Skip to main content

রাইস ওয়াটার স্ক্রাব | স্মুথ ও ক্লিয়ার স্কিনের ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন!

সাপ্তাহিক স্কিনকেয়ার রুটিনে এক্সফোলিয়েশন একটি ইম্পরট্যান্ট স্টেপ। স্কিনের ডেড সেলস ও ইমপিওরিটিস রিমুভ করে ফেইসে হেলদি গ্লো ফিরিয়ে আনে চটজলদি! কিন্তু হার্শ বিডস এর জন্য স্ক্রাবিং করতে অনেকেই ভয় পায়। সঠিক এক্সফোলিয়েটর বা স্ক্রাব চুজ করা কিন্তু জরুরি, যেটা হবে স্কিনের জন্য একদম মাইল্ড। আজ এমনই একটি ব্রাইটেনিং রাইস ওয়াটার স্ক্রাব এর রিভিউ শেয়ার করবো, যা অল স্কিন টাইপেই ইজিলি স্যুট করবে। চলুন দেখে নেই তাহলে!

Rajkonna Rice Water Facial Scrub with Tangerine Extract

রিসেন্টলি আমি ট্রাই করলাম Rajkonna Rice Water Facial Scrub with Tangerine Extract। আসলে আমি একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি অপশন খুঁজছিলাম! আমার এক কলিগ এটি ইউজ করেছে, বেশ ভালো রিভিউ দিয়েছে সে। তাই ভাবলাম এবার নিউ প্রোডাক্ট ট্রাই করা যাক! সাজগোজ অ্যাপে এই প্রোডাক্টটি দেখে অর্ডার করে ফেলি। যেকোনো প্রোডাক্ট পারচেজের আগে আমি ব্র্যান্ড ও ইনগ্রেডিয়েন্ট- এই দুটো বিষয় খেয়াল রাখি। রাজকন্যা একটি দেশীয় ব্র্যান্ড। অরগানিক ও ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত প্রোডাক্টের জন্য এই ব্র্যান্ডটি অলরেডি বেশ হাইপড। বাজেটের মধ্যেই বেস্ট কোয়ালিটি ইনশিওর করে রাজকন্যা, তাই ব্র্যান্ড নিয়ে কোনো কনফিউশন ছিল না।

Rajkonna Rice Water Facial Scrub with Tangerine Extract

এই স্ক্রাবের মেইন ইনগ্রেডিয়েন্টস কী কী?

নাম দেখে এতক্ষণে তো বুঝতে পেরেছেন যে এতে আছে রাইস গ্রেইন ওয়াটার আর কমলার নির্যাস। যেকোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে সেটার উপাদান সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। কারণ স্কিনের ব্যাপারে কোনো রিস্ক নিবেন না। জেনে ও বুঝে সঠিক প্রোডাক্টটি বেছে নিন।

রাইস ওয়াটার স্কিনের জন্য কতটা বেনিফিসিয়াল?

জাপানিজ ও কোরিয়ান স্কিনকেয়ার রেঞ্জে এই উপাদানটি প্রায়ই দেখা যায়। রাইস ওয়াটারের কিছু অ্যামেজিং স্কিনকেয়ার বেনিফিটস আছে, যেটা আমাদের অনেকেরই অজানা। প্রোডাক্ট রিভিউতে যাওয়ার আগে চলুন এই ইনগ্রেডিয়েন্টটি সম্পর্কে জেনে নেই।

১) এজিং প্রসেস ডিলে করে

রাইস ওয়াটারে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, মিনারেলস আর ভিটামিনস, যা স্কিনের কোলাজেন আর ইলাস্টিন প্রোডাকশন বুস্ট করে। প্রিম্যাচিউর এজিং প্রিভেন্ট করে, রিংকেলস বা ফাইন লাইনস থাকলে সেটা কমিয়ে আনে। ওপেন পোরসের ভিজিবিলিটি থাকলে সেটাও রিডিউস করবে।

২) স্কিনটোন ব্রাইট করে

সানবার্ন, রেডনেস কমিয়ে স্কিনকে ন্যাচারালি ব্রাইট ও গ্লোয়ি করে তুলতে রাইস ওয়াটারের তুলনা নেই। আনইভেন স্কিনটোন ইভেন করে তুলতেও এটি বেশ কার্যকরী।

ন্যাচারালি ব্রাইট

৩) স্কিন ব্যারিয়ার ইম্প্রুভ করে

এতে আছে স্টার্চ কনটেন্ট যা স্কিনের আপার ব্যারিয়ারকে সুরক্ষিত রাখে। অনেকেরই ত্বক ড্রাই ও রাফ হয়ে যায় অল্প বয়সেই। এই প্রবলেমগুলো ফিক্স করে স্কিন ব্যারিয়ার বা স্কিন টেক্সচার ঠিক রাখতে দারুণ কার্যকরী এই রাইস ওয়াটার। সেই সাথে স্কিনে দেয় সুদিং ও কুলিং ইফেক্ট।

ত্বকের যত্নে ট্যাঞ্জেরিন বা কমলা

ট্যাঞ্জেরিন বা কমলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি মানেই স্কিন ব্রাইটেনিং। তাহলে দেখে নিন এর স্কিনকেয়ার বেনিফিটস।

১) পিগমেন্টেশন ও দাগ কমিয়ে আনে

ভিটামিন সি স্কিনের যেকোনো ধরনের স্পট বা দাগ কমিয়ে আনে একদম ম্যাজিকের মতো। যাদের পিগমেন্টেশনের সমস্যা আছে, তাদের জন্য ভিটামিন সি যুক্ত স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট সাজেস্ট করা হয়।

 

২) স্কিন হেলদি রাখে

ট্যাঞ্জেরিন স্কিনকে ন্যাচারালি ব্রাইট করে এবং নিউ সেলস রিজেনারেট করতে হেল্প করে। তাই স্কিন হেলদি ও ফ্রেশ দেখায়। এতে আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপারটিজ, যা একনে ও র‍্যাশ প্রিভেন্ট করতেও বেশ কার্যকরী।

রাইস ওয়াটার স্ক্রাব কেন আলাদা?

আচ্ছা, বাজারে তো কত ধরনের স্ক্রাব আছে, তাহলে আলাদা করে এটা সাজেস্ট করছি কেন? জানি, এই প্রশ্নটা সবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। মেইন ব্যাপারে আসি তাহলে।

রাইস ওয়াটার স্ক্রাব

  • ডেড সেলস, ডার্ট, পল্যুশন, মেকআপ পার্টিকেলস রিমুভ করে কোনো ইরিটেশন ছাড়াই
  • এতে থাকা বিডস এতটাই মাইল্ড যে সব ধরনের স্কিনেই মানিয়ে যায় সহজে
  • এর টেক্সচার ক্রিমি তাই ইজিলি ফেইসে ম্যাসাজ করা যায়
  • সেই সাথে এর সুইট ফ্রেগ্রেন্স প্রতি ওয়াশে দেয় রিফ্রেশিং ফিলিংস

প্যাকেজিং

এটি ১০০ মি.লি. টিউবে পাওয়া যায়। প্যাকেজিংটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে, অরেঞ্জ কালারের একটি টিউব। একদমই লাইট ওয়েট, ব্যাগেও ক্যারি করতে পারবেন। কারণ লিকেজের কোনো চান্স নেই।

কীভাবে ইউজ করবেন?

হাতের আঙুলে পরিমাণমতো স্ক্রাব নিয়ে ভেজা ফেইসে ম্যাসাজ করে নিন। আলতো হাতে সার্কুলার মোশনে ১০-১৫ সেকেন্ড ম্যাসাজ করুন। এবার ভালোভাবে ফেইস ধুয়ে নিন। ব্যস, একদম ইজি প্রসেস! তবে স্ক্রাবিং ডেইলি করার দরকার হয় না। যেহেতু রাজকন্যা রাইস ওয়াটার স্কাব একদমই মাইল্ড, কোনো হার্শ বিডস নেই; তাই উইকে ২/৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে। টিনেজ থেকে শুরু করে সব বয়সের সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।

রাইস ওয়াটার স্ক্রাব

রাইস ওয়াটার স্ক্রাব এবং আমার এক্সপেরিয়েন্স 

ওভারঅল বেশ ভালোই ছিল আমার এক্সপেরিয়েন্স। দাম অনুযায়ী রাইস ওয়াটার স্ক্রাব এক কথায় অ্যামেজিং! খুবই মাইল্ড কিন্তু স্কিন প্রোপারলি ক্লিন করে। মুখ ধোয়ার পরও স্কিন ড্রাই ফিল হয় না। বেশ ব্রাইট ও ফ্রেশ দেখায় স্কিন, যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। স্মুথ ও ক্লিয়ার স্কিনের ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন বলা যায়। শুধুমাত্র ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করলে তো স্কিনের ডিপ লেয়ার থেকে ডার্ট, ইমপিওরিটিস এগুলো ভালোভাবে ক্লিন হয় না, তাই স্ক্রাব বা এক্সফোলিটর স্কিনকেয়ার রুটিনে ইনক্লুড করা জরুরি। আমি যেহেতু বাজেট ফ্রেন্ডলি একটি অপশন পেয়েছি, তাই আপনাদেরকেও এটা সাজেস্ট করছি! তাহলে ট্রাই করুন আজই।

এই ছিল আজকের রিভিউ! সেলফ কেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমার ভরসার জায়গা সাজগোজ। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

 

ছবি- সাজগোজ

The post রাইস ওয়াটার স্ক্রাব | স্মুথ ও ক্লিয়ার স্কিনের ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন! appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/1Y9vwqf
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...