Skip to main content

অল্প সময়েই উজ্জ্বল ত্বক পেতে সেরা ৪টি ব্রাইটেনিং সিরাম

স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে সিরাম এখন সবচেয়ে হাইপ। স্কিনকেয়ারের স্টেপগুলোর মধ্যে সিরাম অ্যাপ্লাই নিয়ে আমাদের অনেকেরই এখনও কনফিউশন আছে। ‘সিরামের দাম এত বেশি কেন?’ ‘ফর্সা হওয়ার জন্য কোনো সিরাম আছে কি?’ ‘দিনের বেলা সিরাম অ্যাপ্লাই করা যায় না?’ ‘স্কিনকেয়ার তো সেভাবে করা হয় না, তাহলে সিরাম ইউজ করতে পারবো কি?’ এই ধরনের কত প্রশ্ন যে শুনি! যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি সাজগোজের ইনবক্সে আসে সেটা হচ্ছে ‘ব্রাইট স্কিন পেতে কোন সিরামটা নিবো?’ আচ্ছা, সিরাম দিয়ে কি আসলেই অল্প সময়েই উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব? সিরামের কাজ আসলে কী, সেটা নিয়ে অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই। আজ এই কনফিউশনগুলো ক্লিয়ার করা যাক তাহলে।

অল্প সময়েই উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব?

অবশ্যই! নিজের স্কিন টাইপ বুঝে রাইট ইনগ্রেডিয়েন্ট সিলেকশন, প্রোপারলি স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করা, হেলদি লাইফস্টাইল- সবকিছু মিলিয়ে হেলদি ও ফ্ললেস স্কিন পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। তবে রাতারাতি কোনো মিরাকেল ঘটবে না! যে প্রোডাক্টগুলো ক্লেইম করে রাতারাতি আপনাকে ফর্সা করে দিবে, তাতে কী পরিমাণে হার্মফুল কেমিক্যাল থাকে, সেটা নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন। তাই সেসব ক্ষতিকর ও নকল প্রোডাক্ট থেকে দূরে থাকুন। যেসব ব্র্যান্ড স্কিন সেফটি নিশ্চিত করে, সেগুলোর উপর ভরসা রাখুন। স্কিন ব্রাইটেনিং এর জন্য অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। কিন্তু আপনাকে সঠিক উপাদান নির্দিষ্ট পরিমাণে ইউজ করতে হবে।

অল্প সময়েই উজ্জ্বল ত্বক

সিরাম কীভাবে কাজ করে?

হাইলি কনসেনট্রেটেড পাওয়ারফুল উপাদান খুব লাইট ও থিন ফর্মুলার সাহায্যে ত্বকের কোষে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে সিরাম। সিরাম এমনভাবেই তৈরি করা হয় যাতে স্টার ইনগ্রেডিয়েন্ট খুব সহজেই স্কিনের ডিপ লেয়ারে প্রবেশ করতে পারে। অনেক ধরনের সিরাম আছে, একেকটার কাজ একেক রকম। যেহেতু সিরাম স্পেসিফিক স্কিন কনসার্নকে টার্গেট করে কাজ করে ও দ্রুত সমাধান দেয়, তাই দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

সিরামের দাম এত বেশি কেন? 

সিরামে স্পেসিফিক ইনগ্রেডিয়েন্ট এমন পরিমাণে দেওয়া থাকে, মাত্র কয়েক ড্রপ ব্যবহার করাই কিন্তু এনাফ। একই রেঞ্জের অন্য স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টে সেইম পারসেন্টেজে আপনি সেই উপাদানটি পাবেন না। এজন্যই সিরাম এতটা কার্যকরী, আর রেগুলার ইউজের জন্য ২-৩ ফোঁটাই যথেষ্ট। ফর্মুলেশন, কার্যকারিতা আর উপাদানের দামের কারণেই সিরামের দামটা বেড়ে যায়। একটা সিরাম আপনি অনেকদিন ইউজ করতে পারবেন। তাই  ভালোমানের একটা সিরামের জন্য ইনভেস্ট করলে সেটা কিন্তু বৃথা যাবে না। এটাকে এখন অ্যাসেনশিয়াল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টই বলা যায়।

সিরাম

কারা ইউজ করতে পারবে?

