Skip to main content

অফিস মিটিং এ কনফিডেন্ট থাকার ৭টি কার্যকরী টিপস

নতুন নতুন জয়েন করেই অফিসের মিটিং! কী করবেন কী বলবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না? কাজের ক্ষেত্রে এই মিটিং বা গেট টুগেদারগুলো নিয়ে প্রথমদিকে আমাদের বেশ জড়তা ও অস্বস্তি কাজ করে। কিন্তু জানেন কি, ঠিকঠাক স্ট্র‍্যাটেজিতে এই পরিস্থিতিগুলো কতটা আয়ত্ত্বে নিয়ে আসা যায়? এজন্য প্রয়োজন শুধু একটু কনফিডেন্স, সাথে কিছু টিপস আর ট্রিকস ফলো করা! চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু টিপস যেগুলো অফিস মিটিং এ আপনাকে রাখবে কনফিডেন্ট –

১.সময় নিয়ে রিসার্চ ও প্র‍্যাকটিস জরুরি

যে বিষয় নিয়ে কথা বলবেন, তা সম্পর্কে অবশ্যই আগে থেকে ভালোভাবে জেনে নিবেন। এতে করে কীভাবে কথা বলতে হবে, সে বিষয়ে আগে থেকেই প্রিপারেশন নেওয়া যাবে। যেমন ধরুন, হতে পারে মিটিং এ আপনি একটা নতুন আইডিয়া দিতে যাচ্ছেন। আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে এই আইডিয়াতে সাফল্যের সম্ভাবনা কতটুকু, কী কী বাধা আসতে পারে, কতদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা যেতে পারে এসব সম্পর্কে প্রোপার রিসার্চ ও ক্যালকুলেশন করে নিতে পারবেন। এতে করে যখন মিটিংয়ে কথা বলবেন, আপনার আলোচনা বেশ ভালো ভিত্তি পাবে, এবং অন্যান্যদের তুলনায় আপনি অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।

২. ড্রেস কোড হতে হবে ঠিকঠাক

যেকোনো অকেশনের জন্য প্রোপার ড্রেসিং মানে হচ্ছে অর্ধেক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলা। কর্পোরেট মিটিং এ আউটফিট পারফেক্ট হলে কনফিডেন্স বেড়ে যায় কয়েকগুণ। চেষ্টা করবেন ফরমাল ড্রেস কোড মেনটেইন করতে। এমন পোশাক পরবেন যা আপনার জন্য অস্বস্তিকর না হয়, আবার খুব ক্যাজুয়াল ও না হয়। কালারের ক্ষেত্রে হালকা কালারগুলোই বেশি স্যুইটেবল। স্যুট, ব্লেজার, সালওয়ার কামিজ, শাড়ি যাই পরুন না কেন, তা হবে পরিপাটি এবং মেকআপ হবে মার্জিত কিন্তু ব্যক্তিত্বপূর্ণ। ঠিকঠাক ভাবে তৈরি হতে পারলে আয়নায় তাকিয়ে দেখতে পাবেন, আপনার কনফিডেন্স নিজে থেকেই কতটা বেড়ে গেছে।

অফিস মিটিং এ প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তুলুন

৩. প্রশ্ন করার অভ্যাস

অফিসের মিটিংয়ে মনোযোগ দেওয়া ও প্রশ্ন করা জরুরি। তাই কারো কথা বুঝতে কোনো গ্যাপ থাকলে, অথবা বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই প্রশ্ন করবেন। এতে কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ প্রকাশ পাবে। একই সাথে সপ্রতিভ হয়ে যেখানে দরকার সেখানে মতামত দিতে পারেন। এতে শুধু নিজের কাজ নয়, অফিসের সব গুরুত্বপূর্ণ দিকেই যে আপনার আগ্রহ আছে, তা স্পষ্ট হবে। প্রশ্ন করতে আন ইজি লাগলেও জড়তা কাটিয়ে কয়েকটা প্রশ্ন করে ফেলতে পারলেই আপনার কনফিডেন্স ফিরে আসবে, তা নিজেই টের পাবেন।

৪. সময়ের আগেই মিটিংয়ে জয়েন করা

অনেক সময় যেটা হয়, অফিসের মিটিং রুম বা মিটিং স্পেসটা শুধুমাত্র স্পেশাল অকেশনে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে সেই জায়গাটা কেন্দ্র করে তৈরি হতে পারে অস্বস্তি। এটা কাটাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে আসুন, মিটিং স্পেসটা ঘুরে দেখুন, কলিগদের সাথে কথা বলুন। এতে করে আস্তে ধীরে জড়তা কেটে যাবে, দেখবেন আগের মত দমবন্ধ অথবা নার্ভাস লাগছে না। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ও অপরিচিত পরিবেশকে এভাবে নিজের মতো করে কমফোর্টেবল করে নিতে পারলে তা আপনার কনফিডেন্স এমনিই বাড়িয়ে দেবে আর আপনার পারফরম্যান্সকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।

৫. নিজের উপর বিশ্বাস রাখা

মানুষ নার্ভাস হয়ে প্রথমেই যেসব চিন্তা করে, সেগুলোর মধ্যে একটা হলো, তিনি হয়তো অন্যদের মতো দক্ষ বা মেধাবী নন। এ ধারণা আমাদের মনে দ্বিধার জন্ম দেয়, তাই নিজের উপর প্রথমেই বিশ্বাস রাখতে হবে। অফিস মিটিং এ কী বলবেন তা ঠিক করে নেয়া, কনফিডেন্স এর সাথে সেগুলো প্রেজেন্ট করা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের উপর পূর্ণ আস্থা রাখা। আপনি যোগ্য বলেই এখানে আছেন, এবং আপনার যোগ্যতাই আপনাকে সামনে নিয়ে যাবে, এ ধরনের পজিটিভ মাইন্ডসেট রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনাকে কনফিডেন্ট দেখেই অন্যরা আপনাকে ভরসা করবেন।

সঠিক বডি ল্যাংগুয়েজ মেনটেইন করুন

৬. বডি ল্যাঙ্গুয়েজ

ড্রেসিং এর সাথে সাথে বডি ল্যাঙ্গুয়েজও পজিটিভ রাখতে হবে। আপনার পজিটিভ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পুরো পরিস্থিতিই চেঞ্জ করে দিতে পারে। শরীর সোজা রেখে কাঁধ টানটান রাখা, মনোযোগের সাথে আগ্রহী চোখে মিটিং অ্যাটেন্ড করা, এগুলোই পজিটিভ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, যা মিটিংয়ে সিচুয়েশন বুঝে অ্যাপ্লাই করতে হবে।

৭. নিজস্বতা রাখতে হবে

নিজেকে জোর করে অন্য কারো মতো দেখানোর চেষ্টা করার দরকার নেই। আপনার নিজস্ব পার্সোনালিটি ও ট্যালেন্ট যাতে প্রকাশ পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনার নিজস্ব চিন্তা ধারা, কাজকর্ম ও পার্সোনালিটি আপনাকে অন্য সবার চাইতে আলাদা করবে এবং প্রত্যেকের চোখে আপনার একটা নিজস্ব পরিচয় তৈরি করবে।

পরিশেষে বলা যায়, অফিস মিটিং বা গেট টুগেদারের ভয় অবশ্য একদিনেই কেটে যাবেনা, এর জন্য প্রয়োজন অভ্যস্ততা ও সঠিক প্র‍্যাক্টিস। আজকের এই টিপসগুলো ফলো করুন, দেখবেন কনফিডেন্স কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে!

লিখেছেনঃ মৌ মণি পুষ্প

ছবিঃ সাজগোজ

The post অফিস মিটিং এ কনফিডেন্ট থাকার ৭টি কার্যকরী টিপস appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/7aEGkQz
Sumaiya Rahman

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...