Skip to main content

ময়েশ্চারাইজিং ও সিলিং অয়েল | চুলের জন্য কোন তেলের কেমন বেনিফিট?

‘স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে প্রতি সপ্তাহে চুলে তেল দিন। চুল ময়েশ্চারাইজড রাখতে তেলের জুড়ি নেই!’ কথাগুলো খুব পরিচিত তাই না? কোকোনাট, অলিভ, অ্যাভোকাডো, ক্যাস্টর, জোজোবা কত ধরনের অয়েলই না আছে! আর চুলের যত্নে প্রতিটি তেলের আছে আলাদা আলাদা কাজ। হেয়ার কেয়ার রুটিনে যে তেলগুলো আমরা ব্যবহার করি সেগুলো মূলত ময়েশ্চারাইজিং ও সিলিং অয়েল। কিন্তু কোন অয়েল কোন ক্রাইটেরিয়ার সেটা আমরা সঠিকভাবে জানি না। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো এই দুই অয়েলের মধ্যে পার্থক্য এবং চুলের জন্য কোন তেল কী কী বেনিফিট দেয় সে সম্পর্কে।

ময়েশ্চারাইজিং ও সিলিং অয়েল এর মধ্যে পার্থক্য কী? 

আমাদের স্কিনে ন্যাচারালি প্রোডিউস হওয়া সিবাম স্কিন ও হেয়ার প্রোটেক্টেড রাখতে হেল্প করে। আবার এই ত্বক ও চুল ভালো রাখতেই একট্রা কেয়ার হিসেবে ইউজ করা হয় ডিফারেন্ট অয়েল। হেয়ার কেয়ারে ইউজ করা সব তেলের কাজ এক নয়। ময়েশ্চারাইজিং অয়েলগুলো সাধারণত হেয়ার শ্যাফট পেনিট্রেট করে, চুল ময়েশ্চারাইজড রেখে সফট ও স্ট্রং করে। আর সিলিং অয়েল ময়েশ্চার লক এবং হেয়ার স্ট্র্যান্ডের প্রোটেক্টিভ কোট হিসেবে কাজ করে, চুলের শাইন বাড়ায়।

অয়েলের পার্থক্য

ময়েশ্চারাইজিং অয়েল কীভাবে চুলের যত্ন নেয়?

ময়েশ্চারাইজিং অয়েলের আরেক নাম পেনিট্রেটিং অয়েল। চুলের বাইরের লেয়ারকে পেনিট্রেট করে ভেতরের লেয়ারে ইজিলি এক্সেস করতে পারে বলেই এর এমন নাম। হেয়ার শ্যাফটের ভেতরে ময়েশ্চার ধরে রাখতে এবং চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকখানি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে এই অয়েল।

কোন অয়েলগুলো ময়েশ্চারাইজিং?

কোকোনাট অয়েল

কোকোনাট অয়েলে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল প্রোপার্টিজ। অন্য যে কোনো তেলের চেয়ে এই তেল চুলকে পেনিট্রেট বেশি করতে পারে। নারিকেল তেলের মলিকিউলার স্ট্রাকচারটাই এমন যে পরিমাণে খুব অল্প হলেও হেয়ার শ্যাফট বেশ ভালোভাবেই ময়েশ্চারাইজড হয়। চুলে নারিশমেন্ট প্রোভাইড করে শাইনি, হেলদি ও সফট করে তুলতে এই তেলের জুড়ি মেলা ভার!

অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েলও হেয়ার শ্যাফটকে পেনিট্রেট করে ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে। সাথে চুলের গোড়া শক্ত করে, ফিরিয়ে আনে সফটনেস। হেয়ার কিউটিকলের বাইরের লেয়ার স্মুথ করে বলে চুল ন্যাচারালি শাইনি হয়। অলিভ অয়েলে থাকা হেলদি ফ্যাট, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিনস চুল স্ট্রং, হেলদি ও শাইনি করে তুলতে বেশ হেল্পফুল। এ উপাদানগুলোর কারণেই চুল ভেতর থেকে ডিপলি ময়েশ্চারাইজড হয় এবং ড্যামেজ হেয়ারে ফিরে আসে নারিশমেন্ট। এছাড়া ড্যানড্রাফ রিমুভ এবং সোরিয়াসিস রোগ সারাতে এর কার্যকর ভূমিকা তো আছেই!

