Skip to main content

মেকআপ সেট করার জন্য রাইট শেইডের লুজ পাউডার চুজ করছেন তো?

মেকআপকে ম্যাট রাখতে বা সারাদিন সেট রাখতে লুজ পাউডার কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি ইউজ করছি। প্রোপারলি লুজ পাউডার ইউজ করার পরও অনেকেরই কমপ্লেইন থাকে মেকআপ ডার্ক বা গ্রে হয়ে যাওয়ার। মেকআপ ডার্ক বা গ্রে হয়ে যাওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হতে পারে রাইট শেইডের লুজ পাউডার চুজ না করা। তাই চলুন আজকের আর্টিকেলে জেনে নেই মেকআপ সেট রাখতে রাইট শেইডের লুজ পাউডার কীভাবে চুজ করবেন।

মেকআপ সেট রাখার জন্য যে ধরনের লুজ পাউডার ব্যবহার করা হয়

বর্তমানে ২ ধরনের লুজ পাউডার অনেক বেশি ইউজ হয় মেকআপ সেট করার জন্য। একটি হচ্ছে ট্রান্সলুসেন্ট বা হোয়াইট পাউডার অন্যটি হচ্ছে বানানা পাউডার। অনেকেরই ধারণা মেকআপ সেট করার জন্য যেকোনো লুজ পাউডার ইউজ করলেই হবে, এর সাথে স্কিনটোনের মিল রাখার কোনো দরকার নেই। কিন্তু এই রাইট শেইডের লুজ পাউডার চুজ না করার কারণেই মেকআপ দেখতে ডার্ক বা গ্রে লাগে।

মেকআপ সেট রাখতে রাইট শেইডের লুজ পাউডার চুজ করুন

ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার কারা ব্যবহার করতে পারবেন?

প্রথমেই শেয়ার করছি ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বা হোয়াইট পাউডার কারা ইউজ করতে পারবেন। যাদের স্কিনটোন ফেয়ার থেকে মিডিয়াম শেইডের তাদের জন্য এই পাউডার ভালো হবে। কেননা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ফেয়ার স্কিনে কোনো কালার দেয় না, শুধুমাত্র ফেইসকে সেট করে রাখতে হেল্প করে। আবার হোয়াইট পাউডার ইউজ করলেও তা স্কিনের সাথে মানিয়ে যায় এবং মেকআপ দেখতে ন্যাচারাল লাগে।

বানানা পাউডার কারা ব্যবহার করতে পারবেন?

অন্যদিকে যাদের স্কিনটোন ইয়েলো আন্ডারটোনের মিডিয়াম থেকে ডার্ক তাদের জন্য বেস্ট হচ্ছে বানানা পাউডার। কেননা বানানা পাউডারের মধ্যে ইয়েলো টাইপের টিন্ট বেশি থাকে। এর কারণেই এই লুজ পাউডারের শেইড ইয়েলো/বানানা টাইপের হয়ে থাকে। তাছাড়া এই স্কিনটোনগুলোতে বানানা পাউডার ইউজ করা হলে ব্রাইটেনিং ইফেক্ট আসে।

রাইট শেইডের লুজ পাউডার হতে পারে আপনার মেকআপের গেম চেঞ্জার

কেন বানানা পাউডার ইউজ করলে ডার্ক লাগে?

আমরা তো এতক্ষণে জেনে গিয়েছি যে বানানা পাউডার একটি স্পেসিফিক স্কিনটোনের সাথে ভালো যায়। এই বানানা পাউডার যদি ফেয়ার বা মিডিয়াম স্কিনে ইউজ করা হয় তাহলে মেকআপ দেখতে অনেক সময় ডার্ক লাগতে পারে। কেননা বানানা পাউডারে থাকা ইয়েলো টিন্ট নিউট্রাল বা হোয়াইটিশ আন্ডারটোনকে আরো বেশি ইয়েলো করে ফেলে যা সময়ের সাথে সাথে মেকআপকে ডার্ক দেখাতে পারে। তাই বানানা পাউডার সব স্কিনটোনে ইউজ না করে মিডিয়াম থেকে ডার্ক স্কিনে ইউজ করলে বেটার হবে।

কেন ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ইউজ করলে অ্যাশি লাগে?

আবার একই ভাবে যারা মিডিয়াম বা ডার্ক স্কিনটোনের আছেন তারা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বা হোয়াইট টাইপের পাউডার এভয়েড করুন। কেননা এই ধরনের পাউডার মিডিয়াম বা ডার্ক স্কিনটোনে ইউজ করলে তা দেখতে অ্যাশি বা গ্রে টাইপের লাগবে। তাই যারা ফেয়ার বা মিডিয়াম স্কিনটোনের আছেন তাদের জন্য ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ভালো হবে।

রাইট শেইডের লুজ পাউডার ইউজ করে মেকআপ রাখুন ফ্ললেস

পারফেক্ট মেকআপ লুক আনার জন্য আমরা রাইট শেইডের ফাউন্ডেশন চুজ করলেও লুজ পাউডার নিয়ে তেমন একটা চিন্তা করি না। আর এই কারণেই মেকআপ দেখতে অনেক সময় আনন্যাচারাল লাগে। আশা করি আজকের আর্টিকেল পড়ে লুজ পাউডারের শেইড নিয়ে আর কোনো কনফিউশন থাকবে না। তাই মেকআপ সেট রাখার জন্য রাইট শেইডের লুজ পাউডার চুজ করুন এবং মেকআপকে রাখুন ফ্ললেস। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার কিংবা হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট পারচেজ করার জন্য সাজগোজ হতে পারে ভরসার জায়গা। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

 

ছবিঃ সাজগোজ, সাটারস্টক।

The post মেকআপ সেট করার জন্য রাইট শেইডের লুজ পাউডার চুজ করছেন তো? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/qFpdCeH
Apsara Hossain

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...