Skip to main content

অগোছালো ফ্রিজ গুছিয়ে রাখতে চান? ফলো করুন ৭টি টিপস ও ট্রিকস!

ফ্রিজ! চলার পথে সাংসারিক জীবনে এক আরাধ্য বস্তু। বাস্তবতা, আবহাওয়া সব মিলিয়ে সময়টাই এখন এমন, অনেকেরই সদ্য শুরু করা সংসারে অর্থ জমানো শুরু হয় ফ্রিজকে কেন্দ্র করে। কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে ফ্রিজ ছিল বিলাসদ্রব্যের সমান। কিন্তু দিন বদলেছে। আজকাল সুন্দর একটা ফ্রিজ ছাড়া যেনো ঘরের সৌন্দর্যটাই মলিন হয়ে আসে। তবে ফ্রিজ মানেই যে যথেচ্ছ ব্যবহার তা নয়। ঘরের আর সব জিনিসের মতো করেই, ফ্রিজেরও দরকার যত্ন আর উপযুক্ত ব্যবহার। অগোছালো ফ্রিজ কীভাবে গুছিয়ে রাখা যায় তা নিয়ে অনেকেই ভাবনায় পড়েন। কোন শেলফে কোন জিনিস রাখবেন, বক্স বা কন্টেইনার কোনটি ব্যবহার করবেন, ফ্রিজ মানেই এমন অনেকগুলো ছোটখাটো হিসেব। এসব টুকিটাকি বিষয় মাথায় রাখলেই ফ্রিজ গুছিয়ে রাখা মোটেই জটিল মনে হবে না।

অগোছালো ফ্রিজ গুছিয়ে রাখার সহজ কিছু টিপস ও ট্রিকস 

১) সঠিক জায়গায় থাকুক সঠিক জিনিস

ফ্রিজ কেনার সময় এর সাথে কিছু ক্যাটালগও দেয়া হয়। তবে সত্যি বলতে সেসব কাগজ নিয়ে আমাদের আগ্রহ বা সময় দুটোই কিছুটা কম থাকে। যার কারণে ফ্রিজ সম্পর্কে দরকারী অনেক তথ্যও জানা হয়ে ওঠে না। অথচ ফ্রিজ ব্যবহার করার শুরুতেই এসব তথ্য জানা জরুরি। যেমন- একেবারেই টপ শেলফ বা দরজার দিকটা ফ্রিজের সবচেয়ে উষ্ণ অংশ। মাঝের বা নিচের শেলফটা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা। আর সবশেষে থাকা বক্সটা ফ্রিজের সবচেয়ে শীতল অংশ।

ফ্রিজে ডিম থাকুক জায়গামতো

এ কারণে মশলা, দুগ্ধজাতীয় যে কোনো জিনিস, ডিম, সেইসাথে বাটার, জেলি কিংবা মধুর মতো খাবার উপরের শেলফে বা দরজার কাছে রাখুন। ফ্রিজের সবচেয়ে নিচের অংশের বক্সটি ব্যবহার করা হয় সবজি জাতীয় পচনশীল খাবারগুলো সংরক্ষণের জন্য। তাই এ ধরনের খাবারগুলো নিচের অংশেই রাখুন। সাধারণ এই বিষয়গুলো মেনে চললে ফ্রিজ গুছিয়ে রাখা বা ব্যবহার করা অনেকখানি সহজ হবে আপনার জন্য। সেইসাথে খাবার ভালো থাকবে বেশিদিন, সেদিক থেকে বাজার খরচেও হবে কিছু সাশ্রয়।

২) প্যাকেটের বদলে কন্টেইনার ব্যবহার

বাজার থেকে ফল কিনে আনার পর আমরা প্রায়ই দুটো কাজ করি। প্রথমত, সরাসরি কাগজের প্যাকেটসহ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখি। দ্বিতীয়ত, খোলা অবস্থায় রেখে দেই। অনেকে পলিথিনসহ ফ্রিজের ভেতর সব রেখে দেন। এই কাজগুলোর কোনোটাই করা উচিত নয়। ফল, মিষ্টি, ডিম এসব সংরক্ষণ করার সবচেয়ে ভালো উপায় কন্টেইনার বা বক্স ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে সাদা বা স্বচ্ছ বক্স ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফ্রিজে থাকা বিভিন্ন রঙের জিনিস সহজেই চোখে পড়বে। আর ফ্রিজের ভেতরের জিনিস খুঁজে পাওয়াও সহজ হবে। বিভিন্ন সস বা মেয়োনেজ সংরক্ষণে স্বচ্ছ বোতল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে কোন বোতলে কী রাখা আছে সহজেই চোখে পড়বে।

