Skip to main content

অ্যাট্রাক্টিভ লুক ক্রিয়েট করতে ৬টি মাস্ট হ্যাভ বুলেট লিপস্টিক

ঘরোয়া যে কোনো আয়োজন হোক অথবা কোনো পার্টিতে, আউটফিটের সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক লাগাতে প্রতিটি মেয়েই ভালোবাসে। সেই সাথে শেইডস নিয়ে নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট তো চলেই! বাংলাদেশের বিউটি সেক্টরে নিরভানা কালার বেশ পরিচিত একটি নাম। সম্প্রতি ব্র্যান্ডটি Nirvana Color Matte Color Bullet এর ৬টি শেইডস নিয়ে এসেছে। এর আগেও তাদের লিপস্টিক আমার ইউজ করা হয়েছে। এবার যে লিপস্টিকগুলো ব্র্যান্ডটি এনেছে তার প্রত্যেকটি কালার সুন্দর। আমি তো বলবো, অ্যাট্রাক্টিভ লুক ক্রিয়েট করতে এগুলো মাস্ট হ্যাভ! আজ আপনাদের এই ৬টি বুলেট লিপস্টিকের রিভিউ শেয়ার করব।

যে কোনো লিপস্টিক কেনার আগে আমি কয়েকটি বিষয়ের প্রতি আগে খেয়াল রাখি। এরপরই সেগুলোর রিভিউ শেয়ার করি। যেমন-

  • লিপস্টিকের কালার যেমন দেখা যাচ্ছে আমার ঠোঁটেও ঠিক এমনই দেখা যাবে তো?
  • লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করার পর ঠোঁট হাইড্রেটেড থাকবে তো? ড্রাই বা ক্র্যাক হয়ে যাবে না তো?
  • লং লাস্টিং হবে কি? ছড়িয়ে যাবে না তো?
  • আমার স্কিন টোনের সাথে মানাবে তো?

এই সবগুলো পয়েন্ট মাথায় রেখেই আমি নিরভানা কালার ব্র্যান্ডের নতুন বুলেট লিপস্টিকগুলো ট্রাই করেছিলাম। এর আগেও এই ব্র্যান্ডের লিকুইড লিপস্টিকগুলো আমি ইউজ করেছি। তাই ভরসা ছিল এবারেরগুলোও ভালো হবে। নতুন এই লিপস্টিকগুলো বাংলাদেশি স্কিন টোনের সাথে ম্যাচ করে তৈরি করা হয়েছে। সত্যি বলতে আমি তো খুবই স্যাটিসফাইড! তাই ভাবলাম আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। আজ নতুন এই ৬টি বুলেট লিপস্টিক সম্পর্কে জানাবো আপনাদের।

অ্যাট্রাক্টিভ লুক ক্রিয়েট করতে ৬টি বুলেট লিপস্টিক

Nirvana Color Matte Color Bullet – Berry Lips

নামের সাথে কিন্তু লিপস্টিকের কালারের বেশ মিল আছে। বেরি কালারটা যেমন, লিপস্টিকের কালারটাও ঠিক তেমনই। যারা একটু ডিপ কালার পছন্দ করেন তাদের জন্য Berry Lips শেইডটি একদম পারফেক্ট। এই শেইডটি হাইলি পিগমেন্টেড, স্মুথলি ঠোঁটে বসে যায় এবং ঠোঁটে মোটেও হেভি ফিল দেয় না। এর নন স্টিকি টেক্সচার ঠোঁটে দেয় ভেলভেটি, স্মুথ ও ইভেন ফিনিশ।

Nirvana Color Matte Color Bullet – Bride Red

রেড কালার কিন্তু এশিয়ান স্কিন টোনে বেশ সুন্দর মানিয়ে যায়। যারা রেড কালারের লিপস্টিক ভালোবাসেন, তাদের জন্য Bride Red  শেইডটি একদম পারফেক্ট। এই শেইডের সাথে অন্য একটি শেইড মিলিয়ে অম্ব্রে ইফেক্ট তৈরি করতে পারেন। পার্টি লুকের সাথে এই ইফেক্ট বেশ মানিয়ে যায়। এটি অ্যাপ্লাইয়ে ব্রাইট ও ভাইব্রেন্ট লুক পাবেন নিমিষেই।

