Skip to main content

অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক দিয়ে চুল হবে সফট, সিল্কি ও শাইনি

চুল নিয়ে তো হাজারো সমস্যা! এত যত্ন করার পরেও চুলের সমস্যা একটার পর একটা যেন লেগেই আছে; যেমন– খুশকি, চুল পড়া, রুক্ষ-শুষ্ক চুল, তৈলাক্ত চুল ইত্যাদি। আজ এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদানের কথা বলবো যেটা একইসাথে চুলের অনেকগুলো সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করে দিতে পারে। আর সেটি হলো অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক দিয়ে এই প্রবলেমগুলো থেকে রিলিফ পেতে পারেন সহজেই। হেয়ার টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী অ্যালোভেরা জেলের ৮টি হেয়ার মাস্ক নিয়ে আজকের ফিচার।

অ্যালোভেরার গুণাগুণ

এতে রয়েছে ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা দেয় হেলথ ও সেলফ কেয়ারে মাল্টিপল বেনিফিটস। অ্যালোভেরাতে অনেক ধরনের উপকারী এলিমেন্টস রয়েছে; যেমন ভিটামিন, মিনারেলস যা চুলের যত্নে দারুণ কাজ করে। এটি সব ধরনের চুলেই ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার চুল যদি হয় ড্রাই ও ডিহাইড্রেটেড, তাহলে তো অ্যালোভেরা জেল আপনার জন্য মাস্ট হ্যাভ একটি প্রোডাক্ট। তাহলে চলুন অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক কীভাবে রেডি করতে হবে সেটা দেখে নেওয়া যাক।

অ্যালোভেরার গুণাগুণ

১. সিল্কি চুলের জন্য অ্যালোভেরা ও টকদইয়ের মাস্ক

তিন চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেলের সাথে দুই চা চামচ টকদই, এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। ফ্রেশ অ্যালোভেরা পাতা না পেলে রেডিমেড জেল ইউজ করতে পারেন। উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে চুল ও স্ক্যাল্পে অ্যাপ্লাই করুন। এবার আধা ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি আপনার চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং চুলকে সিল্কি করে তুলবে ইনস্ট্যান্টলি।

২. ডিপ কন্ডিশনিং এর জন্য নারকেল তেল ও অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক

চুলের লেন্থ অনুযায়ী নারকেল তেল নিন একটি ছোট বাটিতে, এতে দুই চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। মাথার তালুতে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন; আধা ঘন্টা চুলে রেখে দিন এবং তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই অয়েল ট্রিটমেন্ট আপনার শুষ্ক চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করবে। ডাল ও রাফ হেয়ারকে প্রাণবন্ত করে তুলবে এবং সেই সাথে বাউন্সিও করবে।

৩. তৈলাক্ত চুলের জন্য অ্যালোভেরা ও লেবুর মাস্ক

অ্যালোভেরা ও লেবুর মাস্ক

কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, তিন ফোঁটা টি ট্রি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল ও তিন চা চামচ অ্যালোভেরা জেল একসাথে মিক্স করুন। এবার মাথার ত্বকে এটি অ্যাপ্লাই করে আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন ১ মিনিট। এবার ২০ মিনিট রাখুন, তারপর অন্য মাস্কগুলোর মতোই যথারীতি শ্যাম্পু করে নিন। এই ট্রিটমেন্টটি স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত তেল ক্লিন করবে, চুলকে হেলদি করে তুলবে। টি ট্রি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল মাথার ত্বকে একনে কজিং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমিয়ে আনে।

 

৪. ড্রাইনেসের সল্যুশনে ডিম ও অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক

একটি ছোট বোলে তিন চা চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন এবং একটি ডিম এতে যোগ করুন। স্মুথ পেস্ট তৈরি করতে একটি চামচ দিয়ে ভালো করে বিট করুন। তারপর একটি ব্রাশ বা মাস্ক অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন এবং প্রায় আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন। চুল ভালো করে পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে তারপর শ্যাম্পু করুন। এই মাস্কটি আপনার চুলের হাইড্রেশন ও ময়েশ্চার লেভেল ঠিক রাখতে হেল্প করবে।

৫. খুশকি দূর করতে অ্যালোভেরা ও অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মাস্ক

অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক

তিন চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হালকা ভেজা চুলে ও স্ক্যাল্পে ভালোভাবে অ্যাপ্লাই করুন। ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন, তারপর শ্যাম্পু করুন। মাসে দুইবার এই মাস্কটি চুলে ব্যবহার করুন। এতে খুশকির প্রবলেম কমে আসবে অনেকটাই।

৬. চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য অ্যালোভেরা ও মেথির মাস্ক

তিন চা চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে দুই চা চামচ মেথি পাউডার মিক্স করে নিন। এবার এই হেয়ার মাস্কটি ভালোভাবে স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। চুল পড়া কমাতে ও চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই হেয়ার মাস্ক।

৭. হেলদি হেয়ার পেতে ভিটামিন ই ও অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক  

দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে এর ভেতরের অয়েলটুকু বের করুন এবং সাথে তিন চামচ অ্যালোভেরা জেল মিক্স করুন। এবার কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল এতে যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। হাত দিয়ে পুরো চুলে অ্যাপ্লাই করুন। ৪০-৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলকে ন্যাচারালি হেলদি করে তুলতে এই হেয়ার মাস্কের জুড়ি নেই।

৮. ঘন চুলের জন্য অ্যালোভেরা ও ক্যাস্টর অয়েল হেয়ার মাস্ক 

হেয়ার অয়েল

এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সাথে তিন টেবিল চামচ নারকেল তেল ও তিন চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এতে রোজমেরি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা যোগ করুন। ভালোভাবে চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন এবং ধুয়ে ফেলার আগে ১ মিনিটের জন্য স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন। সবশেষে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন। এই প্রসেস প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ফলো করুন, চুল হবে ঘন ও মজবুত।

চুলে সাধারণত যে ধরনের প্রবলেমগুলো খুব বেশি দেখা যায়, তার প্রায় সবই অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক দিয়ে সল্ভ করা পসিবল। বাসায় যদি অ্যালোভেরা গাছ থাকে, তাহলে তো ভালোই; ফ্রেশ জেল কালেক্ট করতে পারবেন। আর যদি না থাকে তাহলে অ্যালোভেরা জেল কিনে নিন। স্কিন ও হেয়ার কেয়ারে অনেকভাবেই ইউজ করতে পারবেন। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

ছবি- সাটারস্টক, সাজগোজ

The post অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক দিয়ে চুল হবে সফট, সিল্কি ও শাইনি appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/l8sFoIG
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

Uttara Lake View Specialized Hospital

Uttara Lake View Specialized Hospital Address: Address: House#34, Road# 5A/10B, Sector#11, Uttara, Dhaka, 1230 Phone:  01813-904080 Available Services: 24 hours emergency service Self-contained ICU NICU HDU Cabin General Ward Corona Unit Chamber of Specialist Doctors. Also, all units are open including any complex operation. from Specialist Doctor List https://ift.tt/GFQ56KdRb via IFTTT