Skip to main content

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহজলভ্য পাঁচটি খাবার

শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের নাম চোখ। বর্তমান সময়ে আমাদের সবারই কমবেশি চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্যও চোখের সমস্যা এখন খুবই পরিচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইদানীং অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদেরও দেখা যায় মোটা লেন্সের চশমা ব্যবহার করতে। তাই চোখ ভালো রাখার উপায় জানতে সবাই বেশ আগ্রহী। আমরা যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারি, তাহলে কিন্তু চোখের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে। আজকের আলোচনায় আমরা এমন কিছু খাবার নিয়ে জানবো যা আমাদের খুবই পরিচিত এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে অনেক বেশি সহায়ক। পাশাপাশি চোখের সৌন্দর্য্য বজায় রাখতেও এ খাবারগুলো ভূমিকা রাখে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে যা খাবেন

দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাঁচটি এমন খাবার সম্পর্কে, যা আমাদের চোখের সুস্থতা ও সৌন্দর্য্য বজায় রাখবে-

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহজলভ্য পাঁচটি খাবার

মাছ

স্ট্রং ও থিক আইল্যাশ প্রতিটা মেয়েই চায়, তাই না? ওমেগা-থ্রি ও প্রোটিন আমাদের চোখের ল্যাশের গ্রোথের জন্য একটি বেস্ট উপাদান। মাছ এমন একটি খাবার যা ওমেগা থ্রি ও প্রোটিনের একটি অন্যতম উৎস। তাছাড়া মাছে রয়েছে হাই প্রোটিন যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই যদি চোখের সুস্থতা ও ঘন আইল্যাশের সুন্দর চোখ পেতে চান অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় মাছ রাখুন।

বাদাম

হাই প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবার সমৃদ্ধ বাদামকে পাওয়ারহাউস বললে খুব একটা ভুল হবেনা! বাদামে রয়েছে বিভিন্ন হেলথ বেনিফিটস্। অলরাউন্ডার এই খাবারটিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই যা আমাদের আইল্যাশ ঝরে পড়া রোধ করে এবং ল্যাশ হেলথ মেনটেইন করে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে বাদামের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত বাদাম খেলে আমাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা আমরা সহজেই এড়িয়ে যেতে পারবো। তাই হুটহাট খিদে পেলেই অন্য কোনো খাবারের দিকে না ঝুঁকে বাদাম হতে পারে আমাদের কুইক স্ন্যাকস!

গাজর

নিশ্চয়ই ভাবছেন, গাজর খেয়ে চোখের জন্য কী এমন বেনিফিট পাবেন? ধরুন কোনো এক রাতের বেলা কারেন্ট নেই, আপনার বাসায় ঘুটঘুটে অন্ধকারে যদি আপনি চোখের উপর খুব একটা চাপ না দিয়েই মোমবাতিটা খুঁজে ফেলেন, কেমন হয় তাহলে!! শুনতে একটু বোকা বোকা মনে হলেও এরকমটা কিন্তু আপনি সম্ভব করতেই পারেন প্রতিদিন গাজর খাওয়ার মাধ্যমে। কেননা গাজরে আছে উচ্চ মাত্রার বেটা-ক্যারোটিন, যা মূলত একটি বিশেষ ধরনের ভিটামিন এ। এই ভিটামিন আমাদের চোখের অন্ধকারে দেখতে পাওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই অন্ধকারে দেখতে পাবার মত সুপারপাওয়ার পেতে হলে প্রতিদিনের খাবারে গাজর রাখতেই হবে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ডিমের গুরুত্ব

ডিম

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য বেস্ট ফুড নিয়ে বলতে গেলে নির্দ্বিধায় ডিমকে প্রথম সারির একটি খাবার বলা যায়। ডিমে রয়েছে ভিটামিন সি, ই ও লুটেইন নামক একটি রিচ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা আমাদের আইসাইটের জন্য ভীষণ উপকারী। ডিমে থাকা প্রোটিন আমাদের চোখের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদের আইল্যাশ লেন্থ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডিম ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, জিংক, ফসফরাস ও সেলেনিয়ামের দারুন একটি উৎস যা আমাদের আইল্যাশ স্ট্রং করে এবং নতুন আইল্যাশ গ্রো করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবারে আমাদের এক থেকে দুইটি ডিম খাওয়া উচিত।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে রয়েছে এমন সব পুষ্টি উপাদান যা আমাদের চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে আছে বিভিন্ন ধরণের উপকারী সব খনিজ উপাদান ও ভিটামিন। এই সমস্ত খনিজ উপাদান ও ভিটামিন আমাদের চোখের জন্য খুব উপকারী। মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি নাইট ব্লাইন্ড বা রাতকানা রোগ থেকে আমাদের চোখকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়াও এতে আছে পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, সালফার, কপার ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো কিছু খনিজ উপাদান, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি যেমন বাড়ায়, একই সাথে আমাদের চোখের বিভিন্ন অ্যালার্জি জনিত সমস্যার সমাধান করে।

এই ছিলো দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে যা খেতে পারেন আজকের আলোচনা! পরিশেষে বলা যায়, নিজের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলেই আমরা আমাদের চোখের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারি। এই পাঁচটি খাবার আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যোগ করলেই পেতে পারেন হেলদি আইসাইট এবং চোখও থাকবে সুন্দর!

লিখেছেন

নূরী শাহারীন

ছবিঃ সাটারস্টক

The post দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহজলভ্য পাঁচটি খাবার appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/bGUIHE8
Sumaiya Rahman

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...