Skip to main content

সম্পর্কের পাঁচ রেড ফ্ল্যাগ নিয়ে সতর্ক হোন এখনই

অনেক সময় সম্পর্কের শুরুটা দারুণ হয়, কিন্তু ধীরে ধীরে ভেতরে ভেতরে কিছু একটা যেন ঠিক চলে না। আপনি হয়তো বোঝার চেষ্টা করেন, আবার নিজেকেই সন্দেহ করেন—’আমি বেশি ভাবছি না তো?’ আজ জানাবো সম্পর্কের পাঁচ রেড ফ্ল্যাগ নিয়ে যা ভবিষ্যতের বড় সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

সম্পর্কের পাঁচ রেড ফ্ল্যাগ মিলিয়ে নিন

১. সব সময় মনে হয়, কিছু একটা ঠিক নেই

এই অনুভূতিটা খুব সূক্ষ্ম, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি জানেন না ঠিক কী সমস্যা, কিন্তু মন বারবার বলছে, “এটা ঠিকঠাক চলছে না।” আপনি ভাবেন, হয়তো কাজের চাপ, পারিবারিক টেনশন, অথবা সাময়িক মানসিক অবস্থা। কিন্তু দিনের পর দিন যদি এই অনুভূতি সঙ্গী হয়ে থাকে, তাহলে সেটা হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। সম্পর্ক মানেই নিরাপত্তা আর মানসিক শান্তি। যদি তা না মেলে, তবে সেটা ভেবে দেখা জরুরি।

২. আপনি নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন না

প্রেমের সম্পর্ক মানেই নিজের আসল রূপে থাকার জায়গা। কিন্তু যদি আপনি সম্পর্কের মধ্যে নিজেকে বদলে ফেলেন—শুধু শান্তি বজায় রাখতে অথবা সঙ্গীকে খুশি রাখতে—তাহলে সেটা ভালোবাসা নয়, সেটা একধরনের অভিনয়। সম্পর্ক তখনই টেকে যখন একজন মানুষ তার সমস্ত দিক নিয়ে গ্রহণযোগ্য হয়। যদি আপনি সব সময় নিজের কথা বলতে ভয় পান, তাহলে সেটা সম্পর্কের বড় দুর্বলতা।

৩. ঝগড়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে পারেন না

সব সম্পর্কেই ঝগড়া হয়। কিন্তু সেই ঝগড়া যদি প্রতি সপ্তাহে কাঁদিয়ে তোলে এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত করে দেয়—তবে সেটি আর সাধারণ ঝগড়া নয়। যদি প্রতিটি ঝগড়ার পর সম্পর্ক আগের মতো না থাকে, দূরত্ব বাড়তে থাকে, তখন ভাবা উচিত—এই সম্পর্ক আপনাকে সুস্থভাবে টিকিয়ে রাখছে তো?

৪. কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সঙ্গীকে ভালো লাগে, বাকি সময় না

ডেট নাইট, সিনেমা দেখা, অথবা বিশেষ দিনে সব ঠিকঠাক মনে হয়। তখন আপনি ভাবেন, “এই তো ভালোবাসা!” কিন্তু পরের দিন যখন বন্ধুদের সামনে অথবা বাস্তব জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তে সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে ভালো লাগে না, তখন বুঝতে হবে—ভালোবাসা শুধুই পরিবেশ নির্ভর হয়ে গেছে। সম্পর্ক যদি শুধু কিছু নির্দিষ্ট মুহূর্তে ভালো লাগে, তবে সেটা টেকসই হয় না।

৫. মূল বিশ্বাস ও মূল্যবোধে মিল নেই

প্রতিটি মানুষ আলাদা, এটা ঠিক। কিন্তু সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে কিছু মূল জায়গায় মিল থাকা দরকার—যেমন জীবনের লক্ষ্য, পরিবারের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, সন্তান পালনের চিন্তা ইত্যাদি। যদি এই জায়গাগুলোতে বারবার মতবিরোধ হয়, তাহলে সেটা বড় সংকেত যে আপনারা হয়তো একসঙ্গে ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত নন।

সম্পর্ক মানেই সবকিছু মানিয়ে নেওয়া নয়

ভালোবাসা মানেই শুধু একে অপরকে ভালো লাগা নয়, বরং সম্মান, গ্রহণযোগ্যতা এবং মানসিক শান্তির জায়গা তৈরি করা। যদি সেই জায়গাটা না থাকে, তাহলে নিজেকে জোর করে সম্পর্কের মধ্যে রাখার মানে নেই।

নিজেকে ভালোবাসা, নিজের শান্তিকে গুরুত্ব দেওয়া—এই দুটো জিনিস কোনও সম্পর্কের চেয়েও বড়। যদি আপনি বুঝতে পারেন, এই সম্পর্কটা আসলে আপনাকে আটকে রাখছে, তাহলে বেরিয়ে আসাই হতে পারে সবচেয়ে সাহসী ও স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত।

ছবি- সাটারস্টক

The post সম্পর্কের পাঁচ রেড ফ্ল্যাগ নিয়ে সতর্ক হোন এখনই appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/Omiuxdl
Jannatul Kawser

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...