Skip to main content

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস বা মেরুদণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন?

বর্তমানে আমাদের লাইফস্টাইল এমন হয়ে গেছে যে আমাদেরকে এখন অনেকটা সময় বসে কাটাতে হয় কম্পিউটারের সামনে। হঠাৎ এই বসা থেকে উঠতে গেলে বা শোয়া থেকে বসতে গেলে অনেকেই প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন কোমরে ও হাঁটুতে। এটি কি সাধারণ ব্যথা নাকি অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস? এই রোগে আক্রান্ত হলে কী কী লক্ষণ দেখা দেয় (Spondylitis Symptoms), তা জানা না থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হয়। তবে খেয়াল করলে দেখবেন, এই দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। আজকের আর্টিকেলে থাকছে এই রোগের লক্ষণ এবং চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস কী?

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হলো এক ধরনের আর্থ্রাইটিস যা পিঠের অংশকে বাঁকা করে দেয়, মেরুদণ্ডে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পিঠ, পাঁজর, ঘাড় শক্ত ও ব্যথাক্রান্ত হয়ে থাকে। গবেষকেরা এখনো জানাতে পারেননি, ঠিক কী কী কারণে অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হয়ে থাকে। তারা ধারণা করেন কিছু ক্ষেত্রে এটি জিনগত, তবে পিতামাতার কাছ থেকে তাদের সন্তানদের মধ্যে সরাসরি যায় না। বংশের অন্য কারো থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এই রোগে কারা আক্রান্ত হতে পারে?

২০ থেকে ৪৫ বছরের পুরুষদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার ১৬ বছরের নীচে কিশোরদের মধ্যেও এই রোগের কিছু লক্ষণ দেখা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও এই রোগ হতে পারে, তবে ছেলেদের তুলনায় কম। যাদের শরীরে এইচএলএ-বি ২৭ নামের জিন (gene) আছে, তাদের অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে সবথেকে বেশি।

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসের লক্ষণ কী কী?

প্রাথমিক পর্যায়

১) ভোরবেলা পিঠের নীচের অংশ আড়ষ্ট হয়ে থাকে এবং ব্যথা হতে থাকে যা কমপক্ষে ৩০ মিনিট স্থায়ী হয় এবং পরবর্তীতে ব্যথা কমে যায়।

২) অসহনীয় ব্যথায় রোগীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

৩) কোমড়ের নিচের অংশে এবং কখনও কখনও উরুর পিছনে ব্যথা হতে পারে।

এই অবস্থাকে কখনও কখনও রোগী সাধারণ পিঠে ব্যথা হিসেবে ভুল করতে পারে। সাধারণ পিঠে ব্যথা স্বল্প সময় থাকে কিন্তু অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই ব্যথা ঘাড়, কাঁধ, কোমরের নিচের অংশে বা উরুতে ছড়িয়ে পরে, যা পরবর্তীতে আরও বাড়তে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, দীর্ঘ সময় ধরে ডেস্কে বসে থাকলে পিঠ, কোমর, হাঁটু বা গোড়ালিতে ব্যথা হওয়া ও ফোলাভাব দেখা দেওয়া।

অন্যান্য সম্ভাব্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • গোড়ালি বা পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা
  • পায়ের আঙুলে ব্যথা ও ফোলাভাব
  • স্পাইনাল কড ও বুকে ব্যথা
  • অল্প পরিশ্রমেই রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং কাশি বা হাঁচির সময়ে অস্বস্তি হতে পারে
  • তীব্র ক্লান্তি, বিষণ্নতা, চোখের প্রদাহ, কখনও কখনও চোখ লাল হয়ে যাওয়া

তীব্র ক্লান্তি

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্ত্রের সমস্যা হতে পারে যা প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগ (IBD) বা কোলাইটিস নামে পরিচিত। যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া হয়, তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

কী ধরনের জটিলতা হতে পারে?

যাদের দীর্ঘদিন ধরে অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস থাকে, তাদের সামান্য আঘাতে পিঠের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত কিছু ব্যক্তির অস্টিওপোরোসিস হয়, এটি এমন একটি অবস্থা যার ফলে হাড় নাজুক হয়ে যায় এবং এই কারণে ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

রোগীর যদি অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস বা কোনো ধরনের স্পন্ডাইলো আর্থারাইটিস থাকে, তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ওষুধ সেবনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ধূমপান না করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা- অর্থাৎ হেলদি লাইফস্টাইল মেনটেইন করলে এই ঝুঁকি কমে যায়।

কীভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়?

