Skip to main content

সুপার ময়েশ্চার ব্রাইটেনিং লোশন দিয়ে উইন্টার বডি কেয়ার

হাত-পা ও বডির স্কিনের যত্ন নিতে একটু আলসেমি লাগে, তাই না? কিন্তু বিভিন্ন কারণেই আমাদের বডির স্কিন ড্রাই, ডিহাইড্রেটেড ও ডার্ক হয়ে যায়! আর শীতে তো স্কিন প্রবলেম আরও বেড়ে যায়। আচ্ছা, যদি স্বল্প বাজেটে সুপার ময়েশ্চার ব্রাইটেনিং লোশন দিয়ে বডি কেয়ার করা যায়, তাহলে তো বেশ ভালোই হয়, তাই না? বলছি Rajkonna Brightening Body Lotion Super Moisture এর কথা, যা শীতকালেও দিনভর স্কিনকে রাখবে ময়েশ্চারাইজড। চলুন এই বডি লোশন নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।

ড্রাই স্কিনকে বলুন বাই বাই 

শীতকালে খুব স্বাভাবিকভাবেই ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। আর যাদের স্কিন এমনিতেই ড্রাই ও ডিহাইড্রেটেড, তাদের জন্য তো শীতকাল মানেই বিভীষিকা! কিন্তু এবার উইন্টার সিজন উপভোগ করুন একদম মনভরে আর ড্রাই স্কিনকে বলুন বাই বাই! কারণ Rajkonna Brightening Body Lotion Super Moisture তো আছেই! বার বার লোশন অ্যাপ্লাই করার ঝামেলা নেই, একবার অ্যাপ্লাই করলেই দিনভর স্কিন থাকবে সফট ও ময়েশ্চারাইজড। আজ এই প্রোডাক্টটির রিভিউ ডিটেইলসে শেয়ার করবো। যাদের স্কিন ড্রাই ও ডিহাইড্রেটেড অথবা শীত আসলেই স্কিন রাফ হয়ে যায়, তাদের জন্য এই লোশনটি হাইলি রেকমেন্ডেড।

সুপার ময়েশ্চার ব্রাইটেনিং লোশন

রাজকন্যা সুপার ময়েশ্চার ব্রাইটেনিং লোশন রিভিউ  

যেকোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার সময় বাজেট আর কোয়ালিটি এই দু’টো বিষয়কেই প্রায়োরিটি দেওয়া হয়। ‘রাজকন্যা’ আমাদের দেশীয় ব্র্যান্ড। অরগানিক, স্কিন ফ্রেন্ডলি ও ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত প্রোডাক্টের জন্য এই ব্র্যান্ডটি অলরেডি বেশ হাইপড। আর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, এই ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট রেঞ্জ পেয়ে যাচ্ছেন একদম সাশ্রয়ী মূল্যে। রাজকন্যা রিসেন্টলি নিয়ে এসেছে দু’টি অ্যামেজিং বডি লোশন। একটি হচ্ছে সুপার ময়েশ্চার এবং আরেকটি সুপার রেডিয়েন্ট।

Rajkonna Brightening Body Lotion Super Moisture ড্রাই ও রাফ স্কিনকে ডিপলি ময়েশ্চারাইজ করে

Rajkonna Brightening Body Lotion Super Radiant স্কিনকে ব্রাইট ও সফট করে

আমার ফেইসের স্কিন অয়েলি হলেও বডির স্কিন খুবই ড্রাই আর রাফ, তাই আমি এক কলিগের সাজেশনে পারচেজ করেছিলাম রাজকন্যা সুপার ময়েশ্চার ব্রাইটেনিং লোশন। বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যবহার করছি আর আজ আমার পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্সই শেয়ার করবো।

এই লোশনের মেইন ইনগ্রেডিয়েন্টস

স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট কেনার সময় আমরা সবাই কিন্তু আগে ইনগ্রেডিয়েন্ট লিস্ট চেক করি, তাই না? সুপার ময়েশ্চার নামটা শুনেই বোঝা যাচ্ছে এতে আছে এমন কিছু ইনগ্রেডিয়েন্টস যা স্কিনের ময়েশ্চার লক করে ইনস্ট্যান্টলি। চলুন এক নজরে দেখে নেই কী কী উপাদান আছে এতে।

