Skip to main content

আপনার স্কিন টাইপ কীভাবে আইডেন্টিফাই করবেন?

হেলদি ও ফ্ললেস স্কিন আমরা সবাই চাই। কিন্তু কীভাবে পাবো সেটা? আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কত পণ্যের বিজ্ঞাপন, দেশী বিদেশী কত ব্লগারের রিভিউ! কোনটা আমার স্কিনের জন্য বেস্ট চয়েজ হবে সেটা নিয়ে কনফিউশনের শেষ নেই। আমরা অনেকেই আমাদের ত্বকের ধরন ঠিক কী, সেটাই জানি না। যদি আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী পারফেক্ট প্রোডাক্ট সিলেক্ট না করেন তাহলেই কিন্তু বিপদ! তাই আগে নিজের স্কিন টাইপ জানা খুবই জরুরি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিছু সিম্পল টেস্ট যা দিয়ে আপনি নিজেই আইডেন্টিফাই করতে পারবেন আপনার স্কিন টাইপ।

ত্বকের ধরন বুঝে স্কিনকেয়ার

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে প্রথম শর্ত হচ্ছে প্রোপার স্কিনকেয়ার রুটিন মেনটেইন করা। যখন আমরা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট সিলেকশনে ভুল করি, তখন কিন্তু বিউটি রুটিনও ঠিকমতো কাজে দেয় না। আগে ত্বকের ধরন জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে। তৈলাক্ত, শুষ্ক, নরমাল, মিশ্র, একনে প্রন, সেনসিটিভ- কত ধরনের ত্বকই তো হয়। আপনি হয়তো ভাবছেন, নিজে নিজে কীভাবে বুঝবো ত্বকের ধরন? ব্যাপারটা কিন্তু এতটাও কঠিন কিছু না। শুধু জানতে হবে কয়েকটা ছোট্ট উপায়। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।

আপনার স্কিন টাইপ কীভাবে বুঝবেন?

১) দ্যা টিস্যু টেস্ট

দ্যা টিস্যু টেস্ট

প্রথমে ফেইস ওয়াশ অথবা মাইল্ড ফেসিয়াল ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ক্লিন করে নিন। এরপর এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। দু’টা টিস্যু নিন। একটি টিস্যু দিয়ে শুধু ফেইসের টি-জোন মুছে নিন। আরেকটি টিস্যু দিয়ে ফেইসের বাকি অংশ মুছুন। যদি দু’টা টিস্যুতেই হালকা পরিমাণে তেল থাকে তাহলে আপনার স্কিন তৈলাক্ত। আর যদি শুধু টি-জোন মুছে নেওয়া টিস্যুতে তেল থাকে আর অন্য টিস্যুটি স্বাভাবিক থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক মিশ্র ধরনের বা কম্বিনেশন স্কিন। এখানে বলে নেই ফেইসে টি-জোন কোনটি। আপনার  কপাল ও নাকের অংশটুকুই টি-জোন। T শেইপের দেখতে বলে এর নামও টি-জোন।

২) দ্যা ফিল টেস্ট

ত্বক পরিস্কার করার পর যদি সাথে সাথেই একটু টাইট ফিল হয়, তাহলে আপনার ত্বক শুস্ক। আর ক্লেনজিং এর পরে যদি মুখ অনেক বেশি ফ্রেশ বা ক্লিন দেখায়, তাহলে আপনার ত্বক তৈলাক্ত। অন্যদিকে যদি টি-জোন লাইট ফিল হয় কিন্তু গালের অংশে বেশি টানটান লাগে, তাহলে আপনার ত্বক মিশ্র প্রকৃতির বা কম্বিনেশন

অন্যদিকে সেনসিটিভ স্কিন হলে সাধারণত ক্লেনজিং এর পর ফেইসে একটু রেডনেস আসে এবং ইচিং হয় । এই ধরনের স্কিনের জন্য প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা কঠিন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া হুট করে নতুন কোনো প্রোডাক্ট এই ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা একদমই উচিত না। আর এগুলোর কোনোটাই যদি আপনার না হয়ে থাকে, তাহলে আপনার স্কিন স্বাভাবিক। বেসিক ও সিম্পল স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চললেই আপনার স্কিন সুন্দর থাকবে। আর যদি আপনার ফেইসে গ্রিজিনেস থাকে আর মাঝে মাঝেই একনে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে আপনার স্কিন একইসাথে অয়েলি ও একনে প্রন।

৩) দ্যা মিরর টেস্ট

আপনার স্কিন টাইপ বুঝবেন কীভাবে

সকালে উঠেই আয়নায় তাকালে যদি মুখে লালচে বা সাদা সাদা টাইপের শুস্ক চামড়া দেখা যায় তাহলে আপনার ত্বক শুস্ক। আর যদি ফেইস শাইনি দেখায়, তাহলে সেটা তৈলাক্ত ত্বক। আর যদি এই শুধুমাত্র টি-জোনে গ্রিজিনেস দেখা যায়, বাকি অংশটুকু ড্রাই ফিল হয়, তাহলে আপনার স্কিন টাইপ কম্বিনেশন।

৪) দ্যা পোর টেস্ট 

নরমাল স্কিন হলে আপনার ফেইসের পোরস দেখা যাবে, কিন্তু সেটা আয়নায় খুব কাছ থেকে দেখলে। আয়না থেকে দূরে দাঁড়ালে সেগুলো আর চোখে পরবে না। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে আয়না থেকে দূরে থাকলেও পোরস চোখে পরবে। মানে অয়েলি স্কিনে ওপেন পোরস এর ভিজিবিলিটি বেশি থাকে। অন্যদিকে আপনার যদি শুষ্ক ত্বক হয়ে থাকে, তাহলে আপনার স্কিন পোরস একদমই চোখে পরবে না। এক্ষেত্রে স্কিন ফ্লেকি বা রাফ দেখাবে। আর কম্বিনেশন স্কিনের ক্ষেত্রে ফেইসের অয়েলি এরিয়াতে শুধুমাত্র পোরস বোঝা যায়, অন্য অংশে নয়।

৫) দ্যা ফাইনাল টেস্ট

একনে

খেয়াল করলে দেখবেন যে ড্রাই স্কিনে এজিং সাইনস একটু আগে আগেই ভিজিবল হয়। আর অয়েলি স্কিনে একনে, বাম্পস এগুলো বেশি হয়। এক কথায়, অয়েলি স্কিনে চিটচিটেভাব বা গ্রিজিনেস থাকে আর ড্রাই স্কিন হয় একটু রাফ বা খসখসে। যদি এগুলোর মধ্যে কোনো উপায়েই আপনি আপনার স্কিন টাইপ বুঝতে না পারেন, সেক্ষেত্রে বেস্ট সল্যুশন হচ্ছে একজন স্কিন স্পেশালিস্টকে দেখানো। যিনি আপনার ত্বক পরীক্ষা করে ত্বকের ধরন বলে দিবেন, সেইসাথে ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক প্রোডাক্ট সাজেস্ট করতে পারবেন।

তাহলে এই ছিল আজকের আলোচনা। আপনার স্কিন টাইপ আসলে কী সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনার জানা হয়ে গেছে! এবার তাহলে ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট করুন এবং প্রোপারলি স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলুন। স্কিনকেয়ার নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন বা কনফিউশন থাকলে ইনবক্স করুন সাজগোজের দু’টি ভ্যারিফাইড ফেইসবুক পেইজে। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন।

 

ছবি- সাজগোজ

The post আপনার স্কিন টাইপ কীভাবে আইডেন্টিফাই করবেন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/xor6R7K
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...