Skip to main content

ওয়াটার প্রুফ মাশকারা রিমুভ করার ইজি ও সেইফ সল্যুশন

সাধারণত ডে টাইমে, কোনো অকেশনে বা ইভিনিং পার্টিতে হেভি কিংবা ক্যাজুয়াল লুকের সাথে মাশকারা অ্যাপ্লাই না করলেই নয়! যাদের অনেক বেশি ঘাম হয়, তাদের জন্য ওয়াটার প্রুফ মাশকারা একদম লাইফ সেভার। এগুলো সাধারণত স্ম্যাজ প্রুফ ও লং লাস্টিং হয়। দিন শেষে এই ওয়াটার প্রুফ মাশকারা রিমুভ করাটা বেশ ঝামেলার কাজ মনে হয়, তাই না? মাশকারা ও আই মেকআপ সঠিকভাবে রিমুভ না করলে আইল্যাশ ফল আউট হবে, চোখের চারপাশের এরিয়া জ্বালাপোড়া করবে, এমনকি লালও হয়ে যেতে পারে! তাই ওয়াটার প্রুফ মাশকারা রিমুভ করতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে। কী সেই নিয়মগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

এই মাশকারার ফর্মুলা কেমন? 

ওয়াটার প্রুফ মাশকারা বানানোই হয় এমনভাবে যাতে এগুলো ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ও সোয়েট প্রুফ হয়। এতে লং টাইম ধরে আপনার ন্যাচারাল আইল্যাশ অনেক বেশি ঘন, লম্বা দেখায়। এই মাশকারা অ্যাপ্লাই করার পর আপনি আবেগে কেঁদে ভাসালেও কিন্তু সেটা উঠে যাবে না! সুইমিং পুলে সাঁতার কাটলে কিংবা অতিরিক্ত ঘামলেও সেটা ছড়িয়ে পড়ার চান্স নেই। তাই এর রিমুভাল প্রসেসও অন্যান্য মেকআপ আইটেমের চেয়ে ডিফারেন্ট।

ওয়াটার প্রুফ মাশকারা রিমুভ করবো কীভাবে?  

কোন কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করে খুব সহজেই ও নিরাপদে ওয়াটার প্রুফ মাশকারা রিমুভ করা যায়, চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।

ওয়াটার প্রফ মাশকারা রিমুভ

কোল্ড ক্রিম

প্রথমে ফেইক আইল্যাশ খুলে নিন। এরপর অল্প করে কোল্ড ক্রিম নিয়ে আঙুলের সাহায্যে আইলিড এরিয়াতে ম্যাসাজ করুন আলতোভাবে। আস্তে আস্তে মাশকারা ক্লিন হতে শুরু করবে। এরপর কটন বাডে কোল্ড ক্রিম লাগিয়ে আইল্যাশের গোড়ায় আস্তে আস্তে রাব করুন। জোরে ঘষাঘষি করবেন না! সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে গেলে ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে নিন। এরপর মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে রেগুলার যেভাবে মেকআপ ক্লিন করেন, সেভাবেই পুরো চোখের মেকআপ ক্লিন করে নিন।

নন কমেডোজেনিক অয়েল  

জোজোবা অয়েল, বেবি অয়েল, আমন্ড অয়েল এগুলো ওয়াটার প্রুফ মাশকারা তোলার ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। সাধারণত এগুলো পোরস ক্লগ করে না, তাই ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে। প্রথমে একটি তুলার বল বা কটন প্যাডে কয়েক ড্রপ তেল নিন। চোখ বন্ধ করা অবস্থায় আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে ক্লিন করুন। সময় নিয়ে করবেন, তাড়াহুড়ো করে জোরে জরে রাব করবেন না। এবার ওয়াইপস দিয়ে মুছে নিন। এরপর মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে চোখের পুরো মেকআপ পরিষ্কার করে নিন। তারপর রেগুলার যেভাবে ডাবল ক্লেনজিং করেন, সেভাবেই বাকি মেকআপ ক্লিন করুন।

মাইসেলার ওয়াটার

মাইসেলার ওয়াটার

মাইসেলার ওয়াটার যেকোনো মেকআপ রিমুভের জন্য সবচেয়ে সেইফ অপশন। কারণ মাইসেলার ওয়াটারে এমন কিছু মলিকিউলস থাকে যেগুলো স্কিনের ন্যাচারাল সিবাম ও ডার্ট পার্টিকেলসকে আলাদা করে ফেলে, যাতে সহজেই ইমপিওরিটিস রিমুভ করা সম্ভব হয়। মেকআপ ভালোভাবে ক্লিন করতে আপনাকে সাহায্য করবে মাইসেলার ওয়াটার। কটন প্যাড মাইসেলার ওয়াটারে ভিজিয়ে চোখের ওপর আলতো করে চেপে রাখুন ৫/৭ সেকেন্ড। এরপর মুছে নিয়ে পানি দিয়ে আই এরিয়া কয়েকবার ধুয়ে নিন।

 

টিয়ার ফ্রি বেবি শ্যাম্পু

হাতের কাছে অয়েল বা মাইসেলার ওয়াটার নেই? জেদি ওয়াটার প্রুফ মাশকারা তুলতে বেবি শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন। খুব সামান্য পরিমাণে বেবি শ্যাম্পু নিয়ে হাতের তালুতে ফোম তৈরি করুন, সেই ফেনাটুকু তুলার বলের সাহায্যে আই ল্যাশের ওপর রাব করুন। বেবি শ্যাম্পুতে চোখ জ্বালাপোড়া করে না, তবুও চোখ বন্ধ রাখবেন। ভালোভাবে ক্লিন করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন।

মেকআপ রিমুভার

এখন ওয়াটার প্রুফ মেকআপ প্রোডাক্টস রিমুভ করার জন্য আলাদা করে মেকআপ ক্লেনজিং অয়েল বা মেকআপ রিমুভার পাওয়া যায়। এই ধরনের লিকুইড মেকআপ ক্লেনজার যদি আপনার কালেকশনে থাকে, তাহলে আপনার জন্য বেশ সুবিধা হবেই। এটার ব্যবহার মাইসেলার ওয়াটারের মতোই। তবে এক্ষেত্রে কটন প্যাড দিয়ে মুছে নেওয়ার পাশাপাশি কটন বাড দিয়ে আইল্যাশের গোড়া ভালোভাবে পরিস্কার করে নিবেন, না হলে মাশকারার রেসিডিউ থেকে যাবে আর আইল্যাশ ফল করতে শুরু করবে।

ওয়াটার প্রুফ মাশকারা রিমুভাল

চোখের এরিয়ার যত্ন নিতে ভুলবেন না 

চোখের চারপাশের এরিয়া ফেইসের অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশ সেনসিটিভ, আর আই এরিয়ার স্কিনও পাতলা। তাই ভুলভাবে রাব করলে খুব সহজেই এই এরিয়াতে ফাইন লাইনস ও রিংকেলস দেখা দিবে। তাই আই মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে কোনো তাড়াহুড়ো করা যাবে না। আর আই মেকআপ পরিষ্কার করার পরে ভালো মানের একটা আই ক্রিম অবশ্যই লাগাবেন। আরেকটি বিষয়, মাশকারা বা অন্যান্য মেকআপ প্রোডাক্ট পারচেজ করার সময় এক্সপায়ার্ড ডেট চেক করতে ভুলবেন না।

অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন।

 

ছবি- সাজগোজ

The post ওয়াটার প্রুফ মাশকারা রিমুভ করার ইজি ও সেইফ সল্যুশন appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/hl4YNV7
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...