Skip to main content

ট্র‍্যাডিশনাল লুক হবে আরও মোহনীয় এই ৬টি টিপস ফলো করে

বাঙালি নারীদের সাজসজ্জায় ট্র‍্যাডিশনাল মেকআপ লুক সবসময়ই থাকে পছন্দের তালিকার একদম শুরুর দিকে। উৎসব হোক বা দাওয়াত- এই ধরনের লুক ক্যারি করতে সবাই পছন্দ করেন। আজকের ফিচারে আপনাদের জানাবো ৬টি টিপস যেগুলো আপনাদের ট্র‍্যাডিশনাল লুক করে তুলবে আরো এলিগ্যান্ট। চলুন জানা যাক…..

ট্র‍্যাডিশনাল লুক ক্রিয়েট করতে যে বিষয়গুলো ফলো করবেন

১) শাড়ির কুঁচি সেট করতে হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করুন

ট্র‍্যাডিশনাল লুক ক্রিয়েট করতে অনেকেই সুতি বা তাঁতের শাড়ি প্রিফার করেন। এই ম্যাটেরিয়ালের শাড়িগুলো কমফোর্টেবল হওয়ায় লং-টাইম ক্যারি করা যায় নিশ্চিন্তে। কিন্তু এই শাড়িগুলোর একটি সমস্যা হলো কুঁচি সেট করার পর সেফটিপিন লাগানো হলেও কেমন যেন ফুলে ফুলে থাকে।

এই সমস্যা এড়ানোর কুইক ফিক্স হতে পারে হেয়ার স্ট্রেইটনার। কি? অবাক হচ্ছেন? লো টু মিডিয়াম হিটে স্ট্রেইটনার গরম করে যেভাবে চুল স্ট্রেইট করেন ওই একই পদ্ধতিতে শাড়ির কুঁচিতে কয়েকবার টেনে নিন। এতে করে দেখবেন আপনার শাড়ির কুঁচি খুব সুন্দর ভাবে সেট হয়ে থাকবে।

২) সেইম ম্যাটেরিয়ালের জুয়েলারি বেছে নিন

ধরুন, কোনো দাওয়াতে আপনি নিজের পছন্দের শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে কানে মাটির কানের দুল পরলেন আর গলায় পরলেন সোনার নেকলেস – দেখতে একদম মিসম্যাচড লাগবে, তাই না?

আসলে যেকোনো ট্র‍্যাডিশনাল লুকের ক্ষেত্রে সঠিক জুয়েলারি বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এই বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ফলশ্রুতিতে দেখা যায় শাড়ি ও মেকআপ পারফেক্ট হলেও জুয়েলারি সিলেকশনে ভুল হওয়ার কারণে দেখতে সুন্দর লাগছে না। সবসময় চেষ্টা করবেন গলায়, কানে কিংবা হাতে যাই পরুন না কেন, তা যেন সেইম ম্যাটেরিয়ালের হয়।

যেমন ধরুন, যদি সিলভারের জুয়েলারি পরেন, তাহলে আপনার নেকপিস, কানের দুল, আংটি সবই যেন সিলভারের হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আবার গোল্ডের জুয়েলারি পরলে তার সাথে সিলভার বা অন্য কোনো ম্যাটেরিয়ালের জুয়েলারি পরা থেকে বিরত থাকুন। এভাবে জুয়েলারি বাছাই করলে তা পুরো লুককেই সুন্দরভাবে কমপ্লিমেন্ট করবে।

৩) অতিরিক্ত জুয়েলারি পরা থেকে বিরত থাকুন

“Less is more”- এই কথাটি স্কিনকেয়ার ও মেকআপের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তেমনি জুয়েলারির ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি মেনে চলতে হবে। অনেকেই আছেন যারা শাড়ির সাথে কানে বড় বড় ঝুমকা পরেন, আবার গলায় ভারি নেকপিসও পরেন। এত জুয়েলারি একসাথে পরলে তা দেখতে যেমন অসামঞ্জস্যপূর্ণ লাগে, আবার আনকমফোর্টেবল ফিল হয় বলে লম্বা সময় ক্যারি করতেও স্ট্রাগল করতে হয়।

তাই যদি আপনারা কানে বড় ঝুমকা বা দুল পরেন, তাহলে চেষ্টা করবেন গলায় মানানসই কোনো নেকপিস পরতে। অথবা বড় কানের দুলের সাথে নেকপিস স্কিপ করতে পারেন। আবার যদি গলার ভারি কোনো হার বা মালা পরেন, সেক্ষেত্রে কানের একটু ছোট সাইজের দুল পরার চেষ্টা করুন। আর চুড়ি বা আংটি পরার ক্ষেত্রে সেভাবে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নিজের প্রেফারেন্স অনুযায়ী পরতে পারেন।

