Skip to main content

৫টি লিপস্টিক হ্যাকস দিয়ে মেকআপ লুকে আনুন ভ্যারিয়েশন

ভার্সিটি কিংবা অফিস, ক্যাজুয়াল আউটিং কিংবা বিয়ের দাওয়াত; লিপস্টিক এমন একটি মেকআপ প্রোডাক্ট যেটি প্রতিদিন অ্যাপ্লাই না করলেই নয়! আমাদের সবার কালেকশনেই বিভিন্ন শেইড ও ফর্মুলার লিপস্টিক আছে, তাই না? তবে মজার ব্যাপার হলো এই লিপস্টিকের কাজ কিন্তু শুধুমাত্র ঠোঁটে অ্যাপ্লাইতেই সীমাবদ্ধ নয়। কি? আরও জানতে ইচ্ছা করছে? আজকের ফিচারে জানাবো ৫টি লিপস্টিক হ্যাকস সম্পর্কে যেগুলো জানার পর আপনারা মাত্র একটি লিপস্টিক-ই মাল্টিপল কাজে ইউজ করতে পারবেন।

৫টি লিপস্টিক হ্যাকস

এখন মার্কেটে ম্যাট, সেমি ম্যাট, ক্রিমি -এ তিনটি ফর্মুলার লিপস্টিক সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। ন্যুড, ব্রাইট কিংবা ডার্ক – লিপস্টিকের কালারেও রয়েছে বৈচিত্র‍্য। আমাদের সবার কালেকশনে রেড, ব্রাউন, পিংক কালারের লিপস্টিক কিন্তু আছে! সবসময় তো মেকআপ ব্যাগে অনেকগুলো প্রোডাক্ট ক্যারি করা সম্ভব হয় না! কেমন হয় যদি লিপস্টিক দিয়ে মেকআপের অন্যান্য কাজও চালানো যায়? দেরি না করে চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

৫টি লিপস্টিক হ্যাকস

১) কালার কারেক্টর হিসেবে লিপস্টিক

বিভিন্ন স্কিন কনসার্ন হাইড করে ফ্ললেস মেকআপ লুক ক্রিয়েট করার জন্য আমরা কালার কারেক্টর ইউজ করি। চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল কিংবা ফেইসের পিগমেন্টেশন হাইড করতে কালার কারেক্টর হিসেবে রেড লিপস্টিক হতে পারে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড! তাই যদি হাতের কাছে কালার কারেক্টর না থাকে, তাহলে যেকোনো রেড টোনের লিপস্টিক চোখের নিচে কিংবা যেখানে যেখানে পিগমেন্টেশনের প্রবলেম রয়েছে সেখানে অ্যাপ্লাই করে নিন। তারপর একটি ভেজা বিউটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যস, হয়ে গেলো কালার কারেকশন! তারপর ফাউন্ডেশন কিংবা কনসিলার যেটিই অ্যাপ্লাই করতে চান সেটি অ্যাপ্লাই করে নিন।

২) কন্ট্যুরিং করতে লিপস্টিক

আমাদের ফেইস শেইপ ডিফাইনড দেখাতে কন্ট্যুরিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। কন্ট্যুরিং মেইনলি দুই ধরনের হয়। একটি হলো পাউডার ও অপরটি হলো ক্রিম কন্ট্যুরিং। আপনারা চাইলে ফেইসে ক্রিম কন্ট্যুরিং করতে ইউজ করতে পারেন ব্রাউন বা কফি টোনের লিপস্টিক। এক্ষেত্রে যেখানে যেখানে কন্ট্যুরিং করতে চান, সেখানে প্রথমে এক লেয়ার লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করে তারপর বিউটি ব্লেন্ডার বা ব্রাশের সাহায্যে আপওয়ার্ড মোশনে ব্লেন্ড করুন৷ জেনে রাখা ভালো, ক্রিম কন্ট্যুর হিসেবে লিপস্টিক ইউজ করতে চাইলে অবশ্যই ক্রিমি ফর্মুলার লিপস্টিক ইউজ করতে হবে। কারণ এগুলোর ফর্মুলা ক্রিমি হওয়ায় খুব ইজিলি ব্লেন্ড হয়ে যায়।

 

