Skip to main content

হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে কীভাবে সেটা কন্ট্রোল করা যায়?

আমাদের আশেপাশে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে ভুগছে। এটি খুবই পরিচিত রোগে পরিণত হয়েছে এখন। সময়মতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না করা হলে, উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মত মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপে ভুগলেও তারা সেই সম্পর্কে অবগত থাকেন না। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রায় অর্ধেক রোগীই জানেন না যে তারা এ রোগে ভুগছেন, গবেষণায় উঠে এসেছে এমন সব তথ্য। অথবা জানলেও অনেকে ভুল ধারণা মনে নিয়ে দিন পার করেন! রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এই ঝুঁকি দিন দিন বাড়তেই থাকে। হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে করণীয় কী, সেটাই জানবো আজকের ফিচারে।

উচ্চ মাত্রায় লবণযুক্ত খাবারের তালিকা

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাবারে লবণের মাত্রা হিসেব করা খুবই জরুরি। অনেক সময় না জেনেই আমরা লবণযুক্ত এমন অনেক খাবার খাই যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। চলুন জেনে নেই তাহলে-

১) ভাতের সাথে অতিরিক্ত লবণ, শুঁটকি বা নোনা ইলিশের শুঁটকি, সয়া সস ও ফিস সসযুক্ত রেস্টুরেন্ট এর খাবার, ফ্রোজেন মিট যেমন সসেজ ও মিট বল, রেডিমেড স্যুপ, পান্তা ভাত ইত্যাদি।

২) লবণযুক্ত স্ন্যাকস বা নাস্তা- ইনস্ট্যান্ট নুডলস, পাস্তা, চটপটি, অতি মাত্রায় বিট লবণ ও চাট মসলা যুক্ত ফুচকা, লবণযুক্ত বাদাম, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, অন্যান্য ফাস্ট ফুডস, চিপস, কুকিস, নিমকি, চানাচুর, পপকর্ন, বিভিন্ন রকম প্রসেসড ফুড যেমন ডালপুরি, সিঙ্গারা, নাগেটস ইত্যাদি।

আনহেলদি ফুডস

৩) উচ্চমাত্রায় লবণযুক্ত পানীয়- বোরহানী, জিরা পানি, ঘোল, লাবাং বা মাঠা।

৪) এছাড়াও ফল লবণ দিয়ে খাওয়া, রেডিমেড মসলা, আচার, চাটনি, মেয়োনিজ, টমেটো সস, সয়া সস, বারবিকিউ সস, সালাদ ড্রেসিং ইত্যাদি উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

মেডিসিন ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়

ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন

অতিরিক্ত ওজন হ্রাস এবং কোমর বা পেটের বাড়তি চর্বি কমানোর মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যায়। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের জন্য কোমরের মাপ যদি ৪০ ইঞ্চির বেশি হয় এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি কোমরের মাপ ৩৫ ইঞ্চির বেশি হয় তবে তারা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে আছে বলে ধরা হয়।

ওয়ার্ক আউট করুন

নিয়মিত ব্যায়াম করলে প্রায় ৫ থেকে ৮ মি.মি./মার্কারি উচ্চ রক্তচাপ কমানো যায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। বিগেইনার হিসেবে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করা উচিত। আউটডোর এক্সারসাইজ করতে চাইলে হাঁটাহাঁটি, জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা ইত্যাদি বেশ ভালো অপশন। বাইরে যেতে না পারলে ঘরেই ব্যায়াম করে নিতে পারেন। এই লাইট ওয়ার্ক আউট আপনাকে ফিট থাকতে হেল্প করবে।

এক্সারসাইজ

হেলদি ডায়েট চার্ট মেনে চলুন

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তালিকা বা হেলদি ডায়েট মেনে চললে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। শস্য জাতীয় খাবার, ফল, শাক সবজি, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, লো স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার উচ্চ রক্তচাপকে ১১ মি.মি./মার্কারি পর্যন্ত কমাতে পারে। এছাড়াও খাদ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপের উপর লবণের (সোডিয়াম) প্রভাব কমাতে পারে। পটাশিয়ামের সর্বোত্তম উৎস হলো ফল, শাক সবজি।

ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন

মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে সেটি ত্যাগ করতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটিও একদম বাদ দিতে হবে। ধূমপান বন্ধ করলে তা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে আপনি সুস্থ থাকবেন।

কাঁচা লবণ এড়িয়ে চলুন

খাদ্য তালিকায় লবণের (সোডিয়াম) পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। কাঁচা লবণ না খাওয়াই ভালো। খাদ্যে সোডিয়ামের সামান্য হ্রাসও হৃদরোগের উন্নতি করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রায় ৫ থেকে ৬ মি.মি./মার্কারি কমাতে পারে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ চা চামচ আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে পারবে (সারা দিনের সব খাবার মিলিয়ে)।

হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে এড়িয়ে চলুন লবণ

ঘুমের ব্যাঘাত যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখুন

সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতে ৬ ঘন্টার কম ঘুমালে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়া বা স্লিপিং ডিজঅর্ডার, ইনসমনিয়া, সাধারণ নিদ্রাহীনতা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এসব সমস্যার কোনোটিতে ভুগে থাকলে তা চিহ্নিত করে নির্মূল করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ডাক্তার যদি ঘুমের জন্য মেডিসিন দেন, তাহলে সেটা নির্দিষ্ট ডোজে খেতে হবে।

টেনশন ফ্রি থাকার চেষ্টা করুন

হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের ফলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত কাজের প্রেশার, আর্থিক অবস্থার অবনতি, পারিবারিক কলহ বা অসুস্থতা ইত্যাদি উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের কারণ কী তা খুঁজে বের করতে হবে এবং আগে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে কী করবেন

নিয়মিত রক্তচাপ মনিটর করুন

হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীর রক্তচাপ নিয়মিত মনিটর করতে হবে এবং যেকোনো শারীরিক অসুস্থতায় দ্রুত চেকআপ করাতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, মানসিক সুস্থতার জন্য ফ্যামিলি এনভায়রনমেন্ট শান্তিময় হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাই প্রেশারের রোগী ঠিকমতো মেডিসিন খাচ্ছে কিনা, হেলদি ফুডচার্ট মেনে চলছে কিনা; সেটা পরিবারের সদস্যদেরও খেয়াল রাখা উচিত।

হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে করণীয় কী?

  • দুশ্চিন্তা কমিয়ে ফেলার জন্য আপনি ডিপ ব্রেথ নিন ( জোরে শ্বাস নিয়ে ২ সেকেন্ড পর আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ুন)
  • না ঘাবড়িয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন
  • যদি সম্ভব হয় শুয়ে থাকুন কিছু সময়
  • সেদিন আপনি যে প্রেশারের ওষুধ খাবেন বা খেতেন, সে ওষুধটি সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিন
  • মাথায় পানি বা বরফ দিয়ে সাময়িক উপশম পাওয়া যায়
  • সুস্থ ব্যক্তির হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে
  • রেড মিট, ডিম, চিংড়ি, উচ্চ মাত্রায় লবণ আছে এমন স্ন্যাকস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
  • হাই ব্লাড প্রেশার কন্ট্রোলে না আসলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

মেডিসিন

তেঁতুল পানি কি হাই ব্লাড প্রেশার কমিয়ে দেয়?

