Skip to main content

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে বসেই করে নিন ৪টি ইয়োগা

ত্বক সুন্দর, কোমল, মসৃণ থাকবে; টোনড থাকবে সবদিক দিয়ে এইটা প্রত্যেক নারীরই প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য চাওয়া। কিন্তু প্রতিদিনের কাজের চাপের নিজের সেই যত্নটুকুই নেওয়া হয়ে ওঠে না। যার ফলে এইরকম ত্বক পাওয়া যাবে। তবে প্রতিদিন যতো কাজই থাক, অন্তত আধঘন্টা সময় বের করে নিজের জন্য দিলে ত্বকও যেমন সুন্দর থাকবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত; মনও থাকবে তেমনি ভালো। ত্বকের যত্নে সঠিক ডায়েট, ঠিকঠাক স্কিনকেয়ারের সাথে আরেকটি ছোট্টো কাজ যদি যুক্ত করে নিতে পারেন তাহলেই ত্বকের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা আর না করলেও চলবে। আর সেই কাজটি হলো ইয়োগা বা যোগব্যায়াম। ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক কাল আগে থেকেই এই যোগব্যায়ামের প্রচলন আছে; দিন যতো যাচ্ছে বৈশ্বিকভাবেও এর গ্রহণযোগ্যতা ততোই বেড়ে যাচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে বসেই করে নিন ৪টি ইয়োগা।

ধনুরাসন

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য যে ৪টি ইয়োগা করতে পারেন

ধনুরাসন

বিগেনারদের জন্য ধনুরাসন সবচেয়ে সহজ আসনগুলোর একটি। প্রথমেই ইয়োগা ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার আপনার কোমরের সামনের দিক কিছুটা উঁচু করে সামনের হাত দুটোকে প্রসারিত করে উপরে তুলুন। পিছন থেকে পা দুটোকে একইভাবে উপর দিকে তুলুন। এরপর হাতের আঙুল দিয়ে পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। চেষ্টা করবেন পুরো সময়টা শরীরকে টানটান ও সোজা রাখতে।

প্রথমদিকে এই যোগাসনটি করার জন্য আপনার হয়তো অন্য কারো সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে, তবে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আর সেটা দরকার হবে না। অন্ততপক্ষে এক মিনিট এইভাবে আসনে থাকুন। এতে করে আপনার শরীরের রক্ত চলাচলের গতি বেড়ে যাবে এবং মুখে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। আর রক্ত চলাচল বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে ত্বকের লাবণ্য।

পশ্চিমোত্তাসন

এই আসনের নাম শুনতে একটু কঠিন হলেও আসনটা কিন্তু বেশ সোজা। অনেকটা স্কুলের পিটি ক্লাসের সময়ে ফিরে যেতে পারেন আসনটি করার সময়ে। প্রথমে একটি আরামদায়ক জায়গায় সোজা হয়ে বসে যান। দুই পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। তবে পা দু’টো যেন এক জায়গায় থাকে। এবার হাত দু’টো মাথার উপরে তুলুন এবং কোমরটাকে সামনের দিকে আস্তে আস্তে ঝুঁকতে দিন। এভাবে হাতের আঙ্গুল দিয়ে পায়ের আঙ্গুল বা পা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। প্রথম দিন একটু কঠিন লাগবে এইটাই স্বাভাবিক, তবে কয়েক দিন যেতে না যেতেই দেখবেন এটাই হয়তো আপনার ‘প্রিয় আসন’ হয়ে গেছে।

এই ইয়োগাটি খুব উপকারী

এই আসনটির আরেকটি বড় সুবিধা হলো এটি করার সময় কারো সাহায্য আলাদাভাবে সেরকম দরকার হয় না। তাই যারা একা থাকেন তাদের জন্য এটি বেশ কাজের। এটি নিয়মিত চর্চা করলে বিভিন্ন স্কিন ইস্যুর সাথে একনের সমস্যা দ্রুতই সমাধান হতে পারে।

মৎস্যাসন

আনইভেন স্কিন টোনের সমস্যা সমাধান করবে ইয়োগা, এটাও আবার হয় নাকি? শুনতে কিছুটা বিস্ময়কর লাগলেও হেলথশটসের একটি গবেষণা বলছে নিয়মিত মৎস্যাসনের মাধ্যমে এটিও সম্ভব।

মৎস্যাসন বেশ সহজ এবং খুব কম সময়ে প্রতিদিন অল্প কিছু সময় বিনিয়োগ করেই এই উপকার আপনি পাবেন। এই আসনের জন্য প্রথমেই সটান হয়ে শুয়ে পড়ুন মেঝেতে বা বিছানায়। এরপর দুই হাত সোজা করে দুই পাশে রাখুন এবং মাথার উপর ভর দিয়ে ঘাড় এবং কিছুটা অংশ উপরেরে দিকে তুলুন। এই সময় আপনাকে দেখে কিছু অর্ধ-ধনুকের আকৃতির মনে হতে পারে, হাত চাইলে সামনে বা পেটের উপরেও রাখতে পারেন। প্রথমদিকে আসনটি কঠিন মনে হলে কোমরের নিচে একটি বালিশ দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন।

ইজি ইয়োগা

সর্বাঙ্গাসন

নাম দেখেই আশা করি এতক্ষণে বুঝে গেছেন যে এই আসনের জন্য পুরো শরীরকেই ব্যবহার করতে হবে আপনাকে। এজন্য প্রথমেই একটি সমতল জায়গায় শুয়ে পড়ুন, হতে পারে সেটা মেঝে বা বিছানা। এবার আস্তে আস্তে দুই পা একসাথে উপরের দিকে তুলতে থাকুন। প্রথম দিকে সাপোর্ট হিসেবে দেয়াল ব্যবহার করতে পারেন। মূল শর্ত হলো কোমর থেকে পা উপরে তুলতে হবে।

এই আসন শুরুতে একা একা করাটা বেশ কঠিন হয়ে যাবে, তাই পরিবারের কারো সাহায্য দিয়েই শুরু করতে পারেন। প্রথম দিকে ৩০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট থাকতে পারেন এই অবস্থায়, এরপর ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে নিন।

সর্বাঙ্গাসন

ইয়োগা যে শুধু শরীরের জন্যই জরুরী নয় তা নিশ্চয়ই এতোক্ষণে বেশ বুঝে গেছেন। বাইরে থেকে প্রোডাক্ট ব্যবহারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে বসেই এই ৪টি ইয়োগা করে নিতে পারেন। তাই দেরি না করে ঘর থেকেই আমাদের ইয়োগা দিয়ে নিজেদের ভালো রাখার এই জার্নি শুরু করতে হবে।

ছবিঃ সাটারস্টক।

The post স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে বসেই করে নিন ৪টি ইয়োগা appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/DtB0Ch3
Apsara Hossain

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...