Skip to main content

তরমস

বাঙালির কাছে উৎসব মানেই খাবারের স্বাদে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করা। তাই তো আমরা ঘরে-বাইরে সব সময় নতুন নতুন খাবারের স্বাদ পেতে চাই। বিশেষ করে মিষ্টি খাবারের প্রতি আমাদের সবারই আলাদা আগ্রহ থাকে। আজ আপনাদের জানাবো একদম ভিন্ন স্বাদের একটি ডেজার্ট তিরামিসু সম্পর্কে। বাড়ির ছোট বড় সকলেরই ডেজার্টটি ভালো লাগবে। ইতালিয়ান এই ডেজার্টটি কীভাবে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন সেটাই জানাবো আজ।

তিরামিসু বানাতে যা যা লাগবে

  • ডিম ৪টি
  • চিনি ১ কাপ
  • লিকুইড দুধ ১/২ কাপ
  • হুইপিং ক্রিম ১ কাপ
  • ভ্যানিলা এসেন্স
  • মাস্কারপনি চীজ বা ক্রিম চীজ ১ প্যাকেট
  • কফি ১/২ চা চামচ
  • লেডি ফিঙ্গার বিস্কুট ৮/১০ টি (বাটির সাইজ অনুযায়ী)
  • কোকো পাউডার স্বাদমতো

যেভাবে বানাবেন

১) ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে দুই বাটিতে রাখুন।

২) একটি পাত্রে পানি গরম করে তার মধ্যে কুসুমের বাটিটি বসিয়ে দিন। এমন বাটি নিতে হবে যেটি তাপে ফেটে যাবে না।

৩) এবার এই কুসুমের মধ্যে চিনি ও লিকুইড দুধ দিয়ে দিন। যতক্ষণ ভালোভাবে উপাদানগুলো মিশে না যায়, ততক্ষণ নাড়তে থাকুন। না নাড়লে কুসুম জমে যাবে। চুলা থেকে নামানোর পরও ৩/৪ মিনিট কুসুমটুকু নেড়ে যেতে হবে। নইলে বাটি গরম থাকার কারণে জমে যাবে। তখন তিরামিসু বানানো ভালো হবে না। এবার বাটিটিকে ঢাকনা বা প্লাস্টিকের র‍্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

৪) এবার হুইপিং ক্রিম বানানোর পালা। যে বাটিতে ক্রিম তৈরি করবেন সেটি ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিবেন। এতে ক্রিম বেশ ভালোভাবে জমে। এবার ক্রিমটুকু বিট করে নিন।

৫) কুসুমের বাটিতে এবার কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স দিন। সাথে মিক্স করে নিন মাস্কারপনি চীজ বা ক্রিম চীজ। সময় নিয়ে সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিক্স করতে থাকুন। শেষ এক মিনিট বিটার দিয়ে হালকা বিট করে নিতে পারেন।

৬) এবার হুইপিং ক্রিম অল্প অল্প করে এই মিশ্রণে মিশিয়ে নিতে হবে। এই কাজটি করতে হবে ধীরে ধীরে। এটা মেশানোর জন্য কোনো বিটার বা হ্যান্ড হুইস্ক ইউজ করা যাবে না। এতে হুইপিং ক্রিমের ফোমি ভাব নষ্ট হয়ে যাবে এবং তিরামিসু সেট হবে না। মেশানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি বেশ স্মুথ হবে।

৭) একটি বাটিতে দুই কাপ গরম পানি নিয়ে তাতে কফি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কিছুক্ষণের জন্য ঠান্ডা হতে দিন।

৮) যে পাত্রে তিরামিসু বানাবেন সেটিতে লেডি ফিঙ্গারগুলো কফির পানিতে একটি একটি করে ভিজিয়ে রেখে দিন। বিস্কুট কিন্তু ২/৩ সেকেন্ডের বেশি ভিজিয়ে রাখা যাবে না।

৯) এবার এই বিস্কুটের উপর দিয়ে দিন রেডি করে রাখা মিশ্রণটুকু। এবার আরও একটি বিস্কুটের লেয়ার দিন। আবারও মিশ্রণটুকু চারপাশে ভালোভাবে ঢেলে দিন।

পরিবেশন 

তিরামিসু কিন্তু অলমোস্ট রেডি। তবে হ্যাঁ, পরিবেশন এখনই করা যাবে না। এজন্য একে এখন আট ঘন্টার মতো ফ্রিজে রেখে দিতে হবে ভালোভাবে সেট হওয়ার জন্য। আট ঘন্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে নিন। এর উপর ছিটিয়ে দিন কোকো পাউডার। এবার পছন্দসই সাইজে কেটে নিয়ে পরিবেশন করুন।

ব্যস! তৈরি হয়ে গেলো মজাদার ইতালিয়ান ডেজার্ট তিরামিসু। ঘরোয়া যে কোনো আয়োজনে, মেহমানদারীতে এখন পরিবেশন করতে পারেন এই ডেজার্টটি।

ছবিঃ সাটারস্টক

The post তিরামিসু appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/r6Aw3yG
Arfatun Nabila

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...