ঢেউখেলানো কোঁকড়া চুল দেখতে দারুণ লাগে, কিন্তু এই ধরনের চুল মেনটেইন করা বেশ ঝামেলার। কোঁকড়া চুলের অধিকারীরা প্রায়ই চুল নিয়ে বিপাকে পড়েন। দেখা গেলো, বেশ সময় নিয়ে সেজেগুজে পরিপাটি হয়ে বাইরে বের হলেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই চুল একদম পাখির বাসার মতো হয়ে আছে! এই সিচুয়েশন কি আপনিও ফেইস করেছেন? কার্লি হেয়ারে স্টাইলিং এর আগে চুল ঠিকভাবে প্রিপেয়ার করে নিলে এই পরিস্থিতিতে আপনাকে আর পড়তে হবে না! শুধু কার্লি হেয়ার না, যাদের চুল ওয়েভি তাদেরও কিন্তু সেইম অবস্থা। চলুন জেনে নেই হেয়ার স্টাইলিং এর আগে কোন কোন বিষয়ে আপনাকে নজর দিতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত।
কার্লি হেয়ারে স্টাইলিং
চুলের ধরন যেমনই হোক না কেন, চুল হেলদি হলে স্টাইলিং করতে কিন্তু কোনো অসুবিধা হয় না। অনেকেই মনে করেন, কার্লি হেয়ার মানেই ফ্রিজি, রাফ! কিন্তু না, সহজ ৪টি ধাপ মেনে চললে কোঁকড়া চুলেও স্টাইল করা অনেক সহজ হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এখনই।
খেয়াল রাখুন ৪টি বিষয়ে
১) হাইড্রেটিং শ্যাম্পু বেছে নিন
স্ক্যাল্প ও চুল পরিষ্কার করতে বেছে নিন সঠিক শ্যাম্পু। হাইড্রেটিং ফর্মুলার শ্যাম্পু চুলকে ড্রাই না করেই ডার্ট ও অয়েল ক্লিন করে। প্রথমে চুল কাঠের চিরুনি দিয়ে ভালোভাবে আঁচড়িয়ে নিন যাতে জট না থাকে। এবার চুল ও স্ক্যাল্প ভিজিয়ে শুধুমাত্র গোড়াতে শ্যাম্পু দিয়ে ম্যাসাজ করুন। তারপর সেই শ্যাম্পুর ফেনা দিয়ে বাকি চুল ধুয়ে ফেলুন। হাইড্রেটিং শ্যাম্পু কার্লি হেয়ারের রুক্ষতা দূর করে চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখে। বার বার হার্শ ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহার চুলকে রাফ করে দিতে পারে। তাই শ্যাম্পু সিলেকশনে সচেতন হোন।
২) নারিশিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন
শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হয়, এটা তো সবার জানা। কিন্তু যেদিন চুলে স্টাইলিং করবেন, সেদিন একটু এক্সট্রা কেয়ারের প্রয়োজন হয়। শ্যাম্পু করার পর চুলে নারিশিং হেয়ার মাস্ক বা ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি চুলের রুক্ষতা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। চুল থাকবে শাইনি ও ম্যানেজেবল অল ডে লং! ভেজা চুলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে ৩-৪ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) ভালোমানের হেয়ার সিরাম চুজ করুন
কার্লি হেয়ারে স্টাইলিং এর আগে সিরাম অ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না যেন। ফ্রিজিনেস কন্ট্রোল করে হেয়ারে শাইনি লুক দেয়, এমন সিরাম বেছে নিন। সিরাম চুলের হাইড্রেশন আর ময়েশ্চার রিস্টোর করে, রুক্ষতা কমিয়ে চুলকে করে ম্যানেজেবল আর শাইনি। এছাড়া হেয়ার ব্রেকেজও প্রিভেন্ট করে। হাতে অল্প করে সিরাম নিয়ে হালকা ভেজা চুলে অ্যাপ্লাই করুন। এবার চুল শুকিয়ে গেলে ইচ্ছেমতো স্টাইলিং করতে পারেন!
৪) হিট প্রোটেকটর স্প্রে স্কিপ করবেন না
ব্লো ড্রাই বা হেয়ার স্ট্রেইট করার সময় সেই হিট বা গরম বাতাস চুলের টেক্সচারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই ব্লো ড্রাইয়ার অথবা স্ট্রেইটনার ব্যবহার করার আগে চুলে হিট প্রোটেকটর স্প্রে ব্যবহার করে নিন। এতে হেয়ার ড্যামেজের চান্স অনেকটাই কমে যায়।
কার্লি হেয়ারে স্টাইলিং এর আগে এই ৪টি বিষয় খেয়াল রাখলেই আপনার সব প্রবলেম সল্ভ হয়ে যাবে! চলুন এবার তাহলে আরও কিছু টিপস অ্যান্ড ট্রিকস জেনে নেই, যাদের চুল ওয়েভি বা কার্লি, তাদের জন্য এগুলো বেশ কাজে আসবে।
বোনাস টিপস
১) অনেক সময় কার্লি হেয়ার কম্বিং করার পর একদম ফুলে ফুলে থাকে। তাই শ্যাম্পু করার আগে চুল ভালোভাবে আঁচড়িয়ে নিন। চুল যদি খোলা রাখতে চান, তাহলে সিরাম অ্যাপ্লাই করে হাতের আঙুল দিয়েই চুল সেট করে নিন।
২) চুল ২/৩ মাস পর পর ট্রিম করুন ভালো কোনো বিউটি সেল্যুন থেকে।
৩) কার্লি হেয়ার খুব সহজেই ডিহাইড্রেটেড বা রাফ হয়ে যায়। তাই এমন হেয়ার কেয়ার রেঞ্জ বেছে নিন যেগুলো চুলকে সফট, হাইড্রেটেড রাখতে হেল্প করে। ডিপ ময়েশ্চারাইজিং, নারিশিং ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে এমন প্রোডাক্ট চুজ করুন।
৪) সপ্তাহে এক/দু’বার খাঁটি নারকেল তেল দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন। এরপর উষ্ণ পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে সেটা চুলে পেচিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৫) খুব বেশি প্রয়োজন না হলে চুলে হিট স্টাইলিং টুলস ইউজ করবেন না। কার্লি হেয়ার যদি হেলদি হয়, তাহলে কিন্তু এমনিতেই সুন্দর লাগে দেখতে। তাই হেয়ার কেয়ারের দিকে নজর দিন। চুল হেলদি থাকলে আপনাকে সব ধরনের হেয়ার স্টাইলেই বেশ ভালো লাগবে।
ব্যস, জানা হয়ে গেলো কার্লি হেয়ারে স্টাইলিং নিয়ে কিছু ইফেক্টিভ টিপস! অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।
ছবি- সাজগোজ, সাটারস্টক
The post কার্লি হেয়ারে স্টাইলিং এর আগে খেয়াল রাখুন ৪টি বিষয়! appeared first on Shajgoj.
from Shajgoj https://ift.tt/u0k36Li
Munia
Comments
Post a Comment