২০ বছরের পর স্কিনকেয়ারে সিরাম অ্যাড করতে পারেন। টিনেজে জাস্ট বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করবেন, এই সময় অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ইউজ করার প্রয়োজন নেই। দিনের বেলাতে সানস্ক্রিন স্কিপ করা যাবে না! একই সময়ে দুই বা ততোধিক অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট একসাথে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কয়েকটা সিরাম কিন্তু একবারে ইউজ করবেন না! এই ব্যাপারে সতর্ক থাকুন এবং কেনার আগে অবশ্যই লেবেল পড়ে নিন।

 

দিনের বেলায় কি সিরাম অ্যাপ্লাই করা যায়?

নিয়াসিনামাইড, ভিটামিন সি বেইজড সিরাম দিনের বেলা অ্যাপ্লাই করা যেতে পারে। রেটিনল, ল্যাকটিক অ্যাসিড জাতীয় সিরাম রাতে ব্যবহার করতে বলা হয়, কেননা এগুলো ফটো সেনসিটিভ। স্কিনকেয়ারে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকলে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করা মাস্ট। আপনি যেই সিরামই ইউজ করুন না কেন, সেটার প্যাকেজিং আগে চেক করুন। কারণ প্যাকেজিংয়ে বা লেবেলে প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকে।

সেরা ৪টি ব্রাইটেনিং সিরাম

তুলনামূলক রিজনেবল প্রাইসে এমন কোনো সিরাম আছে কি, যেটা অল্প সময়েই উজ্জ্বল ত্বক পেতে হেল্প করবে? জানি, এই প্রশ্নটা আপনার মাথাতেও ঘুরপাক খাচ্ছে। চলুন দেরি না করে এখনই জেনে নেই।

অল্প সময়েই উজ্জ্বল ত্বক পেতে সেরা ব্রাইটেনিং সিরাম

Lilac Vitamin C Serum 10%

লাইলাক ভিটামিন সি ১০% সিরামটিতে আছে ভিটামিন সি ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা স্কিন সেলস রিপেয়ারে কাজ করে ম্যাজিকের মতো। ভিটামিন সি পাওয়ারফুল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত যা অল্প সময়েই স্কিনের ব্রাইটনেস ফিরিয়ে আনে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড স্কিনের ময়েশ্চার রিস্টোর করে। ৩০ মিলিগ্রামের প্যাকেজিংয়ে পাওয়া যায় Lilac Vitamin C Serum 10%। চলুন এক নজরে দেখে নেই এই সিরামটির বেনিফিটস-

  • ডার্ক স্পটস ও পিগমেন্টেশন ফেইড করে অল্প সময়ে
  • ইয়াংগার লুকিং ও হাইড্রেটেড স্কিন পেতে হেল্প করে
  • স্কিনটোন ব্রাইট করে
  • ফাইন লাইনস ও রিংকেলস এর ভিজিবিলিটি কমিয়ে আনে
  • স্কিনের আনইভেন টোন বা ডিসকালারেশন দূর করে

Boots Glow Essence Serum

বুটস গ্লো সিরাম

অনেকেই ইন্টারনেটে ব্লগার বা ইউজারদের রিভিউ দেখে প্রোডাক্ট পারচেজ করেন। এটা আমিও করি! ইউজার রিভিউ দেখে নিলে সেই প্রোডাক্টের কার্যকারিতা বা বেনিফিট সম্পর্কে ভালো আইডিয়া পাওয়া যায়। বুটস এর এই সিরামটি নিয়ে কিন্তু অনেক পজেটিভ রিভিউ আছে। যাদের বাজেট একটু বেশি, স্কিন ব্রাইটেনিং এর জন্য বেছে নিতে পারেন Boots Glow Essence Serum। এতে নিয়াসিনামাইড, সোডিয়াম হায়ালুরোনেট, গ্লিসারিন ইত্যাদি স্কিন নারিশিং ইনগ্রেডিয়েন্টস আছে। এটি পাওয়া যাচ্ছে ২৮ মিলিগ্রামের বোতলে, সাথে ড্রপার তো আছেই। চলুন দেখে নেই এই সিরামটির বেনিফিটস-