৪) বেইজ মেকআপের শুরুতে ও মাঝে সেটিং স্প্রে অ্যাপ্লাই করুন

ট্র‍্যাডিশনাল লুকের ক্ষেত্রে বেইজ মেকআপ যত বেশি ন্যাচারাল হবে, দেখতে তত বেশি সুন্দর লাগবে। এবার ফ্ললেস বেইজ ক্রিয়েট করার একটি ইজি হ্যাক শেয়ার করি। ফাউন্ডেশন ও কনসিলার অ্যাপ্লাই করার আগে এবং ব্লেন্ড করার পর পুরো ফেইসে সেটিং স্প্রে অ্যাপ্লাই করে নিন। চাইলে সরাসরি অ্যাপ্লাই করতে পারেন অথবা আমার মতো বিউটি ব্লেন্ডারের সাহায্যেও সেটিং স্প্রে অ্যাপ্লাই করে নিতে পারেন। এতে করে ক্রিম বেইজড প্রোডাক্টগুলো স্মুথলি আপনার স্কিনে ব্লেন্ড হয়ে যাবে এবং পারফেক্ট ফিনিশিংয়ের বেইজ পেয়ে যাবেন।

৫) আই মেকআপ সিম্পল রাখুন

শাড়ির সাথে সিম্পল ও সফট আইলুক এখন বেশ ট্রেন্ডি। চেষ্টা করুন এমন একটি আইলুক ক্রিয়েট করতে, যা খুব বেশি ড্রামাটিক নয় এবং দিন কিংবা রাত যেকোনো সময়েই ক্যারি করা যায়। আমি পারসোনালি শাড়ির সাথে সফট স্মোকি আইলুক ক্রিয়েট করতে খুবই পছন্দ করি। এই ধরনের আইলুক করতে সময় যেমন কম লাগে, তেমনি যেকোনো ট্র‍্যাডিশনাল আউটফিটের সাথে সহজে মানিয়ে যায়। চাইলে আপনারাও ব্ল্যাক বা ব্রাউন স্মোকি লুক ক্রিয়েট করতে পারেন, আবার শাড়ির রংয়ের সাথে ম্যাচিং করেও স্মোকি আই ক্রিয়েট করতে পারেন।

যারা স্মোকি আইলুক ক্রিয়েট করতে চান না, তারা ম্যাট কাট ক্রিজ লুকও করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ভালো একটি কনসিলার ইউজ করা একদম ম্যান্ডেটরি! আইলাইনারের ক্ষেত্রে চিকন করে উইং লাইনার দিতে পারেন, অথবা ব্লেন্ডিং ব্রাশ দিয়ে হালকা স্ম্যাজও করে দিতে পারেন। সবশেষে আইলুক কমপ্লিট করতে ওয়াটারপ্রুফ মাশকারা অ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না।

৬) সঠিক শেইডের লিপস্টিক বেছে নিন

লিপস্টিক এমন একটি প্রোডাক্ট যা ছাড়া যেকোনো মেকআপ লুক ইনকমপ্লিট থেকে যায়। সব সময় আউটফিটের কালারের সাথে কমপ্লিমেন্ট করে এমন লিপস্টিক শেইড বেছে নেওয়া উচিত।

যদি আপনার শাড়ির ডার্ক কালারের হয় যেমন- গ্রিন, ডার্ক ব্লু, রয়েল ব্লু; সেক্ষেত্রে ন্যুড শেইডের লিপস্টিক ভালো মানাবে। অন্যদিকে যদি লাইট কালারের শাড়ি হয়, সেক্ষেত্রে একটু ডিপ শেইডের লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করলে দেখতে ক্ল্যাসি লাগবে। অনেকে আবার লাল বা খয়েরি শাড়ির সাথে সেইম শেইডের লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করতে পছন্দ করেন। এটা আসলে কে কীভাবে ক্যারি করছেন, ওভারঅল মেকআপ লুক কেমন, সেটার উপর ডিপেন্ড করে। একটু ডিফারেন্ট লুক আনতে আপনারা লিপস্টিকের উপর লিপগ্লসও অ্যাপ্লাই করতে পারেন।

আশা করি এই টিপসগুলো ফলো করে আপনারা নিজের মনের মতো ট্র‍্যাডিশনাল লুক ক্রিয়েট করতে পারবেন খুব সহজেই। যেকোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন অথেনটিক প্রোডাক্ট চুজ করার। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

ছবি- সাজগোজ

লিখেছেন- সুমাইয়া দোলা

The post ট্র‍্যাডিশনাল লুক হবে আরও মোহনীয় এই ৬টি টিপস ফলো করে appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/GIny5QH
Munia

Comments

Popular posts from this blog

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina...

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...