Skip to main content

অয়েল ফ্রি ও ক্লিয়ার স্কিন পেতে অ্যাকটিভেটেড চারকোল ফেইস ওয়াশ

স্কিনকেয়ারে অ্যাকটিভেটেড চারকোল ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। এই উপাদানটির দারুণ কিছু স্কিন বেনিফিটস আছে, সেটা আমরা অনেকেই জানি না! অয়েলি অ্যান্ড কম্বিনেশন স্কিনের যত্নে অ্যাকটিভেটেড চারকোল বেশ কার্যকর। কারণ এটা স্কিনের ডিপ লেয়ার থেকে সেবাম, ডার্ট, ইমপিওরিটিস একদম টেনে বের করে আনে। অয়েল ফ্রি ও ক্লিয়ার স্কিন পেতে অ্যাকটিভেটেড চারকোল ও হানি এক্সট্র্যাক্ট সমৃদ্ধ একটি ফেইস ওয়াশের রিভিউ শেয়ার করবো আজ। বিশেষ করে যারা বাজেট ফ্রেন্ডলি অপশন খুঁজছেন, তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি হেল্পফুল হবে।

অ্যাকটিভেটেড চারকোলের স্কিন বেনিফিটস 

কয়লা দিয়ে রূপচর্চা?!’ স্কিনকেয়ারে এই ইনগ্রেডিয়েন্টটি ইনক্লুড করতে অনেকেই কনফিউসড থাকেন। খুবই স্বাভাবিক! এই ইনফরমেশন গ্যাপগুলোই আজ দূর করবো। প্রোডাক্ট রিভিউতে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্নে অ্যাকটিভেটেড চারকোলের উপকারিতাগুলো জেনে নেওয়া যাক।

  • ইমপিওরিটিস, পল্যুশন, টক্সিন, মেকআপ পার্টিকেলস দূর করে
  • অ্যাবজর্বশন ক্যাপাবিলিটি বেশি হওয়ায় ডিপ লেয়ার থেকে স্কিনকে ডিটক্সিফাই ও পিউরিফাই করে
  • পোরস আনক্লগ করে এবং এনলার্জড পোরস মিনিমাইজ করে
  • অয়েলি স্কিনের এক্সেস সেবাম বা তেলতেলেভাব নিমিষেই দূর করে

তাহলেই বুঝতেই পারছেন, বিভিন্ন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টে ইনগ্রেডিয়েন্ট হিসাবে অ্যাকটিভেটেড চারকোল কেন থাকে! ক্লেনজার, সাবান, ফেইস মাস্ক এগুলোতে বিশেষ করে এই উপাদানটি দেখা যায়।

অয়েল ফ্রি ও ক্লিয়ার স্কিন পাওয়ার সিক্রেট

আজ এমন একটি প্রোডাক্টের রিভিউ শেয়ার করবো যেটাতে মেইন ইনগ্রেডিয়েন্ট হিসাবে আছে অ্যাকটিভেটেড চারকোল আর হানি এক্সট্র্যাক্ট। Rajkonna Activated Charcoal Facial Wash with Honey Extract আমার রিসেন্ট ফেবারিট একটি প্রোডাক্ট। রাজকন্যা ব্র্যান্ডের অন্যান্য প্রোডাক্ট আগেও ইউজ করা হয়েছে, তাই ব্র্যান্ড নিয়ে কোনো কনফিউশন ছিল না। রেগুলার ইউজের জন্য আমি বাজেট ফ্রেন্ডলি ফেইস ওয়াশ খুঁজছিলাম, সাজগোজ অ্যাপে রাজকন্যার নতুন এই ফেসিয়াল ওয়াশটি দেখে অর্ডার করে দিলাম! কয়েকদিন ধরে নিয়মিত ব্যবহার করছি। আমার এই এক্সপেরিয়েন্সই আজ শেয়ার করবো।

 

Rajkonna Activated Charcoal Facial Wash with Honey Extract

যেকোনো প্রোডাক্ট পারচেজের আগে আমি ব্র্যান্ড ও ইনগ্রেডিয়েন্ট- এই দু’টো জিনিস খেয়াল রাখি এবং খুব ভালোভাবে জেনে নেই। রাজকন্যা একটি দেশীয় ব্র্যান্ড। অরগানিক, পিওর ও ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত প্রোডাক্টের জন্য এই ব্র্যান্ডটি অলরেডি পপুলার। বাজেটের মধ্যেই বেস্ট কোয়ালিটি ইনশিওর করে, তাই স্টুডেন্টদের জন্যও এই ব্র্যান্ডটি পারফেক্ট চয়েজ।

এই ফেসিয়াল ওয়াশের বিশেষত্ব কী?