রাজকন্যা সুপার ময়েশ্চার ব্রাইটেনিং লোশন

১) আলফা আরবুটিন

আলফা আরবুটিন স্কিন ব্রাইটেনিং এর জন্য সেইফ ইনগ্রেডিয়েন্ট, এটা আমরা অনেকেই জানি। ত্বক উজ্জ্বল করার সাথে সাথে এটি স্পটস কমিয়ে আনে এবং স্কিনটোন ইভেন করে তোলে।

২) আরগান অয়েল

অ্যান্টি এজিং প্রোপারটিযুক্ত আরগান অয়েল ত্বকের যত্নে অতুলনীয়। এই তেলে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। আরগান অয়েল ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে স্কিনের রুক্ষতা-শুষ্কতা দূর করে ঠিক ম্যাজিকের মতো।

৩) সোডিয়াম হায়ালুরোনেট

সোডিয়াম হায়ালুরোনেট হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এর একটি ফর্ম। স্কিনকে লং টাইম ধরে ময়েশ্চারাইজড ও হাইড্রেটেড রাখতে দারুণ কাজ করে এই উপাদানটি। সোডিয়াম হায়ালুরোনেট স্কিনের ওয়াটার ও ময়েশ্চার লেভেল ব্যালেন্স করে, তাই স্কিন হয়ে ওঠে হেলদি।

এই তিনটি উপাদান একসাথে কাজ করে আপনার বডির স্কিনকে দেয় ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত ডিপ নারিশমেন্ট আর ড্রাইনেস প্রোটেকশন। তাহলে বুঝতেই পারছেন কেন সাজেস্ট করছি এই বডি লোশনটি।

 

প্যাকেজিং ও দাম

রাজকন্যা সুপার ময়েশ্চার ব্রাইটেনিং লোশন পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ মি.লি পরিমাণে। হোয়াইট কালারের বোতলে আসে এই প্রোডাক্টটি। পাম্প সিস্টেম, ছিমছাম প্যাকেজিং। আমার বেশ ভালো লেগেছে কারণ পাম্প সিস্টেম হওয়ার কারণে যতটুকু লোশন লাগবে ঠিক ততটুকুই বের করা যায়। আর এক্ষেত্রে হাইজিনও ভালোভাবে মেনটেইন হয়। এই লোশনটির দাম কিন্তু একদমই হাতের নাগালে। একা ব্যবহার করলে একটি লোশন দিয়ে আপনি উইন্টার সিজন পার করতে পারবেন।

আমার এক্সপেরিয়েন্স

  • অ্যাপ্লাইয়ের পর স্কিন বেশ ব্রাইট, স্মুথ ও সফট লাগে
  • স্কিনের ড্রাইনেস আর রাফনেস এখন নেই বললেই চলে
  • এর স্মেল খুবই মাইল্ড যেটা আমার বেশ ভালো লাগে
  • লোশনের টেক্সচার ক্রিমি ও থিক যা দেয় ডে লং ময়েশ্চারাইজেশন
  • চিটচিটে ভাব ছাড়াই খুব দ্রুত স্কিনে অ্যাবসর্ব হয়ে যায়
  • বার বার অ্যাপ্লাই করার ঝামেলা নেই

স্কিন কেয়ার

তাহলে বুঝতেই পারছেন কেন এটা আমার ফেবারিট। আপনারাও ট্রাই করে দেখুন আর আমাদের সাথে রিভিউ শেয়ার করুন। যাদের স্কিন অতিরিক্ত ড্রাই বা বার বার লোশন অ্যাপ্লাই করতে হয়, তাদের জন্য এটা মাস্ট হ্যাভ। শীত আসলে তো স্কিন এমনিতেই ড্রাই হয়ে যায়। এটা আসলে অল স্কিন টাইপেই স্যুট করবে।

তো এই ছিলো সুপার ময়েশ্চার ব্রাইটেনিং লোশন এর রিভিউ। আশা করি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিলো। যারা শীতকালের জন্য বাজেট ফ্রেন্ডলি বডি লোশন কিনতে চাচ্ছেন, তারা এখনই অর্ডার করে ফেলুন। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

 

ছবি- সাজগোজ

The post সুপার ময়েশ্চার ব্রাইটেনিং লোশন দিয়ে উইন্টার বডি কেয়ার appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/ueiRBNZ
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...