অনেকে প্রেশার বাড়লে তেঁতুলের শরবত খায়, চিকিৎসা শাস্ত্রে এই নিয়ে কোনো নীতিমালা নেই। তবে তেঁতুলে থাকা অ্যাসিড রক্তকে কিছুটা লঘু করে এবং এতে ব্লাড প্রেশার কমে। তেঁতুলে পটাশিয়াম থাকায় তা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনতে কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান দেয় না, তাই চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযথভাবে মেডিসিন নিতে হবে।

হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে কী কী করা উচিত, সেগুলো আমাদের জানা হয়ে গেলো। জীবনধারায় কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনলে সেটা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। এছাড়া ইতোমধ্যে উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। বিভিন্ন রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে। আপনার জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে উপযুক্ত তা জানতে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

ছবি- সাটারস্টক

The post হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে কীভাবে সেটা কন্ট্রোল করা যায়? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/HOjAMi0
Munia

Comments

Popular posts from this blog

স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে না তো?

আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন তখন আমি বুঝতেই পারছি আপনার হাতে টেকনোলজির সুবিধা রয়েছে। যার কারণে আপনি এখন চাইলেই যে কোনো ভিডিও দেখতে পারেন, যে কোনো তথ্য সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন। জীবন আগের চেয়ে এখন অনেক সহজ। তারপরও কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যাই। আর এই স্ট্রেস মানসিকভাবে আমাদের যতটা অসুস্থ করে দিচ্ছে, ঠিক ততটাই এফেক্ট ফেলছে আমাদের স্কিনের উপর। যেমন- স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে, সেই সাথে হচ্ছে ত্বকের নানা সমস্যা। স্ট্রেস কতভাবে স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে স্ট্রেস কমিয়ে আনা যায় তা নিয়েই আলোচনা করবো আজ। স্ট্রেস কেন হয়? বিভিন্নভাবে স্ট্রেস হতে পারে। যেমন- এনভায়রনমেন্টাল বা টেম্পারেচার চেঞ্জ (এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর)। ধরুন আপনি অনেকটা সময় ঠান্ডা রুমে ছিলেন। হুট করে যখন গরম পরিবেশে চলে আসলেন তখন শরীরে একটা স্ট্রেস হয়। আবার আর্থিক অবস্থা, লেখাপড়া, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদির কারণে সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেস দেখা দেয়। স্ট্রেস এমন একটি বিষয় যেটার সাথেও আমরা থাকতে পারি না, যেটা ছাড়াও আমাদের থাকা সম্ভব নয়। সময়ের সাথে সাথে আমরা বেশ আধু

কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো?

একটা সময় ছিল, যখন ছবি তোলা বা কারো কাছে ক্যামেরা থাকা যেন বড়সড় ব্যাপার। স্টুডিওতে যেয়ে ছবি তুলতে হতো বা কোনো কিছুর ছবি, ভিডিও এত সহজ ছিল না। অনেকদিন অপেক্ষা করে হাতে ছবি পাওয়া যেতো এবং সেটা অ্যালবামে যত্নের সাথে সংরক্ষণ করা হতো। আর এখন ছবি তোলা অনেক সহজ। বাজারের বিভিন্ন মডেলের ক্যামেরা বা হাই মেগাপিক্সেল সম্পন্ন ফোন সবার হাতে হাতে। আমরা এখন চাইলেই আমাদের সুন্দর সময়গুলোর বা শখের কাজ কিংবা ঘুরতে যেয়ে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির ছবি, ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করতে পারি। এখন কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো তা নিয়েই টুকিটাকি টিপস শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। ক্যামেরা নিয়ে কিছু বেসিক ধারণা যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার করার পূর্বে তার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় একটা ডিভাইস সম্পর্কে ঠিকভাবে না জানার কারণে ছবি তুলতে গিয়ে আমরা অনেক অপশন মিস করে ফেলি। ফলস্বরূপ ছবি সুন্দর হয় না। এই জন্য ম্যানুয়ালটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। তবে ম্যানুয়াল পড়াটা অনেকের কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাই বিভিন্ন ফিচার নিয়ে যদি বারবার প্র্যাকটিস করা যায় তাহলে ফটোগ্রাফি বিষয়টা সহজে আয়ত্তে আসে। এখন

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina