Skip to main content

অল্প উপকরণ দিয়ে ঈদে বানিয়ে ফেলুন ক্যারামেল ক্ষীর

দেখতে দেখতে ঈদ প্রায় চলেই এসেছে। ঈদে প্রিয়জনদের জন্য একটু স্পেশাল খাবারের আয়োজন করতেই হয়। ক্ষীর এমন একটি ডেজার্ট যেটি ছাড়া আমাদের ঈদ একদম একদমই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। স্বাদে ভিন্নতা আনতে এবারের ঈদে ট্রাই করে দেখতে পারেন ক্যারামেল ক্ষীর, যেটি বানানো বেশ সহজ আবার খেতেও দারুণ সুস্বাদু।

প্রস্তুত প্রণালী

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • চিনিগুড়া চাল- ১/৪ কাপ
  • তরল দুধ- ১ লিটার
  • চিনি- ১/২ কাপ
  • ঘি- ১ টেবিল চামচ
  • কাজুবাদাম- ১০-১২টি
  • কিশমিশ-২ টেবিল চামচ
  • পেস্তাবাদাম-২ টেবিল চামচ
  • কাঠবাদাম- ১ টেবিল চামচ
  • ঘি- ২ টেবিল চামচ

কীভাবে তৈরি করবেন ক্যারামেল ক্ষীর?

১) প্রথমে একটি বাটিতে চাল নিয়ে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

২) ব্লেন্ডারে ভিজিয়ে রাখা চাল দিয়ে ৩-৪ সেকেন্ডের জন্য ব্লেন্ড করে নিন। খেয়াল রাখুন যেন চাল একদম ফাইন পেস্ট না হয়ে যায়, চেষ্টা করুন চালগুলো যেন কিছুটা আস্ত থাকে।

৩) একটি নন স্টিক সসপ্যান বা মোটা তলানিযুক্ত পাত্রতে দুধ দিয়ে মিডিয়াম হিটে নাড়তে থাকুন।

৪) দুধে বলক চলে আসার পর আরো ৫ মিনিট নেড়ে ব্লেন্ড করে রাখা চাল দিন এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।

৫) একইসময় অন্য একটি প্যানে ঘি গরম করে কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কাঠবাদাম ও কিশমিশ দিয়ে ২-৩ মিনিট লো টু মিডিয়াম হিটে ভেজে নিন। এবার বাদামগুলো অন্য একটি পাত্রে সরিয়ে রাখুন।

৬) তারপর ওই একই প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে চিনি অ্যাড করুন এবং চিনি ক্যারামেলাইজড হয়ে গোল্ডেন ব্রাউন কালার হয়ে গেলে তা রান্না করা ক্ষীরের সাথে মিশিয়ে নিন। এ সময় একদম লো হিটে ক্রমাগত নাড়তে হবে যেন ক্যারামেল জমে দলা পাকিয়ে না যায়।

৭) ক্ষীরের সাথে ক্যারামেল ভালোভাবে মিশে গেলে এবং ক্ষীর ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিন।

৮) পরিবেশন করার সময় উপর থেকে ভেজে রাখা বাদাম ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন এবং ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে উপভোগ করুন।

খুব সহজেই কীভাবে ক্যারামেল ক্ষীর বানিয়ে নিতে পারেন, তা তো জেনে নিলেন। দারুণ মজার এই ডেজার্টটি টেবিলে থাকলে তা অবশ্যই সবার ভালো লাগবে। তাই এবারের ঈদে এই ডিশটি ট্রাই করতে ভুলবেন না।

ছবিঃ AARTI MADAN

The post অল্প উপকরণ দিয়ে ঈদে বানিয়ে ফেলুন ক্যারামেল ক্ষীর appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/LWCwbU0
Sumaiya Rahman

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...