Skip to main content

ড্রাই হেয়ার কীভাবে সফট, সিল্কি ও ম্যানেজেবল রাখা যায়?

চুল অলওয়েজ হেলদি, স্মুথ ও শাইনি রাখার জন্য আমাদের চেষ্টার কোনো শেষ নেই। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন হেয়ার প্রবলেমস এর কারণে আমাদের চুলের ন্যাচারাল শাইন হারিয়ে যায় এবং তখন চুল দেখতেও অনেকটা ড্যামেজড লাগে। ড্রাই হেয়ার হচ্ছে চুলের অন্যতম কমন প্রবলেমগুলোর মধ্যে একটি৷ কিছু সিম্পল হেয়ার কেয়ার টিপস ফলো করার মাধ্যমে চুলের এই প্রবলেম কিন্তু ঘরে বসেই সল্ভ করা যেতে পারে। আজকের আর্টিকেলে জানাবো ড্রাই হেয়ার কীভাবে সফট, শাইনি ও ম্যানেজেবল রাখা যায় সে সম্পর্কে। তাই লেখাটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন!

আপনার হেয়ার টাইপ কী?

নিজের হেয়ার টাইপ জেনে রাখা কিন্তু খুবই জরুরি! চলুন শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক ড্রাই হেয়ার বলতে আসলে কী বোঝায়। ড্রাই হেয়ার হচ্ছে চুলের এমন একটি কন্ডিশন যখন চুলের ন্যাচারাল ময়েশ্চার ও অয়েল স্বাভাবিক লেভেলে থাকে না। এর ফলে তখন চুলের ন্যাচারাল শাইন হারিয়ে যেতে থাকে এবং একইসাথে টেক্সচার নষ্ট হয়ে চুল ফ্রিজি হয়ে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ড্রাইনেসের কারণে চুলের আগাও ফেটে যায়।

ড্রাই হেয়ার এর কারণ

এবার আসি চুলে কেন ড্রাইনেস দেখা যায় সে বিষয়ে। বিভিন্ন কারণে চুল ড্রাই হয়ে যেতে পারে। যেমন-

১) প্রয়োজনের চেয়ে বেশিবার শ্যাম্পু করা হলে চুলে যে ন্যাচারাল অয়েল থাকে, সেটাও ধুয়ে চলে যায়। তখন মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প ড্রাই হয়ে যায় এবং চুলেও ড্রাইনেস ভিজিবল হয়।

২) যারা চুল ধোয়ার জন্য অতিরিক্ত গরম পানি ইউজ করেন, তাদের চুল ড্রাই হয়ে যাওয়ার চান্স অনেক বেশি থাকে।

৩) রেগুলার বেসিসে হিট প্রোটেকট্যান্ট প্রোডাক্টস ছাড়া হেয়ার ড্রাইয়ার, হেয়ার স্ট্রেইটনার, কার্লার বা অন্যান্য হেয়ার স্টাইলিং টুলস ইউজ করলে চুল ফ্রিজি হয়ে যায় ও আগা ফেটে ড্রাই হয়ে যায়।

৪) যখন আমরা বেশিক্ষণ সান এক্সপোজারে থাকি কিংবা অতিরিক্ত লবণ রয়েছে এমন পানি দিয়ে হেয়ার ওয়াশ করি, তখন এগুলোর কারণেও চুল ড্রাই হয়ে যায়।

৫) অনেক সময় বয়স বা হরমোনাল চেঞ্জের কারণে চুল ড্রাই হয়ে যেতে পারে। যেমন- পোস্ট প্রেগনেন্সিতে অনেকেরই চুল রাফ হয়ে যায়।

৬) যারা চুলের ধরন না বুঝে হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস ইউজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে সেই সব প্রোডাক্টস এর সাইড ইফেক্ট হিসেবে হেয়ারে ড্রাইনেস দেখা যায়।

ফ্রিজি ও ড্রাই হেয়ারের জন্য সুপার ইফেক্টিভ টিপস

চুলে ড্রাইনেস দেখা দিলে চুল ভেতর থেকে ড্যামেজড তো হয়ই, তার পাশাপাশি কোনো হেয়ারস্টাইল করেও শান্তি পাওয়া যায় না! তাহলে কী করবেন? কিছু সিম্পল হেয়ারকেয়ার টিপস রেগুলার বেসিসে ফলো এই প্রবলেমের সল্যুশন পাবেন খুব দ্রুত! আপনার বিজি শিডিউল থেকে অল্প কিছু সময় বের করে সহজেই চুলের যত্ন নিতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কী সেই টিপস।

 

হেয়ার অয়েল ইউজ করা

চুলের ড্রাইনেস কমানোর জন্য বিভিন্ন তেল, যেমন- কোকোনাট অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল ইত্যাদি খুব ভালো কাজ করে। কেন জানেন? কারণ হেয়ার অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা চুলের হারিয়ে যাওয়া ময়েশ্চার ফিরিয়ে আনে। ফলে চুল হয়ে ওঠে শাইনি ও ম্যানেজেবল। তাই উইকে দুই থেকে তিনবার হেয়ার অয়েল ইউজ করার ট্রাই করুন, খুব তাড়াতাড়ি ভিজিবল রেজাল্ট দেখতে পাবেন!

সঠিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস সিলেক্ট করা

অনেকেই আছেন যারা নিজের চুলের ধরন না বুঝেই হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট সিলেক্ট করেন। এতে চুলের আরও বেশি ক্ষতি হয়। যারা ড্রাই হেয়ারের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য আমার সাজেশন থাকবে মাইল্ড শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ইউজ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্যারাবেন ও সালফেট ফ্রি প্রোডাক্টস ইউজ করতে পারেন। এতে চুলের কোনো ক্ষতি হবে না এবং ড্রাইনেসের কারণে যেটুকু ড্যামেজ হয়েছে সেটাও আস্তে আস্তে রিপেয়ার হয়ে যাবে।

হেয়ার মাস্ক অ্যাপ্লাই করা

অনেকেই মনে করেন চুলের ময়েশ্চার লেভেল মেনটেইন করার জন্য শ্যাম্পুর পর শুধুমাত্র কন্ডিশনার ইউজ করা-ই এনাফ! কিন্তু যাদের চুল এক্সট্রিম ড্রাই ও ফ্রিজি, তারা যদি শুধুমাত্র কন্ডিশনার ইউজ করেন তাহলে চুল প্রোপার ময়েশ্চার পাবে না৷ এই কারণেই আপনাদের একটা ভালো কোয়ালিটির হেয়ার মাস্ক অ্যাপ্লাই করতে হবে। হেয়ার মাস্কের টেক্সচার কন্ডিশনারের চেয়ে থিক হয় এবং এতে বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজিং এলিমেন্টস থাকে। হেয়ার মাস্ক চুলের ডিপ লেয়ারে যেয়ে ড্রাইনেস ও ড্যামেজ রিপেয়ারে হেল্প করে। মার্কেটে বিভিন্ন রকম হেয়ার মাস্ক পাবেন। কনসার্ন অনুযায়ী সেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিন এবং উইকে একবার করে অ্যাপ্লাই করুন৷

 

অতিরিক্ত গরম পানিতে হেয়ার ওয়াশ না করা

ড্রাই হেয়ারের অন্যতম প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে হেয়ার ওয়াশ করা। যদি চুলের ড্রাইনেস কমাতে চান, তাহলে এই হ্যাবিটটা কষ্ট করে হলেও বাদ দিতে হবে! যদি একান্তই ঠান্ডা পানিতে চুল ধোয়া পসিবল না হয়, তাহলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, তবে ভুলেও ধোঁয়া ওঠা গরম পানি ব্যবহার করবেন না।

হেয়ার সিরাম ইউজ করা

চুল ম্যানেজেবল, সফট ও শাইনি রাখতে হেয়ার সিরামের বিকল্প নেই। হেয়ার সিরামে ভিটামিন ই থাকায় এটি সক্রিয়ভাবে ড্রাই হেয়ারের প্রবলেম কমাতে হেল্প করে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, সবসময় হেয়ার সিরাম চুলের নিচের দিকে অ্যাপ্লাই করবেন৷ কারণ স্ক্যাল্পে সিরাম অ্যাপ্লাই করলে মাথার তালু গ্রিজি হয়ে যায়।

হেয়ার ট্রিম করা

ড্রাই হেয়ারের যত্ন নেওয়ার জন্য একটা দুর্দান্ত টিপস হলো প্রতি দুই থেকে তিন মাসে একবার করে হেয়ার ট্রিম করা। কারণ ট্রিম করা হলে চুলের আগা কম ফাটে এবং চুল দেখতে বেশ হেলদি লাগে। তাই আগা ফেটে গেলে বা লালচে হয়ে গেলে একটু সময় বের করে চুলের আগা ছেঁটে ফেলুন। আসলে চুলের আগা ফেটে গেলে সেটা কিন্তু রিপেয়ার করা পসিবল না, তাই চুল কেটে ফেলে ভালোভাবে যত্ন নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

হেয়ার স্টাইলিং টুলস কম ইউজ করা

চুলের ড্রাইনেস সহ অন্যান্য আরও অনেক প্রবলেমেস এর রিজন হলো চুলে রেগুলার স্ট্রেইটনার, কার্লার, ব্লো ড্রাইয়ার ইত্যাদি হেয়ার স্টাইলিং টুলস ইউজ করা। তাই সাজেশন থাকবে এসব টুলস যতটা সম্ভব কম ইউজ করা। আর যদি ইউজ করতেই হয়, তাহলে ইউজ করার আগে একটা ভালো কোয়ালিটির হিট প্রোটেকটর স্প্রে বা সিরাম অ্যাপ্লাই করে নিন। এতে চুলের ড্যামেজ অনেকটা কম হবে। আর অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের স্ট্রেইটনার ইউজ করবেন যেটাতে হিট রেগুলেট করার অপশন থাকে!

ড্রাই হেয়ার এর যত্নে ঘরোয়া হেয়ার প্যাক  

সপ্তাহে অন্তত একদিন ডিম, টকদই, অ্যালোভেরা জেল ও সামান্য অলিভ অয়েল হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে অ্যাপ্লাই করুন। ৩০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ওয়াশ করে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল চুলের ময়েশ্চার রিস্টোর করে, টকদই চুলে সিল্কি ও শাইনি লুক দেয়, ডিম হেয়ার ফলিকলে পুষ্টি যোগায় এবং অলিভ অয়েল চুলের রুক্ষতা দূর করে।

এই স্টেপগুলো ফলো করে ঘরে বসেই ড্রাই হেয়ারের প্রবলেম সল্ভ করে ফেলতে পারবেন৷ সবসময় মনে রাখবেন, চুলের যত্নে অথেনটিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস বেছে নিতে হবে। বেস্ট কোয়ালিটি হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস সহ মেকআপ ও স্কিন কেয়ার রেঞ্জের জন্য সাজগোজকে ট্রাস্ট করতে পারেন নিশ্চিন্তে। তাই ভিজিট করুন সাজগোজ অ্যাপ, ওয়েবসাইট কিংবা আউটলেটে! অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

ছবি- সাজগোজ

The post ড্রাই হেয়ার কীভাবে সফট, সিল্কি ও ম্যানেজেবল রাখা যায়? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/GImNHzD
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

Uttara Lake View Specialized Hospital

Uttara Lake View Specialized Hospital Address: Address: House#34, Road# 5A/10B, Sector#11, Uttara, Dhaka, 1230 Phone:  01813-904080 Available Services: 24 hours emergency service Self-contained ICU NICU HDU Cabin General Ward Corona Unit Chamber of Specialist Doctors. Also, all units are open including any complex operation. from Specialist Doctor List https://ift.tt/GFQ56KdRb via IFTTT