  • ডাল ও ড্যামেজড স্কিন রিপেয়ার করে গ্লোয়ি লুক দেয়
  • স্কিনকে হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চারাইজড রাখে
  • মাইল্ড ও রিফ্রেশিং স্মেল আছে যেটা বেশ ভালো লাগে
  • স্কিনটোন লাইট ও ফেয়ার করে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই

Groome Glutathione + Alpha Arbutin +HA Brightening Serum

ব্রাইটেনিং সিরাম

গ্রুমি ব্র্যান্ডের ৩টি ডিফারেন্ট সিরাম আছে, যার মধ্যে ব্রাইটেনিং সিরামটা আমার সবচেয়ে পছন্দের। ৩টি মোস্ট পাওয়ারফুল ব্রাইটেনিং এজেন্ট গ্লুটাথিওন, আলফা আরবুটিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড আছে এতে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ব্রাইট স্কিন পেতে Groome Glutathione + Alpha Arbutin +HA Brightening Serum কতটা ইফেক্টিভ! ৩০ মিলিগ্রামের আকর্যণীয় বোতলে পাওয়া যাচ্ছে। চলুন জেনে নেই এর বেনিফিটগুলো কী কী-

  • স্কিনটোন ব্রাইট করে ও স্পটস কমিয়ে আনে
  • কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে
  • স্কিনে ব্লেমিশ বা স্কারস থাকলে সেটাও ফেইড করতে হেল্প করে
  • ডালনেস কমিয়ে স্কিনকে হেলদি ও ময়েশ্চারাইজড রাখে

Lilac Brightening Serum with 2% Alpha Arbutin and 1% Kojic Acid

অল্প সময়েই উজ্জ্বল ত্বক পেতে সেরা ব্রাইটেনিং সিরাম

অনেকের স্কিনেই ভিটামিন সি স্যুট করে না! তাহলে উপায়? আপনার জন্য রাইট চয়েজ হলো লাইলাকের এই ব্রাইটেনিং সিরামটি। এতে আছে ২% আলফা আরবুটিন ও ১% কজিক অ্যাসিড যা বিগেইনারদের জন্যও একদম পারফেক্ট। যারা অ্যাডভান্স স্কিনকেয়ার রুটিন শুরু করতে চাচ্ছেন, কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না যে কোন সিরামটি পারচেজ করবেন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন Lilac Brightening Serum with 2% Alpha Arbutin and 1% Kojic Acid। এটা ৩০ মিলিগ্রামের প্যাকেজিংয়ে পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই এর বেনিফিটস-

  • স্কিনটোন ব্রাইট ও গ্লোয়ি করে
  • ডে অ্যান্ড নাইট টাইম স্কিনকেয়ার রুটিনে ইনক্লুড করতে পারেন নিশ্চিন্তে
  • অল স্কিন টাইপে স্যুট করবে ইজিলি
  • হাইপারপিগমেন্টেশন ও ডার্ক স্পটস কমিয়ে আনে
  • সানট্যান ও আনইভেন স্কিনটোন থাকলে সেটারও সল্যুশন দেয়

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

প্রথমে ফেইস ওয়াশ বা ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে টোনার অ্যাপ্লাই করুন। নেক্সট স্টেপে সিরাম অ্যাপ্লাই করবেন। ফেইসে ২/৩ ড্রপ সিরাম নিয়ে ড্যাব ড্যাব করে অ্যাপ্লাই করতে হবে। অল্প প্রোডাক্টই এনাফ! ভালোভাবে অ্যাবসর্ব হয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে নিন। ব্যস, স্কিনকেয়ার ডান! তবে দিনের বেলা হলে এরপর সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

 

ব্রাইটেনিং এর জন্য সেইফ অপশন তো জানা হলো। অল্প সময়েই উজ্জ্বল ত্বক পেতে সেরা ৪টি ব্রাইটেনিং সিরামের রিভিউ দেখে নিলেন। সাজগোজে পেয়ে যাবেন এই সিরামগুলো। এছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রাইস রেঞ্জের সিরাম ও স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট অ্যাভেইলেবল সাজগোজে। আপনার স্কিন টাইপ ও প্রবলেম বুঝে তারপর প্রোডাক্ট সিলেক্ট করুন। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

ছবি- সাজগোজ, Simplyglow

The post অল্প সময়েই উজ্জ্বল ত্বক পেতে সেরা ৪টি ব্রাইটেনিং সিরাম appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/AaYOUbN
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...