Nirvana Color Matte Color Bullet – Honey Crush

যারা একটু ন্যুড কালার পছন্দ করেন তাদের জন্য বেস্ট শেইড হতে পারে Honey Crush। এর নন স্টিকি টেক্সচার দেয় স্মুথ ফিনিশ। অফিসে ন্যাচারাল লাইট মেকআপের সাথে বেশ সুন্দরভাবে এই শেইডটি মানিয়ে যায়। মিডিয়াম স্কিন টোনেও এটি স্যুট করে। টিনেজাররা চাইলেও শেইডটি ইউজ করতে পারেন।

Nirvana Color Matte Color Bullet – Dusky Wine

যারা ডিপ কালার ভালোবাসেন তাদের জন্য আরও একটি চয়েস হচ্ছে Dusky Wine। পার্টি লুক থেকে শুরু করে রেগুলার ইউজের জন্য শেইডটি একদম পারফেক্ট লেগেছে আমার কাছে। পার্পেল ও ব্রাউন শেইডের মিক্সচার বলা যায় এটিকে। যারা ব্রাউনিশ বা পার্পেল শেইড পছন্দ করেন তারা নির্দ্বিধায় এটি চুজ করতে পারেন। অনেক ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ডিপ কালার হলে একটু হেভি ওয়েটের হয়ে থাকে। আবার অ্যাপ্লাইয়ের পর ঠোঁটেও টানটান লাগে। এই ব্র্যান্ডের বুলেট লিপস্টিকগুলোর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এই ডিপ কালারগুলো অ্যাপ্লাইয়ের পরও ঠোঁট একদম ভারী কিংবা ক্র্যাকি লাগেনি। আমার পার্সোনালি এই শেইডটি বেশ ভালো লেগেছে।

Nirvana Color Matte Color Bullet – Brick Brown

রেড টোনের লিপস্টিক কালেকশনের মধ্যে সুন্দর আরেকটি শেইড হচ্ছে Brick Brown। অরেঞ্জিশ ব্রাউন শেইডটি মিডিয়াম, শ্যামলা বা ফেয়ার স্কিন টোনের সাথে বেশ মানিয়ে যাবে। রেড মানেই যাদের কাছে খুব বেশি হাইলাইটেড মনে হয়, বিশেষ করে মিডল এইজে, তারাও এটি ইউজ করে দেখতে পারেন। এই কালারটি দিনে বা রাতে যে কোনো ড্রেসের সাথে ইজিলি ক্যারি করতে পারবেন।

Nirvana Color Matte Color Bullet – Burnt Sienna

এই লিপস্টিকের কালারটি কিছুটা ডিপ পিংকিশ শেইডের। ট্র্যাডিশনাল বা ক্যাজুয়াল লুকের সাথে Burnt Sienna শেইডটি পারফেক্টলি মানিয়ে যায়। এর ক্রিমি টেক্সচার লিপসে মোটেও ক্র্যাক করে না। শ্যামলা স্কিন টোনের হলেও নিশ্চিন্তে এটি ট্রাই করতে পারেন।

এক নজরে এই লিপস্টিকগুলোর বিশেষত্ব-
  • ভেলভেটি ম্যাট ফিনিশ দেয়
  • প্রতিটা শেইডই গর্জিয়াস
  • ক্রিমি ও লং লাস্টিং ফর্মুলা
  • হাইলি পিগমেন্টেড
  • একদমই ক্র্যাক করে না
  • এশিয়ান স্কিন টোনে মানিয়ে যায়

অ্যাট্রাক্টিভ লুক ক্রিয়েট করতে কেন এই ৬টি লিপস্টিক ট্রাই করতে বলছি, এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন! তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে- মেকআপ, লাইটিং, আন্ডারটোন অনুযায়ী লিপস্টিকের কালারে কিছুটা ভিন্নতা আসেই। যেহেতু একেকজনের লিপস ও স্কিন টোন ডিফারেন্ট, তাই কালারেও ভিন্নতা আসতে পারে। নিরভানা কালারের এই লিপস্টিকগুলো পেয়ে যাবেন সাজগোজে। এছাড়া স্কিন ও হেয়ারের অথেনটিক প্রোডাক্টও এখান থেকে কিনতে পারেন। সাজগোজের চারটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) এ অবস্থিত। এই শপগুলোতে ঘুরে নিজের পছন্দমতো অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন আপনার দরকারি প্রোডাক্টগুলো।

 

ছবিঃ সাজগোজ

The post অ্যাট্রাক্টিভ লুক ক্রিয়েট করতে ৬টি মাস্ট হ্যাভ বুলেট লিপস্টিক appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/SZyL4Ix
Arfatun Nabila

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...