৩) কন্টেইনারের গায়ে নাম লেখা

স্বচ্ছ কন্টেইনার জোগাড় করার পর সেগুলোতে নাম লিখে রাখতে পারেন। এর জন্য সহজ উপায় হচ্ছে স্টিকার ব্যবহার করা। অনেকেই পার্মানেন্ট মার্কার ব্যবহার করেন। তবে তা সময়ের সাথে সাথে মলিন হয়ে আসে। এতে ফ্রিজের ভেতরে কোন কন্টেইনারে কী রাখা আছে তা নিয়ে কনফিউশন হতে পারে। তাই কন্টেইনারের গায়ে কাগজে নাম লিখে রাখুন। এতে ফ্রিজের কোথায় কী আছে, তা সহজে যেমন খুঁজে পাওয়া যাবে, তেমনি ফ্রিজটাও থাকবে গোছানো।

ফ্রিজ ভালো রাখতে খাবার রাখুন সযত্নে

৪) রঙিন ও পচনশীলন খাবার সামনে রাখুন

ফ্রিজ খোলার পর এলোমেলো দেখলে কিন্তু আপনারও ভালো লাগবে না। তাই ফ্রিজের ভেতরটা সাজাতে পারেন রঙিনভাবে। একেক ফল ও সবজির রঙ একেকরকম হয়। সেগুলো সামনের দিকে রাখলে কালারফুল লাগবে আর দেখতেও ভালো লাগবে। তাছাড়া ‘চোখের আড়াল তো মনের আড়াল’ এ কথা তো আমরা সবাই জানি। তাই পচনশীল খাবারগুলো সামনে রাখলে কত দ্রুত সেগুলো শেষ করতে হবে সেটারও একটা হিসেব থাকবে।

৫) ফল ও সবজির আলাদা শেলফ

সবজি আর ফলের জন্য আলাদা কন্টেইনার না নিয়ে শেলফ আলাদা করে নিন। নিচের শেলফ যেহেতু সবজির জন্য বরাদ্দ তাই এর ঠিক উপরের তাকেই যাবতীয় ফল-ফলাদি রাখতে পারেন। ঘরে ছোট সদস্য থাকলে তাদেরকেও এসব বিষয়ে অভ্যস্ত করে নিন। এতে দরকার হলে তারা নিজেরাই ফ্রিজ খুলে ফল বেছে নিতে পারবে। কোন জিনিস কোথায় রাখা উচিত সেটাও ছোটদের শিখিয়ে দিতে পারেন। এতে ফ্রিজ ব্যবহারেও তারা যত্নশীল হতে শিখবে।

৬) নিয়মিত কন্টেইনার পরিষ্কার করুন

কন্টেইনার খালি হয়ে গেলে একবার পুরো কন্টেইনার ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। স্বচ্ছ কন্টেইনারে ফাটল ধরলে কিংবা দাগ বসে গেলে সেটা ফেলে না দিয়ে যতদিন সম্ভব ব্যবহার করুন। তাছাড়া কন্টেইনার ক্লিন না করলে দুর্গন্ধ হতে পারে। যার কারণে ফ্রিজ খুললে নাকে লাগতে পারে বাজে গন্ধ। তাই নিয়মিত কন্টেইনার পরিষ্কার করুন।

কন্টেইনার ক্লিন রাখা

আরও কিছু টিপস

১) ফ্রিজের তাকগুলোতে প্লাস্টিকের ম্যাট বিছিয়ে রাখলে কোনো খাবারের দাগ পড়ে তাক নষ্ট হবে না। কিছুদিন পরপর ম্যাট ধুয়ে নিলে সহজেই ফ্রিজ পরিষ্কার রাখা যাবে।

২) প্রতি মাসে অন্তত একবার ফ্রিজ পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন চেষ্টা করুন একবার হলেও ফ্রিজের বাইরের অংশ মুছে নিতে। নইলে ধুলো জমে পরে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে যাবে।

৩) আম, কলা, লিচু জাতীয় ফলগুলো বেশিদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে পত্রিকা দিয়ে মুড়ে রাখুন।

৪) ফ্রিজের দরজার তাকে ভারী পানির বোতল রাখবেন না। এতে দরজা নাজুক হয়ে পড়তে পারে।

ফ্রিজ মানেই এলোমেলোভাবে সব জিনিস রাখা নয়। কোন খাবার কোথায় রাখা উচিত সেটা সঠিকভাবে না জানা থাকলে খাবারও দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। এতে ফ্রিজে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই ফ্রিজ ভালো রাখতে এর ভেতরে খাবার কীভাবে রাখছেন সেদিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। এতে অগোছালো ফ্রিজ গুছিয়ে রাখাও হবে, কোন জিনিস কোথায় রাখা হয়েছে তা নিয়েও ভাবতে হবে না।

 

ছবিঃ সাটারস্টক

The post অগোছালো ফ্রিজ গুছিয়ে রাখতে চান? ফলো করুন ৭টি টিপস ও ট্রিকস! appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/9FW5y4Z
Arfatun Nabila

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...