস্টিক ব্যান্ড দিয়ে ব্রেইড সিকিউর করুন
  • এভাবে চুল বেঁধে রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন এবং সকালে বেণি খুলে আস্তে আস্তে ফিংগার টিপস দিয়ে চুল সেট করুন
  • ব্যস, এবার সামনের চুলগুলো নিজের ইচ্ছেমতো সেট করুন
  • কার্ল লং লাস্টিং করতে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন

২) হেয়ার রোলার

হেয়ার স্টাইলিং

শর্ট কিংবা লং লেন্থের চুলে খুব সহজেই রোলার ব্যবহার করে কার্ল করা যায়। হেয়ার লেন্থ ও কেমন ধরনের কার্ল করতে চান, সেটার উপর বেইজ করে রোলার চুজ করুন। সফট ওয়েভি হেয়ার বা লুজ কার্লসের জন্য বড় সাইজের রোলার নিতে হবে। আর স্পাইরাল কার্ল করতে চাইলে ছোট সাইজের রোলার বেছে নিন।

  • চুলে ওয়াটার স্প্রে করে হালকা ভিজিয়ে নিন কিংবা ভেজা চুল টাওয়েল ড্রাই করেও নিতে পারেন
  • এবার চুল ছোট ছোট সেকশন করে নিন
  • রোলার ব্যবহার করুন একদম চুলের আগা থেকে, আস্তে আস্তে রোল করে হেয়ার রুটের কাছে নিন
  • খুব স্মুথলি ও ইভেনলি রোল করুন এবং রোলারগুলো সিকিউর করে নিন ববি পিন বা ক্লিপ দিয়ে
  • এভাবে প্রতিটি সেকশন আলাদা করে রোল করুন
  • এভাবে কিছু সময় রেখে দিন
  • যদি চুলের নিচের অংশ কার্ল করতে চান, তাহলে শুধু সেই পার্টটুকুই রোল করতে হবে
  • চুল ড্রাই হয়ে গেলে রোলারগুলো খুলে ফেলুন খুব সাবধানে যেন কার্লস শেইপ নষ্ট না হয়ে যায়
  • এবার চুল মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়িয়ে সেট করুন এবং হেয়ার স্প্রে দিয়ে নিন

৩) হেডব্যান্ড কার্ল মেথড

হেডব্যান্ড কার্ল মেথড

এটিও একটি হিটলেস টেকনিক যার মাধ্যমে খুব কম ইফোর্টেই ভলিউমিনাস কার্লি হেয়ার পাওয়া যায়। যাদের চুল একদম ফ্ল্যাট ও পাতলা, হেয়ারে ভলিউম আনতে চান; তারা মাস্ট ট্রাই করুন এই মেথড। আপনার প্রয়োজন হবে সফট ইলাস্টিকযুক্ত ওয়াইড হেডব্যান্ড। মানে একদম চিকন প্লাস্টিকের হেডব্যান্ড নিলে হবে না। ব্যান্ড খুব বেশি লুজও হবে না, আবার একদম টাইটও হবে না।

  • প্রথমে ভেজা চুল টাওয়েল ড্রাই করে নিন
  • এবার কপালের উপর হেয়ারলাইন বরাবর ব্যান্ড সেট করুন
  • এবার ছোট ছোট হেয়ার সেকশন নিয়ে ব্যান্ড র‍্যাপ করতে থাকুন
  • এই প্রসেস রিপিট করে সব চুল দিয়ে এভাবে হেডব্যান্ড পেঁচিয়ে নিন
  • ওভারনাইট রাখুন বা সম্ভব না হলে ২/৩ ঘন্টা এভাবে রেখে আস্তে আস্তে খুলে ফেলুন
  • এবার আঙুল দিয়ে চুলগুলো কম্ব করে সেট করুন ও হেয়ার স্প্রে দিয়ে নিন

৪) টুইস্ট মেথড

যারা একদম ন্যাচারাল-লুকিং লুজ কার্লস প্রিফার করেন, তাদের জন্য এই মেথডটি বেশ ইফেক্টিভ। খুবই সহজ ও ঝামেলাবিহীন পদ্ধতি, যাদের হেয়ার লং ও স্ট্রেইট, তাদের জন্যই মেইনলি রেকমেন্ড করবো। তবে যাদের শর্ট হেয়ার, তারাও ট্রাই করতে পারবেন।

টুইস্ট মেথড

  • হালকা ভেজা চুলে প্রথমে হেয়ার সিরাম অ্যাপ্লাই করে নিন
  • এবার মাঝ বরাবর সিঁথি করে চুল দু’টি সেকশনে ভাগ করুন
  • এক সাইডের চুল কম্ব করে দু’ভাগ করে টুইস্ট করতে থাকুন
  • একদম চুলের আগা পর্যন্ত টুইস্ট করে নিন
  • এবার টুইস্টেড হেয়ার বান করে ফেলুন ও ইলাস্টিক ব্যান্ড দিয়ে সিকিউর করুন
  • অপর সাইডেও সেইম প্রসেস ফলো করুন
  • এভাবে কয়েক ঘন্টা রাখুন অথবা চাইলে ওভারনাইটও রাখা যায়
  • হাতের আঙুল বা প্যাডেল হেয়ার ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে সেট করে নিন

দেখলেন তো, হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল করা যায় কত সহজে! হেয়ার লুকে একটু ভিন্নতা আনতে এবং নিজেকে ডিফারেন্টভাবে প্রেজেন্ট করতে কে না চায়? তাহলে ট্রাই করে ফেলুন।

চুলের যত্নে অথেনটিক প্রোডাক্টস পেয়ে যাবেন সাজগোজে। সাজগোজের কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোতে ঘুরে নিজের পছন্দমতো অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি প্রোডাক্টগুলো।

 

ছবি- সাজগোজ, সাটারস্টক, urbanbetty.com

The post হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল | ৪টি উপায়ে নিজেই করে নিন পছন্দের হেয়ারস্টাইল appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/kK03pq4
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...