Skip to main content

পাম্পকিন সীড অয়েল দিয়ে রুক্ষ-শুষ্ক চুলের আল্টিমেট সল্যুশন!

‘ব্যস্ত জীবনে চুলের যত্ন নেওয়ার এতো সময় কোথায়?’ ‘কীভাবে অল্প ইফোর্টে ন্যাচারালি হেলদি, শাইনি হেয়ার পাবো?’ এই প্রশ্নগুলো কিন্তু খুবই কমন! ফ্রিজি বা রাফ হেয়ারের পেছনে কমন কিছু কারণ হলো ওয়েদার চেঞ্জ, রেগুলার হিট স্টাইলিং কিংবা ডেইলি আনহেলদি লাইফস্টাইল। সঠিক নিয়মে যত্ন না নেওয়ার কারণেও খুব দ্রুত চুল রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। এছাড়া হেয়ার ফল আর হেয়ার ব্রেকেজ এর সমস্যা তো বেশ কমন! হেয়ার ও স্ক্যাল্পে ময়েশ্চার ব্যালেন্স ঠিক রাখলে এই ধরনের প্রবলেমগুলো অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব! চুলের যত্নে পাম্পকিন সীড অয়েল কখনো ট্রাই করা হয়েছে? হেয়ার ময়েশ্চারাইজেশনে এই অয়েল কাজ করে ম্যাজিকের মতো! চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পাম্পকিন সীড অয়েল কেন ব্যবহার করবেন?

রুক্ষ-শুষ্ক চুলের জন্য এই অয়েলটি হতে পারে গেইম চেঞ্জার। কেন? বলছি এখনই! পাম্পকিন সীড অয়েলে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা হেয়ার নারিশড রাখতে, শাইনি অ্যান্ড হেলদি করতে হেল্প করে। এই উপাদানটি হেয়ার ড্রাইনেস প্রিভেন্ট করে ময়েশ্চার ধরে রাখতে দারুণ কার্যকরী। পাম্পকিন সীড অয়েলে থাকা জিংক হেয়ার গ্রোথ প্রোমোট করে। এই অয়েলে আরও আছে ম্যাগনেসিয়াম যা হেয়ার ব্রেকেজ প্রিভেন্ট করে।

Hawaa Pumpkin Seed Oil

পাম্পকিন সীড অয়েল

রিসেন্টলি আমি ট্রাই করলাম Hawaa Pumpkin Seed Oil, আজ সেটারই রিভিউ শেয়ার করবো। আমার হেয়ার বেশ ড্রাই, রিবন্ডিং করার পর ড্রাইনেস, ফ্রিজিনেস যেন আরও বেড়ে গিয়েছিলো। তাই আমার হেয়ার কেয়ার রুটিনে অয়েলিং মাস্ট! আমি এমন কোনো ন্যাচারাল সল্যুশন খুঁজছিলাম যা হেয়ারকে ময়েশ্চারাইজড অ্যান্ড নারিশড করার পাশাপাশি হেয়ার গ্রোথেও হেল্প করবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পজেটিভ রিভিউ দেখে আমি ট্রাই করলাম Hawaa ব্র্যান্ডের এই পাম্পকিন সীড অয়েল। এই ব্র্যান্ড নিয়েও স্টাডি করলাম।

দেশীয় ব্র্যান্ড Hawaa কাজ করছে হেয়ার কনসার্ন নিয়েই, স্পেসিফিক্যালি চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত হেয়ার অয়েল লঞ্চ করেছে। দেশীয় প্রোডাক্ট হওয়াতে এটি বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলি বলে আমার মনে হয়েছে। আমার পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্স কেমন ছিলো, সেটা জানিয়ে দেই এবার।

 

প্রোডাক্ট ক্লেইম

Hawaa Pumpkin Seed Oil এ পাম্পকিন সীড অয়েলের সাথে আরও আছে হোহোবা অয়েল ও ল্যাভেন্ডার অয়েল। ব্র্যান্ডটি ক্লেইম করে যে এই অয়েল বেসিক্যালি হেয়ার ময়েশ্চারাইজেশনে কাজ করে অর্থাৎ চুলের ময়েশ্চার লক করে। সেই সাথে হেয়ার ড্যামেজ রিপেয়ারেও কাজ করে। হোহোবা অয়েল ও ল্যাভেন্ডার অয়েল এরও আলাদা আলাদা হেয়ার কেয়ার বেনিফিটস আছে।

Hawaa Pumpkin Seed Oil

বেনিফিটস

পাম্পকিন সীড অয়েলের বেনিফিট আমরা আগেই জেনেছি। এর মধ্যে থাকা হোহোবা অয়েল ড্রাইনেস কমিয়ে আনে, আগা ফাটা প্রিভেন্ট করে, ওভারঅল এটিও ময়েশ্চারাইজেশনের কাজ করে। ল্যাভেন্ডার অয়েলের সুদিং ফ্রেগ্রেন্স আছে, যা অয়েল ম্যাসাজের সময় রিল্যাক্স ফিল দেয়। ল্যাভেন্ডার অয়েলেরও হেয়ার কেয়ার বেনিফিট আছে, যেমন- হেয়ার গ্রোথ স্টিমুলেট করতে, ইচি স্ক্যাল্প প্রিভেন্ট করতে এটি বেশ ইফেক্টিভ।

পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্স

লাইট টেক্সচারের এই অয়েলটি স্ক্যাল্পে অ্যাপ্লাই করে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করি। ময়েশ্চার রিটেইনের জন্য হেয়ার লেন্থেও অ্যাপ্লাই করে নেই। উইকে ২/৩ বার এই অয়েল স্ক্যাল্প ও হেয়ারে ব্যবহার করছি। চুল আগের থেকে বেশ ম্যানেজেবল, শাইনি মনে হয়েছে। আমার ড্রাই ও ফ্রিজি হেয়ারে এই অয়েল বেশ ভালো কাজ করেছে।

কী কী বিষয় ভালো লেগেছে?

  • মাইল্ড ও সুদিং স্মেল আছে
  • প্যাকেজিং বেশ আইক্যাচি
  • নন গ্রিজি, একদমই লাইট ওয়েট, হেভি ফিল হয় না
  • ১০০ মি.লি. এর প্যাকেজিং হওয়াতে ট্রায়াল হিসেবে ইউজ করা যায়

হেয়ার কেয়ার

তো এই ছিলো আজকের রিভিউ। সত্যি কথা বলতে চুলের এই চেঞ্জ দেখে এখন অনেকে কমপ্লিমেন্টও করছে! তাই ভাবলাম ঝটপট রিভিউ শেয়ার করে ফেলি! যারা রাফ ও ড্রাই হেয়ার নিয়ে টেনশনে আছেন, তাদের জন্য হেল্পফুল হবে আশা করি। ব্যস্ততার কারণে কিন্তু অনেক সময় আমাদের অনেকেরই একসাথে কয়েকটি অয়েল মিক্স করে অ্যাপ্লাই করার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাদের জন্যও এটি বেশ ভালো অপশন বলে আমার মনে হয়েছে।

অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুরের কিংশুক টাওয়ার, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, ইস্টার্ন মল্লিকা, বসুন্ধরা সিটি, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), সীমান্ত সম্ভার, চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

ছবি- সাজগোজ

The post পাম্পকিন সীড অয়েল দিয়ে রুক্ষ-শুষ্ক চুলের আল্টিমেট সল্যুশন! appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/nLRk9Ws
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...