Skip to main content

কোকোনাট অয়েল হেয়ার স্প্রে দিয়ে ফ্রিজি ও রাফ হেয়ারের ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন!

কোকোনাট অয়েল বা নারকেল তেল, মজবুত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এটি৷ পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ এই ন্যাচারাল অয়েল যেকোনো ধরনের চুলে মানানসই। আপনার চুল স্ট্রেইট, কার্লি, ওয়েভি, পাতলা, ঘন যেমনই হোক; চুলের যত্নে নারকেল তেল আজও অনন্য। পল্যুশন, ওয়েদার চেঞ্জ, স্ট্রেস, হিট বা কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট এগুলোর কারণে চুল তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। কোকোনাট অয়েল হেয়ার স্প্রে দিয়ে হবে রাফ ও ফ্রিজি হেয়ারের ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন!

অয়েল ম্যাসাজের জন্য বা হেয়ার প্যাক হিসেবে নারকেল তেল তো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু হেয়ার স্প্রে হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়েছে কি? নারকেল তেলে আছে ন্যাচারাল ময়েশ্চার প্রোপারটিজ, যা চুলের গোড়া মজবুত করার পাশাপাশি ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং হেয়ার ব্রেকেজ প্রিভেন্ট করে। স্ক্যাল্পে ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকলে সেটাও কমিয়ে আনে। আর এই হেয়ার স্প্রে আপনি অল্প কিছু সহজলভ্য উপাদান দিয়ে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারবেন। চলুন দেখে নেই তাহলে।

এই হেয়ার স্প্রে এর বিশেষত্ব কী?

হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়েই বানিয়ে নেওয়া যায় এটি আর ব্যবহার করা একদমই সহজ। একবার বানিয়ে আপনি ফ্রিজে রেখে ১ সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্টের ব্যবহার হয় না বলে চুলের জন্য একদমই সেইফ। খুব বেশি খরচও কিন্তু হবে না।

কোকোনাট অয়েল হেয়ার স্প্রে

কোকোনাট অয়েল হেয়ার স্প্রে বানানোর উপকরণ

যেভাবে বানাবেন

একটি পরিষ্কার শুকনো স্প্রে বোতলে ৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। এরপর তাতে ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, ২/৩ ফোঁটা রোজমেরি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিন। সবশেষে ১ কাপ রোজ ওয়াটার নিয়ে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন। রোজ ওয়াটার না থাকলে পানিও ইউজ করতে পারেন। ব্যস, হেয়ার মিস্ট বা হেয়ার স্প্রে রেডি টু ইউজ!

উপকারিতা

ঘরে বানানো এই হেয়ার মিস্ট কতটা উপকারী আপনার চুলের জন্য, সেটা জানতে চান নিশ্চয়ই। চলুন দেখে নেওয়া যাক-

১) রোজ ওয়াটার চুলের ফ্রিজিনেস দূর করে এবং চুলকে ডিপলি কন্ডিশনিং করে। তাছাড়া নিমিষেই দারুণ সুঘ্রাণ এনে দেয় আপনার চুলে। তাই যাদের মাথার ত্বক ঘামে এবং ব্যাড স্মেল হয়, তাদের জন্য রোজ ওয়াটার বেশ কার্যকরী।

২) কোকোনাট অয়েল বা নারকেল তেলের গুণাগুণ তো আমরা আগে থেকেই জানি। চুল পড়া কমানো, রাফ ও ড্যামেজ হেয়ার রিপেয়ার, চুলকে সিল্কি রাখা- এমন অনেক উপকারিতা আছে এই ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টটির।

নারকেল তেল

৩) অ্যালোভেরা জেল চুলকে শাইনি আর স্মুথ করে। ড্যানড্রাফ বা ইচিনেস থেকে স্ক্যাল্পকে প্রোটেকশন দেয়।

৪) রোজমেরি অ্যাসেনশিয়াল অয়েলের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপারটিজ স্ক্যাল্পের যেকোনো সমস্যার সল্যুশনে দারুণ কাজ করে। এটি হেয়ার ফলিকলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

৫) ভিটামিন ই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর ভালো সোর্স, যা ড্যামেজ ও ফ্রিজি হেয়ারকেও প্রাণবন্ত করে তোলে। হেয়ার ও স্ক্যাল্পে নারিশমেন্ট প্রোভাইড করে একইসাথে। তাই অল্প সময়েই চুল হয়ে ওঠে কোমল ও ঝলমলে।

 

কোকোনাট অয়েল হেয়ার স্প্রে কখন ব্যবহার করবেন? 

১. চুলের ফ্রিজিনেস কমাতে ও জট ছাড়াতে চুল আঁচড়ানোর পূর্বে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ঝাঁকিয়ে নিবেন।

২. যদি চুলে বারবার হিট স্টাইলিং করেন, তাহলে সকালে এই হেয়ার মিস্ট একবার স্প্রে করে নিন। চুল সিল্কি ও শাইনি থাকবে দিনভর।

৩. শ্যাম্পু করার আধা ঘন্টা আগে পুরো স্ক্যাল্প ও চুলে স্প্রে করে সার্কুলার মোশনে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। চুলের গোড়া মজবুত হবে, সেই সাথে চুল হবে সফট ও শাইনি।

কোকোনাট অয়েল হেয়ার স্প্রে

৪. এখন বাজারে অনেক ধরনের সিরাম পাওয়া যায়। হাতের কাছে হেয়ার সিরাম না থাকলে চুল ওয়াশ করার পরে হালকা ভেজা চুলে কোকোনাট অয়েলের এই DIY স্প্রে ইউজ করুন। এতে চুলের জট ছাড়াতে সুবিধা হবে এবং চুল থাকবে ম্যানেজেবল।

যারা সুইমিং করেন, ক্লোরিনেটেড ওয়াটারের কারণে তাদের চুলের যে ক্ষতি হয়, সেটা প্রিভেন্ট করতে ইউজ করুন কোকোনাট অয়েল হেয়ার স্প্রে। তাহলে দেরি না করে ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলুন হেয়ার স্প্রে আর রাফ হেয়ারকে বলুন বাই বাই! অনলাইনে অথেনটিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

ছবি- সাজগোজ

The post কোকোনাট অয়েল হেয়ার স্প্রে দিয়ে ফ্রিজি ও রাফ হেয়ারের ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন! appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/sMPKJu7
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...