Skip to main content

বয়স বাড়ার সাথে কি ত্বকের ধরন বদলে যাচ্ছে?



বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের ধরন পরিবর্তনের এই সম্ভাবনা খুবই সত্যিই আছে। যেহেতু ত্বক বয়সের সাথে পরিবর্তন করে, তাই এর যত্ন নেওয়া ও সেরা প্রযুক্তিগত সমাধান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের বয়সের পরিবর্তনের মধ্যে অনেক কারণ রয়েছে, যেমন হরমোনাল পরিবর্তন, সংবেদনশীলতা এবং পরিবারের ইতিহাস।

বয়সের সাথে সাথে ত্বকের ধরন পরিবর্তনের মূল লক্ষণ হলে হৃষ্ট-পূষ্ট ত্বক থেকে ধীরে ধীরে শুষ্ক, মোজাইক বা জলবিহীন ত্বকে পরিণত হওয়া। এছাড়াও, রেগুলার ত্বক সার্কুলেশন হ্রাস পেলে ত্বক ফার্মতে আরো সমস্যা উত্পন্ন হতে পারে, যেমন ব্যাগ, ফাইন লাইনস এবং ঝুলমুল পরিবর্তন।

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্কিন কেয়ার রুটিন পরিবর্তন করা প্রয়োজন। কিছু সুপারিশগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  1. ভালো খাবার খেয়ে থাকুন: স্বাস্থ্যকর ও প্রোটিন রিচ খাবার খেতে বিশেষভাবে লোহিত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার মনে রাখুন।


  2. প্রয়োজনীয় পুরোনো ত্বক যত্ন করুন: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকের যত্নের পরিমাণ বাড়তে হবে। মৌজাইক ও সুস্থ রাখার জন্য কোনও মোলার বা বৃণ্ধিক পরিমাণ ব্যবহার করবেন না।


  3. ভালো কোয়ালিটির স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন: আপনার বয়সের ত্বকের প্রয়োজনীয় যত্নের জন্য স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার সময় অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসরণ করুন।


  4. সুরক্ষিত ধূপ এবং তাপমাত্রা: সুনির্দিষ্ট সময়ে সুরক্ষিত ধূপের নিচে থাকুন এবং গরম পানি এবং তাপমাত্রা বেশি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।


  5. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


  6. নিয়মিত স্কিন স্ক্রাব এবং মাস্ক: নিয়মিত ত্বক স্ক্রাব এবং মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে মোজাইকের নিধন।


  7. ডার্মাটোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকের যত্নের জন্য ডার্মাটোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

স্কিন কেয়ার রুটিন পরিবর্তনের সাথে সাথে আপনার ত্বক বয়স বৃদ্ধির প্রতি সামর্থ হবে এবং স্বাস্থ্যকর এবং রম্য প্রকৃতির বর্তমান কেমন হবে তা আপনি দেখতে পাবেন।

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...