৩) লিকুইড ব্লাশ হিসেবে লিপস্টিক

লিকুইড ব্লাশের অল্টারনেটিভ হিসেবে লিপস্টিক খুব ভালো কাজ করে। বিশেষ করে যদি পিংক বা মভ টোনের লিপস্টিকগুলো ইউজ করা যায়, তাহলে তা যেকোনো স্কিনটোনে লিকুইড ব্লাশের মতো একদম ন্যাচারাল ফিনিশ দেয়। তাই রেগুলার ক্লাস, মিটিং কিংবা কোনো অকেশনে ন্যাচারাল মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে চাইলে এই হ্যাকটি ট্রাই করে দেখতে পারেন।

মেকআপ টিপস

যদি লিপস্টিককে ব্লাশ হিসেবে ইউজ করতে চান তাহলে শুরুতেই নিজের পছন্দের কোনো ন্যুড বা পিংকিশ টোনের লিপস্টিক বেছে নিন। যদি ফেয়ার থেকে মিডিয়াম স্কিনটোনের হয়ে থাকেন, তাহলে পিচ বা কোরাল টোনের লিপস্টিকও সিলেক্ট করতে পারেন৷ শুরুতেই দুই গালে ডট ডট করে অল্প একটু লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করে নিন। তারপর হাতের আঙুল বা বিউটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ড্যাব ড্যাব করুন এবং ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এক্ষেত্রে সাজেশন থাকবে ব্লেন্ডিংয়ের কাজটা যতটুকু সম্ভব দ্রুত করতে, তা না হলে লিপস্টিক প্যাচি হয়ে যেতে পারে এবং ঠিকমতো ব্লেন্ড নাও হতে পারে!

৪) আইলাইনার হিসেবে লিপস্টিক

আইলাইনার হিসেবে ব্ল্যাক কালারের লাইনার আমরা সবাই ইউজ করি। রেগুলার আইলুকে একটু ভ্যারিয়েশন আনতে আইলাইনার হিসেবে ইউজ করতে পারেন ম্যাট ফর্মুলার লিকুইড লিপস্টিক। এই লিপস্টিকগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পরে সাধারণত স্ম্যাজপ্রুফ হয়ে যায়। তাই এগুলো আইলাইনার হিসেবে ইউজ করলেও তা পরে ছড়িয়ে যাওয়ার চান্স থাকে না, বরং লং লাস্টিং ও ডিফারেন্ট লুক দেয়। যদি লিপস্টিককে আইলাইনার হিসেবে ইউজ করতে চান, তাহলে একটি চিকন আইলাইনার ব্রাশে লিপস্টিক নিন। চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব অল্প পরিমাণে নিতে। তারপর সেই ব্রাশটির সাহায্যে চোখে লাইনার অ্যাপ্লাই করে নিন। ব্যস, খুবই ইজি!

৫) আইশ্যাডো হিসেবে লিপস্টিক

যারা সিম্পল আইলুক ক্রিয়েট করতে পছন্দ করেন, তারা রেগুলার ইউজের জন্য আইশ্যাডো হিসেবে ক্রিমি লিপস্টিক ইউজ করতে পারেন। পিংক, ব্রাউন, রেড বা যেকোনো কালারের লিপস্টিক আইশ্যাডো হিসেবে ইউজ করা যায়। আর স্মুথলি ব্লেন্ডিং করলে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। শুরুতেই নিজের পছন্দের যেকোনো লিপস্টিক আইলিডে অ্যাপ্লাই করে নিন। তারপর একটি ছোট ব্লেন্ডিং ব্রাশের সাহায্যে ভালোমতো ব্লেন্ড করে দিন। যদি এই সিম্পল আইলুকটিকে আরেকটু গর্জিয়াস করে তুলতে চান, তাহলে লাস্টে নিজের পছন্দের গ্লিটার ইউজ করতে পারেন।

লিপস্টিক হ্যাকস

এই ছিল ৫টি লিপস্টিক হ্যাকস! আপনারাও ট্রাই করে দেখুন তাহলে। যারা মেকআপ করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি হেল্পফুল ছিলো আশা করি। সবসময় চেষ্টা করবেন অথেনটিক ব্র‍্যান্ডের লিপস্টিক ইউজ করতে। কারণ ফেইক বা রেপ্লিকা লিপস্টিক ইউজ করা হলে ঠোঁটে পিগমেন্টেশন দেখা দেওয়ার পাশাপাশি অ্যালার্জিজনিত বিভিন্ন প্রবলেম হওয়ার চান্স থাকে।

