Skip to main content

মাইগ্রেন পেইন! কোন ১০টি ফ্যাক্টর এই সমস্যাকে ট্রিগার করে?

মাইগ্রেনের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুক্তভোগী। মাইগ্রেন পেইন ঠিক কেন হয়, সেটার কারণ স্পষ্ট না এখনও। কিন্তু এর লক্ষণ ও বেশ কিছু ট্রিগার ফ্যাক্টর আছে যেগুলো আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিত। ট্রিগার ফ্যাক্টর সম্পর্কে জানা থাকলে আগে থেকে এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা যায়। মাইগ্রেন ট্রিগার ফ্যাক্টর একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। মাইগ্রেন কন্ট্রোলে রাখতে লাইফস্টাইলে কিছু চেঞ্জ আনাও জরুরি। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই আজকের ফিচারে।

মাইগ্রেন পেইন এর ট্রিগার ফ্যাক্টরস

স্ট্রেস

বেশিরভাগ (প্রায় ৭০%) মানুষের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক স্ট্রেস মাইগ্রেন পেইনকে ট্রিগার করে। কাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত স্ট্রেস নিলে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে। এক্ষেত্রে যা করতে পারেন তা হচ্ছে, প্রায়োরিটি অনুযায়ী কাজের একটি লিস্ট করে নেওয়া এবং সেটি স্ট্রিকলি ফলো করা। এতে টাস্ক অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়, যার কারণে মানসিকভাবেও আপনি স্বস্তিতে থাকতে পারবেন। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কিন্তু অনেক বড় একটি গুণ। এই গুণটি রপ্ত করে ফেলতে হবে আমাদের সবারই।

ঘুমের সময়সূচী

মাইগ্রেন পেইন এর ট্রিগার ফ্যাক্টরস

আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের শরীরের সেলগুলো রিপেয়ার হয়, শরীর হিলিং প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যায়। তাই আমরা নতুন করে কাজ করার শক্তি পায়। একইভাবে আমাদের ব্রেনও রেস্ট পায়। তাই নিয়মিত ঘুমের রুটিনে ব্যাঘাত হলে মাইগ্রেন অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া, ঘুমানোর আগে স্ক্রিন টাইম না রাখা, ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো, এই নিয়মগুলো মেনে চলা যেতে পারে।

হরমোন

সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে পিরিয়ডের আগে হরমোনাল কারণে মাইগ্রেন অ্যাটাক বেশি হয়ে থাকে। মেন্সট্রুয়াল ফ্লো শুরু হওয়ার আগে আগে ইস্ট্রোজেন লেভেল ড্রপ করে। আর এই হরমোনের লেভেল কমে গেলে অনেকের ক্ষেত্রেই মাইগ্রেন পেইন শুরু হয়।

ক্যাফেইন

যে পরিমাণ ক্যাফেইন আপনি নিয়মিত ইনটেক করেন, তার থেকে কম বা বেশি হয়ে গেলে অনেক সময় মাইগ্রেন ট্রিগার হতে পারে। তাই এই বিষয়টি খেয়াল রাখলে মাইগ্রেন অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়া, ধূমপান এগুলো এড়িয়ে চলুন।

ক্যাফেইন

আবহাওয়া

আবহাওয়ার তারতম্য যেমন অনেক বেশি রোদ, ভ্যাপসা গরম, ঠান্ডা বাতাস ইত্যাদির কারণে মাইগ্রেন অ্যাটাক হতে পারে। ওয়েদার যেহেতু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না, তাই নিজের কাজের রুটিনে ও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনুন। যেমন- দুপুরের কড়া রোদে বের না হওয়ার চেষ্টা করুন, সকালের দিকে বা বিকালে বাইরের কাজ সেরে নিন। ঠান্ডা বাতাসে মাস্ক, স্কার্ফ এগুলো ব্যবহার করুন। ভ্যাপসা গরম পড়লে দৈনিক দু’বার শাওয়ার নিন।

ডিহাইড্রেশন

মাইগ্রেনের আরেকটি ট্রিগার ফ্যাক্টর হচ্ছে ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া। ডিহাইড্রেশন শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকেই প্রভাবিত করে। তাই ডিহাইড্রেশন হলে অনেক ক্ষেত্রেই খুব দ্রুত মাইগ্রেন অ্যাটাক করে। সেই সাথে দুর্বলতা, কাজে ফোকাস দিতে না পারা ইত্যাদি সমস্যাও হতে পারে। তাই অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

উজ্জ্বল আলো

উজ্জ্বল ও তীব্র আলো মাইগ্রেন ট্রিগার করে অনেকের ক্ষেত্রেই। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাইরে গেলে সবসময় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। ঘরের ভেতরে যখন কাজ করবেন বা পড়াশুনা করবেন, তীব্র আলো চোখের সামনে যেন না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। লং টাইম ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করতে হলে স্ক্রিনের উপরে আলাদা গ্লাস লাগিয়ে নিতে পারেন এবং ফটোসান চশমা ইউজ করতে পারেন।

ডায়েট

আর্টিফিশিয়াল সুগার, মিল্ক চকলেট, প্রসেসড ফুড, চিজ, টেস্টিং সল্ট মাইগ্রেন পেইন ট্রিগার করতে পারে। এটি একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয় এবং খুব সহজে চিহ্নিত করা যায় বলে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চললেই মাইগ্রেনের ঝুঁকি কমিয়ে ফেলা সম্ভব। মাইগ্রেন পেইন প্রিভেন্ট করতে ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার রাখুন ডায়েটে

মাইগ্রেন পেইন প্রিভেন্ট করতে ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার

মেডিসিন

আপনার যদি মাসে ১০ বারের বেশি মাইগ্রেন পেইন কমাতে ওষুধ খেতে হয়, তাহলে সম্ভাবনা থাকে যে এই ওষুধ খাওয়ার কারণে আপনার আবার মাইগ্রেন অ্যাটাক হবে। তাই চেষ্টা করবেন স্বাভাবিক নিয়মে বা মেডিসিন ছাড়াই ব্যথা কমানোর।

তীব্র গন্ধ

কিছু ক্ষেত্রে কড়া গন্ধ আমাদের নার্ভ সিস্টেমে ইমপ্যাক্ট ফেলে। হুট করে কোনো গন্ধ কিংবা কড়া স্মেল এর পারফিউম নাকে এলে অনেকের মাথা ঝিমঝিম করে এবং ক্রমশ সেটা তীব্র মাথা ব্যথায় রূপ নেয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার সমস্যা হচ্ছে বা হতে পারে, তাহলে সেই জিনিসগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

মাইগ্রেনের রোগীদের একেক জনের একেক রকম লক্ষণ থাকে, আলাদা আলাদা ট্রিগার ফ্যাক্টর থাকে। অপর্যাপ্ত ঘুম, কিছু খাবার বা ড্রিংকস, টায়ার্ডনেস এগুলো থেকেও কিন্তু মাইগ্রেন হতে পারে। নিজেই আইডেন্টিফাই করুন আপনার ট্রিগার ফ্যাক্টর কোনটি। আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ছবি- সাটারস্টক, সাজগোজ

The post মাইগ্রেন পেইন! কোন ১০টি ফ্যাক্টর এই সমস্যাকে ট্রিগার করে? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/I9LpeuZ
Munia

Comments

Popular posts from this blog

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina...

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...