Skip to main content

আইসক্রিম স্টিক দিয়েই হোক হোম ডেকোর ও মজার ক্রাফটিং

আইসক্রিম পছন্দ করে না, এমন মানুষ কি পাওয়া যায় বলুন তো? আমরা আজ অব্দি যত আইসক্রিম টেস্ট করেছি, আর সেই সাথে যতগুলো আইসক্রিম স্টিক পেয়েছি তা গণনা করলে সংখ্যাটা বেশ ভালো অংকে দাঁড়াবে, তাই না? কিন্তু আইসক্রিমের স্টিক জমানোর শখ আছে কি? এটি কিন্তু মোটেও ফেলনা নয়, বরং দারুণ সব ক্রাফটের আইটেম ও হোম ডেকোর বানানো যায় এই স্টিক দিয়েই! যারা জানেন, তারা অবশ্যই সংগ্রহে রাখেন। আর এখন তো স্টেশনারি দোকানে বিভিন্ন কালারের স্টিক কিনতে পাওয়া যায়৷ তবে চলুন দেরি না করে আইসক্রিম স্টিক দিয়ে সহজে বানানো যায় এমন কিছু আইডিয়া জেনে নেই।

কীভাবে তৈরি করবেন?

মিনি এরোপ্লেন

যা যা লাগবে

  • ৩টি আইসক্রিম স্টিক
  • গ্লু, কাটার
  • ১টি ক্লথ ক্লিপ
  • এক্রেলিক কালার

কীভাবে বানাবেন?

১) প্রথমে আইসক্রিম স্টিকগুলো রঙ করে নিন পছন্দমতো। এবার এরোপ্লেনের পেছনের পাখা তৈরি করতে কাটার দিয়ে একটি স্টিক হাফ কেটে ফেলুন।

আইসক্রিম স্টিক দিয়েই খেলনা তৈরি

২) এখন ক্লিপের উপরে ও নিচে দু’টি কালারফুল আইসক্রিম স্টিক লাগিয়ে নিন গ্লু দিয়ে, ছবি দেখতে বুঝতে পারবেন যে কোন পজিশনে লাগাতে হবে স্টিক দু’টি।

৩) ক্লিপের পেছনের অংশে ছোট স্টিকটি লাগিয়ে দিন সাবধানে। ব্যস, মাত্র কয়েক মিনিটেই সুন্দর একটি খেলনা এরোপ্লেন তৈরি হয়ে গেলো।

DIY পেন স্ট্যান্ড বা হোল্ডার

যা যা লাগবে

  • আইসক্রিম বা পপ সাইকেল স্টিক
  • উড গ্লু বা গ্লু গান
  • আর্ট পেপার
  • স্টোন, আর্টিফিশিয়াল ফ্লাওয়ার, ফিতা, এক্রেলিক কালার (সাজানোর জন্য)

বানানোর নিয়ম

আইসক্রিম স্টিক দিয়ে তৈরি পেন হোল্ডার

১) আপনি দু’ভাবে বানাতে পারেন, স্কয়ার শেইপে ও সিলিন্ডার বা বোতল শেইপে। স্কয়ার শেইপে বানানোর জন্য প্রথমে আর্ট পেপার বা শক্ত কাগজ চারকোণা শেইপে কেটে এমনভাবে বেইজ তৈরি করবেন যাতে চারপাশে স্টিক বসানোর সময় স্কয়ার তৈরি হয়, এক্সট্রা অংশ যেন না থাকে।

২) এখন কাগজের উপর উড গ্লু দিয়ে পাতলা রেখার মতো টানুন। এর উপর স্টিক বসানো শুরু করুন, স্টিক বসিয়ে নিচের বেইজ কমপ্লিট করুন প্রথমেই। গ্লু এর সাহায্যে স্টিক বসিয়ে চার সাইড শেষ করলে আপনার কাঙ্ক্ষিত স্কয়ার শেইপ তৈরি হবে।

৩) পরপর ৩/৪টি স্টিক গ্লু দিয়ে একসাথে করে নেওয়া যেতে পারে (ছবিতে দেখুন)। তারপর যতটুকু হাইট প্রয়োজন, সে অনুয়ায়ী স্টিক বসিয়ে পেন হোল্ডার রেডি করে নিন।

৪) স্টিকে উড গ্লু ব্যবহার করলে ভালোভাবে স্থায়ী হয়। শেষে চাইলে এক্রেলিক কালার দিয়ে পেইন্ট করে নিতে পারেন।

৫) বোতল শেইপের পেন হোল্ডার বানানোর জন্যও আগেরটির মতো শেইপ অনুযায়ী নিচে স্টিক দিয়ে বেইজ তৈরি করুন আর্ট পেপারের উপর৷

বোতল শেইপের পেন হোল্ডার

৬) এখন যেকোনো প্লাস্টিকের বোতলের মাঝে থেকে এমনভাবে কেটে নিন যেন তা পেন হোল্ডারের মতো শেইপে থাকে।

৭) তারপর বোতলের চারপাশে উড গ্লু দিয়ে স্টিক লাগিয়ে নিন এবং বেইজের উপর বসিয়ে ফেলুন। এক ঘন্টা রেখে গ্লু ভালোভাবে শুকিয়ে আসলে আপনার পছন্দমতো ডেকোরেশন করে নিন। স্টোন, প্লাস্টিকের ফ্লাওয়ার, রিবন যেকোনোটাই ইউজ করা যায়। দেখলেন তো কত সহজে তৈরি হয়ে গেলো পেন হোল্ডার।

আইসক্রিম স্টিক দিয়ে ওয়াল হ্যাঙ্গিং ক্রাফট

যা যা লাগবে

  • আইসক্রিম স্টিক
  • কাঁচি
  • শক্ত কাগজ
  • কালারফুল ফিতা
  • উড গ্লু বা গ্লু গান
  • রঙ্গিন কাগজ, কাপড়ের তৈরি ফুল-পাতা কিংবা প্লাস্টিকের ফুল
  • রং, তুলি, কালারফুল স্টোন, ট্যাসেল (সাজানোর জন্য)

বানানোর নিয়ম

১) প্রথমে বেইজের জন্য যেকোন শক্ত কাগজ বা আর্ট পেপারের লম্বা ও প্রশস্তে কম এমন করে কেটে নিন। যতটুকু হাইট পছন্দ সে অনুয়ায়ী কাগজ কাটবেন।

২) এখন কাগজের উপর গ্লু দিয়ে আইসক্রিম স্টিক একটির পর একটি বসিয়ে যায়। একই দৈর্ঘ্য বরাবর বা একটু সামনে পিছনে করেও বসাতে পারেন। দেখবেন স্টিকের লম্বা বেইজ তৈরি হয়েছে।

আইসক্রিম স্টিক দিয়ে ওয়াল হ্যাঙ্গিং ক্রাফট

৩) এখন এর উপর আপনার পছন্দমতো ড্রয়িং করে ফেলুন! কিংবা রঙিন কাগজের তৈরি ফুল-পাতা, স্টোন লাগিয়ে নিলেই ওয়াল হ্যাঙ্গিং ক্রাফট রেডি। প্লাস্টিকের ফুল-পাতা, সূতার ট্যাসেল এগুলো দিয়েও সাজাতে পারেন।

৪) চাইলে কাগজ কেটে কিংবা মার্কার পেন দিয়ে কোনো কিছু লিখেও নিতে পারেন এই হ্যাঙ্গিং ওয়াল ডেকোরে।

আইসক্রিম স্টিক দিয়ে Moana মিনি বোট

আইসক্রিম স্টিক দিয়ে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনার আইটেম বা টয় তৈরি করা যায় ইজিলি। Moana মুভির রাফ্ট বা সহজ বাংলায় ‘ভেলা’ কীভাবে তৈরি করবেন, চলুন দেখে নেই এখন।

যা যা লাগবে

  • আইসক্রিম স্টিক
  • গ্লু
  • জলরঙ
  • কালারফুল কাগজ, কালার পেন
  • গাছের ছোট ডাল
  • সুতা

কীভাবে বানাবেন?

১) এই ক্রাফট টয় বানানোর জন্য প্রথমে আইসক্রিম স্টিকগুলো ইয়োলো কালার করে নিন।

২) স্টিকগুলো পাশাপাশি সাজিয়ে (গ্লু দিয়ে জোড়া দেওয়া) বোটের বেইজ করে নিন। ছবির মতো একটির পর একটি স্টিক গ্লু দিয়ে স্তরে স্তরে সাজিয়ে বোট তৈরি করে ফেলুন।

মিনি বোট

৩) এবার একটি শুকনো ডাল নিন, কেটে সাইজ করে নিতে হবে। লাল, হলুদ বা নীল যেকোনো কালারের কাগজ দিয়ে বানানো পতাকা লাগিয়ে নিন তাতে Moana এর ডিজাইন আঁকুন। আর গ্লু দিয়ে অ্যাটাচড করে ফেলুন। সুতা দিয়ে মিনি বোটের পাল সেট করে নিন।

আইসক্রিম বা পপসাইকেল কিন্তু ফেলনা না, দেখলেন তো কত সহজেই আইসক্রিম স্টিক দিয়ে মজার ও কাজের জিনিস বানানো যায়। এমনকি জুয়েলারি বক্স, ফটোফ্রেম, ট্রায়াংগেল স্ট্যান্ড, মিনি হাউজ এগুলোও তৈরি করা যেতে পারে। বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের জন্যও এই ক্রাফটিংয়ের বেশ কার্যকারিতা আছে। আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকুন।

ছবি- সাটারস্টক, ইউটিউব.কম, i.ytimg.com, mombrite.com, simplytodaylife.com

The post আইসক্রিম স্টিক দিয়েই হোক হোম ডেকোর ও মজার ক্রাফটিং appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/9vbLWV0
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...