অ্যাভোকাডো ও অলিভ অয়েল

হেয়ার হ্যাকস

চুলের আগা ফেটে চুলের অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে? এ সমস্যা সমাধানে অলিভ অয়েল দিয়ে একটি ছোট্ট হ্যাকস জানিয়ে দেই। চুল ট্রিম করে নিন। এবার শ্যাম্পু শেষে কন্ডিশনার ইউজ করার সময় তাতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে অ্যাপ্লাই করে নিন। তিন মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে দেখবেন আগা ফাটা সমস্যা একদম কমে গিয়েছে।

অ্যাভোকাডো অয়েল

অ্যাভোকাডো অয়েলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ই ও বায়োটিন। ড্যানড্রাফ দূর এবং হেয়ার ব্রেকেজ প্রিভেন্ট করে চুলকে আরও স্ট্রং এবং হেয়ার কিউটিকল স্মুথ করে এই অয়েল। রোদের তাপে অথবা এনভায়রনমেন্টাল কোনো কারণে যদি চুল ড্রাই হয়ে যায় তাহলে অ্যাভোকাডো অয়েল ইউজ করা খুবই ভালো একটি অপশন। অলিভ অয়েলের চেয়ে এই অয়েল বেশ হালকা যার কারণে চুলে সহজে অ্যাবজর্ব হয়ে যায়।

কীভাবে ইউজ করবেন?

বেস্ট রেজাল্ট পেতে কয়েকটি নিয়মে ময়েশ্চারাইজিং অয়েল অ্যাপ্লাই করতে পারেন-

প্রি- পু (Pre-Poo): শব্দটি মূলত প্রি-শ্যাম্পু (Pre-Shampoo) এর শর্ট ফর্ম। এর অর্থ হচ্ছে শ্যাম্পু করার আগে হেয়ার ও স্ক্যাল্পে ময়েশ্চারাইজিং কোনো মাস্ক অ্যাপ্লাই করা। চুলের ধরন বুঝে এই মাস্কটি ৩০ মিনিট বা তারও বেশি সময় রাখা যায়। চুল ময়েশ্চারাইজড রাখতে, চুলের জট ছাড়াতে, স্ক্যাল্প নারিশ রাখতে শ্যাম্পুর আগে মাস্ক ইউজ করা বেশ কার্যকর।

রিমুভাল প্রসেস (Oil Rinse): এই মেথডে চুল ধুতে হয় অয়েল ও কন্ডিশনার দিয়ে। দুটো একসাথে মিক্স করে চুলে অ্যাপ্লাই করে নিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ও স্ক্যাল্প ভালো করে ধুয়ে নিন। চুল সফট রাখতে এবং ফ্রিজি ভাব কমাতে এই পদ্ধতিটি বেশ কার্যকর।

অয়েল ম্যাসাজ

চুল ভালো রাখতে সিলিং অয়েল কেন জরুরি?

ময়েশ্চারাইজিং ও সিলিং অয়েল এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে- সিলিং অয়েলগুলো হেয়ার শ্যাফট পেনিট্রেট করে না। বরং চুলের স্ট্র্যান্ডে (strand) ময়েশ্চার লক করে রাখে। চলুন জেনে নেই এ ধরনের অয়েল কোনগুলো-

ক্যাস্টর অয়েল

সিলিং অয়েলের তালিকায় ক্যাস্টর অয়েলের নাম সবার উপরের সারিতেই থাকবে। যেসব টক্সিন/ইমপিওরিটিস এর কারণে হেয়ার গ্রোথ বন্ধ হয়ে যায়, সেগুলোকে প্রিভেন্ট করে চুল সফট করতে হেল্প করে এই তেল। থিকার টেক্সচারের কারণে এটি একটি গ্রেট সিলিং (sealing) আইটেম।

জোজোবা অয়েল

হেয়ার থিকনেস প্রোমোট এবং হেয়ার লস প্রিভেন্ট করে চুলকে আরও স্ট্রং করে তোলে জোজোবা অয়েল। ড্রাইনেস কমানো, ব্রেকেজ প্রিভেন্ট করা এবং আগা ফাটা রোধ করতে হেল্প করে এই অয়েল। বেশ লাইট হলেও ময়েশ্চার সিল করতে এটি বেশ ইফেক্টিভ। যারা ফ্লেকি ও ড্রাই স্ক্যাল্পের সমস্যায় ভুগছেন তাদের এ সমস্যা দূর করে পিএইচ লেভেল ব্যালেন্স করতে হেল্প করে জোজোবা অয়েল।

ক্যাস্টর অয়েল ও জোজোবা অয়েল

গ্রেপসিড অয়েল

পাতলা চুলের কারণে অনেকেই এই তেল প্রিফার করেন। লাইটওয়েটের এই তেলটি ইউজ করলে চুলে বেশি ভারী ফিল হয় না।

আমন্ড অয়েল

আমন্ড অয়েল শুধু হেয়ার লেন্থকেই নয়, হেয়ার রুটকেও শক্তিশালী করে। এই অয়েলও বেশ হালকা। ন্যাচারাল রিসোর্সের বেশ ভালো একটি উৎস এটি। এই অয়েলে মনোআনস্যাচুরেটেড অলিক অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড, স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। এছাড়া ভিটামিন ই এর খুব ভালো উৎস এই তেল। ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে এটি হেয়ার শ্যাফটকে পেনিট্রেট করে এবং চুলকে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে। ড্রাই হেয়ার এবং ইরিটেটেড, সেনসিটিভ ও ড্রাই স্ক্যাল্পের জন্য আমন্ড অয়েল বেশ ভালো কাজ করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর অল্প পরিমাণে সিলিং অয়েল অ্যাপ্লাই করে নিন। এতে হেয়ার স্ট্র্যান্ডে তেল ভালোভাবে বসবে এবং শাইন অ্যাড করবে।

নিয়মিত চুলে তেল অ্যাপ্লাই করা হলেও ময়েশ্চারাইজিং ও সিলিং অয়েল এর এত ধরন নিয়ে হয়তো আমাদের জানা ছিল না। এখন কিন্তু ইউজ করার সময় ইজিলি বুঝতে পারবেন কোন তেল কী প্রবলেমের জন্য ইউজ করছেন। অথেনটিক যে কোনো হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টসহ স্কিন ও মেকআপ রিলেটেড প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন সাজগোজ থেকে। অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম এবং অফলাইনে সাজগোজের চারটি আউটলেট- যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) থেকে কিনতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

ছবিঃ সাজগোজ, কার্ল রয়্যালটি ডট কম

 

The post ময়েশ্চারাইজিং ও সিলিং অয়েল | চুলের জন্য কোন তেলের কেমন বেনিফিট? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/FIYPBfl
Arfatun Nabila

Comments

Popular posts from this blog

স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে না তো?

আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন তখন আমি বুঝতেই পারছি আপনার হাতে টেকনোলজির সুবিধা রয়েছে। যার কারণে আপনি এখন চাইলেই যে কোনো ভিডিও দেখতে পারেন, যে কোনো তথ্য সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন। জীবন আগের চেয়ে এখন অনেক সহজ। তারপরও কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যাই। আর এই স্ট্রেস মানসিকভাবে আমাদের যতটা অসুস্থ করে দিচ্ছে, ঠিক ততটাই এফেক্ট ফেলছে আমাদের স্কিনের উপর। যেমন- স্ট্রেসের কারণে একনে বা প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দিচ্ছে, সেই সাথে হচ্ছে ত্বকের নানা সমস্যা। স্ট্রেস কতভাবে স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে স্ট্রেস কমিয়ে আনা যায় তা নিয়েই আলোচনা করবো আজ। স্ট্রেস কেন হয়? বিভিন্নভাবে স্ট্রেস হতে পারে। যেমন- এনভায়রনমেন্টাল বা টেম্পারেচার চেঞ্জ (এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর)। ধরুন আপনি অনেকটা সময় ঠান্ডা রুমে ছিলেন। হুট করে যখন গরম পরিবেশে চলে আসলেন তখন শরীরে একটা স্ট্রেস হয়। আবার আর্থিক অবস্থা, লেখাপড়া, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদির কারণে সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেস দেখা দেয়। স্ট্রেস এমন একটি বিষয় যেটার সাথেও আমরা থাকতে পারি না, যেটা ছাড়াও আমাদের থাকা সম্ভব নয়। সময়ের সাথে সাথে আমরা বেশ আধু

কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো?

একটা সময় ছিল, যখন ছবি তোলা বা কারো কাছে ক্যামেরা থাকা যেন বড়সড় ব্যাপার। স্টুডিওতে যেয়ে ছবি তুলতে হতো বা কোনো কিছুর ছবি, ভিডিও এত সহজ ছিল না। অনেকদিন অপেক্ষা করে হাতে ছবি পাওয়া যেতো এবং সেটা অ্যালবামে যত্নের সাথে সংরক্ষণ করা হতো। আর এখন ছবি তোলা অনেক সহজ। বাজারের বিভিন্ন মডেলের ক্যামেরা বা হাই মেগাপিক্সেল সম্পন্ন ফোন সবার হাতে হাতে। আমরা এখন চাইলেই আমাদের সুন্দর সময়গুলোর বা শখের কাজ কিংবা ঘুরতে যেয়ে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির ছবি, ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করতে পারি। এখন কীভাবে পারফেক্টলি ক্যামেরা বন্দী করা যায় সুন্দর মুহূর্তগুলো তা নিয়েই টুকিটাকি টিপস শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। ক্যামেরা নিয়ে কিছু বেসিক ধারণা যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার করার পূর্বে তার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় একটা ডিভাইস সম্পর্কে ঠিকভাবে না জানার কারণে ছবি তুলতে গিয়ে আমরা অনেক অপশন মিস করে ফেলি। ফলস্বরূপ ছবি সুন্দর হয় না। এই জন্য ম্যানুয়ালটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। তবে ম্যানুয়াল পড়াটা অনেকের কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাই বিভিন্ন ফিচার নিয়ে যদি বারবার প্র্যাকটিস করা যায় তাহলে ফটোগ্রাফি বিষয়টা সহজে আয়ত্তে আসে। এখন

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina