Skip to main content

সানট্যান ও পিগমেন্টেশন দূর করতে ৫টি কার্যকরী ফেইস প্যাক

দীর্ঘক্ষণ সান এক্সপোজারের ফলে স্কিনে ট্যান পড়ে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক! প্রোপারলি সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই ও রিঅ্যাপ্লাই না করার ফলে অল্প বয়সেই স্কিনে পিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দেয়। প্রাকৃতিকভাবে সানট্যান কমাতে ঘরে তৈরি ফেইস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। স্কিনকে গ্লোয়ি ও ব্রাইট করতে কিছু ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট দারুণ কাজ করে। সানট্যান ও পিগমেন্টেশন দূর করতে ৫টি কার্যকরী ফেইস প্যাক নিয়েই আজকের ফিচার।

সানট্যান ও পিগমেন্টেশন দূর করার উপায়

আজ এমন কিছু ফেইস প্যাক সাজেস্ট করবো যা একদম প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের কালোদাগ ও কালচেভাব দূর করবে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি আর অ্যান্টি এজিং প্রোপারটিজ রয়েছে, এমন উপাদান আপনাকে বেছে নিতে হবে। চলুন দেরি না করে জেনে নেই বিস্তারিত।

১. অ্যালোভেরা ফেইস মাস্ক

আপনার প্রয়োজন হবে-

সানট্যান ও পিগমেন্টেশন দূর করতে কার্যকরী ফেইস প্যাক

একটি বাটিতে সব উপাদান মিশিয়ে নিন যাতে স্মুথ পেস্ট তৈরি হয়। এবার ফেইসে লাগিয়ে নিন ভালোভাবে। এবার ১০-১৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন, তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

অ্যালোভেরাতে অ্যালোসিন রয়েছে যা সানট্যান ও পিগমেন্টেশন দূর করতে দারুণ হেল্পফুল। অ্যালোসিন ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। এটা রোদে পোড়া ত্বককে সুদিং ফিল দেয়। মধু স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে, ন্যাচারাল গ্লো ফিরিয়ে আনে। এটি পিম্পলসেরও সল্যুশন দেয় । হলুদে আছে ভেষজ গুণাগুণ, যা হাইপারপিগমেন্টেশন কমিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে।

 

২. টমেটো ফেইস প্যাক

আপনার প্রয়োজন হবে-

  • টমেটো পাল্প/ টমেটো সুদিং জেল ১ টেবিল চামচ
  • মধু সামান্য
  • টকদই ১ চা চামচ

প্রথমেই একটি উষ্ণ গরম তোয়ালে দিয়ে ফেইস ঢেকে রাখুন (স্টিমিং)। এরপর সব উপাদান মিক্স করে ফেইসে অ্যাপ্লাই করুন এবং ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। আইস কিউব দিয়ে ফেইসে রাব করুন। ব্যস, নিমিষেই পাবেন ব্রাইট ও সফট স্কিন।

টমেটো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। একটি প্রাকৃতিকভাবেই ত্বককে উজ্জ্বল করে। এটি ত্বকের সানট্যান দূর করে অল্প সময়েই। টকদই স্কিনে ময়েশ্চার প্রোভাইভ করে, প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস প্রিভেন্ট করে। সরাসরি টমেটো স্কিনে অ্যাপ্লাই করলে জ্বালাপোড়া করতে পারে যেহেতু এটা কিছুটা অ্যাসিডিক, তাই টকদই মিক্স করে দিতে হবে।

৩. উপটান

সানট্যান দূর করার উপায়

আপনার প্রয়োজন হবে-

একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এটি আপনার ফেইসে অ্যাপ্লাই করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ল্যাভিনো অর্গানিক ব্রাইটেনিং উপটানে আছে মুলতানি মাটি, রোজ পেটাল, যষ্টিমধু, নিম, চন্দন, হলুদ, রাইস পাউডার ও অরেঞ্জ পিল পাউডার। একের মধ্যেই সব! ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টস দিয়ে ঘরে বসেই ব্রাইট ও স্পটলেস স্কিন পাওয়া সম্ভব। সানট্যান ও পিগমেন্টেশন দূর করতে আমার ক্ষেত্রে এই প্যাকটি দারুণ কাজ করেছে।

৪. মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক

আপনার প্রয়োজন হবে-

রাজকন্যা মুলতানি মাটি

মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো ভালোভাবে মিক্স করুন। এই পেস্টটি আপনার ফেইসে লাগিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অয়েলি স্কিনের জন্য এই প্যাকটি বেশ ভালো কাজ করবে।

রাজকন্যা মুলতানি মাটি ১০০% পিওর ও অর্গানিক। এটি সানট্যান ও পিগমেন্টশন দূর করতে দারুণ কাজ করে এবং স্কিনটোন ব্রাইট করে। এটি ফেইসের এক্সেস অয়েলিনেস কমায় এবং একনে প্রিভেন্ট করে। দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড আর আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকায় ত্বককে ময়েশ্চারাইজ ও এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। যাদের স্কিন ড্রাই, তারা এই ফেইস প্যাকে দুধ অ্যাড করতে পারেন।

৫. লিকোরিস ফেইস প্যাক

আপনার প্রয়োজন হবে-

মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিক্স করুন। পেস্টটি আপনার ফেইসে অ্যাপ্লাই করুন। ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখুন, তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সানট্যান দূর করার উপায়

রাজকন্যা লিকোরিস পাউডার (যষ্টিমধু গুঁড়া) সানট্যান, ব্লেমিশ, ডার্ক স্পটস দূর করে অল্প সময়েই! এর ডিপ ক্লেনজিং আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রোপারটিজ স্কিনকে হেলদি রাখতে দারুণ উপকারী। পেঁপেতে papain আর chymopapain enzymes আছে, যা ইনফ্ল্যামেশন কমায় ও ওপেন পোরসের সল্যুশন দেয়। পেঁপে স্কিনের কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়াতেও বেশ হেল্পফুল।

দিনের বেলা সানস্ক্রিন মাস্ট!

বাংলাদেশের আবহাওয়াতে SPF 30-60 যুক্ত সানস্ক্রিন উপযুক্ত। দিনের বেলা অবশ্যই সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করুন। সানস্ক্রিন ত্বককে UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে। যার ফলে ট্যান, পিগমেন্টেশন এগুলো আগেই প্রিভেন্ট করা যায়। অবশ্যই ২-৩ ঘন্টা পর পর সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করতে হবে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদে থাকবেন না। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে খুব বেশি সময় ধরে সুইমিং এড়িয়ে চলুন। যদি করতেই হয়, এক্ষেত্রে ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই না করলে কী হবে?

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের ক্যান্সার ও মেলানোমার মতো স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে, তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রোপার সান প্রোটেকশন মাস্ট। UV রশ্মি ত্বকের কোলাজেন প্রোটিন ভেঙে দেয় এবং ফ্রি রেডিক্যালের প্রোডাকশন বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ত্বকে সানট্যানের সাথে সাথে বয়সের ছাপ, স্পটস, পিগমেন্টেশন এগুলো খুব সহজেই ভিজিবল হয়। সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই না করলে কী ধরনের ঝুঁকি আছে, সেটা এখন বুঝতে পেরেছেন আশা করি।

সানট্যান ও পিগমেন্টেশন দূর করতে ৫টি কার্যকরী ফেইস প্যাক সম্পর্কে জানা হলো। রাতারাতি এই স্কিন প্রবলেমগুলো থেকে আপনি মুক্তি পাবেন না, তাই ধৈর্য ধরে ত্বকের যত্ন নিন। প্রোপারলি স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করুন। অনলাইনে অথেনটিক বিউটি প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

ছবি- সাজগোজ

The post সানট্যান ও পিগমেন্টেশন দূর করতে ৫টি কার্যকরী ফেইস প্যাক appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/6Y0nLDg
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...