Skip to main content

সকনটনর সথ মকআপ পরডকটস পরফকটল মযচ করছ ন?

খুব শখ করে পছন্দের ব্র্যান্ডের ফাউন্ডেশন, কনসিলার বা অন্য কোনো মেকআপ প্রোডাক্ট কেনার পর যখন দেখেন সেগুলো স্কিনটোনের সাথে পারফেক্টলি ম্যাচ করছে না, তখন মনটাই খারাপ হয়ে যায়, তাই না? আসলে যতই কেয়ারফুল থাকি না কেন, মাঝেমধ্যেই দেখা যায় আমরা নিজের স্কিনটোনের চেয়ে লাইট বা ডার্ক শেইডের ফাউন্ডেশন, কনসিলার কিনে ফেলেছি। অথবা এমন একটি লিপস্টিক কিনেছি যেটি আমাদের স্কিনটোনে একেবারেই মানাচ্ছে না! স্কিনটোনের সাথে মেকআপ প্রোডাক্টস ম্যাচ না করলে কী করা যায়, সেটি কি জানা আছে?

আচ্ছা আগে বলুন তো, এই প্রোডাক্টগুলো কি ইউজ না করে ড্রেসিং টেবিলের এক কোণায় ফেলে রাখতে হবে? একদমই নয়। আজকের লেখায় আপনাদের জানাবো কোন ট্রিকগুলো ফলো করে আপনারা ভুল শেইডের মেকআপ প্রোডাক্টস দিয়েও পারফেক্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে পারেন সে সম্পর্কে। চলুন শুরু করি।

স্কিনটোনের সাথে মেকআপ প্রোডাক্টস ম্যাচ হচ্ছে না?

১) ফাউন্ডেশনের শেইড ম্যাচ না করলে কী করবেন?

ফাউন্ডেশন পারচেজ করার সময় অনেকেই তাদের পারফেক্ট শেইড বুঝতে পারেন না। ফলে দেখা যায় তারা নিজেদের স্কিনটোনের চেয়ে লাইট বা ডার্ক টোনের ফাউন্ডেশন কিনে ফেলেন। চলুন শুরুতেই এ প্রবলেমটি কীভাবে সল্ভ করা যায় তা জেনে আসা যাক।

স্কিনটোনের সাথে মেকআপ প্রোডাক্টস ম্যাচ করছে না

ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে আন্ডারটোন খুবই ইম্পরট্যান্ট। অনেক সময় দেখা যায় ফাউন্ডেশনের আন্ডারটোনের সাথে আমাদের আন্ডারটোন ম্যাচ হয় না এবং এ কারণে অ্যাপ্লাই করার পর দেখতে আনন্যাচারাল লাগে। এক্ষেত্রে যদি আপনার ফাউন্ডেশনের আন্ডারটোন পিংক বা নিউট্রাল হয়, তাহলে সেটিকে ওয়ার্ম আন্ডারটোনে কনভার্ট করার জন্য আপনারা যেকোনো ব্র্যান্ডের ইয়েলো কনসিলার ইউজ করতে পারেন।

এছাড়াও যদি ফাউন্ডেশন স্কিনটোনের চেয়ে ডার্ক শেইডের হয়, তাহলে এক থেকে দুই শেইড লাইট কনসিলার নিয়ে মিক্স করে নিন। আবার যদি হাতের কাছে অন্য কোনো লাইট শেইডের ফাউন্ডেশন থাকে, তাহলে সেটিও কাজে লাগাতে পারেন। এই ট্রিকটি ফলো করলেই দেখবেন যেকোনো ডার্ক শেইডের ফাউন্ডেশন আপনার স্কিনের সাথে পারফেক্টলি ম্যাচ করে যাবে।

আবার যদি কোনো ফাউন্ডেশনের শেইড স্কিনটোনের চেয়ে লাইট মনে হয়, তাহলে এরপর নিজের স্কিনটোনে ম্যাচ করে এমন শেইডের কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে পুরো ফেইস সেট করে নিন। তাহলেই দেখতে অনেকটা ন্যাচারাল লাগবে। এছাড়া চাইলে ঐ ফাউন্ডেশনের সাথে অল্প একটু ব্রোঞ্জারও মিক্স করতে পারেন, সেক্ষেত্রেও খুব ইজিলি স্কিনটোনের কাছাকাছি একটি শেইড পেয়ে যাবেন।

ফাউন্ডেশন মিক্সিং হ্যাকস

২) ভুল শেইডের কনসিলার কিনলে কী করবেন?

এবার আসি কনসিলারের ক্ষেত্রে। যদি আপনারা নিজের চেয়ে এক বা দুই শেইড লাইট কনসিলার কিনে ফেলেন, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। কারণ ঐ কনসিলার দিয়ে আপনারা ফেইস হাইলাইট করতে পারেন। আবার চাইলে আইলিডের প্রাইমার হিসেবেও এই কনসিলার ইউজ করতে পারেন৷

অন্যদিকে যদি কনসিলার কেনার পর তা আপনার স্কিনটোনের চেয়ে ডার্ক মনে হয়, তাহলে আপনি সেই কনসিলার কালার কারেক্টর হিসেবে ইউজ করতে পারেন এবং চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল বা ঠোঁটের চারপাশের পিগমেন্টেশন হাইড করতে পারেন। চাইলে এই ডার্ক কনসিলার আপনি লিকুইড কনট্যুর হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।

৩) লিপস্টিকের শেইড স্কিনটোনে স্যুট না করলে কী করবেন?

লিপস্টিক ছাড়া আমাদের মেকআপ লুক যেন ইনকমপ্লিট থেকে যায়। আমাদের প্রত্যেকের কালেকশনেই বিভিন্ন শেইড ও ফর্মুলার লিপস্টিক রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, কোনো লিপস্টিক কেনার পর সেটি আমাদের স্কিনটোনে স্যুট করে না। যদি কোনো লিপস্টিকের কালার অতিরিক্ত বোল্ড মনে হয়, তাহলে ঐ লিপস্টিকের সাথে যেকোনো একটি ন্যুড শেইডের লিপস্টিক মিক্স করে অ্যাপ্লাই করুন। দেখবেন এতে নিজের পছন্দসই একটি কালার পেয়ে যাবেন।

লিপস্টিক ম্যাচিং

ন্যুড বা নিউট্রাল শেইডের লিপস্টিক কেনার পর অনেক সময় আমাদের স্কিনটোনের সাথে একদমই মানায় না। আপনারা একটি ছোট্ট হ্যাক ফলো করলেই যেকোনো ন্যুড শেইডের লিপস্টিক ইউজ করতে পারেন একদম নিশ্চিন্তে৷ প্রথমে ডার্ক শেইডের লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের বাইরের অংশটুকু লাইন করে নিন। চাইলে ঠোঁটের মাঝেও একটু ফিল আপ করে দিতে পারেন। তারপর যেকোনো ন্যুড লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করুন। দেখবেন কত সুন্দরভাবে মানিয়ে গেছে!

স্কিনটোনের সাথে মেকআপ প্রোডাক্টস ম্যাচ না করলে কী কী ট্রিক ফলো করা যায়, আজ আমরা জেনে নিলাম। সত্যি বলতে মেকআপ প্রোডাক্টস কেনার সময় একটু আধটু ভুল হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আশা করি আজকের পর থেকে ভুল শেইডের ফাউন্ডেশন, কনসিলার অথবা লিপস্টিক কিনে ফেললে সেগুলো দিয়ে কী করবেন তা নিয়ে আপনাদের আর ভাবতে হবে না।

সবশেষে সবার প্রতি পরামর্শ থাকবে, নিজের মেকআপ, স্কিন ও হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস সিলেক্ট করার সময় কোয়ালিটি নিয়ে কখনোই কম্প্রোমাইজ করবেন না। অথেনটিক মেকআপ আইটেম, স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টসের হিউজ কালেকশন অ্যাভেইলেবল রয়েছে সাজগোজে। তাই ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটা ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্ট।

 

ছবি- সাজগোজ

The post স্কিনটোনের সাথে মেকআপ প্রোডাক্টস পারফেক্টলি ম্যাচ করছে না? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/v4rT2F3
Munia

Comments

Popular posts from this blog

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina...

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...