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসের লক্ষণগুলো অন্যান্য সাধারণ পিঠের সমস্যার মতো হতে পারে, বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে। আপনার অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস আছে বলে সন্দেহ হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস

এমন কোনো পরীক্ষা নেই যা নিশ্চিতভাবে দেখাতে পারে যে আপনার অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস আছে। HLA-B27 জিন আছে কিনা তা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেন। অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে HLA-B27-এর জন্য টেস্ট সাজেস্ট করা হয়। এই রোগ নির্ণয় বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে-

  • রোগের ইতিহাস এবং যে লক্ষণগুলো অনুভব করেছেন সেগুলো খতিয়ে দেখা
  • রক্ত পরীক্ষা করা
  • এক্স-রে ও MRI

চিকিৎসা

মেডিসিন

ব্যথানাশক, যেমন প্যারাসিটামল এবং নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) সাধারণত অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসের ট্রিটমেন্টে দেওয়া হয়। অ্যান্টি-রিউম্যাটিক ড্রাগস (DMARDs) নামে পরিচিত ওষুধগুলো শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। মেডিসিন কখনও কখনও কার্যকর হতে কয়েক সপ্তাহ বা মাস সময় নিতে পারে। যখন কার্যকর হয়, তখন ব্যথা ও আড়ষ্টতা কমে আসে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা। স্টেরয়েড স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো সাধারণত ফোলা জয়েন্টে বা পেশীতে ইনজেকশন হিসেবে দেওয়া হয়।

ফিজিওথেরাপি

ফিজিওথেরাপি

ফিজিওথেরাপি অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস ট্রিটমেন্টের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট বিভিন্ন ব্যায়াম রোগীকে শেখাবেন যা সে ঘরে বসেই করতে পারেন। কার্যকর ব্যায়াম পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে স্ট্রেচিং, কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম, ব্যাকবোনের গতিশীলতার ব্যায়াম ইত্যাদি। এগুলো আপনার ব্যথা উপশমের জন্য বেশ ইফেক্টিভ।

যোগব্যায়াম

এই ব্যায়াম ধীর গতির মাধ্যমে দেহের শক্তি ও ভারসাম্য বাড়ায়। পেটের ও পিঠের পিছনের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করা হলে ব্যথা কমতে থাকে।

স্ট্রেচিং

এটি এমন ব্যায়াম যা আপনি ওয়েট লিফটিং ছাড়াই করতে পারেন। সাধারণত রোগী যখন নড়াচড়া করেন তখন ব্যথার কারণে অস্থিরতা বেড়ে যেতে পারে এবং পেশী আরও শক্ত হয়ে যেতে পারে। নড়াচড়ার অভাবও অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মেরুদণ্ডের হাড়গুলোকে অসাড় করে দেয়, যার ফলে ব্যক্তির হাঁটা চলাফেরা কঠিন হয়ে যায়। স্ট্রেচিং শরীরের আড়ষ্টতা দূর করে।

ব্রেথিং এক্সারসাইজ

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে মাঝে ডিপ ব্রেথ নিতে অসুবিধা হতে পারে। এমনকি দৈনন্দিন কাজকর্মের সময়ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারেন। ব্রেথিং এক্সারসাইজ আপনার শরীর ও মনকে প্রশান্ত রাখে। প্রতিদিনের ব্যায়াম ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এই ব্যায়ামগুলো ব্যথার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ব্রেথিং এক্সারসাইজ

এই সাধারণ অনুশীলনটি চেষ্টা করতে পারেন ঘরে বসেই-

১) বসে বা শুয়ে শুরু করুন এবং একটি ধীর কিন্তু গভীর শ্বাস নিন। আপনার পেট ও বুক সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত হতে দিন।

২) ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন এবং শ্বাস ছাড়ার সাথে সাথে আপনার পেটের পরিবর্তন অনুভব করুন।

৩) বেশ কয়েকবার গভীর শ্বাসের মাঝে মাঝে নিয়মিত শ্বাস নিন।

সার্জারি

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। যদি জয়েন্টগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে জীবনযাত্রায় সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসক হাঁটু প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এতে রোগী ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারে এবং সাধারণ চলাফেরা করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

সবশেষে বলতে চাই, এখন এই রোগের অনেক ধরনের চিকিৎসা আছে। তাই অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস বা মেরুদণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার সমস্যা থাকলে সঠিক চিকিৎসা নিন। নিয়মিত শারীরচর্চা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে সাধারণ জীবনযাপনে ফিরে আসা সম্ভব।

 

লিখেছেন- মাহমুদা রোজী, ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট

ছবি- সাটারস্টক

The post অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস বা মেরুদণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/dhRNZDQ
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

Uttara Lake View Specialized Hospital

Uttara Lake View Specialized Hospital Address: Address: House#34, Road# 5A/10B, Sector#11, Uttara, Dhaka, 1230 Phone:  01813-904080 Available Services: 24 hours emergency service Self-contained ICU NICU HDU Cabin General Ward Corona Unit Chamber of Specialist Doctors. Also, all units are open including any complex operation. from Specialist Doctor List https://ift.tt/GFQ56KdRb via IFTTT