Skip to main content

আই পাফিনেস বা আই ব্যাগ দূর করার ৬টি চটজলদি উপায়!

চোখ যে মনের কথা বলে”… সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হলো চোখ। আর এই চোখের চারপাশেই কিন্তু আগে আগে বলিরেখা বা রিংকেলস দেখা দেয়। চোখের চারপাশের ত্বক অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাই এই অংশে এজিং সাইনস দেখা দেয় দ্রুত। সেই সাথে আরেকটি কমন প্রবলেম হচ্ছে আই পাফিনেস! চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার কোনো ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন আছে কি? জানি, এই প্রশ্নটা অনেকেরই! চলুন আজ জেনে নেই কীভাবে আই পাফিনেস বা আই ব্যাগ দূর করা যায় মাত্র কয়েক মিনিটেই।

কেন হয়?

যখন চোখের চারপাশের পেশি ও টিস্যু দুর্বল হয়ে যায়, তখন চোখের নিচের অংশ ফুলে যায়। এটাকেই আমরা পাফি আই বলি। অনেক সময় স্কিন লুজ হয়ে চোখের চারপাশের থাকা ফ্যাট নিচের অংশ চলে আসতে পারে। আবার বিভিন্ন কারণে চোখের নিচে অংশ ফোলা দেখায়। যেমন-

  • বয়স বৃদ্ধি
  • ভালো ঘুম না হলে
  • অতিরিক্ত লবণ খেলে
  • অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশনে
  • বংশগত কারণে
  • খুব দ্রুত ওজন কমানোর ফলে
  • হরমোন লেভেলের ওঠা নামা ইত্যাদি

আই পাফিনেস দূর করার ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন

আই পাফিনেস বা আই ব্যাগ দূর করার উপায়

বাইরে বের হওয়ার আগে আয়নায় দেখলেন যে চোখের নিচের অংশটুকু একটু বেশিই ফোলা। রাতে ঠিকমতো ঘুম হয়নি! এখন উপায়? কিছু কুইক সল্যুশন আছে যার মাধ্যমে চোখের চারপাশের স্কিন হাইড্রেটেড রাখা আর চোখের ফোলাভাব কমানো সম্ভব। তবে হ্যাঁ, যদি কোনো অসুখ বা মেডিকেল কন্ডিশনের কারণে এমনটা হয়, তাহলে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলতে হবে।

১) কাঁচা আলুর স্লাইস

কাঁচা আলু আই পাফিনেস খুব দ্রুত কমাতে পারে। কেননা এতে আছে স্টার্চ, আর এই স্টার্চ টিস্যু থেকে অতিরিক্ত লিকুইড বের করতে সাহায্য করে। আলু পাতলা স্লাইস করে কেটে ফ্রিজে রাখুন কিছুক্ষণ। এবার চোখের উপরে রাখুন ১০ মিনিট। চাইলে পটেটো জুস কটন প্যাডের সাহায্যেও অ্যাপ্লাই করতে পারেন।

২) অ্যালোভেরা জেল

ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা জেল স্কিনে সুদিং ইফেক্ট দেয় এবং স্কিন সেলস রিপেয়ার করতে সাহায্য করে। আর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপার্টিজ পাফিনেস কমিয়ে আনে। ফ্রিজে রাখা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে আলতো হাতে চোখের নিচে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে পাফিনেস দূর হবে, সেই সাথে রিংকেলসও কমে আসবে। তবে চোখে যেন না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

অ্যালোভেরা জেল

৩) ঠান্ডা টি ব্যাগ

ব্ল্যাক অথবা গ্রিন টি, ব্যবহার করা যেকোনো টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এবার চোখে দিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। চায়ে আছে ক্যাফেইন যা চোখের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। ক্যাফেইন আই এরিয়ার টিস্যুর মধ্যে স্ফীত রক্তনালীকে সংকুচিত করে। এতে ইনফ্ল্যামেশন ও পাফিনেস কমে আসে অনেকটাই।

৪) ঠান্ডা চামচ

চামচ তো খাবার খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়, এটি আবার কীভাবে আই পাফিনেস কমাবে? জানি, অনেকেই কনফিউজড! এটি খুবই ইফেক্টিভ সল্যুশন। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা মেটাল স্পুন পাফি এরিয়াতে ধরে রাখুন কয়েক মিনিট। এতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে আর চোখের ফোলাভাবও কমে আসবে। নিজেই একবার ট্রাই করে দেখুন!

৫) ঠান্ডা আই ক্রিম

মেকআপের আগে এই ট্রিকস অ্যাপ্লাই করতে পারেন। আই ক্রিম ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা ক্রিম দিয়ে চোখের নিচের এরিয়া জেন্টলি ম্যাসাজ করুন। এতে পেশির রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আই পাফিনেস বা চোখের ক্লান্তিভাব সাথে সাথে দূর হবে। সেই সাথে আন্ডার আই এরিয়া ময়েশ্চারাইজড থাকবে, মেকআপও ক্রিজ করবে না।

আই ক্রিম

৬) কনসিলার

মেকআপের মাধ্যমেও ছোট ছোট খুঁতগুলো কিন্তু কভার করা যায়। কনসিলার চোখের ফোলাভাবে কমাতে সাহায্য করে না, কিন্তু এটি ইনস্ট্যান্টলি আইব্যাগ হাইড করতে পারে। মেকআপের সময় চোখের নিচে পিচ, অরেঞ্জ বা ইয়োলো কালারের কনসিলার ব্যবহার করুন, এটি পাফিনেস আর ডার্ক সার্কেল কভার করে ফ্ললেস লুক ক্রিয়েট করতে হেল্প করবে।

বোনাস টিপস

চলুন এবার কিছু টিপস জেনে নেই যেগুলো ফলো করলে পাফিনেস বা আই ব্যাগ প্রিভেন্ট করা সম্ভব।

    • চোখের চারপাশের এরিয়ার যত্নে আই ক্রিম ব্যবহার করুন
    • ঘুমানোর সময় উঁচু বালিশ ব্যবহার করুন, এতে চোখের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে
    • ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন
    • লবণ ও সোডিয়ামযুক্ত খাবার যেমন- আলুর চিপস, প্রসেসড ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
    • আই এক্সারসাইজ ও ফেসিয়াল ইয়োগা করুন ঘরে বসেই

 

নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত আই ক্রিমের ব্যবহার এগুলো সঠিকভাবে মেনটেইন করুন। আর ইনস্ট্যান্ট সল্যুশনগুলো তো আজ জানিয়েই দিলাম। আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিলো। অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে আপনারা ভিজিট করতে পারেন সাজগোজের ওয়েবসাইট (শপ.সাজগোজ.কম), অ্যাপ কিংবা যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভারে সাজগোজের ফিজিক্যাল স্টোরে। আজ এই পর্যন্তই।

ছবি- সাজগোজ

The post আই পাফিনেস বা আই ব্যাগ দূর করার ৬টি চটজলদি উপায়! appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/mkZb0wt
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...