লিপস্টিকসহ অথেনটিক মেকআপ প্রোডাক্ট রিজনেবল প্রাইসে পারচেজ করতে ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ কিংবা স্টোরে। এছাড়াও সাজগোজে পেয়ে যাবেন সেলফ কেয়ারের ফুল রেঞ্জ। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

ছবি- সাজগোজ

The post ৫টি লিপস্টিক হ্যাকস দিয়ে মেকআপ লুকে আনুন ভ্যারিয়েশন appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/26cAI5V
Munia

Comments

Popular posts from this blog

স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে না তো?

আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন তখন আমি বুঝতেই পারছি আপনার হাতে টেকনোলজির সুবিধা রয়েছে। যার কারণে আপনি এখন চাইলেই যে কোনো ভিডিও দেখতে পারেন, যে কোনো তথ্য সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন। জীবন আগের চেয়ে এখন অনেক সহজ। তারপরও কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যাই। আর এই স্ট্রেস মানসিকভাবে আমাদের যতটা অসুস্থ করে দিচ্ছে, ঠিক ততটাই এফেক্ট ফেলছে আমাদের স্কিনের উপর। যেমন- স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে, সেই সাথে হচ্ছে ত্বকের নানা সমস্যা। স্ট্রেস কতভাবে স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে স্ট্রেস কমিয়ে আনা যায় তা নিয়েই আলোচনা করবো আজ। স্ট্রেস কেন হয়? বিভিন্নভাবে স্ট্রেস হতে পারে। যেমন- এনভায়রনমেন্টাল বা টেম্পারেচার চেঞ্জ (এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর)। ধরুন আপনি অনেকটা সময় ঠান্ডা রুমে ছিলেন। হুট করে যখন গরম পরিবেশে চলে আসলেন তখন শরীরে একটা স্ট্রেস হয়। আবার আর্থিক অবস্থা, লেখাপড়া, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদির কারণে সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেস দেখা দেয়। স্ট্রেস এমন একটি বিষয় যেটার সাথেও আমরা থাকতে পারি না, যেটা ছাড়াও আমাদের থাকা সম্ভব নয়। সময়ের সাথে সাথে আমরা বেশ আধু

কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো?

একটা সময় ছিল, যখন ছবি তোলা বা কারো কাছে ক্যামেরা থাকা যেন বড়সড় ব্যাপার। স্টুডিওতে যেয়ে ছবি তুলতে হতো বা কোনো কিছুর ছবি, ভিডিও এত সহজ ছিল না। অনেকদিন অপেক্ষা করে হাতে ছবি পাওয়া যেতো এবং সেটা অ্যালবামে যত্নের সাথে সংরক্ষণ করা হতো। আর এখন ছবি তোলা অনেক সহজ। বাজারের বিভিন্ন মডেলের ক্যামেরা বা হাই মেগাপিক্সেল সম্পন্ন ফোন সবার হাতে হাতে। আমরা এখন চাইলেই আমাদের সুন্দর সময়গুলোর বা শখের কাজ কিংবা ঘুরতে যেয়ে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির ছবি, ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করতে পারি। এখন কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো তা নিয়েই টুকিটাকি টিপস শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। ক্যামেরা নিয়ে কিছু বেসিক ধারণা যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার করার পূর্বে তার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় একটা ডিভাইস সম্পর্কে ঠিকভাবে না জানার কারণে ছবি তুলতে গিয়ে আমরা অনেক অপশন মিস করে ফেলি। ফলস্বরূপ ছবি সুন্দর হয় না। এই জন্য ম্যানুয়ালটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। তবে ম্যানুয়াল পড়াটা অনেকের কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাই বিভিন্ন ফিচার নিয়ে যদি বারবার প্র্যাকটিস করা যায় তাহলে ফটোগ্রাফি বিষয়টা সহজে আয়ত্তে আসে। এখন

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina