Skip to main content

কোন রোগে কোন চিকিৎসক? কোন সমস্যায় কোন ডাক্তারের কাছে যাবেন জেনে নিন




প্রথমবারের মত কোনো রোগের উপসর্গ দেখা গেলে সবার প্রথমেই আমরা যেই ব্যাপারটা নিয়ে সবচেয়ে বেশী চিন্তায় পড়ি তা হচ্ছে, কোন ডাক্তারের কাছে যাব! পেটে ব্যথা হচ্ছে, এখন তা যেমন পাকস্তলীর কোনো অসুখে হতে পারে, তেমনি হতে পারে কোনো মেয়েলী অসুখে। মাথাব্যাথায় আগে চোখের ডাক্তার দেখাব না নিউরোলজির ডাক্তার, এই নিয়েও পড়তে হয় বিপাকে। এখন যদি এক অসুখের কারণে অন্য কোনো অসুখের ডাক্তারের কাছে চলে যাই তাহলে প্রয়োজনে অবশ্যই ঐ ডাক্তার আরেকজন ডাক্তারের রেফারেন্স দিয়ে দিবে কিন্তু তার কারণে অনেক সময়ও যেমন নষ্ট হবে আবার হতে পারে ভোগান্তিও। একারণেই কোন ধরণের উপসর্গ দেখলে কোন ডাক্তারের কাছে যাব তা প্রাথমিকভাবে জেনে রাখা সবার জন্যই খুব জরুরী।

নিউরোলজিস্টঃ নিউরোলজিস্ট একজন বিশেষজ্ঞ যিনি মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের রোগ (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র), পেরিফেরাল স্নায়ু (ফুসফুসের বা লিভারের মতো অঙ্গ, মস্তিষ্কের সাথে মেরুদণ্ড এবং মেরুদণ্ড সংযোগকারী স্নায়ু) এবং পেশীগুলিতে রোগের চিকিৎসা করেন। স্নায়বিক রোগের মাঝে রয়েছে, মাথা ব্যাথা, মৃগীরোগ, স্ট্রোক, মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার, যেমন কম্পন বা পার্কিনসন রোগ ইত্যাদি।

কী কী হলে একজন নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হবেনঃ

১। মাথাব্যাথা

মাথাব্যাথায় আমরা কমবেশি সকলেই ভুগী। মাথাব্যাথা সাধারণত সাইনাসের ভেতর দিয়ে ঘাড়, কাঁধের পেশী, কপালে এবং মস্তিষ্কের ভেতর দিয়ে, মাথার উপরের অংশে পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। মাথাব্যাথা সাইনাস ইনফেকশন থেকে শুরু করে সামান্য দাঁতে ব্যাথা থেকেও হতে পারে। মাথাব্যাথা যেমন সাধারণ হতে পারে তেমনি এর থেকে মাইগ্রেরিনসহ আরও গুরুতর অসুখ হতে পারে যেমন বমি হওয়া, দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি। মাথাব্যাথা যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং সহ্যের বাইরে চলে যায় তবে বিলম্ব না করে নিউরোলজিস্ট দেখানো উচিৎ।

২। মাথা ঘোরানো

মাথা ঘোরানো থেকে অনেক সময় ভার্টিগো এবং ভারসাম্যহীনতা আসতে পারে। ভার্টিগো হলে আপনার মনে হবে যে, আপনার আশেপাশে সবকিছু ঘুরছে। মাথা ঘোরানো যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত মনে হয় তবে নিউরোলজিস্টের কাছে যেতে হবে।

৩। অসাড়তা ও অস্বস্তিকর অনুভূতি।

মাথায় আঘাত, বেকায়দায় বসা বা শোয়া এবং অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে থাকলে তা থেকে শরীরের কোনো একপাশে অসাড়তা বা অস্বস্তিকর অনুভুতির সৃষ্টি হতে পারে। অসাড়তা খুব বেশিক্ষন স্থায়ী হলে নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে। অনেকসময় অসাড়তা স্ট্রোকএর উপসর্গ হয়। এমনটা মনে হলে যতদ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

৪। দূর্বলতা

দূর্বলতা হচ্ছে যখন সাধারণ একটা কাজ করার জন্য আপনার পেশীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এমনটা মূলত অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়াম করলে হয় কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই অনেকদিন ধরে হলে নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে। এধরণের দূর্বলতা থেকেই বড় বড় নার্ভের অসুখ এবং স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।

৫। চলাফেরায় সমস্যা

কোনো কারণ ছাড়াই চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি হলে, কোনো অঙ্গ ভীষণভাবে কাঁপলে, বারবার হঠাৎ করেই শরীরে ঝাঁকুনি অনুভূত হলে তা নিউরোলজিক সমস্যা বলে বিবেচনা করা হয়।

৬। খিঁচুনি

হঠাৎ করে খিঁচুনি উঠলে শরীরে বারবার ঝাঁকুনি লাগবে, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হবে এবং অনেক সময় জ্ঞানও হারিয়ে যেতে পারে। খিঁচুনি অনেক সময় লো ব্লাড সুগারের কারণেও হয়ে থাকে। এ কারণে সব ঠিক থাকা সত্ত্বেও খিঁচুনি উঠলে নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।

৭। স্মৃতিশক্তি হ্রাস

অহরহ জিনিষপত্র ভুলে যাওয়া, কথা বলতে গেলে আটকে যাওয়া, অকারণেই দ্বিধাদ্বন্দে ভোগা ইত্যাদি মস্তিষ্ট, স্নায়ু এবং মেরুদন্ডের ব্যাধির কারণে হয় যা থেকে আলঝেইমারের মত অসুখও হতে পারে। একারণে এই কয়টা উপসর্গ খুব করে ধরা পরলে নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে।

৮। ঘুমানোর সমস্যা

ইনসোমনিয়া, দুশ্চিন্তায় ঘুম না হওয়া, বারবার দুঃস্বপ্ন দেখা ইত্যাদি নিউরোলজিক সমস্যার কারণে হতে পারে।

নিউরোলজিকাল যেই সমস্যাগুলোর কথা বলা হয়েছে তা আমাদের সাথে অহরহ হয়ে থাকে। একারণেই উপরোক্ত কোনো সমস্যা খুব বেশী পরিমাণে হলেই নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে। সহনীয় মাত্রায় হলে আপনার রেগুলার ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই শ্রেয়, প্রয়োজনবোধে তিনিই নিউরোলজিস্ট দেখাতে বলবেন।

রিউম্যাটোলজিস্টঃ  একজন রিউম্যাটোলজিস্ট বাতগ্রস্থ রোগের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ। বাতগ্রস্থ রোগের মাঝে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে ১০০ ধরনের চেয়েও বেশী অসুখ যার দ্বারা জয়েন্ট, হাড়, পেশী, লিগামেন্ট এবং টেন্ডন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

কী কী হলে একজন রিউম্যাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হবেনঃ

আপনি যদি মনে করেন যে আপনি এমন রোগ থেকে ভুগছেন যা আপনার জয়েন্টগুলোতে, হাড়, লিগামেন্টস, পেশী বা কোষগুলিকে প্রভাবিত করে কিংবা আপনি যদি হঠাৎ করেই এসব জায়গায় তীব্র ব্যাথা কিংবা জ্বালাপোড়া অনুভব করেন রিউম্যাটোলজিস্টের কাছে যেতে পারেন।

এন্ডোক্রিনোলজিস্টঃ এন্ডোক্রিনোলজিস্ট কিংবা ডায়াবেটিসিয়ান হচ্ছে গ্রন্থি এবং তাদের তৈরি হরমোনের বিশেষজ্ঞ। তাঁরা মেটাবলিজম, বিপাক এবং আপনার শরীরের বায়োকেমিক্যাল প্রসেস নিয়ে কাজ করেন।

কী কী হলে একজন এন্ডোক্রিনিনোলজিস্টের শরণাপন্ন হবেনঃ

আপনি যদি আশঙ্কা করেন যে আপনি ডায়াবেটিস কিংবা হরমোনাল কোনো সমস্যা কিংবা থায়রয়েডের কোনো অসুখে ভুগছেন, তাহলে আপনি বিনা সঙ্কচে এন্ডোক্রিনিনোলজিস্ট দেখাতে পারেন।

পেডায়ট্রিশিয়ানঃ পেডায়ট্রিশিয়ান হচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞ। সাধারণত সন্তান জন্মের পরপরই আপনার রেগুলার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে একজন পেডায়ট্রিশিয়ান ঠিক করে ফেলা উচিৎ যিনি কিনা ১৮-২১ বছর পর্যন্ত আপনার সন্তানের চিকিৎসা করবেন। একজন নির্দিষ্ট পেডায়ট্রিশিয়ানের কাছেই সবসময় যাওয়া শ্রেয় কেননা তিনিই আপনার সন্তান জন্মের প্রথম দিন থেকেই তার স্বাস্থ্যের সবধরণের খবর রেখে থাকেন।

তথ্যসূত্রঃ

  1. https://healthcare.utah.edu/neurosciences/neurology/neurologist.php

নেফ্রোলজিস্টঃ নেফ্রোলজিস্ট কিডনি রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ।

নেফ্রোলজিস্ট কী কী ধরণের চিকিৎসা করে থাকেনঃ

১। কিডনির সূক্ষ ইঞ্জুরি যা পানিশূন্যতা এবং কিডনিতে রক্তসঞ্চালনে বাঁধার সূত্রপয়াত ঘটায়।

২। অনেকদিন ধরে কিডনির অচলাবস্থা।

৩। কিডনি পাথর।

৪। পাইলোনিফ্রাইটিস, যা মূত্রথলীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের কারণে হয় এবং অবহেলায় ধীরে ধীরে কিডনি ইনফেকশনের পরিণত হয়।

এছাড়াও যে সকল অসুখ কিডনির ক্ষতি করেঃ

১। ডায়াবেটিস।

২। উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ।

৩। অতিরিক্ত ওজন।

৪। জন্মসূত্রে।

রক্তশূন্যতা, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, মূত্রথলীর সমস্যা, ইনসোমনিয়া, অকারণে ক্লান্তি  ইত্যাদি কিডনির কোনো অসুখের কারণে হতে পারে তাই এধরণের কোনো সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত মনে হলে নেফ্রোলজিস্টের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।

ডার্মাটোলজিস্টঃ ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

যে সকল কারণে ডার্মাটোলজিস্টের কাছে যাওয়া আবশ্যকঃ

১। ব্রণঃ ব্রণ সাধারণত একটা বয়সের পরে চলে যেতে শুরু করে কিন্তু তার ব্যাতিক্রম হলে কিংবা অস্বাভাবিক পরিমাণে ব্রণ উঠলে ডার্মাটলজিস্টের কাছে যেতে হবে।

২। স্কিন ক্যান্সারঃ স্কিন ক্যান্সার আছে কিনা তা একজন ডার্মাটোলজিস্টের কাছে স্ক্রিনিং না করিয়ে বোঝা সম্ভব না তাই আপনার ত্বকে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখলে এবং আপনার মাঝে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকলে দ্রুতই ডাক্তার দেখিয়ে নিন।

৩। এক্সিমাঃ অনেকদিন ধরে ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি হলে তা এক্সিমার লক্ষণ।

৪। স্কিন ড্যামেজঃ বয়স বা যেকোনো কারণে আপনার ত্বক ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকলে তার চিকিৎসাও এই ডাক্তার করবেন।

৫। দাগঃ ত্বকে কোনোরকম দাগ থাকলে তার চিকিৎসাও এখানে হবে।

অনকোলজিস্টঃ অনকোনজিস্ট হচ্ছে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। প্রত্যেক অঙ্গের ক্যান্সারের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা অনকোলজিস্ট।

ইউরোলজিস্টঃ মূত্রনালীর ও পুরুষ প্রজনন ব্যবস্থার বিশেষজ্ঞ। পুরুষাঙ্গ বিষয়ক যেকোনো সমস্যা যেমন; মূত্রপাতে সমস্যা, রক্তপাত, ব্যথা, বন্ধাত্ব ইত্যাদি যেকোনো ধরণের সমস্যায় ইউরোলজিস্টের কাছে যেতে হবে।

কার্ডিওলজিস্টঃ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।

যে সকল কারণে কার্ডিওলজিস্টের কাছে গিয়ে চেক আপ করানো আবশ্যকঃ

১। তীব্র বুকে ব্যথা।

২। পরিবারে আগে কারো হৃদরোগ হয়ে থাকলে।

৩। কলেস্ট্রোরেলের মাত্রা ২০০এমজি/ডিএল বা এর বেশি হলে।

৪। উচ্চ রক্তচাপ।

৫। ধূমপায়ী হয়ে থাকলে।

৬। ডায়াবেটিক হলে।

৭। প্রিএক্লেম্পশিয়া হলে।

৮। ৪০ বছর বয়স পার করার পরে নতুন করে কোনো ব্যায়াম শুরু করার আগে।

৯। মাড়িতে অতিরিক্ত ব্যথা হলে কারণ তা অনেক সময় হৃদরোগের কারণে হয়ে থাকে।

হৃদরোগের উপসর্গঃ

১। বুকে তীব্র চাপ, ব্যথা, বা বুকে অস্বস্তি।

২। বুকের ব্যথা বা অস্বস্তি যা কাঁধ, ঘাড়, অস্ত্র, বা চোয়াল মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্রামের পরেও তা কমে না।

৩। ঘাম, ঠান্ডা, চামড়া ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।

৪। নিঃশ্বাসের দুর্বলতা

৫। বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৬। মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

৭। অস্পষ্ট দুর্বলতা বা ক্লান্তি।

৮। দ্রুত বা অনিয়মিত পালস।

৯।চোয়াল, ঘাড়, পিঠের উপরের দিক বা বুকে ব্যথা

১০। কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হওয়া।

১১। গিলতে অসুবিধা

১২। বুক ধড়ফড় করা।

১৩। উদ্বেগ।

১৪। নিম্ন রক্তচাপ।

উপরের যেকোনো উপসর্গ আপনার মাঝে থাকলে দ্রুতই কার্ডিওলজিস্টের কাছে যান। আপনার হৃদয় আপনার শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেশী, এর যত্ন নিন।

অর্থোপেডিক সার্জনঃ হাড়, জয়েন্ট, লিগামেন্ট, টেন্ডনের রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। কিছু অর্থোপেডিক সবরকমের অঙ্গের চিকিৎসা করে এবং বাকিরা শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গের বিশেষজ্ঞ যেমন, কোমর, হাঁটু, পা এবং গোড়ালি।

যেকোনো দূর্ঘটনাবশত কারণে বা অকারণেই এসকল জায়গায় দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা অনুভূত হলে এই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

অস্টিওপ্যাথিকঃ চক্ষু বিশেষজ্ঞ। চোখ এবং দৃষ্টিশক্তির চিকিৎসা করেন।

যে সকল কারণে অস্টিওপ্যাথিকের কাছে গিয়ে চেক আপ করানো আবশ্যকঃ

১। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস।

২। দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন।

৩। চোখের আকার, বর্ণ এবং ধরনে পরিবর্তন।

৪। কোনো বস্তুর বর্ণ বুঝতে না পারা।

৫। দৃষ্টিশক্তি সংকুচিত হওয়া।

এছাড়াও নির্দিষ্ট সময় পর পর চোখের পরীক্ষা করাতে হবে;

১৯ বছর বয়স থেকে ৪০ বছর বয়স: অন্তত প্রতি ১০ বছর পর পর।

৪১ বছর বয়স থেকে ৫৫ বছর বয়স: অন্তত প্রতি ৫ বছর পর পর।

৫৬ বছর বয়স থেকে ৬৫ বছর বয়স: অন্তত প্রতি ৩ বছর পর পর।

৬৫ বছর বয়সে অন্তত প্রতি ২ বছর পর পর।

লিখেছেনঃ সাদিয়া তাসমিয়া

সু-স্বাস্থ্যের বক্তব্য:

কিছু কিছু উপসর্গ থাকে, যেগুলোর জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দরকার। এসব বিষয়ে কখনোই বিশেষজ্ঞের সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। যেমন বুকে ব্যথা হলে দ্রুত যেতে হবে হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে। সরাসরি জরুরি বিভাগে দেখা করাই ভালো। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি, ভুল বা অসংলগ্ন কথাবার্তা, হঠাৎ জ্ঞান হারানো, কোনো অঙ্গ অবশ হয়ে পড়া, প্রচুর বমি বা ডায়রিয়া, আঘাত পাওয়া বা হাড় ভাঙা, বমি, মল বা কাশির সঙ্গে রক্তপাত, প্রচণ্ড পেটব্যথা, বিষক্রিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের শরণাপন্ন হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়ে যাওয়াটা জরুরি। পরে বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেরই দায়িত্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো।

* শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থতায় যার-তার পরামর্শ না নিয়ে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। তিনি যেকোনো চিকিৎসক (জেনারেল ফিজিশিয়ান) হতে পারেন।

* সমস্যা যত ছোটই হোক, দোকানির পরামর্শে কখনোই ওষুধ কিনে খাবেন না। উল্টোপাল্টা চিকিৎসা না নেওয়াই ভালো।

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

Uttara Lake View Specialized Hospital

Uttara Lake View Specialized Hospital Address: Address: House#34, Road# 5A/10B, Sector#11, Uttara, Dhaka, 1230 Phone:  01813-904080 Available Services: 24 hours emergency service Self-contained ICU NICU HDU Cabin General Ward Corona Unit Chamber of Specialist Doctors. Also, all units are open including any complex operation. from Specialist Doctor List https://ift.tt/GFQ56KdRb via IFTTT