Skip to main content

প্রিয়জনকে চমকে দিন এই অসাধারণ উপহারগুলো দিয়ে!

বিশেষ দিনে বা কোনো কারণ ছাড়াই প্রিয়জনকে সুন্দর উপহার দিয়ে চমকে দেওয়ার আনন্দটাই আলাদা! ‘ফুল তো প্রায়ই দেওয়া হয়, এবার দিতে চাই একটু ডিফারেন্ট কিছু!‘ কিন্তু, কী উপহার দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন, তাই না? তাহলে এই ফিচারটি আপনার জন্যই! আজ এমন কিছু দারুণ উপহার আইডিয়া শেয়ার করবো, যা পছন্দ না করে আপনার প্রিয়জন পারবেনই না!

প্রিয়জনকে চমকে দিতে কী ধরনের উপহার দিবেন? 

১. পার্সোনালাইজড গিফটস

প্রিয়জনকে খুশি করতে পার্সোনালাইজড গিফট হতে পারে সেরা চয়েস। যেমন—

  • কাস্টমাইজড মগ বা কুশন যেখানে থাকবে প্রিয়জনের নাম বা প্রিয় কোনো উক্তি।
  • একটি ফটো ফ্রেম বা স্ক্র্যাপবুক, যাতে থাকবে আপনাদের সুন্দর মুহূর্তের ছবি।
  • নাম লেখা জুয়েলারি, হতে পারে সেটা ব্রেসলেট বা লকেট।

এমন উপহার সবসময় মনে রাখার মতো হবে এবং যাকে দিচ্ছেন সে কিন্তু স্পেশাল ফিল করবে।

২. প্রিমিয়াম স্কিনকেয়ার বা বডি কেয়ার সেট

যদি আপনার প্রিয়জন বিউটি বা স্কিনকেয়ার ফ্রিক হন, তাহলে গিফট হিসেবে লাক্সারি স্কিনকেয়ার বা বডি কেয়ার সেট তার জন্য পারফেক্ট হবে! স্কিনকেয়ার বা বডি কেয়ার সেট-ই দিতে হবে, এমনটা না! চাইলে তার পছন্দের ব্র্যান্ডের লিপস্টিক, বা প্রিয় শেইডের নেইল পলিশও উপহার দিতে পারেন। মেয়েরা কিন্তু এই ধরনের প্রোডাক্ট পেলে দারুণ খুশি হয়।

৩. পারফিউম

প্রিয়জনের পছন্দের ফ্রেগ্রেন্সটি খুঁজে বের করুন। ভালো কোনো পারফিউম কিন্তু স্মৃতি হয়ে থাকে! সে যদি সুইট, মাইল্ড স্মেল পছন্দ করে, তাহলে ফ্লোরাল বা ভ্যানিলা বেইজড পারফিউম দিন। যদি তার স্পেসিফিক কোনো ব্র্যান্ডের পারফিউমে ফ্যাসিনেশন থাকে, তাহলে সেটাই পিক করুন। সেই পারফিউমই প্রিয়জনকে প্রতিদিন আপনার কথা মনে করিয়ে দিবে!

৪. হাতের তৈরি উপহার

যদি একদম ইউনিক কিছু উপহার দিতে চান, তাহলে নিজের হাতেই কিছু বানিয়ে ফেলুন! সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে- নিজের মনের কথা বা ফিলিংসের কথা একটি চিঠিতে লিখুন—হাতের লেখার মধ্যে ভালোবাসার আলাদা একটা অনুভূতি থাকে! DIY জুয়েলারি, ফটোফ্রেম, পেন হোল্ডার বা পেইন্টিংও দিতে পারেন। এগুলোতে থাকে ভালোবাসার ছোঁয়া! প্রিয়জনের মন জয় করতে চাইলে একটু সময় দিন, আর তৈরি করুন একদম ইউনিক কিছু!

৫. বই

একজন বইপ্রেমীর জন্য বইয়ের চেয়ে ভালো গিফট আর কিছু হতে পারে না! প্রিয় লেখকের নতুন বই, মোটিভেশনাল বা সেলফ-হেল্প বই, বা হতে পারে প্রেমের কোনো উপন্যাস।

৬. ফ্যাশন অ্যাক্সেসরিজ

স্টাইলিশ ব্যাগ বা ওয়ালেট, সানগ্লাস, ঘড়ি, মোবাইল ফোন কভার এই জিনিসগুলো কিন্তু গিফট হিসেবে একদম পারফেক্ট এবং খুবই কমন। চুড়ি, টিপের পাতা কিংবা কানের দুল, এগুলো উপহার হিসেবে মেয়েরা দারুণ পছন্দ করে। এই জিনিসগুলো দিয়ে আপনি নিজেই একটি ডালা সাজিয়ে নিতে পারেন। দেখবেন আপনার প্রিয় মানুষটি কতটা খুশি হবে।

৭. ঘর সাজানোর জিনিস

প্রিয় মানুষটির বেড রুমেই থাকুক না আপনার দেওয়া কোনো উপহার! আপনার প্রিয়জনকে বিশেষ কোনো দিনে গিফট করতে পারেন হোম ডেকোর আইটেমস। যেমন- ইউনিক কোনো শোপিচ, ফুলদানি, বেড সাইড ল্যাম্প, ওয়াল হ্যাংগিং, ড্রিম ক্যাচার কিংবা শখের কোনো গাছ।

উপহার মানেই শুধু বস্তু নয়, আপনার সঙ্গ ও নতুন কোনো এক্সপেরিয়েন্সও হতে পারে সেরা গিফট! প্রিয়জনকে দিতে পারেন সিনেমা বা মিউজিক কনসার্টের টিকিট, যা একসঙ্গে আপনারা উপভোগ করতে পারবেন এবং আপনাদের সময়ও দারুণ কাটবে। একটি ছোট ট্রিপ প্ল্যান করতে পারেন, যেটা হবে স্মৃতিতে ভরপুর! কিংবা রেস্টুরেন্টে ডিনার বা কফি ডেট—শুধু দুজনের জন্য একান্ত কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতেই পারেন।

উপহারের আসল সৌন্দর্য কিন্তু মূল্য বা দাম দিয়ে নির্ণয় করা যায় না, বরং তাতে থাকা ভালোবাসা ও যত্ন-ই মুখ্য বিষয়! প্রিয়জনকে খুশি করার জন্য আপনি কোন গিফটটা দিতে চাচ্ছেন, শেয়ার করুন কমেন্ট সেকশনে…

ছবি- সাটারস্টক

লেখা- তানিজা ইসলাম

The post প্রিয়জনকে চমকে দিন এই অসাধারণ উপহারগুলো দিয়ে! appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/VKtBQfv
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...