অ্যাকটিভেটেড চারকোলের সাথে এই ফেসিয়াল ওয়াশে আছে হানি এক্সট্র্যাক্ট। অ্যাকটিভেটেড চারকোলের স্কিন বেনিফিটস আগেই বলেছি। হানিতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপারটিজ। ন্যাচারালি গ্লোয়িং ও হেলদি স্কিন পেতে এই এলিমেন্টটি বেশ কার্যকর। বাজারের অন্যান্য ফেইস ওয়াশ থেকে এই প্রোডাক্টটি কেন ডিফারেন্ট, সেটা জেনে নিন তাহলে।

১) অ্যাকটিভেটেড চারকোলের সাথে এতে আছে হানি, যা স্কিনকে ডিপলি ক্লিন করার সাথে সাথে হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চারাইজড রাখে।

২) স্কিনের এক্সেস সেবাম প্রোডাকশন কন্ট্রোল করে, তাই একটু পর পরই যাদের স্কিন তেলতেলে হয়ে যায়, তাদের জন্য খুবই ইফেক্টিভ। সেই সাথে একনে প্রিভেন্ট করতেও হেল্প করে।

৩) অয়েলি অ্যান্ড কম্বিনেশন স্কিনের জন্য একদম পারফেক্ট। ফেসিয়াল ওয়াশ দিয়ে মুখ ক্লিন করার পর ড্রাই ফিল হয় না। অয়েল ফ্রি ও ক্লিয়ার স্কিন পাওয়া যায় প্রতি ওয়াশে। রেগুলার বেসিসে ইউজ করা যাবে নিশ্চিন্তে।

টেক্সচার ও স্মেল

Rajkonna Activated Charcoal Facial Wash এর মাইল্ড ফ্রেগ্রেন্স আছে, যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেকেই আছেন যারা কড়া ঘ্রাণ পছন্দ করেন না, তাদের জন্য এটা স্যুইটেবল। প্রতিবার ব্যবহারের সময় এর মিষ্টি সুবাস রিফ্রেশিং ফিল দেয়। ফেসিয়াল ওয়াশটি ক্রিমি টেক্সচারের।

প্যাকেজিং

১০০ মি.লি. টিউবে পাওয়া যায়। প্যাকেজিংটা বেশ আই ক্যাচি, মেইন ইনগ্রেডিয়েন্ট অ্যাকটিভেটেড চারকোলের সাথে মিল রেখে এর প্যাকেজিংটাও ব্ল্যাক কালারের। বেশ লাইট ওয়েট, আমি ভ্যানিটি ব্যাগেও ক্যারি করি।

কীভাবে ইউজ করতে হবে?

একদমই সিম্পল! নরমালি ক্লেনজার বা ফেইস ওয়াশ যেভাবে ব্যবহার করতে হয়, সেভাবেই ব্যবহার করবেন। হাতের তালুতে পরিমাণমতো প্রোডাক্ট নিয়ে ভেজা ফেইসে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

কাদের জন্য স্যুইটেবল?

এই ফেসিয়াল ওয়াশটি অয়েলি অ্যান্ড কম্বিনেশন স্কিনের জন্য ফর্মুলেটেড। একনে প্রন স্কিনেও স্যুট করবে। টিনেজ থেকে শুরু করে ছেলে-মেয়ে সবাই এটা ব্যবহার করতে পারেন, কোনো সমস্যা নেই!

আমার এক্সপেরিয়েন্স

রেগুলার ইউজের জন্য আমি বাজেট ফ্রেন্ডলি অপশন খুঁজছিলাম, তবে কোয়ালিটির সাথে কম্প্রোমাইজ করবো না! যেহেতু স্কিনের ব্যাপারে কোনো রিস্ক নেই না, তাই আমার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ইনগ্রেডিয়েন্ট দেখে আমি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করি। আমার স্কিন কিছুক্ষণ পর পরই অয়েলি হয়ে যায়, আর মাঝে মধ্যে পিম্পলস ওঠে! এই কারণে Rajkonna Activated Charcoal Facial Wash পারচেজ করা। আমার এক্সপেরিয়েন্সটা শেয়ার করছি যাতে আপনারাও বেস্ট ডিসিশনটা নিতে পারেন।

  • মুখ ধোয়ার পর স্কিন বেশ ক্লিন ও ফ্রেশ দেখায়
  • ব্যবহারের পর স্কিনে কোনো ধরনের ইরিটেশন হয়নি
  • ত্বকের চিটচিটেভাব ও একনে প্রবলেম বেশ কমে এসেছে
  • বাজেট ফ্রেন্ডলি অপশন

এই ছিল আজকের রিভিউ! আশা করছি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিল। সেলফ কেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমার ভরসার জায়গা সাজগোজ। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

 

ছবি- সাজগোজ

The post অয়েল ফ্রি ও ক্লিয়ার স্কিন পেতে অ্যাকটিভেটেড চারকোল ফেইস ওয়াশ appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/8ADHkcr
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...